উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য নামী স্বদেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। অর্থকর্মে উন্নতি ... বিশদ
অনীশ বাজমি পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তিতে, সিক্যুয়েল থেকে ফিরেছেন ‘রুহবাবা’ (কার্তিক আরিয়ান)। আর প্রথম ছবির মূল কাণ্ডারী বিদ্যা বালান। কিন্তু এবারেও বিদ্যাই কি মঞ্জুলিকা, যার সর্বনাশ নেমে আসবে রুহবাবার হাতে? নাকি আসল মঞ্জুলিকা অন্য কেউ, সেই নিয়ে তৈরি হবে অজস্র বিভ্রান্তি, যার তল মিলবে ছবির শেষে গিয়ে? ২০০ বছর ধরে যে কাহিনি প্রচলিত লোকমুখে, তার কতটা সত্যি, আর কতটাই বা রহস্যে মোড়া অন্ধকারে আচ্ছন্ন?
আকাশ কৌশিকের লেখা গল্পে হাস্যরস আর ভয়— দুই উপাদান মজুত থাকলেও তাতে জোরের অভাব স্পষ্ট। কিছু কিছু জায়গায় এই দুই রসেরই পোক্ত কিছু মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। বিজয় রাজ, সঞ্জয় মিশ্র, রাজেশ শর্মার মতো জোরালো অভিনেতারা ছবির কমেডির ভাগটুকু আপ্রাণ ধরে রাখার চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গে কার্তিক আরিয়ানকে যোগ্য সঙ্গত করেছেন। কিন্তু গল্পের যে দিকটি সবচেয়ে দক্ষ হতে পারত, চিত্রনাট্যের দুর্বলতায় তা থেকে গিয়েছে অধরা।
বিদ্যা বালান আর মাধুরী দীক্ষিতের মতো দুই ডাকসাইটে সুন্দরী ও শক্তিশালী অভিনেত্রী এই ছবির সম্পদ। তবে গল্পকার যদি এই দুই চরিত্রের গঠনের দিকে বিশেষ মন দিতেন, তাহলে আরও ভালো হতো। বিদ্যা ও মাধুরী মঞ্জুলিকা রহস্য ঘনীভূত করায় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। তাঁদের নাচের যুগলবন্দি চোখে লেগে থাকবে ছবি শেষ হওয়ার পরেও।
গল্পের শেষে এসে শুধুমাত্র প্রগতিশীলতার মোড়কে টুইস্ট সাজালেও,তাতে গোটা গল্পের দায়সারা ভাবটুকু নজর এড়ায় না। তবু এটুকু বলতেই হয়, গোটা ছবির আলগা সুতোটা কোথাও ক্লাইম্যাক্সের উপর ভর করে যে পূর্ণতা পায়, তা খানিকটা মনের আরাম জোগায়! এই ছবিতে কার্তিক আরিয়ান মন দিয়ে অভিনয় করার চেষ্টা করেছেন। আগামী ছবিগুলোতে রুহবাবা ফেরত এলে, তিনিও ফের পর্দায় দেখা দেবেন, এ কথা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে গল্পের নায়িকা তৃপ্তি দিমরির চরিত্র আরও একটু মজবুত হতে পারত। যদিও পর্দায় তাঁদের রসায়ন দিব্যি, তাঁদের প্রেমের গল্পটুকু আরও একটু পোক্ত হলে ভাল লাগত।
বলিউড বাণিজ্যে ‘হরর কমেডি’-এর পালে হাওয়া লেগেছে আপাতত। সুপারহিট ছবির অভাব নেই সেখানে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে, কেবল ফ্র্যাঞ্চাইজির মনভোলানো চটক নয়, গল্প আরও ধারালো করতে হবে।