অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
এবারের বিধানসভা ভোটের চণ্ডীতলা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী যশকে যখন ফোনে পাওয়া গেল তখন তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে। ঘুরতে নয়, দলীয় প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে। এখনও পর্যন্ত নিজের জন্য আলাদা করে সময় বের করতে পারেননি তিনি। ঈদে তাঁর নতুন ছবি মুক্তি নিয়েও বিস্তর কাজ বাকি। রেজাল্ট কী হতে পারে জানতে চাইলে প্রতিক্রিয়ায় উত্তর এল, ‘পরীক্ষা দেওয়াটা আমার কাজ ছিল। খেটে পরীক্ষা দিয়েছি। মানুষের ভালোবাসায় খুবই পজিটিভ রয়েছি। এবার দেখা যাক কী হয়।’ নুসরত কি ভোটের দিন মেসেজ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন? ‘দরকার হলে তো ও আমাকে ফোন করে নেবে। মেসেজটা একটু ফরমাল হয়ে গেল না?’ চেনা ছকেই পাল্টা প্রশ্ন যশের।
পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর কেন্দ্রের ভোট শেষে কলকাতা ফিরে এসেছেন তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তী। তবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁকে নির্বাচনী প্রচারে যেতে হচ্ছে। একটানা নিজের কেন্দ্রে থাকার জন্য সকাল আর গভীর রাত ছাড়া পরিবারের সঙ্গে কথা বলার বিশেষ একটা সময় পেতেন না। ‘বাড়ির লোকদের মধ্যে একটু সময় কাটাতে পেরে ভালো লাগছে। সত্যি বলছি সুযোগ পেলে রাস্তায় যেতে যেতেই একটু ঘুমিয়ে নিচ্ছি,’ হাসতে হাসতে বলছিলেন সোহম।
সবেমাত্র বেহালায় ভোট শেষ হয়েছে। কিন্তু ভোট শেষ মানেই দায়িত্ব শেষ, এই বক্তব্য মেনে নিতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী তথা নায়িকা পায়েল সরকার। ‘আমি নিয়মিত আমার কেন্দ্রে যাতায়াত করছি। আমার ওখানে এবারে খুব ভালো ভোট হয়েছে। আর এই কৃতিত্ব দলের কর্মীদের।’ নিজের কেন্দ্র বেহালা পূর্ব থেকে ফেরার পথে ফোনে বলছিলেন পায়েল। বেহালার পশ্চিমের প্রার্থী তাঁর দীর্ঘদিনের ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু। সেই শ্রাবন্তীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন তিনি। ভোটের ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী পায়েল। ছবির কাজও নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আটকে রেখেছেন। এর মধ্যে দলকে জেতাতে লাগাতার নির্বাচনী প্রচারেও হাজির হবেন তিনি। পায়েলের কথায়, ‘মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। আমরা প্রচুর পরিশ্রম করেছি। আশা করছি, মানুষ আমাদের পাশে থাকবেন।’
সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী লাভলি মৈত্র তাঁর কেন্দ্রে ভোট শেষে পরিবার, বিশেষ করে মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে খুব খুশি। তবে দলের অন্য প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী সভা করতে হচ্ছে তাঁকে। বলছিলেন, ‘আমার কেরিয়ারে এত সেলফি কোনওদিন তুলিনি! যেভাবে মানুষের সমর্থন পেয়েছি, তাতে মনে হচ্ছে আমরাই জিতব।’ ভোটের জন্য দীর্ঘদিন ধারাবাহিকের শ্যুটিং বন্ধ রেখেছেন লাভলি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্যুটিংয়ে ফেরার ইচ্ছা তাঁর।
এই মুহূর্তে বাঁকুড়া থেকে দূরে থাকলেই সেখানকার মানুষদের জন্য মন কেমন করছে তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনিও দলের হয়ে রোড শো ও সভা করছেন। বাঁকুড়ায় প্রতিবাদ মিছিল সেরে ফেরার পর বলছিলেন, ‘মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আমি যতটা কনফিডেন্ট ঠিক ততটাই খুশি। সেদিনও বাঁকুড়া শহরে ঢোকার সময় মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছিল।’ মন ভালো রাখতে সায়ন্তিকার দাওয়াই শরীরচর্চা। ‘বাঁকুড়াতে থাকার সময়েও সকালে সময় পেলেই যোগা ও প্রাণায়ম করতাম। কারণ জানি শরীরের খেয়াল রাখলে তাহলেই মানুষের হয়ে লড়াই করতে পারব।’ ভোটই এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হওয়ায় নতুন ছবির কাজে এখনই মন দিতে চাইছেন না এই অভিনেত্রী।
কয়েকদিনের জন্য ছুটি নিয়ে কলতাকায় ফিরে আপাতত পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাতে চাইছেন উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক। বলছিলেন, ‘টানা এক মাস দশদিন আমার কেন্দ্রে ছিলাম। আমার কেন্দ্রে খুব শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। কিন্তু আমার চাপ কমলেও এখনও চার দফা ভোট বাকি। তাই খুব চাপ কমে গিয়েছে বলতে পারছি না।’ অন্য কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারের পাশাপাশি উত্তরপাড়ায় তিনি আবার ফিরে যাবেন। এই ব্যস্ততার মধ্যে মন ভালো রাখতে কী করছেন তিনি? ‘ফোন আর ভালো লাগছে না। মাঝেমধ্যে গান শুনছি,’ উত্তর কাঞ্চনের। টালিগঞ্জের এবারের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী দেবদূত ঘোষ বরাবর প্রচারের আলোর বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন। দলের মিছিলে যোগ দিতে যাওয়ার আগে বলছিলেন, ‘আমি তো তারকা নই, একজন অভিনেতা। বিভিন্ন গণ আন্দোলনে থেকেছি। কামদুনিতেও গিয়েছি। পার্টির কর্মসূচি নিয়েই তো রয়েছি। দলের ইচ্ছাতেই একজন সৈনিক হিসেবে লড়াই করেছি। তাই আলাদা করে কোনও চাপ অনুভব করছি না।’ অন্যদিকে, মঙ্গলবার থেকে ‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকের শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরেছেন মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জুন মালিয়া।