Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

গল্পের চরিত্ররা
মানস সরকার 

দীপেশকাকুর পড়ার ঘরে ঢুকে টেবিলের পাশেই গুছিয়ে রাখা ব্যাগটা নজরে পড়ল মিলির। তার মানে কাকুর আবার কোথাও বেরিয়ে পড়ার প্ল্যান। টেবিলের উপর রাখা বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে সাত-আটটা খবরের কাগজ। রবিবারে এতগুলো করেই নেয় কাকু।
চায়ের কাপ হাতে দীপেশকাকু ঢুকতেই মিলি ধপ করে জানলার পাশে ইজিচেয়ারে বসে পড়ল। ক্লাস এইটে উঠেছে এবার। দিল্লি বোর্ডের একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। কিন্তু ছোট থেকেই বাংলা বই পড়ায় যাকে বলে ওস্তাদ। ওদের আর কাকুর বাড়ির দূরত্ব কয়েক হাতের। তাই দুমদাম করে চলে আসে মিলি। 
দীপেশ সেনের এটা শুধু পড়ার ঘরই নয়, লেখারও। লেখক হিসাবে তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন চল্লিশে পৌঁছেই। মিলি ওঁর অনেক গল্পই পড়েছে, বিশেষ করে ছোটদের জন্য যেগুলো লেখা।
ইজিচেয়ারে এলিয়ে মিলি বলল, ‘আজকের খবরের কাগজে তোমার যে গল্পটা বেরিয়েছে, সেটা নিয়ে আমার বাড়িতে খুব আলোচনা হচ্ছে। বাবা এক বন্ধুকে ফোনে বলছিল, তুমি নাকি দারুণ লিখেছ।’
চায়ে চুমুক দিয়ে দীপেশকাকু হাসল, ‘তাহলে তো আমারই বিপদ। ভালো লেখা মানেই তো তোকে আইসক্রিম খাওয়াতে হবে।’ 
হেসে ফেলল মিলিও, ‘সে তো হবেই। কিন্তু ব্যাগ গুছিয়ে ফেলেছ মানে নিশ্চয়ই কোথাও যাচ্ছ?’
‘হ্যাঁ। শ্রীরামপুর।’
অবাক হল মিলি। বলল, ‘সে তো আমাদের চন্দননগর শহর থেকে পাঁচটা স্টেশন। ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছ কেন! থাকতে হবে বুঝি?’
‘ওরে বাবা, এটা হুগলির শ্রীরামপুর নয়। পূর্ব-বর্ধমান জেলার। সমুদ্রগড় পর্যন্ত ট্রেনে। তারপর গাড়িতে যাব।’
‘ওহ, তা ওখানে হঠাৎ?’
‘একটা সাহিত্যসভা আছে। গল্পপাঠ আর আলোচনার। আমার অবশ্য অন্য একটা উদ্দেশ্য আছে।’ 
ভ্রু কুঁচকেছে মিলির। জিজ্ঞাসা করল, ‘কী উদ্দেশ্য?’ 
‘শ্রীরামপুর একটা আধা গ্রাম, আধা শহর। জায়গাটার একদম প্রান্তে একটা ভাঙা বাড়ি আছে। কেউ যায় না। ভূতুড়ে বাড়ি বলে বদনাম আছে সেটার। সাহিত্যসভা সেরে ওটা একবার রাতের দিকে দেখতে যাবার ইচ্ছে।’
চোখ গোল-গোল হয়ে গেল মিলির। বলল, ‘তার মানে ভূত!’
‘হ্যাঁ, এবার নিশ্চই দেখতে পাব। পুরনো জমিদার বাড়ি ছিল ওটা। যে-গেছে তার সঙ্গে নাকি কিছু না কিছু হয়েছে। এই ভূতুড়ে অভিজ্ঞতাটা আমার খুব দরকার।’
গোল চোখ এবার ছোট মিলির, ‘সে তো তুমি গতবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় ওই ভাঙা বাড়ি আর বাগানটায় যাবার আগেও বলেছিলে, ওখানে নাকি ভূত দেখতে পাওয়া যাবেই। দেখতে কিন্তু পাওনি।’
দীপেশকাকুর মুখটা একটু দুঃখী দুঃখী হয়ে উঠল। চায়ে পরপর দু-তিনবার চুমুক দিয়ে বলে উঠল, ‘সত্যি, খুব মনে আশা ছিল, দেখতে পাব। কিন্তু মিস হয়ে গেছিল। আর এদিকে দু-তিনটে পত্রিকার জন্য ভূতের গল্পই লিখতে হবে। সত্যিকারের অভিজ্ঞতা থাকলে লেখাগুলো জমে যায়। লিখতে খুব সুবিধা হয়।’ 
ঠোঁট উল্টে মিলি একটু চুপ করে থাকল। তারপর বলল, ‘আচ্ছা কাকু, তুমি তো ভূতের এত গল্প না লিখে চোর-ডাকাতের গল্পও লিখতে পার?’
ভ্রু কুঁচকে গেল দীপেশকাকুর, ‘ভূতের গল্প তো লিখতেই হয়। তোরা এত পড়তে ভালোবাসিস। কিন্তু চোর-ডাকাতের মানে?’
‘তোমার ভূতের গল্প আমি অনেকগুলোই পড়েছি। ভালো লেগেছে। আর ‘চোর- ডাকাত’ মানে আমি বলছি ডিটেকটিভ গল্প। গোয়েন্দা গল্প।’
‘সে তো এখন অনেকই লেখা হচ্ছে। আসলে আমি বরাবর কেমন জানিস তো?’
আগ্রহ তৈরি হচ্ছে মিলির। দীপেশকাকু সম্পর্কে অনেক কিছু জানে। বাড়িতেও শুনেছে। কাকু নাকি ছাত্র হিসাবে দারুণ ছিল। উঁচু পজিশনে চাকরিও করত। স্রেফ বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা আর লেখালেখি করবে বলে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। বাবা-মা থাকে কাকুর দাদার সঙ্গে কলকাতায়। দেখেছে বেশ কয়েকবার। এই বাড়িটায় অনেক বই। মিলির মতো আরও কয়েকজন সময় পেলেই কাকুর কাছে দৌড়ে চলে আসে ওঁর কথা শুনতে। খুব স্পষ্ট কথা বলেন, নানা বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান। সোজা হল মিলি, ‘কেমন?’ 
‘খুব ডাকাবুকো টাইপের। সেটা অবশ্য আমি ছাত্র যখন ছিলাম, তখন থেকেই। চোর-ডাকাত-গোয়েন্দা গল্প লিখতে গেলে আমার গল্পের চরিত্ররাও সব ওরকম মারকুটে হয়ে যাবে। বাংলা গল্পের ঘরানাটা ওরকম নয় রে।’
দীপেশকাকুর কথায় যেন গল্পের গন্ধ। মিলি দু-হাতের তালুর উপর নিজের চিবুক রাখল। বলল, ‘ডাকাবুকো আর মারকুটে মানে তো খুব সাহসী। তুমি কি নিজে কখনও চোর -ডাকাত ধরেছ?’
দু’দিকে ঘাড় নাড়ল হালকা করে দীপেশকাকু, ‘না, ওইভাবে ধরিনি বড় কোনও চোর-ডাকাত। কিন্তু স্কুল থেকেই আমার ছিল খুব সাহস। গায়ে জোরও ছিল খুব। অন্যায় দেখলেই একদম ঝাঁপিয়ে পড়তাম।’
চায়ের কাপ শেষ করে নামিয়ে রেখে কাকু এবার খবরের কাগজ দেখতে শুরু করেছে। মিলিকেও নাচের স্কুলে যেতে হবে। উঠে পড়ল ও। জিজ্ঞাসা করল, ‘তোমার কবে যাওয়া কাকু?’
‘এই তো, কালকেই।’
কোথাও গেলে কাকু অবশ্য নিয়ম করেই ফোন করে। আর বাবার সঙ্গে নয়, আগে কথা বলতে হবে মিলির সঙ্গেই। 
‘তুমি কিন্তু বাড়িটায় কী দেখলে, আগে জানাবে। আর গল্পটা লিখলে আগে শোনাতে হবে।’ 
‘সে তো শোনাতেই হবে। কিন্তু এখন তুই বাড়ি যা। জলখাবার খেয়ে নে।’
....
আজ সারাদিন স্কুল করলেও মিলির মন পড়েছিল বর্ধমানের শ্রীরামপুরে। বিকেলে বাড়ি ফিরে মায়ের থেকে ফোনটা নিয়ে একটা ফোন করে ফেলল। তিন-চারবার রিং হবার পর ধরল কাকু। বাবা-মায়ের নম্বর কাকুর ফোনে সেভ করা আছে। ধরে বলল, ‘যা দেখছি, নিজের কৌতূহলকে চেপে রাখতে পারছিস না।’
ফোনের এপ্রান্তে খিলখিল করে হেসে উঠল মিলি, ‘সে তো পারছিই না। তুমি নিশ্চই পৌঁছে গেছ ওখানে।’ 
কাকু বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল, ‘হ্যাঁ, দুপুরের মধ্যেই। খুব আদরযত্ন করছেন এঁরা। সুন্দর একটা হোটেলে রেখেছেন। এখন তৈরি হচ্ছি। অনুষ্ঠান-হলটা হোটেলের পাশেই। তৈরি হয়ে চলে যাব।’
‘তাহলে ওই ভূতুড়ে বাড়িটায় কখন যাবে?’ 
‘আমি তো ভাবছিলাম একটু রাত করেই যাব। কিন্তু তাড়াতাড়িই ঘুরে চলে আসতে হবে। একটু প্রবলেম আছে।’
‘প্রবলেম! বাড়িটায় যেতে পারবে তো?’
‘সে পারব। কিন্তু অনুষ্ঠানের পর এঁদের সব গোছগাছ করতে হবে বলে এঁরা সঙ্গে যেতে পারবেন না। আমাকে একাই যেতে হবে আর নিজে ব্যবস্থা করে।’
মিলির কাছে ব্যাপারটা আরও থ্রিলিং লাগছে। পুরো জমে যাবে। বলল,‘আসলে এরা নিজেরাই চাইছে না, তুমি যাও। আর না হলে, নিজেরাই খুব ভয় পায় জায়গাটা।’
‘দ্বিতীয়টার সম্ভাবনাই বেশি মনে হচ্ছে। কারণ বাড়িটাকে ঘিরে অনেকেরই নাকি ভৌতিক বা আনন্যাচারাল অভিজ্ঞতা আছে। আসলে সমস্যা সেটাও না।’
চুপ করে থাকল মিলি। কাকু নিজেই বলবে নিশ্চই। 
‘আসলে, জায়গাটা যেখানে আছি, সেখান থেকে অনেকটা দূরে। যানবাহন একদমই যেতে চায় না। আর ওদিকটা নাকি মানুষের বাস নেই। ফলে একদম ফাঁকা। নিজে ব্যবস্থা মানে অচেনা জায়গায়, সমস্যা হবে। ও তুই ভাবিস না, কিছু একটা করে ফেলব ঠিকই।’
দীপেশকাকু ফোন ছেড়ে দিল। মিলি সত্যিই এটা নিয়ে ভাবছে না। বাড়িটায় গিয়ে কী অভিজ্ঞতা কাকুর হয়, সেটাই শুধু মনে আসছে। তাড়াতাড়ি আজ পড়তে বসে গেল। কাকুর কথা শুনতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। পড়াশোনা আগেভাগে শেষ করে নেওয়াই ঠিক। 
রাতের খাওয়া সেরে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মিলি দেখল দশটা বেজে গিয়েছে। আর ধৈর্য থাকল না। বাবার থেকে মোবাইলটা চেয়ে নিয়ে কাকুকে ফোনটা করতে যাবে, সেই সময় মোবাইলটা বেজে উঠল। কাকুই ফোন করল। ‘জাস্ট তোমাকে করব ভাবছি, আর তুমিই করলে।’ আসল কথায় যেতে চাইল মিলি, ‘গেসলে ওখানে?’
‘হ্যাঁ। ফিরে গেছি। হোটেলের সামনে।’
‘কিছু দেখতে পেলে?’
দীপেশকাকুর দীর্ঘশ্বাস শুনল মিলি।
‘না রে। এবারও হতাশ হলাম।’ 
‘জায়গাটা কেমন?’
‘বেশ ভূতুড়ে। রীতিমতো গা ছমছমে। আমি অন্তত দশ মিনিট দাঁড়িয়েছিলাম। অন্য জায়গার থেকে ফিলটা বেশি হচ্ছিল। কিন্তু আশ্চর্য কিছু চোখে পড়েনি।’
‘যাঃ’, হতাশ হচ্ছিল মিলি, ‘তাহলে তো প্লট পেলে না। ভূতের গল্প লিখবে কী করে! তোমাকে তো গল্প জমা দিতে হবে।’
‘সে বোধহয় আর হল না। ওই... তোর কথাই মেনে নিতে হচ্ছে, আর কী।’
‘কী?’
‘কী আবার, পারলে এবার চোর-ডাকাতের গল্প লিখব। ডিটেকটিভ চরিত্র হবে গল্পের। খারাপ হবে?’
‘একেবারেই না।’
কী আর করে মিলি। কাল স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের কাছে কতরকম ভূতের গল্প করবে ভেবেছিল! সব মাটি হয়ে গেল।
ঘুমোতে চলে গেল ও।
....
সকালে ঘুম থেকে মিলি নিজেই ওঠে। আজ মা যেভাবে ওকে ঝাঁকিয়ে ‘উঠে পড়ো। একটা খারাপ খবর আছে।’ বলে তুলে দিয়ে গেল বেশ অবাক হয়ে গেল। বাড়ির পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, বুঝতে পারল। 
ব্রাশ করে টয়লেট সেরে কিচেনে মায়ের কাছে বসে খারাপ ঘটনাটার প্রায় সবটাই জেনে ফেলেছে মিলি। প্রচণ্ড মনখারাপ ছাপিয়ে মনের অবাক হওয়া ভাবটা কিছুতেই যাচ্ছে না।
আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ বর্ধমানের শ্রীরামপুর থানা থেকে মায়ের কাছেই প্রথম ফোনটা আসে। ভূতুড়ে বাড়িতে বা তার কাছে নয়, দীপেশকাকু খুন হয়েছেন অন্তত সে জায়গার চার কিলোমিটার আগে। শ্রীরামপুর শহরে আজকাল চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি খুব বেড়ে গেছিল। সন্ধের পরে সাহিত্যের অনুষ্ঠান শেষ করে যানবাহন না পেয়ে কাকু সম্ভবত কোনও অচেনা বাইকচালককে ওই জায়গায় পৌঁছে দেবার জন্য রাজি করিয়ে নিয়েছিলেন। রওনাও হয়েছিলেন। সে সম্ভবত ওই বাড়িতে নিয়েও যায় কাকুকে। ফেরার পথে খুব নির্জন জায়গায় দাঁড় করিয়ে পিস্তল দেখিয়ে ওঁর হাতের আংটি, গলার চেন, মোবাইল ডাকাতি করার চেষ্টা করলে কাকু বাধা দেন। আর সে ওঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই কাকু মারা যান। আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে পুলিসের সিদ্ধান্ত, ঘটনাটা রাত সওয়া আটটা নাগাদ ঘটে থাকতে পারে। মিলির বাবা কাকুর দাদার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পাড়ার কয়েকজনও চলে এসেছেন। সবাই মিলে দীপেশকাকুকে হয়তো ওখান থেকে আনতে যাবে। 
খুব কষ্ট হচ্ছে মিলির। কিন্তু ভয়ঙ্করভাবে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছে। দীপেশকাকু কি আসলে নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেলেন যে, আসলে ভূত আছে? না হলে রাত দশটায় কে ফোন করল ওকে! অত কথা.... অত সুন্দরভাবে বলল!
কী মনে হতে বাবার ফোনটা চেয়ে ভালো করে কললিস্ট পরীক্ষা করল মিলি। 
বুক কেঁপে উঠল। কারণ সেখানে অন্য সব নম্বরের রেকর্ড থাকলেও দীপেশকাকুর কাল রাতে আসা ফোন নম্বরের কোনও অস্তিত্ব নেই!
হিংসা থামাল ফুটবল!

ফুটবলারদের আবেদনে থেমে গিয়েছিল আইভরি কোস্টের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। দু’দশক আগের সেই গল্প বললেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়। বিশদ

হরেকরকম হাতের কাজ: পুজোর ঘরে  রঙিন জার

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

বুধ ও শুক্রের উপগ্রহ নেই কেন?

সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে ছ’টির উপগ্রহ রয়েছে। কেবলমাত্র ব্যতিক্রম বুধ ও শুক্র। এই দুই গ্রহের কেন উপগ্রহ নেই? কারণ খুঁজলেন স্বরূপ কুলভী।
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির উৎসব

বারাকপুর অম্বিকা বিমলা মডেল হাইস্কুল জেলার অন্যতম প্রাচীন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কেবলমাত্র বালকদের এই উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে বর্তমান ছাত্র সংখ্যা প্রায় এক হাজার তিনশো। আর শিক্ষক-শিক্ষিকা সংখ্যা প্রায় ৫০।
বিশদ

15th  September, 2024
হিমালয়ের রহস্য ইয়েতি

মালয় পর্বতমালা। যা দুর্গম, সেখানেই রহস্য, আর যেখানে রহস্য সেখানেই ভয়। আর যেখানে ভয় সেখানেই অজস্র কাহিনি। হিমালয় এবং নিজেদের জনজাতিকে জুড়ে নেপালের আনাচেকানাচে এমন অনেক গল্পকথা ভেসে বেড়ায় যার ইতিহাস কোথায়, সত্যতাই বা কী তার ইয়ত্তা মেলে না।
বিশদ

15th  September, 2024
তিতলি আর তুন্দ্রা বিন হাঁস

দিন ধরে খুব মনখারাপ তিতলির। সবার বাড়িতে ‘পেট’ আছে। প্রায় সব বাড়িতেই আছে নানা জাতের পুষ্যি কুকুর। স্প্যানিয়েল-পোমেরিয়ান-ফ্রেঞ্চ বুলডগ থেকে ল্যাব্রাডর-রিট্রিভার-ডাচসুন্ড-অ্যালসেশিয়ান। কিন্তু মা একদম রাজি নয়। কুকুরকে মায়ের খুব ভয়। 
বিশদ

08th  September, 2024
হ্যাঙার অর্গানাইজার

শুরু হয়েছে নতুন বিভাগ ‘হরেকরকম হাতের কাজ’। ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় জিনিস কাজে লাগিয়ে কেমন করে সুন্দর ক্রাফ্ট তৈরি করা যায়, থাকছে তারই হদিশ। এবারের বিষয় হ্যাঙার অর্গানাইজার। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হচ্ছে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে।
বিশদ

08th  September, 2024
এলিয়েনদের জন্য পাঠানো উপহার

‘ভয়েজার টু’-এর মধ্যে রয়েছে একটি গোল্ডেন ডিস্ক। যেটি হাতে পেলে ভিনগ্রহীরা জানতে পারবে মানব সভ্যতার কথা। সেই গল্পই শোনালেন উৎপল অধিকারী
বিশদ

08th  September, 2024
শিক্ষক দিবসের শ্রদ্ধার্ঘ্য

আগামী বৃহস্পতিবার ‘শিক্ষক দিবস’। এই বিশেষ দিনে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শ্রদ্ধা জানালেন পূর্ব বর্ধমানের সড্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিশদ

01st  September, 2024
সৌরমণ্ডলের শীতলতম গ্রহ
স্বরূপ কুলভী

সূর্য থেকেই সৃষ্টি সৌরজগতের। আর এই সুবিশাল নক্ষত্রকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে পৃথিবী সহ আটটি গ্রহ। এছাড়াও রয়েছে বামনগ্রহ, ধূমকেতু, ধূলিকণা, উপগ্রহ, গ্রহাণু-আরও কত কী। সৌরমণ্ডলে গ্রহগুলির প্রকৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।   বুধ, শুক্র, পৃথিবী ও মঙ্গল হল পাথুরে গ্রহ। বিশদ

01st  September, 2024
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বাদুড় বোমা
সায়নদীপ ঘোষ

ভি-৩ কামান, ডামি প্যারাট্রুপার থেকে শুরু করে গোলিয়াথ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল হরেক রকমের অত্যাধুনিক অস্ত্র। এই যুদ্ধ যেন ছিল আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার এক অভিনব কারখানা। তবে প্রচলিত অস্ত্রের পাশাপাশি গোপন অস্ত্রের সংখ্যাটাও খুব একটা কম ছিল না। বিশদ

01st  September, 2024
আদিম মানুষের আশ্চর্য গুহাচিত্র

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ৫০ হাজার বছরের প্রাচীন গুহাচিত্র। আদিম মানবের শিল্পকীর্তির ইতিহাস ফিরে দেখলেন  রুদ্রজিৎ পাল। বিশদ

25th  August, 2024
১২টা বাজে না সোলোথার্নের ঘড়িতে
সোমা চক্রবর্তী

 রাত ১২টা থেকে সময়ের কাঁটা ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছয় দুপুর ১২টার ঘরে। সেখান থেকে আবার রাত ১২টায়। এভাবেই ঘড়িতে আবর্তিত হয় সময়। ১২টা থেকে শুরু করে ১টা, ২টো, ৩টে, ৪টে...। প্রত্যেকটা ঘরকে অতিক্রম করতে করতে কাঁটাগুলোর অবস্থান আমাদের জানিয়ে দেয় আমরা কোন সময়ে রয়েছি। বিশদ

25th  August, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: ডটেড বটল আর্ট 

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

25th  August, 2024
একনজরে
ভারতীয় বি দলকে বড় রানের টার্গেট দিতে চলেছে ডি দল। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের স্কোর ৫ উইকেটে ২৪৪। সবমিলিয়ে শ্রেয়স আয়ারদের লিড এখন ৩১১। সেঞ্চুরি থেকে দশ রান দূরে দাঁড়িয়ে রিকি ভুঁই। ৮৭ বলে তাঁর ৯০ রানের (ব্যাটিং) ইনিংসে রয়েছে ১০টি ...

বিপদ কাটতেই চাইছে না। ভূতনিতে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হল। শনিবার একলাফে গঙ্গা নদীর জলস্তর ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৫.১৭মিটার। চরম বিপদসীমা একেবারে ছুঁইছুঁই অবস্থা দেখে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ...

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। স্থানীয় বিজেপি অফিসে রক্তদান শিবিরে গিয়ে চরম কটাক্ষের শিকার হলেন মোরাদাবাদের মেয়র বিনোদ আগরওয়াল। ...

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও)। কিন্তু সময়সীমা শেষ হলেও দেখা যাচ্ছে, এখনও একাধিক জেলায় সেই কাজ অনেকটা বাকি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস
বিশ্ব গণ্ডার দিবস


১৪৯৯: বাসেল চুক্তির অধীনে সুইজারল্যান্ড একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে
১৫৩৯: পাঞ্জাবের শহর কর্তারপুরে প্রয়াত গুরু নানক
১৫৯৯: লন্ডনে ফাউন্ডার্স হলে ২৪ জন ব্যবসায়ী ভারতে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন, এভাবেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গড়ে উঠে
১৭৩৫: ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বসবাস শুরু করেন রবার্ট ওয়ালপোল
১৭৯১: ইংরেজ রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের জন্ম
১৮৬২: আব্রাহাম লিঙ্কন ক্রীতদাসদের মুক্তির আদেশ সংক্রান্ত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন
১৮৮৮: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত
১৯১৫:  নদিয়া পৌরসভার নামকরণ বদল করে করা হয় নবদ্বীপ পৌরসভা
১৯৩৯: প্রথম এভারেস্ট জয়ী মহিলা জুনকো তাবেইয়ের জন্ম
১৯৬২:  নিউজিল্যাণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার মার্টিন ক্রোর জন্ম
১৯৬৫: শেষ হল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দু’দেশ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করল
১৯৭০: লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭৬: শ্রীলঙ্কান প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা থিলান সামারাবীরার জন্ম
১৯৮০: ইরান আক্রমণ করল ইরাক
১৯৮৩: বিপ্লবী তথা সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের মৃত্যু
১৯৮৪:ব্রাজিলীয় ফুটবলার থিয়াগো সিলভার জন্ম
১৯৯১: মারাঠি ও হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী পদ্মশ্রী দুর্গা খোটের মৃত্যু
১৯৯২: ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও রাজশ্রী প্রোডাকশনের প্রতিষ্ঠাতা তারাচাঁদ বারজাতিয়ার মৃত্যু
১৯৯৫: নাগারকোভিল স্কুলে বোমা ফেলল শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনা, মৃত্যু হয় ৩৪টি শিশুর, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই তামিল
২০১১: ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যু
২০১১: অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৫৩ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯১.৭৫ টাকা ৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী ২৫/৩৮ দিবা ৩/৪৪। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৫৩/৫৫ রাত্রি ১১/৩। সূর্যোদয় ৫/২৮/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/২৯/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৫৩ গতে ৪/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
৫ আশ্বিন, ১৪৩১, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ৯/১৩। ভরণী নক্ষত্র দিবা ৬/৩২ পরে কৃত্তিকা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/১৮। সূর্যোদয় ৫/২৮, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৮ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/২২ মধ্যে। বারবেলা ১০/০ গতে ১/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/০ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: জয়ী এনপিপি নেতা অনুরা কুমারা দেশনায়েক

10:27:43 PM

কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হল অনুদান
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে পুজো কমিটিগুলির হাতে তুলে দেওয়া হল দুর্গাপুজোর ...বিশদ

09:56:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-২ গোলে হারাল কেরল

09:32:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ১ (৬৩ মিনিট)

08:53:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ১-কেরল ০ (৬০ মিনিট)

08:50:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-কেরল ০ (৫৩ মিনিট)

08:43:00 PM