Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বনের মানুষ

হামিরউদ্দিন মিদ্যা: —মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
মায়ের দয়া বলতে পক্স। আমাদের ওদিকের মানুষ বলে ‘লাল তারা’। বললাম, ‘শর্বরীর ছেলের পক্স হয়েছে তো গোটা পাড়া কেন মাছ-ডিম না খেয়ে থাকবে!’
‘হি দিখ-ও গো! মাস্টার হুয়ে কেমন বুকা মানুষের পারা কথাটো বুইলছে,’ হাসতে হাসতে লছিমন স্কুলের রাঁধুনি গুহিরামকে শোনাল কথাগুলো। 
—মায়ের দয়া হলে পাড়ায় আঁশটে জিনিসটো ঘরকে ঢুকানোর লিয়মটো নাই রে। ওলাবুড়িটা গোঁসা করে তাতে। উ একবার গোঁসা করলে গুটা গাঁ-টাকে সাবাড় করে দিবেক। ওই বুড়িকে মুটেই চটানো চইলব্যেক নাই।
—ওলাবুড়ি? সে আবার কে?
—হামরা উয়াকে মান্যটা করি। উ দেবী বটে। উ চটে গেলে গাঁয়ে কলেরা, মায়ের দয়া দিখা দেয়।
এই শাল-মহুলের দেশে মাস ছয়েক হল এসেছি। এদের এত নিয়মকানুন, সংস্কার আমার জানা নেই। আগে ছিলাম দামোদরের ওপারে জলহাটির একটা স্কুলে। জলা জায়গা। খেয়া পার হতে হতো। বর্ষাকালে বাড়ি আসা-যাওয়া খুবই কষ্টের ছিল। এদিক থেকে আমার এক সহকর্মী নিবাস যাতাযাত করত। ও ট্রান্সফার নিয়ে চলে গিয়েছে ধানসিমলার একটা স্কুলে। সোনামুখীতে ফ্ল্যাট নিয়েছে নিবাস। আমারও মন টিকল না। এখন আমি শুকানডিহি জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। নিবাসের পাশের ফ্লাটেই টু-বি-এইচকে রুম নিয়েছি।
মোলডাঙা, বীরেনডাঙা, কুসুমকানালী, নবীনডাঙা বনের মাঝে ছোট ছোট আদিবাসী গাঁ-গ্রাম। রুখা-শুখা টাঁড় জমিন। গ্রাম লাগোয়া বন পরিষ্কার করা কিছু খেতিবাড়ি। শীতকালে শালের পাতা ঝরে বনটা ন্যাড়া হয়ে যায়, আবার বসন্ততে সবুজ কচি পাতায় ছেয়ে যায়। তখন টিলার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা কোনও পলাশ কিংবা শিমুলগাছের দিকে যদি তাকাও, সঙ্গে সঙ্গে মন কেড়ে নেবে। আউলে-বাউলে করে দেবে।
গুহিরাম হাঁসদা অনেকদিনের রাঁধুনি এই স্কুলের। ও ছাড়াও একটা গ্রামীণ মহিলাদের গ্রুপ থেকে লছিমন আর শর্বরী টুডু আসে। সেই শর্বরী টুডু আজ আবসেন্ট। লছিমন বয়স্কা, শর্বরীর স্বামী নেই। মাসের শেষে অল্প কিছু টাকা পায় ওরা।
লছিমনকে বললাম, ‘স্কুল শেষে শর্বরীকে একবার আসতে বলবে তো।’
—হি মাস্টার, আমি যেয়েই উয়াকে পাঠিয়ে দিবক। বাইরে বেরনোর লিয়মটা ইখন নাই তো, তাই উ আসেকনি। উটা বড় ছুঁয়াচে রুগ আছে।
আমার কোনও জোরাজুরিই খাটল না, সব্জি-ভাতই করতে বললাম। ভূগোলের মাস্টার অরবিন্দবাবু বললেন, ‘ডিম রান্না করলেও ফেলা যাবে সুন্দরবাবু, একটা ছেলেমেয়েকেও খাওয়াতে পারবেন না।’
ছোট স্কুল। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। আশপাশের গ্রাম থেকে কিছু ছেলেমেয়ে পড়তে আসে। অধিকাংশ দিনই আবসেন্ট থাকে। গ্রামগুলোতে দু-একবার সার্ভে করতে গিয়েছি। নতুন বছর শুরুর আগে ভর্তি করানোর জন্য অনুরোধ করে এসেছি। তাতেও লাভ হয়নি। মুখের ওপর কারও গার্জেন্ট শুনিয়ে দিয়েছে, ‘বিটিয়া ইস্কুল গেলে গোরু-ছাগলগুলান কে চরাবেক মাস্টার? তুয়ারা শ্যুট-বুট পিঁন্ধে এসে বড় বড় কুথাটো বলে চইল্যে যাচ্ছিস, হামাদিগের দিনকাল কীভাবে চলে, হামরা কেরম ভাবে বাঁইচ্যে আছি, তুয়াদের কী!’
—দেখুন, আপনাদের অবস্থা বুঝতে পারছি, কিন্তু এই অবস্থা তখনই ঘুরবে, যখন আপনাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল যাবে, কলেজ যাবে, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি-বাকরি করবে।
লোকটা হেসেছিল হা হা করে। মুখেচোখে কথাবার্তায় লেগেছিল বিদ্রুপ, চাকরি! ‘উগুলান তো তুয়াদের জন্য রে। হামাদিগের ছেলেমেয়েগুলান অতদূর পৌঁছাতেই তো খুঁড়া হুয়ে পড়ে থাইকব্যেক।’
সাথে গিয়েছিলেন অরবিন্দবাবু, ইংলিশের ম্যাম জয়িতা। কনুইয়ে খোঁচা মেরে আমাকে সাবধান করে দিলেন। ‘চলুন সুন্দরবাবু, অন্য বাড়ি দিকে যায়।’
আমরা অন্য বাড়ি দিকে পা বাড়িয়েছি, পেছন থেকে লোকটা আবার বলল, ‘হামার কথাগুলান শুনে কিছু মুনে লিস নাই মাস্টার। তুয়াদিকে অপমান করার লিগে হামি কিছু বলিক নাই রে। কথাগুলান একবার ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখবিক ক্যানে।’
টালির ছাউনি দেওয়া ছোট ছোট মাটির বাড়ি। ঝকঝকে চকচকে নিকানো উঠোন, উঠোনেই মাটির আঁখা। পাশেই শুকনো কাঠপালা ডাঁই করা। ঘরের দেওয়ালে গিরিমাটির লেপন-পুছন, নানারকম লতা-পাতা, পশু-পাখির ছবি আঁকা। কোনও বাড়ির টালির চালে বেতের ঝুড়িতে মহুল ফুল শুকোতে দিয়েছে। স্থানীয়রা বলে ‘মোল’। উঠোনে পা ছড়িয়ে বসে শালপাতায় কাঠি গুঁজে গুঁজে কেউ বা বুনছে সেলাই পাতা।
লোকটার কথাগুলো আমাকে ভাবাচ্ছিল। আমাদের মতো মানুষদের প্রতি ওর রাগটা ঠিক কোন জায়গায় বোঝার চেষ্টা করছিলাম। জয়িতা বললেন, ‘কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগলেও একটাও মিথ্যা বলেনি সুন্দরবাবু। অনেকবছরই তো আমি এসেছি এই এলাকায়। দেখছি, দু’মুঠো পেটের ভাত জোগাড় করতেই হিমসিম খেয়ে যায় মানুষগুলো। ছেলেমেয়ে একটু বড় হলে, তাকে স্কুলে পড়তে পাঠানোটা ওদের কাছে বিলাসিতা। আগে বনের ওপর নির্ভর করেই বেশ চলে যেত। এখন কেউ যে বনের শুকনো কাঠ এনে বাজারে বেচবে, তারও জো নেই। ফরেস্টার বাবুদের যত নজরদারি সব গরিবগুরবো মানুষদের প্রতি, অথচ রাতে ট্রলি ট্রলি গাছ পাচার হয়ে যাচ্ছে। আগে কী গভীর জঙ্গল ছিল! সেই পুরনো মোটা গাছ এখন হাতে গোনা।’
—ওদের চলে কী করে তাহলে? চাষবাসও তো হয় না এখানে তেমন।
—ওই কোনওরকম ধুকিয়ে ধুকিয়ে বেঁচে থাকা। কেউ শালপাতা দিয়ে খাবার থালি বানায়, কেউ বিড়িপাতা তুলে শুকিয়ে বিক্রি করে। স্বল্প রোজকার। কিছু গোরু-ছাগল পালে। ছেলেছোকরারা বড় হলে ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছে এখন। চাষের কাজ করতে পুবেও নাবাল খাটতে যায় অনেকে।
স্কুল শেষে শর্বরী টুডু এল। কাচুমাচু মুখ করে বলল, ‘হামাকে ডেকেছিস মাস্টার?’
—হ্যাঁ, ভেতরে এসো।
চেয়ার থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়াল শর্বরী।
বললাম, ‘বসো, কথা আছে।’
সংকোচ নিয়ে জড়োসড়ো হয়ে বসল ও। অল্প বয়সি বিধবা। শুনেছি বছর তিনেক আগে হাতিতে মেরে ফেলেছে শর্বরীর স্বামীকে। মদোমাতাল মানুষ ছিল চোড়কু টুডু। বাজার থেকে গলা ফেঁড়ে গান গাইতে গাইতে রাতে বাড়ি ফিরছিল সেদিন। টলতে টলতে দলছাড়া একানে খ্যাপা হাতিটার সামনে পড়ে গিয়েছিল। আর বাড়ি ফেরা হয়নি চোড়কুর। সকালে ডহরের ধারে পাওয়া গিয়েছিল থ্যাতলানো দেহটা। নাড়িভুঁড়ি সব বেরিয়ে গিয়েছিল। তার জন্য অবশ্য ক্ষতিপূরণ বাবদ শর্বরীকে কিছু টাকা দিয়েছিল সরকার। সেই টাকায় বুদ্ধি খাটিয়ে শর্বরী কয়েকটা ছাগল, গোরু কিনেছে।
—এখন কেমন আছে তোমার ছেলে?
—আর বলিস নাই মাস্টার, হামার বেটুয়ার সারা গা মায়ের দয়ায় বিজবিজে হুয়ে গেইচে রে। একটোয় বেটুয়া হামার, কিছু একটো হুয়ে গেলে!
ফুঁপিয়ে উঠল শর্বরী।
—এত চিন্তা করো না, ঠিক ভালো হয়ে যাবে তোমার ছেলে। যা বলছি শোনো।
—হ, বুল কেনে।
—পক্স হলে শরীরকে দূর্বল করে দেয়, বেশি বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়াতে হয়। শুনলাম ডিম-মাছ সব খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়েছ! এতে তো আরও বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
—কী হবেক মাস্টার? হামাদিগের তো উ লিয়মটাই আছে রে! পাড়ায় ইখন মাছওয়ালারও ঢুকা বারণ।
—তুমি ওইসব নিয়ম-কানুন মানতে চাও, না ছেলেকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করতে চাও সেটা বলো তো? শুনেছি তুমি এইট পাশ। ওইসব ওলাবুড়ি-টলাবুড়ির দোহায় দিয়ে ছেলেটাকে ফেলে রেখে দিয়েছ! এতে তো ও আরও জব্দ হয়ে যাবে।
—কী করবক তাইলে বুল কেনে মাস্টার। ইখন এগারো দিন চান করানোর লিয়মটাও নাই। গায়ে তেল ঠেকানোও চইলব্যেক নাই।
—স্নান তুমি করাতেই পারো, তবে তেল ঠেকাও না। এখন বেশি বেশি করে মাছ-ডিম-দুধ এইসব খাওয়াও।
—সব্বোনাশ! গাঁইয়ের মানুষগুলান জানলে যে বিপদটো আছে রে।
—লোক জানিয়ে খাওয়াবে কেন, তুমি লুকিয়ে খাওয়াও। দেখবে তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। আর একটা ডাক্তার দেখাও। গায়ে জ্বর আছে নাকি?
—হি মাস্টার, কাল রাতটো থেকে গোটা গা-টো জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। বিছানায় আলাছালা কইরছ্যে।
বিরক্ত হয়ে বললাম, ‘ডাক্তার দেখাওনি, ওষুধ খাওয়াওনি, ভালো-মন্দ খাওয়ানোও বন্ধ করে দিয়েছ, ছেলেটাকে কি মারবার তাল করেছ?’
শর্বরী প্রায় কেঁদেই ফেলল, ‘বেটুয়ার কিছু হয়ে গেল্যে হামাকে পথটোতে বসতে হবেক মাস্টার। তু বলে দে কেনে, ইখন হামি কী করবক?’
—শোনো, ব্যাগে আমার জ্বরের ট্যাবলেট আছে, দিচ্ছি। ভাত-মুড়ি কিছু খাইয়ে ওষুধটা খাওয়াবে। আর বাড়িতে ডাক্তার ডেকে দেখাও।
শর্বরীর হাতে জ্বরের ওষুধ দিলাম। বললাম, ‘বাড়ি যাও, যেটা বললাম, সেগুলো করো, অন্তত ডিম কিনে আনবে এক ট্রে, সেদ্ধ করে করে দেবে। দেখবে অনেক তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে তোমার ছেলে।’
—হি মাস্টার, তাই করবক। ইখন আসি কেনে। হামি দুইদিন রান্না কইরত্যে আসতে লাইরব্য। লছিমন মাসিটাকে বুলে দিয়েছি, গুহিরাম দাদা আর মাসিই সামলে লিবেক।
শর্বরী চলে গেল। ওর কথায় ভাবছিলাম বসে বসে, জীবন ধারণের জন্য কী পরিশ্রমটাই না করতে হয় ওকে। ছেলেটাকে আমি কোনওদিন দেখিনি। শুনলাম আমাদের স্কুলেই পড়েছে। গোরু-ছাগল চরিয়ে বেড়ায়। ঘাস কেটে পশুগুলোর পেটের জোগান দেয়।
....
পরের দিন শনিবার। হাফবেলা স্কুল। স্কুলে আসার পথে একটা হেলথ ডিংকসের কৌটো কিনলাম। শর্বরীর ছেলেটার খবর নেওয়ার জন্য মনটা উশখুশ করছিল। একবার যাওয়া কি ঠিক হবে? অরবিন্দ বাবুকে বললাম, শুনেই উনি পিছিয়ে গেলেন। বললেন, ‘আজ একটু তাড়া আছে সুন্দরবাবু, আপনিই ঘুরে আসুন একবার।’
স্কুল বন্ধ করে লছিমনকে বললাম, ‘শর্বরীর ছেলেটাকে একবার দেখতে যাব। আমাকে নিয়ে চলো তো।’
লছিমন অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে তাকাল। কিছু যেন বলতে যাচ্ছিল। 
গ্রামের শেষ মাথায়, যেখানে ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে মাঠগুলো, সেই মাঠের ধারেই শর্বরীর মাটির কুটির। ঘরের আঙিনা জুড়ে বিশাল একটা মহুল গাছ। কী শান্ত আর ছায়াময় জায়গায় বাস! লছিমন দূর থেকে বাড়িটা দেখিয়ে দিয়েই ভেগে পড়ল। আমাকে এই গ্রামের অনেকেই চেনে। সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিল। শর্বরী বাইরের আঁখায় রান্না করছিল, আমাকে দেখে বোধহয় বিশ্বাসও করতে পারেনি। কী আবেগ তার চোখেমুখে, ‘আরে মাস্টার! তু এসেচিছ হামার বেটুয়াকে দিখতে!’ পড়িমরি করে উঠে দাঁড়াল। 
বললাম, ‘ব্যস্ত হইয়ো না। কই তোমার ছেলে?’
শর্বরী আমাকে ঘরে নিয়ে গেল। দেখলাম, একটা মাদুরের ওপর বিছানা করা, তাতে শুয়ে আছে একটি তেরো-চোদ্দো বছরের ছেলে। সারা গায়ে গোল গোল লালচে ফোস্কা। কতক গলেও গিয়েছে।
—ওষুধটা খাওয়াতে জ্বরটা নেমে গেইচে মাস্টার। গা-হাতের যন্ত্রণাটাও টুকুন কমেচে। 
—ডাক্তার ডাকোনি কাউকে?
—ইখানে ডাক্তার কাকে পাব বুল!
শর্বরী একটু বাইরেটা চেয়ে দেখে নিল, তারপর যেন কেউ শুনে না নেয়, সেইভাবে গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বলল, ‘হামি লুকাইয়ে ডিম কিনে এনেছি মাস্টার। খাওয়াচ্ছি। রাতে গুহালে ঢুকে দুধও দুইয়েছি। বেটুয়া হামার শরীলে একটু তাকত পেইচে রে। তুর কথাগুলো মেনে চইলছ্যি, যদি তাড়াতাড়ি সেরে যায়, ই গাঁইয়ের যারই মায়ের দয়া দেখা দিক কেনে, মুই তাকে ভালো করবই। হামার বেটুয়াকে যেভাবে সারিন তুলছি, সেই উপদেশটো উয়াদিকেও চুপিচুপি দিবক।’
—হ্যাঁ শর্বরী, তুমি স্কুলে পড়া একজন শিক্ষিত মেয়ে। তোমরাই তো পারো সব অন্ধকারকে দূর করতে।
ব্যাগ থেকে হেলথ ডিংকসের কৌটোটা বের করে দিলাম শর্বরীর হাতে। শর্বরী চোখাচোখি তাকাল। বললাম, ‘জানলাটা বস্তা ঢাকা দিয়ে রেখেছ কেন? ঘরটা অন্ধকার, খুলে দাও ওটা, হাওয়া-বাতাস খেলুক। পিছনে কত সুন্দর জঙ্গল!’
শর্বরী বলল, ‘বেটুয়ার বাপ যেদিন থে চইল্যে গেল, উদিন থিকে হামি এই জানলাটা কুনুদিনের জন্যও খুলিক নাই মাস্টার। জানলাটা খুলা থাকলে পিছনের বনটা দিখা যায়। তুয়ারা দেখিস কত সুন্দর বন, কত গাছপালা! কিন্তুক বনটার দিকে তাকালে হামার কাঁদন আসে রে! জানালার পিছনে যে ডহরটা বনের পানে ঢুকে গেছে, ওই ডহর ধরেই বেটুয়ার বাপ জ্বালানির কাঠপালা, বনের ফলমূল, ছাতু তুলে রোজ বাড়ি ফিরতক। খুব বনচষা মানুষ ছিলক। ওই খালি পথটার পানে তাকালে ইখন বুকটা হু হু করে। সারাটা দিন তাকিয়ে থাকলেও হামার বেটুয়ার বাপটা আর কুনুদিনও ফিরবেক নাই রে মাস্টার। ওই বন থিকেই তো হাতিটা এসে মেরে ছিলক।’
শর্বরীকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো মুখে আর কোনও ভাষা জোগাল না আমার। আঙিনায় নেমে এলাম। পিছু পিছু শর্বরীও বেরিয়ে এল। দু’জনেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম। আঁখায় ভাত ফুটছে টগবগ করে। বললাম, ‘যা ঘটে গেছে, তা ভুলে যাও শর্বরী। নতুন করে ভাব, নতুন করে শুরু কর।’
 —তু ইবার যা কেনে মাস্টার, হামার তরকারি পুড়ে যাবেক।
আর কোনও কথা এগোচ্ছিল না, বললাম, ‘আসি তাহলে।’
ফেরার সময় মেয়েটার মনটাকেই খারাপ করে দিলাম। কেন যে বলতে গেলাম ওইসব! নানান ভাবনা ভিড় করছিল মনে। জানলাটা কি আর সত্যিই কোনোদিনও খুলবে না শর্বরী? পারবে না অন্ধকার ঘরটাই আলো ফেরাতে? নাকি চোড়কুর কথা ভেবে ভেবে জীবনের মহামূল্যবান সময়টাকে মহুল ফুলের মতো অকালেই ঝরিয়ে দেবে শর্বরী! 
দূর থেকে পিছন ঘুরে একবার তাকালাম, দেখলাম শর্বরী তখনও মহুলতলায় দাঁড়িয়ে আছে, তবে আর আমার ফেরার পথের দিকে নয়, বনের দিকে চেয়ে। যে বন কেড়ে নিয়েছে শর্বরীর বনচষা মানুষটাকে। 
17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো।  বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
একনজরে
ট্যাব কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি যাতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে না হয় তারজন্য আঁটঘাট বাধছে নবান্ন। এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রশাসন তৈরি করেছে। তা বিডিও, এসডিও এবং ডিএম অফিসে টাঙনো হচ্ছে। ...

জোট পেয়েছে একক গরিষ্ঠতার থেকে অনেক বেশি আসন। তাই অন্য দল ভাঙিয়ে বিধায়ক নিয়ে এসে সরকার গঠনের দরকারই নেই। কিন্তু বিজেপি সন্তুষ্ট নয়। অতএব মুম্বইয়ের ...

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে তারপরই ছন্দপতন। চার ম্যাচে দু’টি হার। বাকি দুই ম্যাচে জয়ের সুবাদে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৮ নম্বরে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ...

৪৩তম ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে প্যাভিলিয়ান গড়ে লগ্নিকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)। এনআইএসএম, বিএসই, এনএসই, এমসিএক্স, এনএসডিএল, অ্যামফির মতো বেশ কয়েকটি সংস্থার সহায়তায় তারা যে প্যাভিলিয়নটি তৈরি করেছে, তার নাম ‘ভারত কা শেয়ার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৮২ - উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিবাহ
 ১৭৯৫- গেরাসিম লেবেদেফের উদ্যোগে কলকাতার মঞ্চে প্রথম অভিনীত হল নাটক
১৮৫২ - কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ধারণার একজন প্রবর্তক  অগাস্টা অ্যাডার মৃত্যু
১৮৭৮- কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচির জন্ম
১৮৮৮ - কবিপুত্র তথা বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ ও লেখক রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৯৫ - বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল তাঁর সমস্ত সম্পত্তি উইল করে নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য তহবিল গঠন করেন।
১৯০৭ - বিশিষ্ট ভারতীয় হিন্দি ভাষার কবি ও লেখক হরিবংশ রাই বচ্চনের জন্ম
১৯১৩- চিত্রশিল্পী চিত্রানিভা চৌধুরির জন্ম
১৯১৪ - ব্রিটেনে প্রথম মহিলা পুলিস নিয়োগ হয়।
১৯৪০- অভিনেতা ও মার্শাল আর্ট শিল্পী ব্রুস লি’র জন্ম
১৯৫২- সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির জন্ম
১৯৮৪- অভিনেতা ও গায়ক অসিতবরণের মৃত্যু
১৯৮৬- ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়নার জন্ম
১৯৯২ - এই দিন থেকে ব্রিটেনের রানী আয়কর দিতে শুরু করেন।
২০০৮- ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিংয়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৪৩ টাকা ৮৫.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৯ টাকা ১০৭.৯০ টাকা
ইউরো ৮৬.৭৫ টাকা ৯০.১০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১/৫৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৭/২৮ গতে ৮/১১ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১৯ গতে ৩/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ গতে ৭/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ৩/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২৪ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/২২ মধ্যে। 
১১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী শেষরাত্রি ৬/২। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৪ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৪ গতে ৪/২৪ মধ্যে।  
২৪ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন শীতলতম রাত, বুধবারে ১০.৪ ডিগ্রির ঠাণ্ডায় দাঁতকপাটি দিল্লিবাসীর

11:44:29 PM

বাংলাদেশের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে সরব আফ্রিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা ম্যারি মিলবেন

10:34:00 PM

অসমের শ্রীভূমিতে দুটি গাড়ি থেকে ৭৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

09:53:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ২-১ গোলে হারাল বেঙ্গালুরু

09:39:00 PM

৫৫তম গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল (আইএফএফআই): উপস্থিত পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকর

09:30:00 PM

উত্তাল বঙ্গোপসাগর, তামিলনাড়ুতে ট্রাক্টরের সাহায্যে মাছ ধরার নৌকাগুলিকে জল থেকে ডাঙায় তোলা হল

09:26:00 PM