বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এই পাঁচটি ছবির মধ্যে মূল লড়াই ‘গোলন্দাজ’ বনাম ‘বাজি’র। প্রথম ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের তরফে জানানো হয়েছে, মুক্তির ৭ দিনের মধ্যেই এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন ২ কোটি ছাড়িয়েছে। শহরের মাল্টিপ্লেক্স চেন ও সিঙ্গল স্ক্রিনগুলোর গেটের বাইরে ছবির শোয়ের সময় ‘হাউসফুল’ বোর্ডও দেখা গিয়েছে। কলকাতার স্টার থিয়েটারের বাইরে দেবের কাটআউটকে দুগ্ধস্নান করাতেও দেখা গিয়েছে অনুরাগীদের। দেব বলছেন, ‘দর্শক যে আবার সিনেমাহলে ফিরছেন, সেটা দেখে খুব ভালো লাগছে। পরপর শো হাউসফুল হচ্ছে। আশা করি, অন্যান্য ছবির ক্ষেত্রেও এই ধারা থাকবে।’ আবার, ‘বাজি’ মফসসল কাঁপাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রতিদিন মফসসলের হলগুলোয় গড়ে ৩০০-৪০০ দর্শক আসছেন ছবিটি দেখার জন্য। বাংলাদেশেও মুক্তি পেয়েছে এই ছবি।
‘বনি’ শহরের মাল্টিপ্লেক্সগুলোয় বেশ ভালো ব্যবসা করছে। একেবারে হাউসফুল না হলেও, এই ছবি নিয়ে উত্সাহ দেখা যাচ্ছে। অঙ্কুশের ‘এফআইআর’ ছবিটিও সিনেমা হল মালিকদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। অঙ্কুশ বলছেন, ‘দর্শক-সমালোচকদের কাছ থেকে আমরা খুব ভালো রিভিউ পাচ্ছি। অনেকেই পাঁচটা ছবির মধ্যে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় স্থানে এই ছবিকে রাখছেন। পুজোর প্রথম কয়েকদিন আমরা খানিকটা পিছিয়ে ছিলাম। অবশ্যই গোলন্দাজ নিয়ে একটা উন্মাদনা ছিল। কিন্তু অষ্টমী থেকে দর্শকদের মুখে মুখে আমাদের ছবির কথা অনেকটাই ছড়িয়েছে। শহর ও মফসসল— দু’জায়গার দর্শকই ছবিটা দেখছেন।’প্রাথমিক আকর্ষণে পিছিয়ে থাকলেও পুজো যত এগিয়েছে, আলোচনায় উঠে এসেছে অয়ন চক্রবর্তীর ছবি ‘ষড়রিপু ২: জতুগৃহ’। এই ছবি দিয়ে দীর্ঘদিন পর পুজোর রিলিজে ফিরলেন চিরঞ্জিত। বাংলা ছবির দর্শকদের একটা নস্টালজিয়া তো তাঁকে ঘিরে থাকা স্বাভাবিক। ছবির প্রযোজক ক্যামেলিয়ার কর্ণধার রূপা দত্তের কথায়, ‘আমাদের ছবিটা অনেকদিন আটকে ছিল। ছবির বাজেট অনুযায়ী ব্যবসা বেশ ভালোই হচ্ছে। মুক্তির দিন থেকে দু’সপ্তাহ গেলে আমরা আশা রাখছি, এই ছবির ব্যবসার পরিমাণ ২৫-৩০ লক্ষতে গিয়ে পৌঁছবে। আমার মতে, করোনার ভীতির জন্য দর্শক এখনও সেভাবে হলমুখী হননি। কিন্তু সব মিলিয়ে ব্যবসা নিয়ে আমরা খুশি।’ এইরকম চিত্র উঠে আসছে হল মালিক শতদীপ সাহার কথায়। তিনি বলছেন, ‘গোলন্দাজ আর বাজি ভালো চলছে। এফআইআর সিনেমাটা ভালো হয়েছে। আশা করি, খানিক সময় পেলে এই ছবিও ভালো ব্যবসা দেবে। বনি খুব খারাপ নয়। আর ষড়রিপু গত বছর পুজোতে যা ব্যবসা এনেছিল, এবার তার থেকে অনেকটাই ভালো। ডাবলের উপরে বলা যায়। দর্শক কিন্তু সিনেমা হলে আসছেন। যে ভয়টা আমরা পেয়েছিলাম, সেটা হয়নি। ভালো সিনেমা হলে যে মানুষ দেখতে আসবেন, এটা প্রমাণিত।’
প্রমাণিত আরও একটা বিষয়, এই ওটিটির রমরমাতেও সিনেমা হলের উপর আস্থা মানুষ এখনও হারাননি। পুজোর প্যান্ডেলে বাঁধনছাড়া ভিড় এড়িয়ে অনেকেই নিয়ম মেনে সিনেমা হলে বাংলা ছবির পাশে দাঁড়াচ্ছেন।