কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই ডাকঘরে গিয়েছ। দূরে কোথাও চিঠি অথবা জিনিস পাঠানো কিংবা টাকা জমা দেওয়া বা তোলা— কতরকম কাজ হয় সেখানে। কিন্তু তোমরা কি জানো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ডাকঘর রয়েছে কোন দেশে? উত্তরটা ভীষণ সহজ। ভারতে। মার্চ, ২০২৪- এর হিসেব অনুযায়ী আমাদের দেশে মোট ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৭২টি পোস্ট অফিস রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ডাকঘর দর্শনীয় স্থান হিসেবেও জনপ্রিয়। শুনলে অবাক হবে, পৃথিবীর উচ্চতম পোস্ট অফিস এবং একমাত্র ভাসমান ডাকঘর রয়েছে এই দেশে। আজ তোমাদের এই দু’টি আশ্চর্য ডাকঘরের গল্প বলব। যেগুলি ডাকঘরের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে দর্শনীয় স্থান হিসেবেও জনপ্রিয়।
পৃথিবীর উচ্চতম ডাকঘর
দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন একটা বড় লেটার বক্স। কাছে গেলেই ভুল ভাঙবে। কই? লেটার বক্স তো নয়। এ তো আস্ত একটা অফিস! হ্যাঁ, বিশ্বের উচ্চতম ডাকঘরের আকৃতি লেটার বক্সের মতোই। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৪ হাজার ৫৬৭ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই ডাকঘর রয়েছে হিমাচল প্রদেশের স্পিতি উপত্যকার হিকিমে। এই গ্রামের সৌন্দর্য বাড়ানো ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য লেটার বক্স আকৃতি দেওয়া হয়েছে এই পোস্ট অফিসটিকে। ১৯৮৩ সালে চালু হয়েছিল ডাকঘরটি। প্রথম থেকে মাটির ঘরে কাজকর্ম চলত। দু’বছর আগে ২০২২ সালে লেটার বক্স আকারের বাড়িটি তৈরি করা হয়। স্পিতি উপত্যকার ক্যামেরাবন্দি মনোরম ছবি প্রিন্ট করে বিশ্বে উচ্চতম ডাকঘর থেকে পোস্ট করে প্রিয়জনদের পাঠানোই যায়। চিঠিটি যে পৃথিবীর উচ্চতম পোস্ট অফিস থেকে এসেছে, তাও লেখা থাকে পোস্টকার্ডে। তোমরা যারা এরপর হিমাচলে ঘুরতে যাবে, তারা কিন্তু এই ডাকঘরে যেতে ভুলো না। সেইসঙ্গে জেনে রাখ, এই পোস্ট অফিসের পিনকোড— ১৭২১১৪।
ভাসমান ডাকঘর
কাশ্মীরের ডাল লেকের নাম নিশ্চয়ই শুনেছ? অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া এই হ্রদেই রয়েছে বিশ্বের একমাত্র ভাসমান ডাকঘর। শিকারায় চেপে হ্রদের জলে ভাসতে ভাসতেই তোমরা পৌঁছে যেতে পার এই পোস্ট অফিসে। শুনলে অবাক হবে, এই ডাকঘরে পোস্ট মাস্টার সহ অন্যান্য কর্মীরা পৌঁছন শিকারাতে চেপেই। এই ডাকঘরকে দূর থেকে দেখলে মনে হবে, কোনও হাউজ বোট। তবে কাছে গেলেই দেখতে পাবে, ভারতের ডাক বিভাগের বোর্ড। সেখানে বড় বড় করে লেখা ‘ভারতীয় ডাকঘর’। জানো, এই ডাকঘরের বয়স প্রায় ২০০ বছর। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই পোস্ট অফিস নতুন রূপে সাজানো হয়েছিল ২০১১ সালে। এখানে ব্যবহৃত ডাকটিকিটে রয়েছে ডাল হ্রদের ছবি। সঙ্গে আরও নানারকম ডাকটিকিটে সমৃদ্ধ একটি সংগ্রহশালাও রয়েছে এখানে। পর্যটনের মরশুমে ১৯০০০১ পোস্টাল কোডের ডাকঘরে ভিড় উপচে পড়ে।