বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
লক্ষ্মণগড়ের এক দলিত পরিবার থেকে বলরামের যাত্রা শুরু হয়। ধানবাদে জমিদারের (মহেশ মঞ্জরেকর) বাড়িতে সে ড্রাইভারের কাজ নেয়। জমিদারের আমেরিকা ফেরত ছোট ছেলে অশোক (রাজকুমার রাও) ও তাঁর স্ত্রী পিঙ্কির (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া) গাড়ি চালানোর দায়িত্ব বলরামের। ধীরে ধীরে মনিব-ভৃত্য সম্পর্ক বদলাতে থাকে। গ্রাম থেকে শহর— বলরাম পেরতে থাকে একের পর এক বেড়া। কোথায় শেষ হবে সেই দৌড়। উচ্চাকাঙ্খা কখনও কখনও ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যের পাঁচিলটা ভেঙে দেয়। সেই পথেই এগতে থাকে বলরাম। কে ঠিক কে ভুল— উত্তরটা দর্শকদের জন্যই তোলা থাক।
রাজকুমার রাও ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো অভিনেতা রয়েছেন। তবু বলতেই হয় এই ছবির তুরুপের তাস বলরামের চরিত্রে আদর্শ গৌরব। চলনে বলনে তিনি চরিত্রটিকে পর্দায় বাস্তবসম্মত করে তুলেছেন। শুধু চাহনির মাধ্যমে চরিত্রটার মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ, দুঃখ বা প্রতিশোধস্পৃহাকে অদ্ভুত দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন আদর্শ। রাজকুমারও প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। তবে তাঁর মুখে আমেরিকান অ্যাকসেন্ট চাপিয়ে দেওয়া বলে মনে হয়। হতাশ করলেন প্রিয়াঙ্কা। ছবি জুড়ে ছকে বাঁধা অভিনয় করে গেলেন। মহেশ মঞ্জরেকর, বিজয় মৌর্য ছবিকে যোগ্য সঙ্গত করেছেন। পাওলো কারনেরার সিনেমাটোগ্রাফি মন্দ নয়। মূল বইয়ের গল্পের চলনকে অনুসরণ করলেও পর্দায় গল্পের গতি আর একটু বাড়াতেই পারতেন পরিচালক। আসলে বিদেশি পরিচালকরা অনেক সময়েই ভারতীয় সমাজকে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখান। বাহরানি সেই পথে হাঁটেননি। চেয়েছেন ‘নতুন’ ভারতের উত্থানের মধ্যেই পুরনোকে অনুসন্ধান করতে। অন্দরমহলের একজন সদস্য হিসেবেই সমাজের দুই শ্রেণীকে তুলে ধরেছেন। তাই এই ছবি শেষপর্যন্ত গতিপথ বিচ্যুত হয় না।