কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
কাবুলিওয়ালা ভেবেছিলাম অন্তত পাঁচ বছর আগে। তখন থেকেই ভেবেছিলাম করলে মিঠুনদাকে নিয়েই করব। নাহলে করব না। তখন মিঠুনদার শরীরটা একটু খারাপ হয়েছিল। বাংলার সঙ্গেও অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। আমি তখন অন্যান্য ছবি করছিলাম। আজ থেকে দু’বছর আগে মুম্বইতে একটা অন্য কাজের জন্য ওঁর সঙ্গে দেখা করি। তখন বলেছিলাম, তুমি বাংলা ছবি করবে? তখনও কিন্তু ‘প্রজাপতি’ করেননি উনি। বলেছিলাম, কাবুলিওয়ালা ভেবেছি। করবে? বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম, আগ্রহ রয়েছে ওঁর।
বড় মাপের শ্যুটিং হয়েছে তো?
হ্যাঁ। ছবিটাই অনেক বড় মাপের। কার্গিলে গিয়ে শ্যুটিং করেছি আমরা। এজন্য প্রযোজনা সংস্থার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমাদের আর্ট ডিরেক্টর তন্ময় চক্রবর্তী একটা পাড়া তৈরি করে ফেলেছিলেন। বাংলা ছবিতে আজকাল আর বাজেটের জন্য কিন্তু সেট তৈরি হয় না। তন্ময়ের সঙ্গে আমার ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি শুভঙ্কর ভড়ের যুগলবন্দি অসাধারণ। অন্য একটা মাত্রা দেবে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর মিউজিক। আমি যেটা করতে চেয়েছিলাম, সেটা করতে পেরেছি। এবার দর্শকদের হাতে।
এই ছবির দায়িত্ব তো অনেক বেশি?
অবশ্যই। বড় দায়িত্ব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গল্পটা বোধহয় বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটা নিয়ে তপন সিনহার মতো পরিচালক ছবি তৈরি করেছিলেন। ছবি বিশ্বাসের মতো অভিনেতা অভিনয় করেছিলেন। ফলে সব সময় মনে রাখতে হয়েছে, আমি যেন এমন কিছু না করি যা আমাদের ঐতিহ্যের বিপরীত।
তপন সিনহার সঙ্গে তুলনা হবে বলে মনে হয়?
তুলনা হলে সেটা হাস্যকর। আমি আমার মতো করে সৎ ভাবে ছবিটা তৈরি করার চেষ্টা করেছি।
গল্প, মেকিং, পরিচালক— সব কিছুর উপর কি মিঠুন ওভারপাওয়ার করে গিয়েছেন?
এটুকু বলতে পারি, ছবিতে মিঠুনদা আর নেই, কাবুলিওয়ালাকেই স্ক্রিনে দেখবেন দর্শক। কিন্তু সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী, ওঁর বক্স অফিস চাহিদা— এগুলো তো অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। যদিও মিঠুনদা সবসময় বলেছেন, ছবিটা সবথেকে বড়। নিজের দৃশ্য ফেলে দিয়েছেন এমনও হয়েছে। ছবির উপরে কখনও নিজেকে নিয়ে যাননি।
ইদানীং বাংলা ছবির ব্যবসার প্রেক্ষাপটে কাবুলিওয়ালার রেজাল্ট কেমন হবে বলে মনে করেন?
ইদানীং ব্যবসার প্রেক্ষাপটে যখন ‘প্রজাপতি’র মতো ছবি ব্লকব্লাস্টার হয়, তখন আশা জাগে। তবে এখন একটু দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে হয়, দেব বা মিঠুনদা ছাড়া সত্যি বলতে খানিকটা হয়তো আবীর (চট্টোপাধ্যায়), আর মহিলাদের মধ্যে সত্যি বলতে বোধহয় ব্যাঙ্কেবেল সুপারস্টার ইন্ডাস্ট্রিতে আর কেউ নেই। মিঠুনদা আমাদের ছবিতে রয়েছেন। ফলে অনেক লোকে দেখবে। বক্স অফিসে ভালো রেজাল্ট হবে।
ছবির মিনিকে (অনুমেঘা কাহালি) আপনার মা খুঁজে বের করেন?
অনুমেঘা একটা ধারাবাহিকে অভিনয় করত। সেখানে দেখে মা ওর কথা প্রথম বলে। আমি তারপর ধারাবাহিকে ওকে দেখলাম। মিঠুনদা তো বলেছেন, এ তো আমার থেকে বেটার অভিনেতা!
পরের ছবির কাজ শুরু হল?
‘পুরাতন’ নামের একটা ছবি করছি। শর্মিলা ঠাকুর, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আর ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত রয়েছেন। ওটার শ্যুটিং ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু।
আর সাহিত্য নির্ভর কাজ?
সাহিত্য নিয়ে আর একটা কাজের কথা এসভিএফের সঙ্গেই হচ্ছে। কিন্তু এখনই বলতে পারব না (হাসি)।