বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
উঁচু ক্লাসে পঠন-পাঠন শুরু হয়ে গিয়েছিল, তুমিও নিশ্চয়ই আশায় ছিলে ইন্দ্রজা, তোমার ক্লাস ফাইভের পড়াশুনাও আবার শুরু হবে। শুরু হল ঠিকই, কিন্তু আবার সেই আগের মতো অনলাইনেই। কতদিন স্কুলে যাওনি তুমি। প্রিয় বন্ধুদের মুখ দেখনি, দিদিমণিদের গুড মর্নিং বলনি, বন্ধুদের সঙ্গে
হুটোপাটি করনি, দৌড়ে গিয়ে স্কুলের বাস ধরনি।
ঘরে বসে বসেই শিখে ফেললে নতুন কিছু শব্দ। কোভিড, কোয়ারেন্টাইন, সেফ হোম, মিউটেশন, ইমিউনিটি, পালস অক্সিমিটার, লকডাউন, স্যানিটাইজার, অক্সিজেন পার্লার। আমাদের সবার কাছে পৃথিবীর গণ্ডিটা ক্রমশ ছোট হতে হতে এসে দাঁড়াল চার অক্ষরের একটা শব্দে, যার নাম ভার্চুয়াল। তিন অক্ষরের ছোট্ট একটা আণুবীক্ষণিক জীব করোনা, সবকিছু তছনছ করে দিল।
তুমি নিশ্চয়ই জানো ইন্দ্রজা, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে এটি প্রথম শনাক্ত হয়। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর নাম দেয় কোভিড ১৯ (COVID 19)। কোভিড মানে করোনা ভাইরাস ডিজিজ। ১৯, যেহেতু ২০১৯ সালে এটি প্রথম শনাক্ত হয়। কেন এর নাম করোনা? যেহেতু ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্য প্রোটিন স্পাইক থাকে এই ভাইরাসটির গায়ে। দেখতে লাগে অনেকটা কাঁটার মুকুটের মতো, তাই এর নাম মুকুট ভাইরাস বা করোনা ভাইরাস।
এতদিন ভাবা হয়েছিল, করোনার ভয়াল ছোবল থেকে আমাদের শিশুরা সম্পূর্ণ মুক্ত, কোভিড তাদের ছুঁতে পারবে না। তবুও সাবধানের মার নেই ভেবে তাদের গৃহবন্দি করেই আমরা অভিভাবকেরা নিশ্চিন্ত ছিলাম। সরকার এবং স্বাস্থ্য দপ্তরেরও এ নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা ছিল না। কিন্তু সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে চলেছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ নাকি আসতে চলেছে এই অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অর্থাৎ পুজো মরশুমে। তার আগাম আভাস অবশ্য টুকটাক মিলছে। নিজের অভিজ্ঞতার কথাই বলি। গত দু’মাসে ২২-২৩ জন মৃদু উপসর্গ যুক্ত করোনা রোগীকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করেছি। এদের মধ্যে চারজন ছিল যথাক্রমে ৮,৯,১১ এবং ১৪ বছরের। দু’জন সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেছে বাকি দুজনও ভালো হবার পথে।
তৃতীয় ঢেউয়ের কথা শুনে নিশ্চয়ই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন শিশুর মা-বাবারা। কারণ শিশুদের ভ্যাকসিনেশন আমাদের দেশে এখনও চালু হয়নি। ১৮ বছর না হলে কেউ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না। শিশুদের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল রান সবে শুরু হয়েছে আমাদের দেশে। তাহলে করণীয় কী!
করণীয় হল, সেই তিনটি মন্ত্রই সারাদিন জপ করা। মাস্ক পরা, সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত দুটো ধোওয়া, অন্যদের থেকে ৬ ফুট দূরে থাকা, যাকে বলে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং, আমি বলি পার্সোনাল ডিসটেন্সিং। ইন্দ্রজা, তুমি নিশ্চয়ই জানো, মাস্কই হল সব থেকে বড় করোনা প্রতিরোধক। কিন্তু মাস্ক নিয়ে কতগুলো বিষয় তোমাকে এবং তোমার গার্জিয়ানদের যে জানতেই হবে। যেমন ধরো, কোন ধরনের মাস্ক পরব, কীভাবে পরব, কীভাবে সেটা পরিষ্কার করব, কতদিন ধরে একটানা পরব ইত্যাদি। এগুলো ঠিকঠাক না জানলে মাস্ক পরা তো অর্থহীন!
প্রথমেই বলি, সাধারণ মানুষের এন ৯৫- এর মতো বিশেষ ধরনের মাস্ক না পরলেও চলবে। সাধারণ কাপড়ের দুই বা তিন স্তরের মাস্ক ব্যবহার করুন, যেটি দিনে অন্তত একবার সাবান জলে কেচে ভালো করে শুকিয়ে নেবেন। প্রত্যেকের এই ধরনের দু- তিনটে মাস্ক থাকলেই যথেষ্ট। আর্থিক সংগতি থাকলে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরার পর সেটি কিন্তু ওয়েস্ট বক্সে ফেলে দিতে হবে। পরের দিন আবার নতুন একটা মাস্ক চাই।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যেটা সেটা হল, মাস্কের সঠিক ব্যবহার, যেটা আমরা খুব কম জনই জানি। মাস্ক পরার বা খোলার আগে ভালো করে সাবান জলে হাত ধুয়ে নেবেন বা স্যানিটাইজ করে নেবেন। এরপর মাস্কের স্ট্র্যাপ বা দড়ি ধরে আলতো করে মাস্কটা পরুন। এই পরা বা খোলার সময় দেহের অন্য কোনও অংশে মাস্ক যেন না লাগে। মাস্কের সামনে কখনও হাত দেবেন না। রোগজীবাণু তো সামনেই আটকে থাকে। স্ট্র্যাপ বা দড়ি ছাড়া মাস্কের অন্য কোনও অংশ ছোবেন না। ভিজে, ঢিলে নোংরা, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়- এইরকম মাস্ক পরবেন না। থুতনির নীচে বা কানে মাস্ক ঝুলিয়ে রাখবেন না। দেখবেন মুখ ও নাকের পুরোটা যেন মাস্কে ঢাকা থাকে। ঘরের মধ্যে মাস্ক পরার কোনও প্রয়োজন নেই, যদি না ঘরে কোনও করোনা রোগী থাকেন। বাইরে বেরলে যখন একা থাকবেন, মাঝে মাঝে মাস্ক খুলে ফ্রেশ এয়ার নেবেন।
ইন্দ্রজা, এই কথাগুলো শুধু তোমাকে নয়, তোমার গার্জিয়ানকেও বললাম। আরও কয়েকটি প্রয়োজনীয় কথাও তাদের বলব। এই যে করোনার তৃতীয় ঢেউতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হবে বলে আমরা শুনছি, সেজন্য কিন্তু প্রধানত দায়ী থাকবেন তাদের অভিভাবকেরা। কারণ, শিশুরা তো বাড়ির বাইরে খুব বেশি যাচ্ছে না, মানে তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যাচ্ছেন তাদের অভিভাবকেরা, বাজারে বা অন্য কোনও কাজে। কাজেই কয়েকটা বিধিনিষেধ তো তাদের মানতেই হবে। বাড়ি ফিরে নির্দিষ্ট স্থানে জুতো জোড়া রেখে, সোজা বাথরুমে ঢুকে জামা- কাপড় খুলে, হাত-পা ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে, সম্ভব হলে স্নান করে, তারপরে শিশুদের কাছে আসবেন। যে জামা কাপড় পরে বাইরে গিয়েছিলেন, সেগুলো অন্তত কুড়ি মিনিট সাবান জলে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিয়ে আবার ব্যবহার করবেন।
বাজার থেকে যদি কোনও ক্যারিব্যাগ বয়ে আনেন, সেটি আর ঘরে ব্যবহার করবেন না। ময়লা ফেলার বালতিতে ফেলে দেবেন। যেসব খাবার গরম করে খাওয়া সম্ভব, গরম করেই খাবেন, শিশুদেরও খাওয়াবেন। ফল- তরিতরকারি খাবার আগে ভালো করে বারেবারে ধুয়ে নেবেন। যদি সম্ভব হয় আগের দিন রাতে আধ বালতি জলের মধ্যে সব ভিজিয়ে রেখে দিয়ে পরের দিন সকালে ব্যবহার করবেন।
অনেকেই এই সময়ে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, জিংক খাচ্ছেন। শিশুদেরও খাওয়াচ্ছেন ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য। তুলসী,মধু, হলুদ, নিম খাবার ধুম বেড়েছে অনেক পরিবারেই। এরা উপকারী হলেও করোনা আটকাতে সরাসরি এদের কোনও ভূমিকা নেই। রাতারাতি এগুলোর কোনওটাই আমাদের ইমিউনিটি বাড়াতে পারে না। বরং অতিরিক্ত ভিটামিন, জিংক, প্রোটিন শরীরের ক্ষতি করে, জানিয়েছেন আমাদের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।
গৃহবন্দি জীবন এখন আমাদের শিশুদের। আমরা বড়রা, তবু কারণে অকারণে বাইরে বের হতে পারি, ওরা পারে না। ওদের আমরা বের হতে দিই না। ওদের জন্য একটা ডেইলি রুটিন বানিয়ে ফেলুন ওদের সঙ্গে কথা বলেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে টয়লেট পর্ব সেরে ওদের নিয়ে মিনিট কুড়ি হেঁটে আসুন। যদি ছাদে বা বাড়ির সামনে হাঁটার সুযোগ থাকে, সেখানে হাঁটুন।
নইলে ভোরে-ভোরে পুরো পাড়াটা চক্কর মেরে আসুন মুখে মাস্ক পরে। কারও সঙ্গে হাই-হ্যালো করতে যাবেন না। শিশুরা রাস্তার কুকুর-বিড়াল আদর করতে খুব ভালোবাসে। ওদের নিরস্ত করুন, না পারলে ঘরে ফিরেই হাতের কনুই অব্দি ভালো করে সাবান জলে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে দিন। কুকুর বিড়াল করোনা ছড়ায় না, তবে অন্য রোগ তো ওদের থেকে আসতেই পারে।
আরেকটা কথা। শিশুরা যখন অনলাইনে ক্লাস করে, তখন কানে হেডফোন না গুঁজে লাউড স্পিকার অন করে শিশুকে ক্লাস করতে বলুন। একটানা হেডফোন ব্যবহার করার ফলে শিশুদের কিন্তু কানের ক্ষতি হচ্ছে। কানের ডাক্তারি করতে গিয়ে দেখছি, বহু শিশু কানে কম শুনছে, ঝিঁঝি পোকা বা অন্য কোনও শব্দ একটানা হচ্ছে কানে, যাকে বলে টিনিটাস। কারওবা মাথা মাঝে মাঝে ঘুরছে। ইন্দ্রজা, তুমি তো জানোই কানের তিনটি অংশ। বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ। এই অন্তঃকর্ণেই থাকে শোনা এবং ভারসাম্য রক্ষা করার নানা যন্ত্রপাতি। একটানা শব্দ এদের মধ্যে যে হেয়ার সেল থাকে, সেগুলোকে নষ্ট করে দেয়, আর সেজন্যই নানা সমস্যা দেখা দেয় কানে।
অনলাইনে পড়াশোনার বাইরে এই লকডাউন পিরিয়ডে সব শিশুই এখন কম্পিউটার বা মোবাইল অ্যাডিক্টেড।
জোর করে এই অ্যাডিকশন ছাড়ানো যাবে না। মারধর চেঁচামেচি করেও নয়। বরং সকালে এবং রাতে কিছুটা করে সময় এজন্য ওদের অ্যালাও করুন, ধরুন দু’বেলা মিলে দু-তিন ঘণ্টা। আপনাকে কিন্তু খবরদারি করতে হবে যে ওরা কম্পিউটারে বা মোবাইলে কী দেখছে, কী খেলছে! বাকি সময়টা শিশুকে বই পড়তে, আপনাদের সঙ্গে গল্প করতে, বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে উৎসাহিত করুন। অনলাইনে ওর পছন্দ মতো বই, সেটা টিন টিন, হাঁদা ভোঁদা,জোকস ,কমেডি, ভূতের গল্প-যাই হোক না কেন, আনিয়ে দিন। অনলাইনে ক্যারাটে, গান, আবৃত্তি, নাটক, নাচ- যার যেটাতে ইন্টারেস্ট আছে, সেখানে ভর্তি করে দিন। আপনার ইন্টারেস্ট দয়া করে ওর উপর চাপাতে যাবেন না। আর সারাক্ষণ ওর পিছনে খিটখিট করবেন না। এইটা করিস না- ওইটা করিস না বলে শিশুকে পাগল করে দেবেন না। মনে রাখবেন, দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে না বেরিয়ে, স্কুলের গন্ধ না পেয়ে, বন্ধুদের মুখ না দেখে ওরা এমনিতেই মানসিক অবসাদে ভুগছে।
একটা জিনিস এখন পরিষ্কার যে করোনা আমাদের ছেড়ে এই মুহূর্তে বিদায় নেবে না। অদূর ভবিষ্যতেও নেবে কি না কেউ জানেনা! তৃতীয় ঢেউয়ের পরে চতুর্থ -পঞ্চম ঢেউ হয়তো আসবে! একে নিয়েই ঘর করতে হবে আমাদের। এভাবে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রেখেও কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের শিশুগুলো মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছে। লকডাউন কখনওই স্থায়ী সমাধান নয়। বিকল্প ভাবতেই হবে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন করে অর্থাৎ অল্টারনেটলি শিশুদের স্কুলে আনতেই হবে করোনা সুরক্ষা বিধি মেনেই। প্রতিবেশী বহুদেশে স্কুল-কলেজে পঠন-পাঠন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই দেশেও কেরলে মাধ্যমিক- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছে, ফলও বেরিয়েছে। রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সংগঠন গুলো সতর্ক থাকলে, প্রশাসন আরও কড়া হলে, তৃতীয় ঢেউ তেমন কোনও ক্ষতি করতে পারবে না আমাদের শিশুদের, এমনটা তো আশা করতেই পারি।
আরেকটা কথা, করোনা নিয়ে সচেতনতা ভালো, কিন্তু সেটা যেন বাতিকের পর্যায়ে চলে না যায়। অন্য অনেক রোগের তুলনায় করোনা মামুলি এক ভাইরাস ঘটিত রোগ। ৯০-৯৫ শতাংশ রোগী বাড়িতে থেকেই ভালো হচ্ছেন। ৫ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও মৃত্যু হার কিন্তু কম। গতবার ছিল ২-৩ শতাংশ, এবার আধ শতাংশ থেকে এক শতাংশ মৃত্যু হয়েছে এই রাজ্যে। তাই বলে আনন্দে নৃত্য করার সময় এখনও আসেনি। শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে গার্জিয়ানদের সতর্ক থাকতেই হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন নিতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই শিশুদের নিজেদের থেকে আলাদা করে দিতে হবে, অন্তত দশ দিন। সোয়াব টেস্ট অবশ্যই করাবেন। বিনামূল্যে টেলিমেডিসিনের ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেবেন।
তৃতীয় ঢেউ এড়াতে শিশুদের বেলায় স্পেশাল প্রোটেকশন বলে কিছু নেই। কোনও স্পেশাল খাবার বা ওষুধও নেই করোনা আটকানোর। ভরসা রাখতে হবে মাস্ক, সাবান বা স্যানিটাইজারের ব্যবহার এবং ভিড় এড়িয়ে চলার উপরেই। ভরসা রাখতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকদের উপর। পেশাগত দিক থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ডাক্তার মারা গিয়েছেন এই করোনায়, আরও হয়তো মারা যাবেন। তবু তারা লড়ছেন, লড়বেনও আমাদের আগামী প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। কাজেই ইন্দ্রজা ভয় পেয়ো না। সাবধানে থাকো। এই দুঃসময় খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী