কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
২) শরীরে খনিজের জোগান: মানবদেহের প্রয়োজন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস। সবকটি উপাদান আছে ভাতের মাড়ে, তা ছাড়া ভাতের মাড়ে ফেরুলিক অ্যাসিড ও অ্যালানটোইনের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে, যা কোষকে ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ থেকে রক্ষা করে। ত্বকও ভালো রাখে।
৩) ওজন কমাতে: ভাতের মাড়ে ক্যালোরি তুলনামূলক কম থাকে। অথচ পুষ্টিগুণও বেশি। তাই মাড় খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ না হলেও প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের অভাব দূর হয়।
৪) হজমের সমস্যা দূর করে: ভাতের মাড়ে থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ ও অলিগোস্যাকারাইড নামের দু’টি দ্রবীভূত ফাইবার হজমে সহায়তা করে। এই ফাইবারগুলো অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অন্ত্রকে ভালো রাখে। এ ছাড়া হজমে সহায়তা করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫) জলশূন্যতা দূর করে: ওজন কমানোর জন্য এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরে তরলের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। না হলে ডায়ারিয়া এবং শরীরের খনিজের ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ভাতের ফ্যান এই সমস্যা দূর করে। কিছু ক্ষেত্রে ডায়ারিয়া রোগীকেও ভাতের ফ্যান দেওয়া হয়।
৬) বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভাতের ফ্যানে থাকা ইনোসিটল মানবদেহের বিপাক ক্রিয়া বা মেটাবলিজম উন্নত করতে সাহায্য করে। বাড়ায় ইনসুলিন সংবেদনশীলতা। এর ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। কমে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি। এছাড়া নানা ভাবে ভাতের ফ্যান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উপকারে আসতে পারে।
৭) খাদ্য যখন ভাতের মাড়: ভাত রান্নার পর ফ্যান ঝরিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। ফ্যান ঠান্ডা হলে লেবু বা দারচিনির টুকরো দিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া লাঞ্চ বা ডিনারের আধঘণ্টা আগে এক গ্লাস ভাতের ফ্যান খেলে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। ফলে শরীরে বেশি মাত্রায় খাদ্যের মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঢোকে না। ওজন বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রিত হয়।
৮) কোমল পানীয়ের বিকল্প: আমরা অনেক সময় সফট ড্রিংকস খাই। এই ধরনের পানীয়ে প্রচুর চিনি থাকে। তাছাড়া ক্যালোরিও থাকে প্রচুর। সফট ড্রিংকস স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এই ধরনের পানীয় বর্জন করা দরকার। বরং তার বদলে ভাতের মাড় খেতে পারেন।
৯) খেতে পারেন স্টক হিসেবে: স্যুপ, স্ট্যু বা পোরিজ রান্নার সময় তরল হিসেবে ভাতের মাড় ব্যবহার করা যায় নিশ্চিন্তে। খাদ্যে যোগ হয় পুষ্টি।
১০) রাইস স্যুপ: ভাতের মাড় স্যুপ হিসেবেও খেতে পারেন। পুষ্টির ঘাটতি আছে এমন শিশুকে ভাতের মাড় খাওয়ানো যায়।