Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’ 
একইসঙ্গে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইতিহাসে ‘কলঙ্ক’ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আন্তোনিও গুতেইরেস। কারণ, সম্প্রতি প্যালেস্তাইনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজরায়েলের প্রায় ছয় দশকের দখলদারির অবসান চেয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রায় সব দেশ সেই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানায়। ফলে ইজরায়েলও তার বদলা নেওয়া শুরু করেছে। দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিবাহিনীর উপর শুরু হয়েছে ইজরায়েলের বোমা বর্ষণ। একইসঙ্গে প্যালেস্তাইনের গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে শুরু হয়েছে ইজরায়েলের নতুন আক্রমণ। এই একের পর এক হামলাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘকে তারা পাত্তাই দেয় না!
নেতানিয়াহু এক আবেগপ্রবণ ও ক্যারিশম্যাটিক বক্তা। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘকেই ‘অন্ধকারের ঘর’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। বলেছিলেন, এই ইহুদিবিদ্বেষী পিত্তে ভরা জলাভূমিতে অধিকাংশই ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি অমানবিক। গত দশকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অনেক প্রস্তাব পাস হয়েছে। সবই ভণ্ডামি, দ্বিমুখী নীতি ও রসিকতা। নেতানিয়াহু প্রশ্ন তুলেছিলেন, আপনারা কাকে বেছে নেবেন? ইজরায়েল? 
গণতন্ত্র ও শান্তির পাশে দাঁড়াবেন নাকি ইরানের সঙ্গে? নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিবাদে অনেক বিশ্বনেতা সেদিন সাধারণ অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন। কিন্তু তাতে ইজরায়েলের কিছু যায় আসেনি!
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদকে বলা হয় বিশ্বের আইন পরিষদ। বিশ্বের সব দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এখানে প্রায় সব আন্তর্জাতিক প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। আর এই সংস্থার বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনকে এখন অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলেন ‘টকিং শপ’। অধিবেশনের প্রথম এক-দুই দিন সবাই কান পেতে থাকেন। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা চীনা রাষ্ট্রপ্রধান সেই সময় ভাষণ দেন। সবাই তাঁদের কথা শুনতে, নিদেনপক্ষে সাংবাদিক হিসেবে ‘কভার’ করতে আগ্রহী। দিন যত যায়, আগ্রহ তত কমে। শেষের দিকে অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে এমন রাজকীয় যে সাধারণ পরিষদকক্ষ, তাতে কথা শোনার লোক থাকে হাতে গোনা কয়েকজন। তা-ও অধিকাংশই যার যার নিজের দেশের নেতার ভাষণ শোনার জন্য। যেই সেই নেতার ভাষণ শেষ, তাঁর সমর্থকরাও এক এক করে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান। নামেই বিশ্বসভা, আসলে রাষ্ট্রপ্রধানরা সবাই যাঁর যাঁর নিজের দেশের, নিজেদের সাফল্যের গান শুনিয়ে যান। বাকিরা কেন শুনবে সেসব কথা? আসলে এটাই রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনের প্রকৃত চিত্র। এখানে কোনও দেশের সমস্যা সমাধানে কেউ চিন্তিত নন। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ বিতর্ক ব্যাপারটা কতটা খেলো হয়ে উঠেছে, তার এক উদাহরণ দিয়েছিলেন ইয়ান উইলিয়ামস। যিনি একসময় রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেছিলেন, বেশ কয়েক বছর আগে, এক বক্তা তাঁর প্রতিবেশী দেশের উদাহরণ দিয়ে বললেন, পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক প্রশাসনের জাঁতাকলে দেশটির মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছে। সে কথা শুনে সবাই তো অবাক। কারণ, যে দেশটির কথা বলা হচ্ছে সেটি এক বছর আগেই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। পরে জানা গেল, বক্তা এক বছর আগে দেওয়া ভাষণের কপি ভুল করে আবার পড়ে শোনাচ্ছেন। সম্ভবত তিনি নিজেই সেই ভাষণ দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে ভুলে গিয়েছিলেন।
অথচ, ১৯৪৫ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন আশা করা হয়েছিল এই বিশ্ব সংস্থাটি দুনিয়া থেকে যুদ্ধ, অনুন্নয়ন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন ঠেকাবে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যে দেশগুলি জার্মানি ও তার মিত্রদের পরাস্ত করে তারাই এই সংস্থা গঠনের আসল চালিকা শক্তি। রাষ্ট্রসঙ্ঘকে নিয়ে আশা ও উৎসাহের সেটাই আসল কারণ। কিন্তু খুব বেশি দিন লাগেনি দেশগুলির বন্ধুত্বে চিড় ধরতে। শুরু হয়ে গিয়েছিল পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই। যারা যুদ্ধ ঠেকাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, দেখা গেল তারাই যুদ্ধ বাধাতে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত। বিশ্বকে এক করার বদলে তাকে বিভক্ত করে যার যার প্রভাব বলয়ে আনাই তাদের আসল লক্ষ্য। এরপর ৭৯টি বছর কেটে গিয়েছে। অবস্থা বদলায়নি, বরং বহুগুণে অবনতি ঘটেছে। একটা বিষয় লক্ষ্য করুন, পাঁচটি দেশকে তাদের সার্বিক গুরুত্বের কারণে এই সংস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ‘ভেটো’ প্রদানের অধিকার দেওয়া হয়েছে। দেখা যায়, বহু অধিবেশনে সেই পাঁচ দেশের অনেকেই অনুপস্থিত থাকেন। গত বছর, ২০২৩ সালের কথাই ভাবুন। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচজনের একজন অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ, তখন তিনি প্রতিবেশী এক দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনায় ব্যস্ত। আরও এক প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতির কারণ, এক রাজা তাঁর দেশে সফরে আসবেন, তাঁর দেখভাল করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। এমনকী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি—যিনি মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই নিজের দেশে সাড়ম্বরে জি ২০–এর শীর্ষ বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছিলেন— তিনিও অধিবেশনে থাকতে পারেননি। দুই দিনের বৈঠক করে তিনি হয়তো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন! বিশ্বনেতাদের জন্য কোনটা অগ্রাধিকার, এ থেকেই বোঝা যায়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে, সে কথা স্বয়ং মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেস স্বীকার করেছেন। শান্তিরক্ষার বাইরে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ জলবায়ু–সংকটের মোকাবিলা। আর মাত্র ১০ বছরের মধ্যে যদি ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা কমিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে বিশ্ব ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়বে। এ জন্য একদিকে প্রয়োজন জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যেমন সূর্য বা বাতাসের ব্যবহার বাড়ানো। অথচ যাঁরা এই বিশ্বের হর্তাকর্তা, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি গ্যাস-তেলের কারবারি। ৭৭তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এক ভাষণে গুতেইরেস বলেছিলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বদলে আমরা বিশ্বকে খণ্ডবিখণ্ড করে ফেলছি। লক্ষ্য অর্জনের বদলে আমরা একে–অন্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এভাবে জড়িয়ে গিয়েছি যে সংস্থাটি তার চালিকাশক্তি হারিয়ে ফেলছে।’ মহাসচিব তাঁর স্বভাবজাত কূটনৈতিক ভাষা ত্যাগ করে সেই ভাষণে স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘আমাদের বিভক্তি বাড়ছে, অসাম্য বাড়ছে, লক্ষ্যপূরণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। বড় বিপদে পড়ে গিয়েছি আমরা।’
কোনও সন্দেহ নেই, এই বিপদের কারণ বিশ্বের বড় রাষ্ট্রগুলি নিজেরাই তৈরি করেছে। ২০২২ সালে প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণের মাধ্যমে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অন্যতম স্থপতি রাশিয়া নিজেরাই সংস্থাটির প্রতি বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ সনদের একটি প্রধান প্রতিশ্রুতিই— কোনও দেশ, তা সে ছোট বা বড় যা–ই হোক, কোনও অবস্থাতেই অন্য কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হয়, এমন কাজ করবে না। রাশিয়া ঠিক সেই কাজটি করেছে। রাশিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রতিশ্রুত পথে এগয়নি। শুধু তা–ই নয়, অসামরিক জনগণের উপর যে নির্বিচার বোমাবাজি রাশিয়া করে চলেছে, তাকে বলা হচ্ছে ‘জেনোসাইড’। স্বয়ং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধাপরাধের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘভুক্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। শুধু রাশিয়া নয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘভুক্ত অধিকাংশ বৃহৎ রাষ্ট্র বেশিরভাগ দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় সমস্যার মোকাবিলায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্থ না হয়ে নিজের পছন্দমতো রাস্তা খুঁজে নিচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে এখন নখদন্তহীন একটি পোষ্য মাত্র, তার এক বড় কারণ, এই সংস্থাটিকে এড়িয়ে বিশ্বের দেশগুলি যে যার মতো ছোট ছোট জোট গঠন করে নিয়েছে। বিশ্বের তিন মোড়ল আমেরিকা, চীন ও রাশিয়া— তাদের নেতৃত্বে নানা জোট গড়ে তুলেছে। যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ গঠিত হয়েছিল, অর্থাৎ সব রকমের আন্তর্জাতিক প্রশ্নে সমন্বিত কাজ— তা অনুসরণের বদলে এখন বড় বড় দেশ যে যার মতো নিজেদের প্রভাবাধীন জোট গড়ে সেখানেই বিচারসভা বসাচ্ছে। জি ৭, জি ২০ বা ব্রিকস— এসবই এক অর্থে ছোট ছোট রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে ক্রমেই তার প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে, তার এক বড় কারণ এই সংস্থা বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে বদলাতে ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের দিকে তাকান। অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই পরিষদের ভূমিকা সবচেয়ে বড়। যে পাঁচটি দেশ সেই ১৯৪৫ থেকে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো অধিকার নিয়ে বসে আছে, তার তিনটিই ইউরোপের। ফ্রান্স বা ব্রিটেন একসময় বিশ্বশক্তি ছিল, এখন তারা নিজেদের অতীতের ছায়ামাত্র। তাহলে কী হবে? বাস্তবতা মেনে সরে দাঁড়াতে বললে তারা কখনই রাজি হবে না। আফ্রিকা মহাদেশ বা আরব দেশগুলি থেকে এই পরিষদে কোনও স্থায়ী সদস্য নেই। তৃতীয় বিশ্ব থেকে চীন আছে বটে, কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে বৃহত্তম ভারত তেমন সুযোগ থেকে বঞ্চিত। লাতিন আমেরিকার কোনও দেশেরও সেখানে পা রাখার স্থায়ী কোনও জায়গা নেই। গত সাত দশকে বিশ্ব বদলেছে, কিন্তু বিশ্ব সংস্থা বদলায়নি। সবাই এ কথা মানেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘকে ঢেলে সাজাতে হবে, কিন্তু ঢেলে সাজাতে হলে সবার আগে প্রয়োজন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের সম্মতি। সেই সম্মতিও আসবে না, অচলাবস্থারও নিরসন হবে না।
এরপরও রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে যদি কারও মনে কোনও দ্বিধা থাকে, দয়া করে গাজা, লেবাননের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া অনাথ শিশুদের অথবা এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মার্কিন ছাত্রছাত্রীকে প্রশ্ন করুন। সঠিক উত্তর তাঁরাই দিতে পারবেন। আসলে ৭৯ বছর ধরে গোটা দুনিয়া জেনে গিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’!
24th  October, 2024
অথরিটি? মহারাষ্ট্র কিন্তু চাই মোদিজি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কপিল শর্মার সঙ্গে নীতীশ কুমারের মিল কোথায়? দু’জনেই ‘শোয়ের’ জন্য যে কোনও দিকে ঢলে পড়তে পারেন। বিশদ

সাবধান, জোর ঝাঁকুনি অপেক্ষা করে আছে সামনে
পি চিদম্বরম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি বিষয়ক বিবৃতি যার কারণে শিরোনাম দখল করে তা হল—‘পলিসি রেপো রেট’। রেপো রেট হল সেই সুদের হার যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা ধার দেয়। বিশদ

04th  November, 2024
মার্কিন নির্বাচনেও কারচুপি, হিন্দুত্ব কার্ড!
হিমাংশু সিংহ

দুই বিপরীত গোলার্ধের গণতন্ত্রের দেশে এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন! বছরের শুরুতে পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে টানটান উত্তেজনার নির্বাচন। মোদিজি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন বটে, কিন্তু প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে চারশো আসনের খোয়াব থামল মাত্র ২৪০-এ। বিশদ

03rd  November, 2024
যেখানে ধান্দা নেই সেখানে বিজেপিও নেই
তন্ময় মল্লিক

অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অভয়ার জাস্টিস পাওয়া নিয়ে দ্বিমত আগেও ছিল না, এখনও নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আপাতত কমিটি গঠন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হওয়ার লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ। বিশদ

02nd  November, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

01st  November, 2024
শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
একনজরে
জনসমক্ষে দেশে কড়া পোশাকবিধির প্রতিবাদ করলেন ইরানের আরও এক তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাঁটলেন শুধু অন্তর্বাস পরে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। কিন্তু দু’দিন কেটে গেলেও ...

শান্তিনিকেতনে পর্যটক ও নারী সুরক্ষায় আরও একধাপ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিল শান্তিনিকেতন থানা। গ্রিন মোবাইল টিম নামের একটি বিশেষ মহিলা সুরক্ষা দল গঠন করল সংশ্লিষ্ট থানা। এর মাধ্যমে ওই মহিলা দল ব্যাটারি চালিত পরিবেশবান্ধব সাইকেলে চড়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালাবে ...

গত ২৯ অক্টোবর দেশজুড়ে রোজগার মেলার আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা সরকারি চাকরি পাচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়াই ছিল ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। ...

বালুরঘাটে ল’কলেজ পাড়ায় নেশার টাকা না পেয়ে খুনের অভিযোগে ধৃতকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিস। পাশাপাশি এক দুষ্কৃতীর বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে মোগল সম্রাট আকবরের বাহিনীর হাতে হেমু পরাস্ত হন
১৭৯৫: বাংলা নাটকের প্রথম বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ‘ক্যালকাটা গেজেট’ পত্রিকায়
১৮৭০: আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জন্ম
১৮৮৭: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২: বৃটিশ-ভারতীয় বিজ্ঞানী জে বি এস হ্যালডেনের জন্ম
১৮৯৩: রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ ও রথীন্দ্রনাথের স্ত্রী তথা লেখক, কবি, চিত্রশিল্পী ও নৃত্যবিশারদ প্রতিমা ঠাকুরের জন্ম
১৯০২: গহরজানের গান দিয়ে কলকাতায় এশিয়ার প্রথম রেকর্ডিং শুরু হয়
১৯০৫: অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯১৫: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফিরোজ শাহ মেহতার মৃত্যু
১৯১৮: বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক বাণী রায়ের জন্ম
১৯৫৫: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক করণ থাপারের জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৮: ক্রিকেটার বিরাট কোহলির জন্ম
২০০৬: ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে আল দুজাইল ট্রায়ালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়
২০১১: সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার মৃত্যু
২০১২: যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৪১ টাকা ১১১.১৯ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৮ টাকা ৯৩.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী ৪৬/১৫ রাত্রি ১২/১৭। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৯/৫৫ দিবা ৯/৪৫। সূর্যোদয় ৫/৪৭/৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/২৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩১ মধ্যে পুনঃ ৭/১৬ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১২ মধ্যে পুনঃ ৪/৫৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/১০ গতে ৮/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৯ কার্তিক, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্থী রাত্রি ৯/৩৫। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৪৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/২৯ গতে ১১/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে ও ৯/১২ গতে ১১/৪১ মধ্যে ও ১/৩৮ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৫/১০ গতে ৫/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/১১ গতে ৮/৩৫ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩১ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: কাজকর্ম অপেক্ষাকৃত শুভ। বৃষ: যোগাযোগ রক্ষায় সাফল্যের যোগ। মিথুন: মানসিক অস্থিরতা বাড়াবে। কর্কট: ধর্মকর্মে মন। সিংহ: কর্মস্থলে পদোন্নতির ...বিশদ

10:36:38 AM

আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত, জানালেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:40:36 PM

ছুরির আঘাতে মারাত্মক জখম সবজি বিক্রেতা
  এক সবজি বিক্রেতার উপর ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ...বিশদ

11:06:00 PM

পাঞ্জাবের সাঙরুর জেলায় মাঠেই জ্বালানো হল ফসল, ধোঁয়াচ্ছন্ন এলাকা

10:43:00 PM

গুজরাতে নির্মীয়মান রেল ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকে ৩ জন শ্রমিক, চলছে উদ্ধারকাজ

10:14:00 PM

আইপিএল ২০২৫-এর নিলামে অংশগ্রহণ করছেন ১৫৭৪ জন প্লেয়ার

09:56:00 PM