বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রথম শটে দেখা গেল, কয়েকজন ঢাক-ঢোল প্রভৃতি থিয়েটারের সরঞ্জাম নিয়ে একটি ছোট্ট বাসের মাথায় উঠলেন। তারপরেই অভিনেত্রী পিয়া বাজপেয়ি সবুজ সালোয়ার পরে মুখে মাস্ক এঁটে সেটে প্রবেশ করলেন। ছোট্ট একটি শট দিলেন। এরপর ইউনিট ছুটল সাদার্ন এভিনিউয়ের দিকে। সেখানে পিয়ার সঙ্গে দেখা গেল অভিনেতা তুষার পাণ্ডেকে। এরই মাঝখানে পরিচালক বাউন্সার এবং ইউনিটের লোকজন পরিবেষ্টিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি করলেন।
সবই তো হল, কিন্তু ছবির নায়িকা ইয়ামি গৌতমের দেখা নেই! সাদার্ন এভিনিউতে পিয়া ও তুষার হাতে মুড়ির ঠোঙা নিয়ে শট দিলেন। মুক্তাঙ্গনের সামনে সাদাত হাসান মান্টো রচিত ‘খোল দো’র পোস্টার দেখা গেল। ছবিতে যে থিয়েটারের ভূমিকা রয়েছে সেটা আন্দাজ করা খুব কঠিন নয়। সূত্রের খবর, ছবিতে তুষার একজন বামপন্থী থিয়েটার কর্মীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। পিয়া তাঁর প্রেমিকার ভূমিকায় রয়েছেন। আর ছবির মুখ্য অভিনেত্রী ইয়ামি সাংবাদিকের ভূমিকায়। তুষার বা পিয়া, কোনও একজনের অন্তর্ধান হওয়ার নেপথ্য কারণ জানতেই নাকি ইয়ামির কলকাতায় আগমন।
ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ইয়ামি এলেন। তাঁর গাড়ির আগে আবার দু’খানি লম্বা গাড়ি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে সোজা উঠে পড়লেন মেকআপ ভ্যানে। তারপরে দীর্ঘক্ষণের অপেক্ষা। লাঞ্চ ব্রেক হল। মেকআপ ভ্যান থেকে নেমে তিনি চললেন মুক্তাঙ্গনের ভিতরে। উপস্থিত চিত্র সাংবাদিকদের আবদার মিটিয়ে পোজও দিলেন। অনিরুদ্ধ বলছিলেন, ‘করোনা বিধি মেনে শ্যুটিং শুরু করলাম। থ্রিলার ও রহস্য দুইই থাকবে ছবিতে। আপনারা, সাংবাদিকরা এই গল্পের সঙ্গে অনেকটা একাত্ম বোধ করবেন।’ ছবিতে টলিউড থেকেও অনেক অভিনেতা রয়েছেন। অরিন্দম শীল এক পুলিস আধিকারিকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। আগামী ৬ আগস্ট থেকে তিনি শ্যুটিংয়ে যোগ দেবেন। এছাড়াও রয়েছেন কৌশিক সেন, সুমন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। বলিউড থেকে রয়েছেন পঙ্কজ কাপুর, রাহুল খান্না। তাঁরাও আর কিছুদিনের মধ্যেই কলকাতায় শ্যুটিং করতে আসবেন। প্রায় এক মাস শহরের বিভিন্ন প্রান্তে শ্যুটিং চলবে এই ছবির।