উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য, ব্যবসায় গোলোযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
স্ট্যাচু অব ইউনিটি: ভারতের গুজরাতে তৈরি হয়েছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের এই মূর্তি। উচ্চতা ১৮২ মিটার। সর্দার সরোবর বাঁধের কাছে তৈরি এই মূর্তি ৫৮ মিটার বেসের উপর রাখা হয়েছে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার হলেও মূর্তির ক্ষতি হবে না। আবার ৬.৫ কম্পন মাত্রাও ক্ষতি করতে পারবে না।
স্প্রিং টেম্পল বুদ্ধ: চীনের লুসান প্রদেশে এক বৌদ্ধ গুম্ফার উপর তৈরি হয়েছে এই স্ট্যাচু। এর উচ্চতা ১২৮ মিটার। ১৯৯৭ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০০৮ সালে। নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার।
লেকুউন সেতকার: মায়ানমারের এই মূর্তি হল উচ্চতার দিক থেকে তৃতীয় স্ট্যাচু। এর উচ্চতা ১১৫.৮ মিটার। গৌতম বুদ্ধের এই মূর্তিটি ১৯৯৬ সালে তৈরি শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০০৮ সালে। সাগিয়াং প্রদেশের মনওয়ার কাছে এই মূর্তিটি পদ্মফুলের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই মূর্তির নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত উঠতে পারেন পর্যটকরা। দেখতে পারেন পাশেই থাকা লায়িং বুদ্ধ বা শুয়ে থাকা বুদ্ধের মূর্তিও।
উসিকু দায়াবাৎসু: উচ্চতার নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ স্ট্যাচুটি জাপানের উসিকু প্রদেশে অবস্থিত। এটিও একটি বুদ্ধ মূর্তি। ব্রোঞ্জের এই মূর্তিও পদ্মফুলের উপর তৈরি। উচ্চতা ১০০ মিটার। ১৯৯৩ সালে এই মূর্তিটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই মূর্তিটিই ছিল বিশ্বের উচ্চতম। পর্যটকদের এই মূর্তির অনেকটা উপরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
নুইরিন ক্যানন: জাপানেরই সেন্দাই প্রদেশের ১০০ মিটার উচ্চতার নুইরিন ক্যানন মূর্তিটি বিশ্বের পঞ্চম উচ্চতম। এটির কাজ শেষ হয়েছিল ১৯৯১ সালে। এটি হল আসলে কল্পতরু বা ইচ্ছাপূরণের একটি আকৃতি। পৃথিবীর যে সব মূর্তি উচ্চতার নিরিখে আমাদের কাছে বেশি পরিচিত, সেগুলির উচ্চতা কিন্তু আসলে খুব বেশি নয়।
স্ট্যাচু অব লিবার্টি: ১৮৮৬ সালে এই মূর্তিটি স্থাপিত হয়। আমেরিকাকে এই স্ট্যাচু উপহার দিয়েছিল ফরাসি জনগণ। এই স্ট্যাচুর উচ্চতা মাত্র ৪৬ মিটার। অবশ্য নীচের বেস ধরলে উচ্চতা হয় ৯৬ মিটার। নিউ ইয়র্কে তামার তৈরি এই মূর্তি আসলে হলেন রোমান দেবতা লিবারেটের। তিনি ডান হাতে টর্চ ধরে আছেন। বাঁহাতে ধরা রয়েছে ট্যাবুলা। তাতে আমেরিকার স্বাধীনতার তারিখ ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই খোদাই করা আছে। উচ্চতার নিরিখে এর স্থান ৪৭ নম্বরে।
ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার: এর উচ্চতা মাত্র ৩০ মিটার। ১৯৩১ সালে ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনেইরোতে এই মূর্তি স্থাপন হয়েছিল।
মাদারল্যান্ড কল স্ট্যাচু: রাশিয়ার এই মূর্তি আসলে মাতৃমূর্তির। এর উচ্চতা ৮৫ মিটার। উচ্চতার নিরিখে এর স্থান নয় নম্বরে। ১৯৬৭ সালে যখন এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়, তখন এটিই ছিল উচ্চতম। এখনও মহিলা মূর্তি হিসেবে এটি পৃথিবীর উচ্চতম। মূর্তিটির এক হাতে একটি তরবারি রয়েছে।
৩০ মিটার বা তার বেশি উচ্চতার ১৩৯টি স্ট্যাচু পৃথিবীতে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে পাল্লা দিয়েছে ভারত ও চীন। ৩৫টি এমন মূর্তি বানিয়ে চীন রয়েছে এক নম্বরে। ঠিক পিছনেই রয়েছে ভারত। এরকম মূর্তির সংখ্যা ২৪টি। তিন নম্বরে থাকা জাপানে এমন স্ট্যাচু রয়েছে ১৯টি। চার নম্বরে থাকা তাইওয়ানে এমন মূর্তির সংখ্যা ১০। অর্থাৎ প্রথম চারটি স্থানই এশিয়ার।