Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

হতভম্ব হেমন্ত

মৌমিতা তারণ: মন্তর ফোনটা পেয়ে সারা শরীর শিরশির করে ওঠে মলয়ের। প্রথমে বিস্ময়! তারপর লজ্জা, ভয়, সবকিছু মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সেই শিরশিরানিতে। ফোন ছেড়ে একটু ধাতস্থ হতেই একরাশ অস্বস্তি এসে গ্রাস করে মলয়কে। হেমন্ত কি ওকেই সন্দেহ করছে?
বছরে পাঁচ-ছ’বার আড্ডার আসর বসে মলয়, হেমন্ত, উৎপল আর কমল— এই চার বন্ধুর। ওরা কেউই স্কুল, কলেজ বা পাড়ার বন্ধু নয়। প্রত্যেকেই অফিস কলিগ। একই কোম্পানিতে দীর্ঘদিন একসঙ্গে চাকরির সুবাদে কবে যেন পরস্পরের বন্ধু হয়ে গিয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের পরও রয়ে গিয়েছে অটুট বন্ধুত্ব। ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে তেমন গপ্পোগাথা না হলেও এই মুখোমুখি আড্ডাটির জন্য মুখিয়ে থাকে ওরা। প্রত্যেকেই যথেষ্ট উচ্চপদে থাকা অবস্থায় রিটায়ার করেছে। লাইফের সেকেন্ড ইনিংস ওরা দিলখোলাভাবে উপভোগ করতে চায়। খানাপিনাতে প্রত্যেকেই দিলদরিয়া।
তেমনই এক আড্ডার আসর বসেছিল গতকাল হেমন্তর বাড়িতে। সম্প্রতি ইউরোপ ভ্রমণ সেরে ফেরার পথে জুরিখ এয়ারপোর্টের ডিউটি-ফ্রি শপ থেকে একটি নামী ব্র্যান্ডের হুইস্কি নিয়ে ফিরেছে হেমন্ত। গতকাল সেটারই উদ্বোধন হয়েছে। সঙ্গে ছিল আনুষঙ্গিক খাবারদাবার। মলয়রা খাবারদাবারের দাম হেমন্তকে দিতে দেয়নি। ওরা বাকি তিন বন্ধু মিলে সেটা শেয়ার করেছে। গতকাল এই বাবদ হাজার তিনেক টাকা লেগেছিল। টাকাটা খামে মুড়ে হেমন্তর হাতে দিয়েছিল উৎপল। আবছাভাবে মনে পড়ছে সামনের সেন্টার টেবিলে খামটা রেখেছিল হেমন্ত। কিন্তু ওরা চলে আসার পর সেই টাকার খাম নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। এইমাত্র ফোনে সেটা জানাল হেমন্ত। বিরাট অঙ্কের টাকা নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে অঙ্কটা বড় কথা নয়। টাকাটা পাওয়া যাচ্ছে না সেটাই অস্বস্তির কারণ। অস্বস্তি কিছুতেই কমতে চাইছে না মলয়ের। হেমন্ত কি ওকে সন্দেহ করছে? নইলে সাতসকালে ফোন করল কেন? ধাঁধায় পড়ে যায় মলয়।
সুধা এসে দাঁড়িয়েছে সামনে। হাতে জলখাবারের প্লেট। সুধা মলয়ের স্ত্রী। প্রতি রবিবার জলখাবারে লুচি বানায় সে। মলয়ের লুচিপ্রীতি মারাত্মক। পারলে প্রতিদিন খায়। কিন্তু একজন সুগার পেশেন্টকে প্রতিদিন লুচি খাওয়ানোর কথা ভাবতেই পারে না সুধা। তবে রবিবারটা লুচি বানাতে ভুল হয় না। সুধার হাত থেকে জলখাবারের প্লেটটা নেয় মলয়। একটু অবাক হয় সুধা। লুচির প্লেট হাতে পেয়ে প্রথমেই গোটা একটা লুচি মুখে পোরা স্বভাব মলয়ের। আজ সেরকম কিছুই করল না। প্লেটটা নামিয়ে রাখল টেবিলে। শরীর খারাপ হল নাকি? চিন্তার ভাঁজ সুধার কপালে।
—কী গো, শরীর ঠিক আছে তো?
—কেন শরীরের কী হবে?
—লুচি না খেয়ে প্লেট রেখে দিলে যে?
সুধার কথার কোনও জবাব না দিয়ে মোবাইলটা হাতে তুলে নেয় মলয়।
—তুই কি এখন বাড়ির বাইরে?
উৎপল ফোন ধরতেই জানতে চায় মলয়।
—হ্যাঁ বাজার থেকে ফিরছি। আমাদের লেক মার্কেট বাজার আজ পদ্মার ইলিশে ছেয়ে গেছে। খবরটা পেয়েই চলে এসেছি। নিয়ে নিলাম একটা দেড় কেজির।
ইলিশ কিনে উৎফুল্ল উৎপল।
—ঠিক আছে তুই বাড়ি ফের। আমি পরে ফোন করছি। বাইরের হট্টগোলে তোর কথা পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছি না।
—কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে নাকি? কাল বাড়ি ফিরতে অসুবিধে হয়নি তো?
—না, না সেসব কিছু না। আমি একটু পরে তোকে আবার ফোন করছি।
—ওক্কে ওক্কে। এই আমি পৌঁছেও গেছি প্রায়। তোকে ফোন করতে হবে না। পৌঁছে আমি কল ব্যাক করছি।
....
গতকাল ফুল্লরা বাড়ি ছিল না। মাসির বাড়ি গিয়েছে। আজ সকালে ফিরবে। ইলিশ দেখে খুশি হবে। দুটো কারণে ফুল্লরা ইলিশ ভালোবাসে। প্রথম কারণ অবশ্যই ইলিশের স্বাদ। দ্বিতীয় হল ইলিশ রাঁধতে কোনও ঝামেলা নেই। যেভাবেই রাঁধ সে তোমার মন ভালো করবেই। রান্না করতে ইচ্ছে না হলে স্রেফ ভেজে নিলেই কেল্লাফতে। মাছভাজাকে ফুল্লরা রান্না বলতে নারাজ। আজকাল অবশ্য ফুল্লরা রান্নাঘরে ঢোকে কম। রিটায়ারমেন্টের পর রান্নার দায়িত্ব মোটামুটি উৎপল নিয়ে নিয়েছে। উৎপলদের পরিবারের সব ছেলেরাই রান্নাবান্নায় ওস্তাদ। পৌষপার্বণে বড়জেঠু যেমন পাটিসাপটা বানাত তেমনটি আর কেউ পারত না। প্রতিটা পাটিসাপটা হতো সমান মাপের। ভেতরে গুড় দিয়ে পাক দেওয়া নারকেল পুরের সেই পাটিসাপটার স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে।
আজ দই ইলিশ বানাবে ঠিক করল উৎপল। ফুল্লরা আসার আগেই রান্নাটা সেরে ফেলবে। দই ইলিশে আজ একটা নতুন টাচ দিয়ে তাক লাগিয়ে দেবে বউকে। নামাবার আগে পেঁয়াজের বেরেস্তা দেবে। ইলিশে পেঁয়াজ শুনে নির্ঘাত নাক সিঁটকোবে তার ঘটি বউ। কিন্তু খাওয়ার পর যে হাত চাটবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত আদ্যন্ত বাঙালবাড়ির ছেলে উৎপল। রান্নার আগে মলয়কে ফোন করতে হবে। ওকে ওরিড মনে হল। মোবাইলে মলয়কে কলব্যাক করল উৎপল।
কলিংবেল বাজছে। ফুল্লরা ফিরেছে। ঘড়ির কাঁটা বারোটার ঘর ছুঁয়েছে। এখনও ইলিশ রান্নায় হাত দেয়নি উৎপল। মলয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর থেকে রীতিমতো কনফিউজড ও। এটা কী করে সম্ভব! কাল হেমন্তর বাড়ি যাওয়ার সময় রাসবিহারীর মোড় থেকে কমলকে গাড়িতে তুলেছিল উৎপল। আনুষঙ্গিক খাবারদাবার ফুড ডেলিভারি অ্যাপে হেমন্তই অর্ডার করেছিল। মোট তিন হাজার টাকা বিল হয়েছে। হেমন্তর কাছ থেকে আগেই সেটা জেনে নিয়েছিল উৎপল। গাড়িতে উঠে কমল ওকে হাজার টাকা দেয়। মলয়ের টাকাটা মলয় হেমন্তর বাড়িতে দিয়েছিল। স্পষ্ট মনে আছে উৎপলের ছ’টা পাঁচশো টাকার নোট খামে মুড়ে হেমন্তর হাতে দেওয়ার পর খামটা হেমন্ত সাইড টেবিলে রাখল। কিন্তু মলয়কে নাকি বলেছে টাকাটা সেন্টার টেবিলে রেখেছিল। মলয়ও তেমনই বলছে। উঁহু, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। টাকাটা হেমন্ত সেন্টার টেবিলে রাখেনি। ফোন করে একবার হেমন্তকে সেটা বলা দরকার। ও কি সাইড টেবিলটা দেখেছে? মোবাইল হাতে নিল উৎপল। কনট্যাক্টে হেমন্তর নাম। কিন্তু ক্লিক করতে গিয়ে থমকে গেল। একটা সন্দেহ উঁকি দিচ্ছে মনে। হেমন্ত সকালে মলয়কে ফোন করেছে। ওকে করেনি। তার মানে হেমন্ত কি ওকে সন্দেহ করছে? টাকাটা উৎপল নিয়েছে এরকম কি ভাবছে? বুকের মধ্যে লাবডুব লাবডুব আওয়াজ শুনতে পেল সে।
....
নিউজ চ্যানেল খুললে শুধু চুরির খবর। বিরক্ত লাগে কমলের। আরও বিরক্ত লাগে যখন দেখে একটা চুরিকে জাস্টিফাই করতে আর একটা চুরির উদাহরণ সামনে আনা হয়। কী অবলীলায় নিজের চুরিকে মিথ্যে প্রমাণ করার জন্য গলার শিরা ফুলিয়ে চেঁচায় সব। বিপত্নীক কমলের সন্ধেগুলো কাটে নিউজ চ্যানেল সার্ফিং করে। কমলদের পরিবারে স্বাধীনতা সংগ্রামীর সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। অবিবাহিত হওয়ার সুবাদে ছোড়দাদুর মেয়ে মায়াপিসি আজও তো ছোড়দাদুর স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশনের অংশ উত্তরাধিকারী হিসেবে পায়। ছোট থেকেই বাড়ির পরিবেশে দেশ, সমাজ, রাজনীতি এসবের আলোচনা শুনে বড় হয়েছে কমল। ঠিক-বেঠিকের কিছু মূল্যবোধ অজান্তেই নিজের ভেতরে গড়ে উঠেছে। কিন্তু এখনকার রাজনীতিকে সেসব মূল্যবোধ দিয়ে বুঝতে পারে না কমল। খেই হারিয়ে ফেলে। তবুও নিয়ম করে নিউজপেপার না পড়লে বা নিউজ চ্যানেল না খুললে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আসলে সবটাই পুরনো অভ্যেস।
আজও নিউজ চ্যানেল দেখছিল। একটা চুরির দিনভর খবর দেখাচ্ছে। বিরক্ত লাগলেও কমল দেখে যাচ্ছে। বুঝতে চেষ্টা করছে কতখানি অধঃপতনের দিকে চলেছি আমরা। মোবাইল বাজছে। উৎপলের ফোন। টিভির ভলিউম কমিয়ে ফোনটা ধরে কমল।
—হেমন্তর ব্যাপারটা শুনেছিস?
ওপারে উৎপলের জিজ্ঞাসা।
—কোন ব্যাপার?
—তোকে ফোন করেনি ও?
—না তো। কেন কী হয়েছে?
যাক তার মানে ওকে একা নয়, কমলকেও ফোন করেনি হেমন্ত। কিছুটা স্বস্তি লাগে উৎপলের।
—গতকাল আমরা খাবারের দামবাবদ যে টাকাটা ওকে দিয়েছিলাম সেটা নাকি আমরা চলে আসার পর ও আর পাচ্ছে না!
—মানে? টাকার খামটা তো ও সেন্টার টেবিলে রেখেছিল।
—সেন্টার টেবিলে? নাকি সাইড টেবিলে রেখেছিল?
জানতে চায় উৎপল।
এক মুহূর্ত থমকায় কমল। মনে করার চেষ্টা করে টাকার খামটা ঠিক কোন জায়গায় রেখেছিল হেমন্ত। যতদূর মনে পড়ছে সেন্টার টেবিলেই রেখেছিল। একবার ওয়াশরুমে গিয়েছিল কমল। ফিরে এসে কি খামটা সেখানে দেখেছি? মনে পড়ছে না। তাহলে কি পরে সাইড টেবিলে রেখেছিল হেমন্ত? সবকিছু কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে কমলের।
—সে যেখানেই রাখুক, টাকাটা তো ওর বাড়িতেই থাকবে। বাড়িতে তো ও আর ওর বউ ছাড়া কেউ থাকে না।
—আমিও তো সেটাই ভাবছি। তাহলে টাকাটা যাবে কোথায়?
—এ ব্যাপারে হেমন্তর বক্তব্য কী?
—আরে ও তো আমায় ফোন করেনি। মলয়কে করেছে। মলয় আমায় জানাল ব্যাপারটা।
—আচ্ছা তুই ফোন রাখ। আমি দেখছি ওকে ফোন করে।
একটা দমবন্ধ অবস্থায় কমলকে ফেলে দিল উৎপলের ফোন। মনে হল টাকাটা খুঁজে না পেলে সবাই কি ওকে সন্দেহ করবে? ও যে একবার ওয়াশরুমে গিয়েছিল সেটা কি হেমন্ত বা অন্যদের ওর প্রতি সন্দেহ বাড়াবে?
....
মন ভালো নেই হেমন্তর। সেদিনের পর থেকে কেটে গিয়েছে চারমাস। এই চারমাসে ওদের বন্ধুদের আড্ডা আর বসেনি। সেজন্য এখন নিজের উপরই রাগ হয় হেমন্তর। কী দরকার ছিল টাকাটা যে পাচ্ছে না, সেটা সাত তাড়াতাড়ি মলয়কে ফোন করে জানানোর? ইতিমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে দু-একবার ফোনে টুকটাক কথা হয়েছে। আগের মতো উচ্ছ্বাস নেই কারও গলায়। অবশ্য, টাকা না পাওয়ার প্রসঙ্গ কেউ তোলেনি। আবার আড্ডায় বসার কথাও কেউ বলেনি। আড্ডা এবং বন্ধুদের খুব মিস করছে হেমন্ত। কর্মক্ষেত্রের মাঝামাঝি এসে পাওয়া এই ক’জন বন্ধু অজান্তেই বড় কাছের হয়ে গিয়েছিল। কার্শিয়াংয়ের বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা হেমন্তর। ছোট থেকে বোর্ডিংয়ে থাকার কারণে পাড়ায় কোনও বন্ধু নেই। মেয়ের বিয়ের পর থেকে বালিগঞ্জের এই বাড়িতে এখন কেবল ও আর মানসী থাকে। স্ত্রী মানসীও ওরই মতো। নিকট কিছু আত্মীয়স্বজন ছাড়া তেমন বন্ধুবান্ধব কেউ নেই। নিজের মনেই থাকতে পছন্দ করে মানসী।
ভাইপোর বিয়ে উপলক্ষে এক সপ্তাহ হল মানসী দাদার বাড়ি লেকটাউনে রয়েছে। হেমন্ত যাতায়াতের মধ্যে আছে। পরশু বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর বালিগঞ্জের বাড়িতে ফিরে এসেছে। বউভাত উপলক্ষে আজ আবার যাবে। মানসী বলেছে সকাল সকাল চলে যেতে।
স্নান সেরে বেরতেই মানসীর ফোন। নির্ঘাত হেমন্তকে তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য ফোন করেছে।
—আরে তাড়া দিতে হবে না। স্নান হয়ে গেছে।  আধঘণ্টার মধ্যেই আমি বেরিয়ে পড়ব।
—আমি মোটেও তাড়া দিতে ফোন করিনি।
—ওহ্, তাহলে ঝটপট বলে ফেল কী কারণে ফোন।
—শোনো না আমার ওয়ারড্রোব খুলে দেখ সামনেই একটা শাড়ির প্যাকেট আছে। শাড়িটা বউদির জন্য কিনেছিলাম। আনতে ভুলে গেছি। তুমি আসার সময় সঙ্গে করে নিয়ে এসো।
—ওকে, কিন্তু ওয়ারড্রোবের চাবি কোথায়?
—বেড সাইড টেবলের ড্রয়ারে।
—ঠিক আছে।
ফোন রেখে দেয় হেমন্ত।
মানসীর ওয়ারড্রোব খুলতেই একগাদা শাড়ি, ব্যাগ, ব্লাউজ হুড়মুড়িয়ে পড়ল মেঝেতে। মানসী চিরকালই অগোছালো। কিন্তু তাই বলে নিজের ওয়ারড্রোবে এভাবে সবকিছু গুঁজে গুঁজে রাখবে? বিরক্ত হয় হেমন্ত। বউদির জন্য কেনা শাড়ির প্যাকেটটা মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। সেটা তুলে খাটের উপর রাখে। এরপর মেঝের শাড়ি, ব্যাগ, ব্লাউজগুলো ওয়ারড্রোবে তুলে রাখার জন্য নিচু হতেই হতবাক! উপুড় হয়ে পড়ে থাকা মুখখোলা বড় কালোব্যাগটার পাশে পড়ে আছে সেই টাকার খামটা। এটা এখানে এল কী করে! হতভম্ব হেমন্ত। তবে কি মানসী.....? কিন্তু মানসীর কীসের অভাব! ইচ্ছেমতো টাকাপয়সা খরচ করায় ওর তো কোনও বাধা নেই। হেমন্ত সেসব দিকে ফিরেও তাকায় না। চোখ যায় মেঝেতে পড়ে থাকা কালোব্যাগের চারপাশে। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কাপড় শুকোবার ক্লিপ, একগোছা প্লাস্টিকের দড়ি, একটা পুরনো পেপারওয়েট, পেতলের ফুলদানি, একপাটি নতুন চটি, স্টিলের চা-ছাঁকনি, একটা কাঠের স্প্যাচুলা, শীর্ষেন্দুর ‘ভুল করার পর’ বইটা, এক প্যাকেট তেজপাতা। হতবাক হেমন্ত বুঝতে পারে না এই জিনিসগুলো ওয়ারড্রোবে রেখেছে কেন মানসী! বুক কাঁপছে হেমন্তর। ঘামছে হাতের দুই পাতা। কোনওমতে নিজেকে সামলে খাটে বসে পড়ে সে। 
কার্শিয়াং বোর্ডিং স্কুলের রুমমেট রাকেশ মাহেশ্বরীর কথা মনে পড়ছে। হেমন্তর হারিয়ে যাওয়া ছোট-বড় অনেক জিনিস পাওয়া যেত রাকেশের সুটকেসে। অথচ রাকেশের কোনওকিছুর অভাব ছিল না। ওর বাবা ছিলেন দেশের একজন প্রতিথযশা কার্ডিয়াক সার্জন। তখনই শুনেছিল শব্দটা। এই মুহূর্তে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সেই শব্দ— ক্লেপটোম্যানিয়া! 
09th  February, 2025
মওলা বকশ  ও লাহোরি   দরওয়াজা

দ্বিতীয় আকবর শাহের একার নয়। মুঘল সম্রাটদের কমবেশি সকলের দুর্বলতা হল হাতি। শাহজাহানের আমল থেকেই আস্তাবলে কমপক্ষে ৬ হাজার হাতি থাকা যেন সর্বদাই স্বাভাবিক।
বিশদ

02nd  February, 2025
সেকালের ডুয়েল

১৭৮০ সালের ১৭ আগস্ট। কলকাতার আকাশে ভোরের আলো ফুটে উঠছে। আলিপুরের এক নির্জন অংশে দু’জন বিদেশি একে অপরের দিকে পিস্তল তাক করে দাঁড়িয়ে।
বিশদ

02nd  February, 2025
ভালোবাসার উপহার

হঠাৎ অসময়ে ইন্দিরাকে দু’কাপ চা নিয়ে ওর ঘরে ঢুকতে দেখে সুচেতন একটু অসন্তুষ্টই হল। সুচেতনের এই একান্ত নিজস্ব ঘরে খুব বেশি লোকজন আসুক সেটা ও পছন্দ করে না। ঘরটা ওর একদম নিজস্ব মনের বিচরণ ক্ষেত্র। ঘরটিতে ওর পছন্দের সব জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো।
বিশদ

02nd  February, 2025
কুলের  রেসিপি

মসুর ডাল ১ কাপ, কুল ১০০ গ্ৰাম, হলুদ গুঁড়ো  চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদমতো, কাঁচালঙ্কা ২-৩টে, তেল পরিমাণ মতো, ফোড়নের জন্য: শুকনো লঙ্কা ২টো, কালো সর্ষে  চা চামচ, গোটা জিরে  চা চামচ, রাঁধুনি  চা চামচ। 
বিশদ

01st  February, 2025
টুকরো  খবর

চীনে নববর্ষ উপলক্ষ্যে ড্রাগন ডান্স সহ এক ভিন্ন ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হয় চাওম্যান রেস্তরাঁয়। চীনে নৃত্য ও খাবার দুই-ই বিশেষ জনপ্রিয়। চাইনিজ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বছরটি ইয়ার অব দ্য স্নেক। তা সমৃদ্ধির প্রতীক। চীনে নববর্ষ পালন হবে, অথচ খাওয়াদাওয়া হবে না তাও কি হয়?
বিশদ

01st  February, 2025
কপির কেরামতি

সেদ্ধ বাঁধাকপি ১ বাটি, ছোলা এবং মটর ডাল বাটা ১ বাটি, কাঁচালঙ্কা-আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ ১ চামচ, লঙ্কার গুঁড়ো ১  চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, ভাজা মশলা ২ টেবিল চামচ (শুকনো গোটা গরমমশলা, শুকনো লঙ্কা, জিরে, ধনে হালকা করে ভেজে গুঁড়ো করে নিতে হবে), ভাজার এবং রান্নার জন্য প্রয়োজন মতো সর্ষের তেল,  নুন ও চিনি স্বাদ মতো, ফোড়নের জন্য: গোটা শুকনো লঙ্কা, জিরে, হিং। (ধোকা মাখার সময় যদি খুব নরম থাকে তাহলে প্রয়োজনে একটু বেসন মেশানো যেতে পারে।)
বিশদ

01st  February, 2025
দুই বাংলার পোলাও

এপার ও ওপার বাংলার তিন ধরনের পোলাওয়ের রেসিপি জানালেন ইছামতী রেস্তরাঁর কর্ণধার মিতাশ্রী চৌধুরী।
বিশদ

01st  February, 2025
ভ্যালি অব ডলস

শটি আধুনিক প্রযুক্তির পীঠস্থান। সেই সঙ্গে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন হস্তশিল্প। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেল। তাই নানা কারণে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র— জাপান। চারটি প্রধান এবং অসংখ্য ছোট দ্বীপ নিয়ে এই দেশ।
বিশদ

26th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: সিরি ফোর্ট
সমৃদ্ধ দত্ত

সাবধানে পা ফেলতে হবে। দেখে তো মনে হচ্ছে মাটি। ঘাস। পাথর। অনায়াসে পা রেখে রেখে এগিয়ে চলা যায়। একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্য একটি ধ্বংস চিহ্নে যাওয়ার জন্য যে ব্যাসল্ট পাথরের অমসৃণ টুকরোয় সতর্কভাবে পা রাখতে হয়, সে সতর্কতা নিছক পিছলে পড়ে যাওয়ার জন্য? বিশদ

19th  January, 2025
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
একনজরে
আদালতের নির্দেশে গাছ লাগাতে গিয়ে মামলার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। দীর্ঘ ২৫ বছর পরে সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।  ...

আলুর অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে মাঠে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। চাষিদের কাছ থেকে সুফল বাংলা স্টলে সরাসরি আলু কেনা হচ্ছে। সোমবার ন’কুইন্টাল আলু কেনা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, এখন পোখরাজ আলু উঠছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ...

দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া কর্ণাটকে। ফ্ল্যাট থেকে মিলল একই পরিবারের চার সদস্যের মৃতদেহ! ঘটনাটি মাইসুরুর বিশ্বেশ্বরাইয়া নগরের। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন চেতন (৪৫), তাঁর স্ত্রী রূপালী (৪৩), মা প্রিয়ম্বদা (৬২) ও ছেলে কুশল (১৫)। ...

সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন বা সার্ক-এর পুনরুজ্জীবনে ভারতকে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করল বাংলাদেশ। রবিবার ওমানের রাজধানী মাসকটে অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৪:  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু
১৪৮৬: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম
১৫৪৬: মার্টিন লুথারের মৃত্যু
১৫৬৪: ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যু
১৮৩৬: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেবের জন্ম
১৮৯৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের জন্ম
১৯২৭:  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার মহম্মদ খৈয়াম হাশমির (যিনি খৈয়াম নামেই পরিচিত) মৃত্যু।
১৯৩০: প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়
১৯৬৭: ইতালির ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর জন্ম
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়
১৯৭৭: অভিনেত্রী কাবেরি বসুর মৃত্যু
১৯৯৭:  হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মৃত্যু 
২০০৭: হরিয়ানায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৬৮ জনের
২০১৬: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী তথা পদ্মভূষণ আবদুল রশিদ খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৬ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩১ টাকা ১১১.০৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ৩/৩৩ দিবা ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৬/১০/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে। 
৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী শেষরাত্রি ৪/৫২। স্বাতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৪৮ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে।   
১৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশ্যে সলমন খানের 'সিকান্দর'-এর প্রথম পোস্টার

12:17:35 AM

রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকের পরেই সৌদি সফর পিছিয়ে দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

11:03:59 PM

খড়্গপুর স্টেশনে আটকে পড়ল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন
ঝড় বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি। খড়্গপুর ...বিশদ

10:52:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল মুম্বই

10:45:00 PM

কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে আগুন, ঝাড়গ্রামে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে অগ্নিকাণ্ড। আজ, ...বিশদ

10:43:00 PM

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট, গোরাপাড়াসহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চোলাই নষ্ট করল আবগারি দপ্তর

09:20:00 PM