Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। সঙ্গে আসা মেয়েকে বললেন, ‘এই না হলে বড় ডাক্তারের চেম্বার! এবার দেখিস, আমার একটা ঠিকঠাক চিকিৎসা হবে।’
‘কী করে বুঝলে?’
‘নামটা দেখছিস না! ‘মিশ্রা’। মনে হচ্ছে অবাঙালি। বাঙালিগুলো ডাক্তারি মোক্তারি যা-ই পড়তে যাবে, কলেজে গিয়েই পার্টি পলিটিক্স করবে। ওভাবে কি আর পড়াশোনা হয়? তাই ডাক্তারে রোগ সারাতে পারে না, মোক্তারে মামলা জেতাতে পারে না। আর ওটা মিশ্রও হতে পারে।’
আরও কিছু মতামত পেশ করতে চাইছিলেন মিসেস দত্ত, কিন্তু হাতের পাতায় একটা চিমটি খেয়ে আপাতত উদগত ভাষণ সংবরণ করতে বাধ্য হলেন। মেয়ে চিমটি দিয়ে ব্রেক লাগানোর পর সতর্কবার্তাও দিল, ‘পাবলিক যদি তেড়ে আসে মা, আমি কিন্তু তোমাকে চিনতে পারব না।’
রিসেপশন থেকে ডাক এল বলে মেয়ের কথার সমুচিত জবাব দেওয়া হল না মিসেস দত্তের। সুবেশা তরুণীটির হাতে হাজার টাকা জমা দিয়ে চারপাতার ফর্ম হাতে করে নিজের সিটে ফিরে এলেন তিনি। কোনওরকমে একটা পাতা ভর্তি করে ফর্মখানা মেয়ের হাতে গছিয়ে দিলেন মিসেস দত্ত।
‘বাপ রে বাপ! কবে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছি। আর এরা এখন মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ লিখতে বসিয়ে দিয়েছে। পরীক্ষার খাতায়ও কোনওদিন এত লিখতে হয়নি।’
মেয়ে আর কিছু না বলে চুপচাপ ফর্ম ফিলআপ করতে লাগল, আর মা পাশের মহিলার সঙ্গে গল্প শুরু করলেন।
—আপনি কি আজ প্রথম?
—না। মাসখানেক আগে এসেছিলাম কত্তাকে নিয়ে। আজ অবশ্য নিজের জন্য এসেছি।
—ওহ। আপনার কত্তা ভালো আছেন?
—হ্যাঁ। ডক্টর মিশ্র ওঁকে আর এক ডাক্তারবাবুর কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাঁর ওষুধ খেয়ে এখন সুস্থ। তাই কত্তাই জোর করে আমাকে এখানে পাঠালেন।
—যাক, তাহলে আমার বোন ঠিক জায়গাতেই পাঠিয়েছে। বোন বলল, এতদিন ধরে ভুগছিস দিদি, এত ডাক্তারবদ্যি করলি, একবার কষ্ট করে ডাক্তার মিশ্রাকে দেখিয়ে আয়, ফল পাবি। তাই সেই চুঁচড়ো থেকে এতদূর এসেছি।
—ভালো করেছেন। তা আপনার সমস্যাটা কী?
—আর বলেন কেন! হাত নিয়ে যা ভুগছি! কাজের হাত, এদিকে আঙুলগুলো মুঠো করতে পারি না। অনেক চিকিৎসা করালাম, সারল না। বোনের কথায় অনেক আশা নিয়ে এসেছি এখানে।
—কিন্তু উনি তো...।
রিসেপশন থেকে ডাক এসে যাওয়ায় পার্শ্ববর্তিনীর বাকি কথাটুকু আর শোনা হল না মিসেস দত্তের।
রিশেপসন থেকে পাঠানো ঘরটাতে ঢুকে ভীষণ হতাশ হলেন মিসেস দত্ত। তিনি আশা করেছিলেন, এত অভিজ্ঞ একজন ডাক্তার, যাঁর জন্য এত দূর থেকে আসা, তিনি নিশ্চয়ই কোনও বয়স্ক মানুষ হবেন। মাথায় থাকবে পাকা চুল। অবশ্য কাঁচায় পাকায় মেশানো হলেও মেনে নেওয়া যাবে। চোখে চশমা, বেশ কলেজের প্রিন্সিপাল নিদেনপক্ষে স্কুলের হেডমাস্টার গোছের চেহারা হবে। চেহারায় বেশ বিধান রায় সুলভ ভাব থাকবে! যাঁকে দেখেই আঙুলগুলো বিনয়ে অর্ধেক নুইয়ে পড়বে। বাকি অর্ধেক না হয় চিকিৎসার পর মাথা নোয়ালেই হবে। অথচ এই ঘর আলো করে বসে আছে এক হাল ফ্যাশানের ছুকরি! ডায়েটের চক্করে বেচারার চেহারা পেন্সিলের মতো। চুলগুলো পার্লারের পাল্লায় পড়ে খ্যাংরাকাঠি। নাকের ডগায় একটা চশমা থাকার কথা ছিল বটে, তবে সে আপাতত মাথায়, চুল সামলাচ্ছে। হাজার টাকা জমা দেওয়া না হয়ে গেলে মিসেস দত্ত এমন চেহারার ডাক্তার দেখে অবধারিত দরজামুখো হতেন না। কিন্তু এখন চার পাতার ফর্মটা মেয়েটার বাড়ানো হাতে দিতে বাধ্য হলেন।
মেয়েটা এমনভাবে হুমড়ি খেয়ে পড়ল ফর্মটার ওপর যেন পরীক্ষার পড়া মুখস্থ করছে। রোগীর দিকে ফিরেও দেখল না। বাধ্য হয়ে রোগী নিজের থেকেই দুঃখের কথা বলতে শুরু করলেন। ব্যথার ইতিহাসটুকু বলা শেষ করে ভূগোল শুরু করতে যাবেন, মেয়েটা ভুরুজোড়ার বাঁক আরও তীক্ষ্ণ করে বলল, ‘এসব কথা আমাকে নয়, ডক্টর মিশ্রকে বলবেন।’
‘ওহ। তুমি তিনি নও?’ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন মিসেস দত্ত।
‘আমি ওঁর জুনিয়র।’ মিস পেন্সিল ফর্ম দেখে দেখে কম্পিউটারে ডেটা ভরতে লাগল।
এক জুনিয়রের সঙ্গে মোলাকাত শেষ করার পর আবার অপেক্ষা। এবারে অন্য লাউঞ্জে। কিছুক্ষণ পর আবার ডাক পড়ল, এবারও আর এক জুনিয়রের ঘরে। সেই করিৎকর্মা ছোকরা কোনও কথা বলার অবকাশ না দিয়ে ঝটপট উচ্চতা, ওজন মাপতে লাগল।
দত্তগিন্নির মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল, ‘তুমি ডাক্তার না দর্জি?’
‘আমি জুনিয়র ডক্টর মিশ্র। সিনিয়র আমার বাবা।’  
ছোকরার কথাতে মিসেস দত্তের পি সি সরকার সিনিয়র, জুনিয়রের কথা মনে পড়ে গেল। এবার তাঁর হাত ম্যাজিকের মতো সেরে যাবে, এই ভরসা তাতে আরও দৃঢ় হল। ইতিমধ্যে জুনিয়র মিশ্র প্রেশার মাপতে শুরু করে দিয়েছে।
‘আমার তো সমস্যা আঙুল ভাঁজ করা নিয়ে, প্রেশার মেপে কী হবে বাবা?’
‘প্রেশারটাই তো আসল মাসিমা। প্রেশার থাকলে মোরগে ডিম দেয়, সাদা খাতাতে নম্বর পড়ে, আর সোজা আঙুল বেঁকবে না!’
দত্ত গিন্নি হতবাক। এতখানি বয়স হল, প্রেশারের সঙ্গে মানুষের এমন হাড়ে-হাড়ে সম্পর্কের কথা তিনি এর আগে কখনও শোনেনইনি। এখানে এসে যত দেখছেন ডক্টর মিশ্রের ওপর তাঁর শ্রদ্ধা ভক্তি তত বেড়ে যাচ্ছে।
তিনখানা ছাঁকনিতে ছাঁকার পর অবশেষে ডাক এল ডক্টর মিশ্রর খাস দরবারে। বড় একটা ঘরের ঠিক মাঝে পাতা বিরাট টেবিলের ওপিঠ থেকে ম্যাজিশিয়ানের ভঙ্গিতে তিনি বললেন, ‘ললিতা দত্ত, বয়স ছেচল্লিশ। বসুন।’
আপ্লুত মিসেস দত্ত চেয়ারে বসে সবেমাত্র তাঁর রোগের বিবরণ শুরু করেছেন, ডক্টর মিশ্র তাকে থামিয়ে দিলেন।
‘আমার ল্যাপটপে সব আপলোডেড হয়ে গিয়েছে। আপনার প্রবলেম আমি জানি। আর কিছু বলতে হবে না।’
খসখস করে প্রেসক্রিপশন লিখতে লাগলেন ডাক্তারবাবু।
‘হাতটা একবার দেখবেন না?’
‘ইনি দেখবেন।’ প্রেসক্রিপশনটা ললিতা দত্তের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে ডাক্তার মিশ্র বললেন, ‘আপনাকে যেতে হবে ডক্টর শ্যামসুখার রিস্ট অ্যান্ড পাম ক্লিনিকে। ওখানে চিকিৎসা হলেই আপনি পুরো সেরে যাবেন। যোগাযোগের ডিটেইলস দিয়ে দিলাম। রিসেপশনে এই কাগজটা দেখালে অ্যাপয়েনমেন্ট করে দেবে।’
....
সতেরো নম্বরে নাম ছিল রমাপদর। সপ্তাহে মাত্র দু’দিন এই ক্লিনিকে বসেন ডাক্তারবাবু, তাই ভিড়টা একটু বেশিই হয়। তা সত্ত্বেও রমাপদ এসেছে এবং তিন ঘণ্টা ধরে বসে আছে। কারণ ওর পেটের রোগটা কিছুতেই সারছে না। হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথি, বাবাজিপ্যাথি— কোনও কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু পেটটা কব্জায় আসছে না কিছুতেই। প্রথম প্রথম শুধু শব্দ ছিল। এখন কানকে বিরাম দিয়ে হতচ্ছাড়া পেট নাককে পাকড়েছে। একমাত্র এই কারণে বউ বহুদিন আগে বিছানা আলাদা করেছে। এখন তো ঘরও আলাদা। শুধু কি আর বাড়িতে একঘরে রমাপদ! নিজের পরিপাকতন্ত্রের এমন বিমাতৃসুলভ আচরণের কারণে তিনি বন্ধুবান্ধব, আড্ডা সবই ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। অসামাজিক হয়ে যাচ্ছেন রমাপদ। লোকজনের সংসর্গ ত্যাগ করে সমাজ মাধ্যমেই অবসর সময়টা কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। আর সেখান থেকেই ডক্টর মিশ্রের সন্ধান পাওয়া।
তিনদফা ইন্টারভিউয়ের চাপ সামলে ডক্টর মিশ্রের চেম্বারে ঢোকার আগে ওয়াশরুমে ঢুকে বেশ করে পারফিউম মেখে নিলেন রমাপদ। পারফিউম হল সেফ গার্ড। মা গন্ধেশ্বরীর নাম নিতে নিতে চেম্বারে ঢুকলেন তিনি। ঢুকেই চমকে গেলেন।
‘আরে! তুই প্রদীপ না?’
‘তাই তো আলো জ্বেলে বসে আছি। তুই তো রমা...! ঠিক চিনেছি।’
কলেজে বন্ধুরা তার নামের ‘পদ’ অংশটি বিকৃত করে খ্যাপাত। কিন্তু এখন বিস্ময় তাকে এত বেশি পেড়ে ফেলেছে যে, ওসব ফচকেমি গায়ে মাখলেন না। সোজাসাপটা প্রশ্ন করে বসলেন, ‘তুই তো বাঁকুড়া কলেজে আমার সঙ্গে ইতিহাস অনার্স পড়তিস! তুই ডাক্তার হলি কী করে?’
‘তোর সঙ্গে ইতিহাসে অনার্স পড়লে কি ডাক্তার হওয়া যায় না? অনার্সের পর মাস্টার্স করলাম, তারপর থিসিস লিখলাম, পিএইচডি ডিগ্রি পেলাম। নামের আগে ডক্টর বসল। ডক্টর প্রদীপ মিশ্র। সংক্ষেপে ডক্টর মিশ্র। এরমধ্যে অসুবিধা কোথায়?’
হয় প্রদীপ পাগল হয়ে গিয়েছে নয়তো ওর ওপরে শয়তান ভর করেছে, মনে মনে ভাবলেন রমাপদ।
‘পিএইচডি আমাকে শেখাস না প্রদীপ। আমি অতটাও মূর্খ নই। ডক্টর অব ফিলোজফি ডিগ্রি দিয়ে তুই ডক্টর অব ফিজিওলজির কাজ চালাচ্ছিস! এই জালিয়াতি বিজনেসের জন্য তোকে তো পুলিসে দেওয়া দরকার!’
প্রদীপ মিশ্র হাসলেন। নিরুদ্বেগ গলায় রমাপদকে বললেন, ‘ঠান্ডা হও বন্ধু। তারপর আমাকে বুঝিয়ে দাও কোন জায়গাতে আমি জালিয়াতি করছি। নামের আগে ডক্টর বসানোর আইনি অধিকার আমার আছে। বিশ্বাস না হলে সার্টিফিকেট কথা বলবে। আর বাইরে যে বোর্ড লাগানো, তাতে লেখা সমস্ত জটিল রোগ নিরাময়ে সুপরামর্শ দেওয়া হয়। আমি  চিকিৎসাও করি না, ওষুধও দিই না।’
‘কিন্তু রোগীরা তো চিকিৎসা করাতেই আসে! তারা কি তোর কথার অত মারপ্যাঁচ বোঝে?’
‘তাতেই বা জালিয়াতি হয় কী করে? ডিগ্রিধারী নির্ভেজাল ডাক্তারেরা রেফার করেন না? রোগীরা হন্যে হয়ে এ ডাক্তার ও ডাক্তার করে বেড়ায় না? কোথায় গেলে সঠিক চিকিৎসা হবে তার সন্ধান পেতেই তাদের কত সময় কেটে যায়, আর তাতে রোগও বেড়ে যায়। ধর তোর পেটে খুব ব্যথা, নড়তে চড়তে পারছিস না। বহু চেষ্টা করে একজন বড় ডাক্তারের অ্যাপয়েনমেন্ট পেলি। একগাদা টাকা দিয়ে, একটা দিন ছুটি নিয়ে ডাক্তার দেখালি। তারপর ডাক্তার তোকে বলল, আপনার পেট ব্যথার উৎসটা দেখছি ক্ষুদ্রান্ত্রে। আমি পাকস্থলী স্পেশালিস্ট। এটা আমার কেস নয়। তখন? তার চাইতে আমি সমস্যাটা বিচার করে সঠিক জায়গায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। লোকের পয়সা, সময় সবই বাঁচছে।’
‘তোর পরামর্শ যে সঠিক হবে তার কি গ্যারান্টি আছে?’
‘আরে বাবা বলতে পারিস আমি এব্যাপারটা গুলে খেয়েছি। বহুবছর ধরে ডাক্তার আর রোগ নিয়ে নাড়াঘাঁটা করে করে আজকে এই জায়গায় এসেছি। বাবা, মা আর গিন্নির জন্য এ জীবনে এতরকম ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়েছে যে, এ ব্যাপারে আমার আর একটা থিসিস হয়ে যায়। ব্যস ওই জ্ঞানের পুঁজি ব্যবসায় লাগিয়ে দিলাম। আর বাকিটা হল রেগুলার আপ টু ডেট থাকা, যাকে বলে রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট। এটা নিয়ে চাপ নেই, মেয়ে এটা ভালোই পারে।’
‘তুই তো দেখছি নামের মর্যাদা রেখেছিস। নানা কিসিমের ডাক্তার গুলে খেয়ে পারফেক্ট মিশ্র পদার্থ হয়ে উঠেছিস। তা মেয়েও কি এই লাইনে?’
‘ছেলে, মেয়ে দু’জনেই। ওই যে আগের দুটো ঘরে যে দু’জন জুনিয়র ছিল, ওরাই তারা। একেবারে পারিবারিক ব্যবসা।’
রমাপদ চুপ করে কয়েক সেকেন্ড ভাবলেন। সত্যিই তো, প্রদীপের কারবারে কোনও জালিয়াতি নেই। নামের আগে ‘ডক্টর’ লেখা তার ন্যায্য অধিকার। এটাকে যদি লোকজন ‘ডাক্তার’ ভাবে, তবে সেটা তাদের সমস্যা। তাতে প্রদীপের কোনও দায় নেই। আর সে তো চিকিৎসা করছে না। কোথায় গেলে চিকিৎসা পাওয়া যাবে সেটাই বাতলে দিচ্ছে। তাহলে তার জোচ্চুরিটা কোথায়? পরামর্শ দেওয়াটা তো আর দোষের নয়। বন্ধুর বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারেন না রমাপদ।
‘তার মানে রোগীদের জন্য তুই  কনসালটেন্সি খুলে বসেছিস, দারুণ আইডিয়া কিন্তু। একদম সময়ের সঙ্গে তাল মেলানো আইডিয়া। ভাববার মতো ব্যাপার বটে।’
‘তো ভাব। যত ইচ্ছে ভাব, তবে বাইরে গিয়ে। দয়া করে এবারে আমার সামনের চেয়ারটা ফাঁকা কর, বাইরে অনেকে অপেক্ষা করছে।’
‘কিন্তু আমার সমস্যাটা—’
‘তোর সমস্যার সমাধান হলে তো তোর নামটাই আর থাকে না রে। এই বয়সে নামহীন হওয়াটা কি ভালো?’
রমাপদর হাঁড়িপানা হয়ে যাওয়া মুখকে তোয়াক্কা না করে ফিচেল হাসি হেসে ডক্টর মিশ্র টেবিলে রাখা ঘণ্টিটাতে চাপ দিয়ে হাঁকলেন, ‘নেক্সট!’
12th  January, 2025
হতভম্ব হেমন্ত

মন্তর ফোনটা পেয়ে সারা শরীর শিরশির করে ওঠে মলয়ের। প্রথমে বিস্ময়! তারপর লজ্জা, ভয়, সবকিছু মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সেই শিরশিরানিতে। ফোন ছেড়ে একটু ধাতস্থ হতেই একরাশ অস্বস্তি এসে গ্রাস করে মলয়কে। হেমন্ত কি ওকেই সন্দেহ করছে?
বিশদ

09th  February, 2025
মওলা বকশ  ও লাহোরি   দরওয়াজা

দ্বিতীয় আকবর শাহের একার নয়। মুঘল সম্রাটদের কমবেশি সকলের দুর্বলতা হল হাতি। শাহজাহানের আমল থেকেই আস্তাবলে কমপক্ষে ৬ হাজার হাতি থাকা যেন সর্বদাই স্বাভাবিক।
বিশদ

02nd  February, 2025
সেকালের ডুয়েল

১৭৮০ সালের ১৭ আগস্ট। কলকাতার আকাশে ভোরের আলো ফুটে উঠছে। আলিপুরের এক নির্জন অংশে দু’জন বিদেশি একে অপরের দিকে পিস্তল তাক করে দাঁড়িয়ে।
বিশদ

02nd  February, 2025
ভালোবাসার উপহার

হঠাৎ অসময়ে ইন্দিরাকে দু’কাপ চা নিয়ে ওর ঘরে ঢুকতে দেখে সুচেতন একটু অসন্তুষ্টই হল। সুচেতনের এই একান্ত নিজস্ব ঘরে খুব বেশি লোকজন আসুক সেটা ও পছন্দ করে না। ঘরটা ওর একদম নিজস্ব মনের বিচরণ ক্ষেত্র। ঘরটিতে ওর পছন্দের সব জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো।
বিশদ

02nd  February, 2025
কুলের  রেসিপি

মসুর ডাল ১ কাপ, কুল ১০০ গ্ৰাম, হলুদ গুঁড়ো  চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদমতো, কাঁচালঙ্কা ২-৩টে, তেল পরিমাণ মতো, ফোড়নের জন্য: শুকনো লঙ্কা ২টো, কালো সর্ষে  চা চামচ, গোটা জিরে  চা চামচ, রাঁধুনি  চা চামচ। 
বিশদ

01st  February, 2025
টুকরো  খবর

চীনে নববর্ষ উপলক্ষ্যে ড্রাগন ডান্স সহ এক ভিন্ন ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হয় চাওম্যান রেস্তরাঁয়। চীনে নৃত্য ও খাবার দুই-ই বিশেষ জনপ্রিয়। চাইনিজ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বছরটি ইয়ার অব দ্য স্নেক। তা সমৃদ্ধির প্রতীক। চীনে নববর্ষ পালন হবে, অথচ খাওয়াদাওয়া হবে না তাও কি হয়?
বিশদ

01st  February, 2025
কপির কেরামতি

সেদ্ধ বাঁধাকপি ১ বাটি, ছোলা এবং মটর ডাল বাটা ১ বাটি, কাঁচালঙ্কা-আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ ১ চামচ, লঙ্কার গুঁড়ো ১  চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, ভাজা মশলা ২ টেবিল চামচ (শুকনো গোটা গরমমশলা, শুকনো লঙ্কা, জিরে, ধনে হালকা করে ভেজে গুঁড়ো করে নিতে হবে), ভাজার এবং রান্নার জন্য প্রয়োজন মতো সর্ষের তেল,  নুন ও চিনি স্বাদ মতো, ফোড়নের জন্য: গোটা শুকনো লঙ্কা, জিরে, হিং। (ধোকা মাখার সময় যদি খুব নরম থাকে তাহলে প্রয়োজনে একটু বেসন মেশানো যেতে পারে।)
বিশদ

01st  February, 2025
দুই বাংলার পোলাও

এপার ও ওপার বাংলার তিন ধরনের পোলাওয়ের রেসিপি জানালেন ইছামতী রেস্তরাঁর কর্ণধার মিতাশ্রী চৌধুরী।
বিশদ

01st  February, 2025
ভ্যালি অব ডলস

শটি আধুনিক প্রযুক্তির পীঠস্থান। সেই সঙ্গে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন হস্তশিল্প। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেল। তাই নানা কারণে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র— জাপান। চারটি প্রধান এবং অসংখ্য ছোট দ্বীপ নিয়ে এই দেশ।
বিশদ

26th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: সিরি ফোর্ট
সমৃদ্ধ দত্ত

সাবধানে পা ফেলতে হবে। দেখে তো মনে হচ্ছে মাটি। ঘাস। পাথর। অনায়াসে পা রেখে রেখে এগিয়ে চলা যায়। একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্য একটি ধ্বংস চিহ্নে যাওয়ার জন্য যে ব্যাসল্ট পাথরের অমসৃণ টুকরোয় সতর্কভাবে পা রাখতে হয়, সে সতর্কতা নিছক পিছলে পড়ে যাওয়ার জন্য? বিশদ

19th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
একনজরে
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্ধ এজলাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানির দিন ধার্য হল আগামী ১৮ মার্চ। ...

সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন বা সার্ক-এর পুনরুজ্জীবনে ভারতকে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করল বাংলাদেশ। রবিবার ওমানের রাজধানী মাসকটে অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ...

আলুর অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে মাঠে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। চাষিদের কাছ থেকে সুফল বাংলা স্টলে সরাসরি আলু কেনা হচ্ছে। সোমবার ন’কুইন্টাল আলু কেনা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, এখন পোখরাজ আলু উঠছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ...

দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া কর্ণাটকে। ফ্ল্যাট থেকে মিলল একই পরিবারের চার সদস্যের মৃতদেহ! ঘটনাটি মাইসুরুর বিশ্বেশ্বরাইয়া নগরের। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন চেতন (৪৫), তাঁর স্ত্রী রূপালী (৪৩), মা প্রিয়ম্বদা (৬২) ও ছেলে কুশল (১৫)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগিতে লাভবান হবেন । ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটি কম বেশি চলবে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৪:  মোঙ্গল সম্রাট কুবলাই খানের মৃত্যু
১৪৮৬: শ্রী চৈতন্যদেবের জন্ম
১৫৪৬: মার্টিন লুথারের মৃত্যু
১৫৬৪: ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি মাইকেলেঞ্জেলোর মৃত্যু
১৮৩৬: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংদেবের জন্ম
১৮৯৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী রাজনীতিক ও সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের জন্ম
১৯২৭:  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার মহম্মদ খৈয়াম হাশমির (যিনি খৈয়াম নামেই পরিচিত) মৃত্যু।
১৯৩০: প্লুটো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়
১৯৬৭: ইতালির ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর জন্ম
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা করা হয়
১৯৭৭: অভিনেত্রী কাবেরি বসুর মৃত্যু
১৯৯৭:  হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের (ফারুকাবাদ ঘরানার) সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মৃত্যু 
২০০৭: হরিয়ানায় সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৬৮ জনের
২০১৬: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী তথা পদ্মভূষণ আবদুল রশিদ খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৬ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩১ টাকা ১১১.০৭ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র ৩/৩৩ দিবা ৭/৩৬। সূর্যোদয় ৬/১০/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৩০/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৫ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৭ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে। 
৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী শেষরাত্রি ৪/৫২। স্বাতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ মধ্যে ও ৮/৫৬ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ১/৪৮ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে।   
১৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশ্যে সলমন খানের 'সিকান্দর'-এর প্রথম পোস্টার

12:17:35 AM

রাশিয়া-আমেরিকার বৈঠকের পরেই সৌদি সফর পিছিয়ে দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

11:03:59 PM

খড়্গপুর স্টেশনে আটকে পড়ল একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন
ঝড় বৃষ্টির কারণে ওভারহেড তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিপত্তি। খড়্গপুর ...বিশদ

10:52:00 PM

ডব্লুপিএল: গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল মুম্বই

10:45:00 PM

কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে আগুন, ঝাড়গ্রামে চাঞ্চল্য
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়লা বোঝাই মালগাড়ির বগিতে অগ্নিকাণ্ড। আজ, ...বিশদ

10:43:00 PM

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট, গোরাপাড়াসহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে চোলাই নষ্ট করল আবগারি দপ্তর

09:20:00 PM