Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

 গোষ্ঠী সংক্রমণ
কীভাবে সামলানো সম্ভব?

করোনা শুরুর পর মাঝেমধ্যেই ভেসে উঠছিল দুটি শব্দ—‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ বা ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’। ফের চাপা পড়ে যাচ্ছিল শব্দের ভিড়ে। বর্তমানে এই শব্দযুগল নিয়েই তোলপাড় চলছে বিদেশে-দেশে, রাজ্যে-রাজ্যে। এর অর্থ কী, কতটা চিন্তার, কীভাবে সামলানো সম্ভব, চিকিৎসা ইত্যাদি বহু বিষয়ে আলোচনা করলেন  অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেল্থ-এর অধ্যাপিকা ডাঃ মধুমিতা দুবে এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ সুগত দাশগুপ্ত।

 কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কী?
  অতিমারী নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই ছড়িয়ে পড়ে। করোনা সংক্রমণও একই পদ্ধতিতেই ছড়িয়েছে। প্রথম অবস্থায় বিদেশ থেকে সংক্রামিত কিছু মানুষ দেশে এসেছিলেন। তারপর তাঁদের সংস্পর্শে আসা মানুষজনের (প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কনট্যাক্টস) মধ্যে সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা আবার অন্যদের সংক্রামিত করতে থাকেন। এইভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শৃঙ্খল তৈরি হয়। অতিমারীর শুরুর দিকে, চিকিৎসকরা রোগীকে প্রশ্ন করে বুঝতে পারেন, কীভাবে রোগী সংক্রামিত হয়েছেন। অর্থাৎ নতুন করে অসুস্থ হওয়া ব্যক্তি অন্য কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না জানা যায়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি স্থির করা ও চিকিৎসা পরিষেবার কাঠামো প্রস্তুত করতে সুবিধা হয়।

 অতিমারী তৈরি করতে পারে এমন মানুষগুলিকে খুঁজে বের করতে পারার (কনট্যাক্ট ট্রেসিং) বহু সুফল রয়েছে। প্রথমত, সংক্রমণের শৃঙ্খল দ্রুত ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়। দ্বিতীয়ত, অসুস্থতা ও প্রাণহানি রোধ করা যায়। মুশকিল হল, যখন রোগীরা কীভাবে সংক্রামিত হলেন, তাই  বুঝে ওঠা যায় না অর্থাৎ ‘ট্রেস’ করা যায় না, বুঝতে হয় সম্ভবত গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে।
 এবার দেশের পরিস্থিতির দিকে তাকানো যাক। প্রশ্ন হল, এদেশে যদি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়, সেক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন করা দরকার। প্রথমদিকে যখন কোনও এলাকায় বেশ কিছু সংক্রমণ ধরা পড়ছিল, এলাকাটিকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল। একটি ক্ষেত্র ধরে ধরে ‘রেড জোন’, ‘অরেঞ্জ জোন’, ‘গ্রিন জোন’ এইভাবে ঘোষণা করা হচ্ছিল। সেইসব এলাকায় মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হল। রেড জোনে পরীক্ষা বেশি হল। বাড়ি বাড়ি অসুস্থ রোগীর  খোঁজ নেওয়া হল। সংক্রামিতদের যথাসম্ভব বাকিদের থেকে আলাদা করে চিকিৎসাও দেওয়া হল। এখন এদেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হলে, এই ব্যবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হবে।
 আপাতত দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু জায়গাতে বেশি বেশি সংক্রমণের খবর আসছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে নির্দিষ্ট পাড়া বা আবাসনে এমন হলে ওই পাড়া বা আবাসনকে ‘ক্লাস্টার’ হিসেবে ধরতে হবে। বুঝতে হবে সেখানে ক্লাস্টার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই আবাসনে বা পাড়ায় বাইরের কোনও লোক আর ঢুকতে পারবেন না এবং আবাসিকরাও এলাকার বাইরে বেরতে পারবেন না! আবাসনের বাকি বাসিন্দাদের যথাসম্ভব করোনা পরীক্ষা করা হবে ও দরকারমতো কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই হিসেবে কোন কোন এলাকায় বেশি বেশি সংক্রমণ হওয়ার খবর আসছে, তা জেনে সেই এলাকাগুলিকে ‘হটস্পট’ হিসেবে ধরে নিয়ে সেখানে অবাধ চলাফেরায় রাশ টানতে হবে।
 তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের নিয়ম লাগু করার পরেও নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে সচেতন হওয়ার। নোভেল করোনা ধনী, দরিদ্র, ধর্ম, লিঙ্গ, শিক্ষিত, অশিক্ষিত ভেদ করছে না। এখনও না বুঝলে গোষ্ঠী সংক্রমণ সমস্ত জায়গায় হতে শুরু করবে এবং ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

 সংক্রমণ আটকাতে কী কী নিয়ম?
  এপ্রিলেই কি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু?
এপ্রিল মাসে ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এ আইসিএমআর একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে। দেশের ২০টি জেলা ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে করা ওই সমীক্ষায় ৪০ শতাংশ রোগীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি! উঠেছিল প্রশ্ন, তাহলে কি দেশে তখনই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছিল? চিত্র যাই হোক না কেন, কেন্দ্রীয় সরকার বা আইসিএমআর দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে এখনও সরকারি ঘোষণা করেনি। তবে সম্প্রতি কেরালার পর এ রাজ্যেও সরকারিভাবে ঘোষণা হচ্ছে, কিছু কিছু এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে, ১৮ জুলাই আইএমএ’র হসপিটাল বোর্ড চেয়ারম্যান ডাঃ ভি কে মোঙ্গা জানান, দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। যদিও একদিনের মধ্যেই ভোল পাল্টে আইএমএ সেই খবর অস্বীকার করে। তবে এখন যা পরিস্থিতি, সরকারিভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘোষিত হোক বা না হোক, সংক্রমণ রুখতে নিয়ম কানুন মানতে হবে অক্ষরে অক্ষরে। 
  সাধারণ নিয়ম
১. বাইরে বেরলে অন্য ব্যক্তির সঙ্গে ৬ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। অচেনা ব্যক্তি বাড়িতে এলে বা বাড়িতে অসুস্থ ব্যক্তি থাকলে দূরত্ব বজায় রাখুন। তাঁর সামনে মাস্ক পরে থাকুন। তাঁরও মাস্ক পরেই অন্যের ঘরে ঢোকা উচিত। হাতে স্যানিটাইজার নিন বারবার। ২. বাইরে বেরলেই আগে নাক ও মুখ ঢেকে মাস্ক পরুন। সাধারণ মাস্কেই কাজ হবে। মাস্ক না থাকলে কোনও কাপড় অথবা রুমাল দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে রাখুন। ৩. বারবার সাবান জল দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া অভ্যেস করুন। হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি শিখে নিন। বাইরে থেকে ফিরে, মুখের মাস্কে হাত দেওয়ার পর, হাঁচি বা কাশির পর, প্রত্যেকবার রান্নার আগে ও খাওয়ার আগে, প্রতিবার নাকে-মুখে-চোখে হাত দেওয়ার আগে, শৌচাগার ব্যবহারের পরে সঠিকভাবে হাত ধুয়ে নিন। সঙ্গে সর্বক্ষণ অন্তত ৭০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার রাখুন। সাবান জল না পেলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। ৪. হাঁচি বা কাশির সময় রুমাল বা কোনও কাপড় বা ভাঁজ করা কনুই দিয়ে মুখ ঢাকতেই হবে। ৫. বাড়ি বা কর্মস্থলে টেবিল, দরজার হাতল, সুইচ ইত্যাদি জায়গায় আমরা বারবার হাত রাখি। এই জায়গাগুলি মাঝেমধ্যেই সাধারণ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দিয়ে মুছে নিন। শৌচাগার, বেসিন, সিঙ্ক নিয়মিত পরিষ্কার করুন। নোংরা জায়গা আগে সাবানজল দিয়ে ধুয়ে তারপর জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন। ৬. বড় জমায়েত কখনই করা চলবে না। বাজারে শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করার চেষ্টা করুন। সবসময় নাকমুখ ঢাকা মাস্ক ব্যবহার করুন। কেউ না পরে থাকলে তাঁকেও পরে থাকতে বলুন। ৭. নিজের, পরিবারের এবং প্রতিবেশীদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট জাতীয় বা অন্য কোনও নতুন উপসর্গ আবির্ভাবের দিকে নজর রাখুন। তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ৮. বয়স্ক ও বিভিন্ন কো-মর্বিডিটি থাকা মানুষের ওপর নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ তাঁদের সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি এবং সংক্রামিত হলে গুরুতর রোগে পড়ার আশঙ্কাও বেশি। তাই তাঁদের যতটা সম্ভব পৃথকভাবে রাখতে হবে। এই ধরনের ব্যক্তির কাছে যেতে হলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। হাত ধুয়ে নিন নয়তো স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। ৯. বয়স্ক মানুষদের মানসিকভাবে পাশে থাকুন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন।
  করোনার জন্য হোম আইসোলেশনে থাকলে নিয়ম
১. সরকারি নিয়ম অনুসারে হোম আইসোলেশন বা গৃহ পৃথকবাসে চিকিৎসা পাবেন শুধুমাত্র উপসর্গহীন বা খুব সামান্য উপসর্গের কোভিড রোগীরা। তাঁদের জন্য উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসাটুকুই প্রয়োজন হয়। তাই সাধারণভাবে বাড়িতে যে সব ওষুধ থাকে, এর বাইরে নতুন করে কিছু মজুত রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল। সঙ্গে সঠিক পরিমাণে খাওয়াদাওয়া ও জল পান করলেই অনেকে সেরে ওঠেন। ২. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের দোকান থেকে একটিও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনবেন না। ৩. সোশ্যাল মিডিয়ার লেখার ওপর ভিত্তি করে নিজের অথবা প্রিয়জনের চিকিৎসা করলে বিপদ হতে পারে। ৪. মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীরা বাড়িতে থাকলে, তাঁদের প্রতি প্রতিবেশীদের বৈরী মনোভাব প্রকাশ করা যাবে না। আচরণবিধি মেনে সামাজিকভাবে তাঁকে সাহায্য করতে হবে। ৫. গৃহ পৃথকবাসের সময় নিয়মিত চিকিৎসক বা সরকার নির্দেশিত হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। জোর কাশি হলে বা শ্বাসকষ্ট বাড়লে অথবা নতুন উপসর্গ লক্ষ করলে তৎক্ষণাত চিকিৎসক বা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাঁরাই বলে দেবেন কী করণীয়। ৬. সঙ্কটকালীন হেল্পলাইন নম্বর জোগাড় করে রাখুন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে হোম আইসোলেশন এবং হোম কোয়ারেন্টাইনের সম্পূর্ণ নিয়মাবলী সহজে পাবেন।
 লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক
23rd  July, 2020
ধূমপান ছাড়ুন এখনই 

পরামর্শে ন্যাশনাল অ্যালার্জি অ্যাজমা ব্রঙ্কাইটিস ইনস্টিটিউট-এর মেডিক্যাল ডিরেক্টর, বিশিষ্ট চেস্ট স্পেশালিস্ট ডাঃ আলোকগোপাল ঘোষাল।  বিশদ

মনের জোর জিতিয়ে দিয়েছে 

 করোনা ভাইরাস। নাম শুনলেই আঁতকে ওঠেন অনেকে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিশ্বজুড়ে মহামারীর ছবি। আমি কিন্তু প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাসকে বিন্দুমাত্র ভয় পাইনি। বিশদ

 সকালে হাঁটাহাঁটি করা যাবে?

অনেকেই প্রশ্ন করছেন, করোনা অতিমারীর সময়ে মর্নিং ওয়াকে যাওয়া উচিত হবে কি না। সেক্ষেত্রে আমার উত্তর, অবশ্যই সকালে হাঁটা যাবে। তবে কতকগুলি নিয়ম মানতে হবে।
বিশদ

করোনা জয়ী
যুদ্ধজয় হয়েছে, এবার প্লাজমাদান

একে আপদকালীন পেশা, তায় আবার সেমি ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে কাজ! তবু দরকারি সব সাবধানতা ছিল বইকি! আসলে আমাদের পেশার কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। যখন তখন সদ্যোজাত কোনও শিশুর অস্ত্রোপচারের দরকার পড়তে পারে। 
বিশদ

06th  August, 2020
ভ্রূণে কি সংক্রমণ ছড়ায়? 

পরামর্শে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এসএনসিইউ-এর ইনচার্জ ডাঃ দীনেশ মুনিয়া।  বিশদ

06th  August, 2020
করোনার মধ্যে প্রেগন্যান্সি
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

সন্তান আসছে, এর চেয়ে খুশির খবর আর কী হতে পারে! কিন্তু করোনা মহামারীর জন্য খুশির পাশাপাশি উদ্বেগ কিছু কম নেই পরিবারের সদস্য ও ভাবী মায়ের মধ্যে। এই সময় কী কী সাবধানতা নেওয়া উচিত? বিস্তারিত আলোচনা করলেন স্পর্শ ইনফার্টিলিটি সেন্টার (মধ্যমগ্রাম)-এর কর্ণধার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, সুপ্রজননবিদ ডাঃ দেবলীনা ব্রহ্ম। 
বিশদ

06th  August, 2020
করোনা কি দ্বিতীয়বার হতে পারে? 

উত্তরবঙ্গের এক বাসিন্দা নাকি একবার করোনা থেকে সেরে ওঠার পর আবার করোনা পজিটিভ হয়েছেন! এই খবর চাউর হওয়ার পর থেকে রাজ্যবাসীর দুশ্চিন্তা বেড়েছে।
বিশদ

30th  July, 2020
‘প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোভিড
পরীক্ষায় অনুমতি দিক সরকার’ 

এখনও চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনও ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করা যাচ্ছে না। যে এলাকার ভৌগলিক সীমানা বড়, সংক্রমণও বেশি, সেখানে টেস্টিং বুথ করা হলে ও চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া টেস্টের ব্যবস্থা হলে সুবিধা হয়।  
বিশদ

30th  July, 2020
করোনা অসুর হলে ইচ্ছাশক্তিই মা দুর্গা! 

রণজ্যোতি রায়: বিশ্বে অদেখা এক ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন অগণিত মানুষ। আমিও সেই যুদ্ধের সৈনিক হই। জিতেও ফিরি। আর জয়ী হওয়ার পর বুঝলাম, আতঙ্কই হচ্ছে এই ভাইরাসের মূল শক্তি। আতঙ্ক যদি না থাকে, তাহলে করোনাকে পরাজিত করতে মানুষকে প্রাণপাত করতে হবে না।  
বিশদ

30th  July, 2020
শ্বাসকষ্টের রোগীদের কেন
বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

 দেশে সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ), ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমার মতো শ্বাসকষ্টের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাঁদের একাংশ প্রায় বছরভরই শ্বাসকষ্টে ভোগেন। মুশকিল হল, এই ধরনের মানুষগুলি করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁদের ক্ষেত্রে রোগ জটিল হওয়ার আশঙ্কা সুস্থ সবল মানুষের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
বিশদ

23rd  July, 2020
ফ্রিজে কি করোনা
ভাইরাস থাকতে পারে?

করোনা-হানার দিনগুলোয় বদলে গিয়েছে বেঁচে থাকার রোজনামচা। দৈনিক ব্যবহারের জিনিসপত্র নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। সকাল-বিকেল আপনার নিত্যসঙ্গী ফ্রিজ নিয়েও সম্প্রতি শুরু হয়েছে আতঙ্ক। হোয়াটসঅ্যাপ খুললেই করোনা ও ফ্রিজের সুসম্পর্কের মেসেজ প্রায় সকলের চোখে পড়ছে। দাবি করা হচ্ছে, করোনা নাকি ফ্রিজের ঠান্ডায় দিব্য থাকতে পারে!
বিশদ

23rd  July, 2020
 ফিসারে হোমিওপ্যাথি

 রেকটামের দেওয়ালের পাতলা প্রথম আস্তরণ ফেটে বা ছিঁড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হলে অ্যানাল ফিসার বলা হয়। মলত্যাগের সময় ব্যথা ও রক্তক্ষরণ এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। কোষ্ঠকাঠিন্য, দীর্ঘস্থায়ী লুজ মোশন ও সন্তান জন্মদানের সময় অ্যানাল ফিসার হয়। বিশদ

23rd  July, 2020
 করোনা জয়ী
মেঘ কাটবে, মানুষ জিতবে
অরুণ গিরি, পুলিসকর্মী

 করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে শারীরিক দূরত্ব মানতে হবেই। কিন্তু করোনা হওয়ার পর বুঝলাম, ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রেখে, বরং সামাজিকভাবে একে অপরের পাশে থাকা কতটা জরুরি এই সময়ে। মানসিকভাবে ইতিবাচক না থাকতে পারলে এই লড়াইয়ের শুরুতেই কয়েক ধাপ পিছিয়ে পড়তে হয়।
বিশদ

23rd  July, 2020
 করোনা সংক্রান্ত জরুরি
ফোন নম্বর ও ওয়েবসাইট

   রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর-www.wbhealth.gov.in
 কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক-www.mohfw.nic.in
 ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-www.icmr.gov.in
 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-www.who.int বিশদ

23rd  July, 2020
একনজরে
 পুজোর আগে কাজের চাপে স্নান-খাওয়ার সময় থাকত না জাঙ্গিপাড়া, রাজবলহাট সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের তাঁতশিল্পীদের। করোনার কোপে তাঁরা আজ কাজ হারিয়ে কেউ রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে, কেউবা ফেরিওয়ালা। ...

 সরাসরি স্কুল-কলেজে গিয়ে ক্লাস করা সম্ভব না হলেও অনলাইনে ক্লাসের উপর জোর দিয়েছে প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ...

 কলকাতার নামীদামি, সরকারি-বেসরকারি অন্তত ১৭টি হাসপাতাল তাদের বর্জ্য পদার্থ (বায়ো-মেডিক্যাল ওয়েস্ট) নিয়ম মেনে সরাচ্ছে না। এমনকী তরল বর্জ্য পরিশোধনেও ব্যাপক গাফিলতি রয়েছে। ...

আবাসনের নীচেই পাওয়া গেল বৃদ্ধের রক্তাক্ত মৃতদেহ। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাগান থানা এলাকার নারকেলডাঙা মেন রোডের একটি আবাসনে। মৃতের নাম রামকিশোর কেজরিওয়াল (৭৩)। তিনি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হাতি দিবস
১৮৪৮: সাহিত্যিক তথা ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র দত্তর জন্ম
১৮৮৮: টেলিভিশনের আবিস্কারক জন বেয়ার্ডের জন্ম
১৮৯৯: ইংরেজ পরিচালক স্যার আলফ্রেড হিচককের জন্ম
১৯১০: আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের মৃত্যু
১৯১১: সমাজসেবিকা ও রাজনীতিবিদ ড.ফুলরেণু গুহর জন্ম
১৯২৬: কিউবার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর জন্ম
১৯৩২: পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্যর মৃত্যু
১৯৩৩: অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার জন্ম
১৯৩৬: স্বাধীনতা সংগ্রামী ভারতের বিপ্লববাদের জননী হিসাবে পরিচিতা মাদাম কামার মৃত্যু ।
১৯৪৬: ইংরেজ সাহিত্যিক এইচ জি ওয়েলেসের মৃত্যু
১৯৬৩: অভিনেত্রী শ্রীদেবীর জন্ম
১৯৭৫: পাক ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের জন্ম
১৯৮৭: অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
২০১৮: রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন লোকসভার অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৯৪ টাকা ৭৫.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৭৫ টাকা ৯৯.১৪ টাকা
ইউরো ৮৬.১০ টাকা ৮৯.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৩,৩১০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫০,৫৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫১,৩৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০২০, নবমী ১৯/১৬ দিবা ১২/৫৯। রোহিণীনক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৬/২৬, সূর্যাস্ত ৬/৬/২৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৯ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৫৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/৫ মধ্যে।
২৮ শ্রাবণ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০২০, নবমী দিবা ৯/৪৫। রোহিণীনক্ষত্র রাত্রি ৩/২৫। সূর্যোদয় ৫/১৫, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১০/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৬ গতে ৬/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪২ গতে ১/৬ মধ্যে।
 ২২ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। বৃষ: গৃহে শুভ কাজ হবে। মিথুন: ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব হাতি দিবস১৮৪৮: সাহিত্যিক তথা ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র দত্তর জন্ম ১৮৮৮: ...বিশদ

07:03:20 PM

২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত ২,৯৯৭
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,৯৯৭ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাসের ...বিশদ

09:45:41 PM

মুম্বইয়ে বাড়ির একাংশ ভেঙে মৃত ১, জখম ৪
মুম্বইয়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল একটি বাড়ির একাংশ। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ...বিশদ

07:38:59 PM

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়া রেকর্ড মোদির
অকংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিন মসনদে থাকার রেকর্ড গড়লেন ...বিশদ

07:34:00 PM

তামিলনাড়ুতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫,৮৩৫ 
তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫,৮৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ...বিশদ

06:51:17 PM