কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
মৃত্যু থেকে ফেরা: মারা গিয়েছেন রোগী। ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। পরিজনদের মধ্যে কান্নার রোল। হঠাৎই জীবিত হয়ে উঠলেন ‘মৃত’। এইভাবে মৃত ঘোষণা হওয়ার পরও আবার বেঁচে ওঠার কাহিনি কিন্তু আমরা প্রায়ই খবরে দেখি। তবে সেসব ক্ষেত্রে ‘মৃত্যু’ ৫-১০ মিনিটের বেশি দীর্ঘ হয় না। তবে ফ্লোরিডাবাসী রুবি গ্রাউপেরা ক্যাসিমিরোর ক্ষেত্রে সেটি আরও দীর্ঘ ছিল। সন্তান প্রসবের সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পালস। ডাক্তাররাও হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মৃত ঘোষণা করার প্রায় ৪৫ মিনিট পর বেঁচে উঠেছিলেন রুবি!
ক্যান্সার জয়: কিছু ক্যান্সার শেষ পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীর বাঁচার আশা কম থাকে। কিন্তু ক্যান্সার যদি নিজে থেকেই সেরে যায়? ভাবছেন, সে আবার হয় নাকি! বিশ্বাস না হলেও এমন উদাহরণ সংখ্যায় কম হলেও রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ডাবলিনের এক বৃদ্ধার কথা বলা যাক। ডান পায়ে লাল লাল র্যাশ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে এসেছিলেন তিনি। প্রথমে সাধারণ চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু র্যাশ কমার লক্ষণ নেই। বরং তা আরও বেড়েই চলেছে। সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। পরীক্ষা করতে জানা যায় ৭৪ বছরের ওই বৃদ্ধা স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা পড়েন ধন্দে। ক্যান্সার যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল তাতে রেডিওথেরাপি বা অপারেশন করে কোনও ফল পাওয়া সম্ভব না। বৃদ্ধাকে বাঁচাতে পা বাদ দেওয়ার কথাও মাথায় এসেছিল কারও কারও। কিন্তু বয়সের কথা ভেবে সে ঝুঁকিও নিতে চাননি ডাক্তাররা। একপ্রকার অদৃষ্টের হাতেই সব ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সকলকে অবাক করে কিছু সময় পর ধীরে ধীরে ওই বৃদ্ধার পায়ের র্যাশ কমতে থাকে। প্রায় ২০ সপ্তাহ পর দেখা যায় বৃদ্ধা সম্পূর্ণ ক্যান্সারমুক্ত! তাও যথাযথ কোনও চিকিৎসা ছাড়াই। বৃদ্ধা ও তাঁর পরিবার স্বাভাবিকভাবেই এতে অলৌকিক কিছু দেখছিলেন। তবে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, বৃদ্ধার ইমিউন সিস্টেমই নিজে থেকে সারিয়ে তুলেছিল তাঁকে। খুব বিরল হলেও ওই বৃদ্ধার ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়েছিল।
ফিনিয়াস গেজ: আমেরিকান রেলওয়েতে কাজ করতেন ফিনিয়াস। রেলের ট্র্যাক বসানোর কাজ ছিল তাঁর। একদিন কাজ করতে করতেই ঘটে ভয়ানক দুর্ঘটনা। একটি মোটা লোহার রড তাঁর মাথা ফুঁড়ে ঢুকে যায়। রডটি প্রবেশ করেছিল একবারে মাথার মাঝামাঝি, বেরিয়ে এসেছিল বা চোখের নীচ দিয়ে। সাধারণত এই ধরনের আঘাত প্রাণঘাতী। বিশেষত ১৯ শতকে তো এত উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাই ছিল না। তবু বেঁচে ছিলেন ফিনিয়াস। অপারেশন করে তাঁর মাথা থেকে সেই লোহার রড বের করতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। যা এককথায় মিরাকেলের থেকে কম কিছু ছিল না। কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠলেও বদলে যান ফিনিয়াস। মিতভাষী, কর্মঠ ফিনিয়াস হয়ে যান বদমেজাজি, মারকুটে। তাঁর এই মানসিক পরিবর্তন সবাইকে চমকে দেয়। আসলে ওই দুর্ঘটনায় ফিনিয়াসের মস্তিস্কের ফ্রন্টাল লোব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সে কারণেই তাঁর এই ব্যবহারিক পরিবর্তন। সম্ভবত এটাই প্রথম কেস, যেখানে চিকিৎসকরা বুঝেছিলেন, মানুষের চরিত্র গঠনে মস্তিষ্কের ভূমিকা কতটা।