টলিপাড়ার সংগঠন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশনের ভাইস চেয়ারপার্সন সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরীর নেতৃত্বে ৮ জনের প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, শ্রমকল্যাণ মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়ার এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবধর্নের সঙ্গে দেখা করতে।
সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন অরিন্দম হালদার। বাংলার বিনোদন জগতের পরিচিত মুখ লামা। বিজেপিতে যোগদান করার পরেই তাঁকে নিন্দুকরা ‘ধান্দাবাজ’ বলে আক্রমণ করছেন, এমনটাই অভিযোগ।
প্রিয় নায়কের জন্মদিন উপলক্ষে অভিনব উদ্যোগ নিল রণবীর সিং ফ্যান ক্লাব। অন্ধকার গ্রাম আলোকিত করলেন সিম্বার ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা। বলিউড হার্টথ্রব রণবীর এমনিতেই ‘পিপলস সুপারস্টার’ হিসাবে পরিচিত।
নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘গোত্র’ আর কয়েকদিনের মধ্যেই সিনেমাহলে আসছে। ‘গোত্র’র হাত ধরে আর যাঁরা আসছেন তাঁদের সঙ্গে কম বেশি আলাপ হলেও একজনের সঙ্গে এখনও আলাপ হওয়া বাকি।
নানা কারণে ‘হাউজফুল ৪’ ছবিটি এখন খবরের শিরোনামে। প্রথমে তো #মিটু-এর জন্য নাম জড়াল পরিচালক সাজিদ খানের। এরপরেই পরিচালক পরিবর্তন হয়। সাজিদের জায়গায় চলে আসে ফারহাদ শামজি। যদিও এর জন্য ছবির শ্যুটিংয়ে খুব একটা ব্যাঘাত ঘটেনি।
আগামী বছর এপ্রিলেই বিয়ে করতে চলেছেন আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুর। বলিউড এবং নেটদুনিয়া অন্তত তেমনটাই বলছে। মুম্বইয়ের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ইতিমধ্যেই বিয়ের লেহেঙ্গা তৈরির অর্ডার ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে দিয়েছেন আলিয়া ভাট।
আরও একটি সিঙ্গল নিয়ে আসছেন সোমলতা আচার্য চৌধুরী। শুক্রবার তাঁর ব্যান্ডের ইউটিউব চ্যানেল ‘সোমলতা অ্যান্ড দ্য এসেস’-এ মুক্তি পাবে ‘প্রতিশ্রুতি’ নামক গানটি। এছাড়া একাধিক ডিজিটাল স্টোরেও থাকবে।
এই মুহূর্তে বিদ্যা বালন তাঁর নতুন ছবি ‘মিশন মঙ্গল’-এর প্রচারে ব্যস্ত। তার মধ্যেই তিনি তাঁর মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করলেন। রনি স্ত্রুওয়ালার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এবার প্রযোজকের ভূমিকায় আসতে চলেছেন তিনি।
বিদ্যায় অস্থির মানসিকতা থাকবে। কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। রাগ বা জেদের বশে কারও ... বিশদ
এটা তো আপনার দ্বিতীয় বাংলা ছবি।
হ্যাঁ। পাভেলের ছবি ‘চেগু’তে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু ‘মিতিন মাসি’ মুক্তি পেলে এটাই আমার প্রথম বাংলা ছবি হতে চলেছে। অনেকদিন আগে হিন্দি ছবি ‘ভায়া দার্জিলিং’-এ অভিনয় করেছিলাম। পরিচালক ছিলেন বাঙালি।
ছবিটা দুর্গা পুজোয় মুক্তি পাওয়ার কথা। তার মানে তো প্রিমিয়ারে এলে পুজোও দেখবেন?
ইচ্ছে তো রয়েইছে। দেখা যাক কীরকম কাজের চাপ থাকে।
অরিন্দম শীলের সঙ্গে আপনার পরিচয় এবং ছবিতে রাজি হওয়ার কারণটা একটু জানতে চাই।
আসলে ‘ভায়া দার্জিলিং’-এর সময়েই অরিন্দমের সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ। বন্ধুত্ব তৈরি হয়। অনেকদিন ধরেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাইছিলাম। তারপর কয়েক মাস আগে আমাদের দেখা হয়। তখনই অরিন্দম এই ছবিটার অফার দিল। বাংলা ছবি বলে শুরুতে আমি একটু দ্বিধায় ছিলাম। কিন্তু পরে পার্সি চরিত্র শুনে রাজি হয়ে গেলাম।
রুস্তমজি চরিত্রটার জন্য কোনও প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল কি?
কলকাতায় পার্সিদের ইতিহাস নিয়ে ইন্টারনেট ঘেঁটেছি। প্রচুর ইন্টারেস্টিং তথ্য পেয়েছি। সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে চরিত্রটাকে নিজের মতো তৈরি করে নিয়েছি।
ছবিতে কি আপনার মুখে দর্শক বাংলা সংলাপ শুনবেন?
অবশ্যই। কিছু বাংলা সংলাপ তো রয়েইছে। দেখুন আমার মাতৃভাষা বাংলা নয়। কিন্তু বুঝতে পারি। তাই রোমান হরফে বাংলায় চিত্রনাট্য পড়ছি। অভ্যাস করছি। আশা করি স্থানীয় অভিনেতাদের মতোই সাবলীল বাংলা সংলাপ দর্শকদের উপহার দিতে পারব।
কোয়েল মল্লিক বাংলার প্রথম সারির অভিনেত্রীদের একজন। ওঁকে কেমন লাগল?
অসাধারণ মানুষ। ফ্লোরে শটের ফাঁকে আমরা আড্ডা দিচ্ছি। ওর সঙ্গে আমার খুব বেশি সিন নেই। কিন্তু যেটুকু রয়েছে সেটা নিয়ে ওর সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।
আপনাকে জানাই, টলিউডে পুরুষ গোয়েন্দার প্রাধান্য বেশি। সেখানে মিতিনের মতো মহিলা গোয়েন্দা কি কোনও নতুন বার্তা দেবে বলে মনে হয়?
সেই জন্যই তো ছবিটা আরও ইন্টারেস্টিং। আর বাংলা সংস্কৃতিতে মহিলাদের সব সময় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেওয়া হয়েছে। তাই এরকম এক্সপেরিমেন্ট বাংলা থেকে শুরু হচ্ছে ভেবে আরও ভালো লাগছে।
কলকাতার সঙ্গে তো আপনার পুরনো সম্পর্ক।
সেই আশির দশক থেকে কাজের সূত্রে কলকাতায় আসা যাওয়া লেগেই রয়েছে। আমার ছেলেবেলা কেটেছে ধানবাদে। সেই সূত্রে আসানসোল ও দুর্গাপুরে অনেকবার গিয়েছি। অল্প বয়েসেই বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে। এই প্রসঙ্গে আরও একটা তথ্য জানাই।
অবশ্যই।
আমি কিন্তু নিরামিশাষি। সেটা শুনে অনেকেই আবার অবাক হন। আর কলকাতার নিরামিষ খাবারের রকমারি পদ আমার অত্যন্ত প্রিয়। বাঙালি মিষ্টির ভক্ত।
আপনার প্রিয় এই সময়ের বাঙালি পরিচালক?
অপর্ণা সেন ও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। সুযোগ হলে এঁদের ছবিতে অভিনয় করতে চাই।
সম্প্রতি ‘মেড ইন হেভেন’ ওয়েব সিরিজে আপনার চরিত্রটা প্রশংসিত হয়েছে।
(হাসতে হাসতে) আশা করি ইতিবাচক দিক থেকে। অনেকেই বলছেন।
সিনেমার পাশাপাশি বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতাদের এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও দেখা যাচ্ছে। আপনি কী বলবেন?
এটা তো ভালো ব্যাপার। নতুন ধরনের গল্প, নতুন নতুন পরিচালকরা উঠে আসছেন। সেন্সরশিপ কোনও বাধা নয়। আর স্বাধীনতা থাকায় বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে ছবি তৈরি করা যায়। এই নতুন আন্দোলনকে স্বাগত। তবে দেশের জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে বলছি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম এরপর কোনদিকে বাঁক নেবে সেটাও আমাদের দেখতে হবে।
তার মানে আপনি বলতে চাইছেন যে সেন্সরশিপ থাকলে এই ওয়েব সিরিজে আপনার চরিত্রটা নিয়ে আপত্তি উঠতে পারত?
সেটা তর্কসাপেক্ষ। দেখুন কী হতে পারত সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। তার থেকে যেটা হয়েছে সেটা নিয়েই খুশি থাকাটা বেশি ভালো।
দর্শক তো আপনার কমেডির ভক্ত। ‘ভেজা ফ্রাই’ এর মতো ছবি আর করবেন না?
(হেসে) আমি তো সবসময়েই রাজি। বাকিটা তো প্রযোজক বা পরিচালকরা বলবেন।
আপনার পরের ছবি?
হয়তো বছরের শেষে মুক্তি পাবে ‘ছপ্পড় ফাঁড়কে’। রাইমার (সেন) সঙ্গে শেষ করলাম ‘আলিয়া বসু গায়ব হ্যায়’। সীমা পাওয়ার ‘পিণ্ডদান’ ছবিতে আমার সঙ্গে রয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কঙ্কনা সেনশর্মা। অন্যদিকে ‘চিন্টু কা বার্থডে’ আপাতত বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হচ্ছে।
অভিনন্দন দত্ত
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়
