সম্পর্কের সড়ক। সেখানে বিঘ্ন ঘটলে বাধ্য হয়ে তখন বেছে নিতে হয় বিকল্প পথ। যেমন নীরাকে বেছে নিতে হল। অমিতের সঙ্গে এক দীর্ঘ দাম্পত্যের সরণী অতিক্রম করার কথা ছিল ওর। কিন্তু ছ’বছরের মিষ্টি সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের মাথায় এসেই আচমকা দু’ভাগ হয়ে গেল। অথচ এদিকে ওদের আংটি বদল হয়ে গিয়েছে। আর ক’দিন বাদেই বসবে বিয়ের বাসর। একই অফিসের সহকর্মী নীরা-অমিত শুরু করবে এক নতুন জীবন। সেই স্বপ্নটা সত্যি হল না স্রেফ অমিতের অধিকারবোধ, অবিশ্বাস ও অবজ্ঞার জন্য। অনিচ্ছা সত্ত্বেও জীবনের ‘বাইলেন’ বেছে নিতে বাধ্য হল নীরা। দুর্গাপুরবাসী দীপান্বিতা সেনগুপ্ত পরিচালিত শর্টফিল্ম ‘বাইলেন’ বুঝিয়ে দিল সম্পর্ককে সম্মান করাটা কতটা জরুরি। দীপান্বিতার ভাষায়, ‘প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি আমরা একটু ধৈর্য ধরি, আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসা রাখি, তাহলে সেই সম্পর্কের বুনিয়াদটা আরও দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। তা সে বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী সবার ক্ষেত্রেই।’ সম্প্রতি ছবিটির প্রিমিয়ার হয়ে গেল মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে। দীপান্বিতাকে উৎসাহ দিতে সেদিন হাজির ছিলেন প্রবীণ অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়। তাঁকে সংবর্ধনা জানান পরিচালক। এছাড়াও ছিলেন মল্লার ঘোষ, পিলু ভট্টাচার্য, ইন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায়, কবি তন্ময় চক্রবর্তী প্রমুখ। মাধবী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সব কাজই যে সাফল্যমণ্ডিত হবে এমন আশা করা ঠিক নয়, ব্যর্থতা আসবেই। তাই বলে থেমে গেলে চলবে না। ভালো হোক, মন্দ হোক কাজটা করে যেতে হবে।’
‘বাইলেন’-এর গল্প ও চিত্রনাট্য পরিচালকের। নীরার চরিত্রে সাবলীল অভিনয় করা ছড়াও ছবিতে গানও গেয়েছেন (রবীন্দ্রসঙ্গীত) দীপান্বিতা। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজদীপ সরকার, কাজি নিজামুদ্দিন, কাঞ্চন দাস, বিপ্রতীপ ঘোষ, পৌলমী দত্ত ও ময়ূখ সাহা। ক্যামেরায় সৌমেন্দ্র-সুজিত। শর্টফিল্মটি দেখা যাচ্ছে ইউটিউবে।
প্রিয়ব্রত দত্ত ছবি: ভাস্কর মুখোপাধ্যায়