উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ
তবে অনেকেই এই ‘গাঁজাখুরি’ মানতে রাজি নন। স্থানীয় বাসিন্দা অদুত আলি, মির্তাজুলরা বলেন, ‘সপ্তাহখানেক ধরে এটাই যেন একমাত্র আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্যি না মিথ্যা, কেউ জানে না। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই সবাই ভয়ে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে।’ কাঁঠালিয়ার বাসিন্দা শেখ সেকেন্দার বলেন, ‘একটি ভিডিও আমার কাছেও রয়েছে। সেখানে এক মহিলার ছায়মূর্তির সঙ্গে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ওই লোকটিকে নাকি দানব আক্রমণ করেছে। তবে এসব আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না। কোথায় এটা হয়েছে, তাও কারও কাছে পরিষ্কার নয়।’ নিমাই ঘোষ নামে আরেক গ্রামবাসী বলেন, ‘পুরোটাই গুজব। এখন তো ফোনেই সবকিছু দেওয়া-নেওয়া হয়। সেখান থেকে এই গুজব রটেছে। আবার কেউ কোনও কারসাজি করছে কি না, কে জানে।’ ইরফান আলি মোল্লা নামে এক স্কুলপড়ুয়া বলে, ‘আমিও ভিডিও টা দেখেছি। খুব ভয় হচ্ছে। বাড়ির লোকজন সন্ধ্যার পর বেরতে বারণ করেছে।’
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ যুক্তিবাদী মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, ‘মানুষকে বিভ্রান্ত করে অন্যপথে চালিত করতেই এসব রটানো হচ্ছে। শুধু বারাসত বলে নয়, বনগাঁতেও এই গুজব রটেছে। কেউ যদি নির্দিষ্ট জায়গা ও আক্রান্তের খোঁজ দিতে পারেন, তাঁকে আমরা পুরস্কৃত করব। আমরা এনিয়ে সচেতনতা প্রচার শুরু করে দিয়েছি।’ নিজস্ব চিত্র