Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। সে নিঃশব্দে হারিয়ে যেতে চায়। কোটি কোটি মানুষের ভিড় থেকে একজন হারিয়ে গেলে কী এমন ক্ষতি হবে! এসব ভেবেই হাওড়া থেকে রাতের প্যাসেঞ্জার ট্রেন ধরেছিল সে। চিন্তায় মাথাটা তখন দপদপ করছিল। বুঝতে পারেনি চরম এই অবস্থার মধ্যেও ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব। একটু আগেই তার ঘুম ভেঙেছে। একটা ছোট স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতেই অফিসের ব্যাগটা নিয়ে সে নেমে পড়ল। এখানে প্ল্যাটফর্ম নেই। বসার জন্য বেঞ্চও চোখে পড়ছে না। জায়গাটা বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ড হবে।
ঠান্ডা লুচির উপর মাছি ঘুরছে। স্টেশনের বাইরে একটাই দোকান। আকাশ বলল, ‘এক প্লেট পুরি দো।’ হাইজিন নিয়ে ফালতু ভেবে লাভ নেই। সিগারেট ধরাতে গিয়ে মনে পড়ল ফোনটা কাল বিকেল থেকেই বন্ধ। টাওয়ার লোকেশন বের করা এখন কঠিন কিছু নয়। সিগারেট আর দেশলাই ছুড়ে ফেলে দিল সে। প্রাণ ত্যাগ করার আগে অন্য সবকিছুই একে একে ত্যাগ করতে হবে। অফিসের ল্যাপটপ, আধার কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি রয়েছে পিঠের ব্যাগে। ট্রেনেই ওটা ফেলে এলে হতো। খাওয়া শেষ। এবার চলতে হবে। রাস্তা গিয়েছে দুই দিকে। ডান দিকে পিচ ঢালা আর বাঁ-দিকে মোরাম বিছানো। সে মোরামের পথ নিল। দূরে টিলা পাহাড়ের সারি। এই পথ যদি পাহাড়ের দিকে যায় তাহলে ব্যাগটা লুকিয়ে রাখা সহজ হবে। তারপর খাদের দিকে লাফিয়ে পড়লেই... সব শেষ। 
দু’দিকে চাষের জমি। কেউ কি অনুসরণ করছে! আকাশ বারবার পিছন ফিরে তাকায়। কোথাও কেউ নেই। এই জামা-প্যান্ট, চামড়ার জুতো, ব্যাগ সব মিলিয়ে নিজেকে এখানে বেমানান লাগছে। কিলোমিটার দুয়েক চলার পর পথ জঙ্গলে ঢুকল। আকাশ আজ মেঘলা। আরও আধা ঘণ্টা পরে সে বুঝল পথ তাকে উপরের দিকে নিয়ে চলেছে। অর্থাৎ এটাই টিলার দিক। এই ভাবনার মাঝেই একটা চিন্তা মাথায় এল। পথে কোনও মানুষ নেই কেন! এটা মাওবাদী এলাকা নয়তো! ভাবতেই বুকের ভিতরটা ছ্যাঁত করে উঠল।
হেসে ফেলল আকাশ। যে মরতে চলেছে তার আবার ভয় কীসের! আধার কার্ডটা টেনে ছেঁড়ার চেষ্টা করল। হচ্ছে না। দেশলাইটা থাকলে পুড়িয়ে দেওয়া যেত। সব কিছুর জন্যই সে দায়ী। যে নিজেকে বোঝে না, অন্যকে সে ভালোবাসবে কীভাবে! চাকরিটার উপর সে বেশিই ভরসা করে ফেলেছিল। বুঝতে পারেনি ওই সামান্য চাকরি করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ডিরেক্টরের মেয়েকে পাওয়া যায় না। হতে পারে নবনীতার সঙ্গে তার পাঁচ বছরের সম্পর্ক। আকাশের বাড়ির লোক, আত্মীয়, বন্ধুরা জানত তাদের বিয়ে হবে। নবনীতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে তার ভালোই লেগেছিল। দিনের-পর দিন একসঙ্গে তারা যৌথ জীবনের স্বপ্ন দেখেছে। তার মা গয়না গড়িয়েছেন নবনীতার জন্য। এরপর এক ফোনে সব মিটিয়ে ফেলা যায়! 
একটু দূরে জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে। তবে কি কাছাকাছি ঝর্ণা আছে কোথাও! আচ্ছা, ব্যাগটা ওই কাঁদায় পুঁতে ফেললে কেমন হয়! সন্তর্পণে ঢাল বেয়ে নামতে লাগল সে। কাল বিকেলে নবনীতা যখন ফোন করেছিল, আকাশ তখন অফিসে। সে বলেছিল, ‘এত সহজে সব কিছু ভেঙে দেওয়া যায় না। আমি তোমার বাবার সঙ্গে কথা বলব।’ গম্ভীর গলায় নবনীতা বলেছিল, ‘সেটা আমি চাই না।’ তারপর আকাশের ফোন ব্লক করে দেয়। দারোয়ান তাকে বাড়িতে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়নি। মেয়ে বাবাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে, নাকি এটাই পারিবারিক মত, আকাশ জানে না। জানতে চায় না, নবনীতা অন্য কাউকে চায় কি না। ওসব ভাবলেই মনে হচ্ছে মাথায় ইলেক্ট্রিক শক দিচ্ছে কেউ। অথচ এই মেয়েকেই সবটুকু দিতে চেয়েছিল আকাশ! তার নিঃশ্বাসে অপ্রেমের আগুন সে কোনওদিন উপলব্ধি করেনি! এই দোষ নিজেকে ছাড়া আর কাকে দেবে সে!
জলে নামতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল আকাশ। কী যেন নড়ছে! উঁকি দিতেই শিউরে উঠল। আর তৎক্ষণাৎ চিৎকার। তিনটে বারো-চোদ্দো বছরের ছেলে পাথরের আড়ালে বসে যে মাছ ধরছে, সেটা এতক্ষণ বোঝাই যায়নি। শহুরে লোককে দেখে তারাও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছে। একটি ছেলে দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, ‘মোতিঝোরা দেখেগে বাবু; পচাশ রুপিয়া দো, হ্যাম লে জায়েগা।’ হাঁফ ছাড়ল আকাশ। আর একটু হলেই সে ধরা পড়ে যাচ্ছিল। বলল, ‘মোতিঝোরা! আচ্ছা চলো।’ ছিপ গুটিয়ে বাকিরাও উঠে পড়ল। মাছ ধরার চেয়ে পথ দেখানো বেশি লাভজনক।
মিনিট চল্লিশ পর দারুণ সুন্দর এক জায়গায় এসে পৌঁছল তারা। অনুচ্চ পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে ঝর্ণা। ঢালু জমির ভিতর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জল। অন্য সময় হলে মোবাইলে ছবি তুলত আকাশ। এখন সবই অর্থহীন। প্রথম ছেলেটা বলল, ‘ধুপ রেহনেসে পানি মে মোতি দিখতা হ্যায়।’ আকাশ ঠিক করল ওদের টাকা দিয়ে বিদায় করবে। সুন্দর এই জায়গাতেই শেষ হোক জীবন। দ্বিতীয় ছেলেটা প্রশ্ন করল, ‘উপর চলোগে বাবু? উহাসে ওউর সুন্দর দিখতা হ্যায়।’ জুতোটা পাহাড়ের উপযুক্ত নয়। অবশ্য হড়কে গেলে তাকে আর কষ্ট করে মরতে হবে না। আকাশ রাজি হয়ে গেল। মরার আগে প্রকৃতির আরও কিছুটা রূপ, রস আস্বাদ করা যাক। বলল, ‘চলো।’
অনর্গল জল আসছে পাথরের গা বেয়ে। জায়গাটা যেমন সুন্দর তেমনই বিপজ্জনক। পা হড়কালে বেঁচে ফেরার ভয় নেই। তিনজনকে এক-একশো টাকা দিয়ে আকাশ বলল, ‘অব তুম লোগ যাও।’ এখানে মরলে কেউ আত্মহত্যার সন্দেহ করবে না। মরতে কে আসবে এখানে! মৃত্যুর উপর দুর্ঘটনার তকমা পড়াই ভালো। খবরটা মা-বাবার কাছে না পৌঁছলে আরও ভালো হয়। তাদের কাছে আকাশ না হয় নিখোঁজ হয়েই বেঁচে থাকুক। ছেলেরা চলে যেতেই সে ঝোপের দিকে এগিয়ে গেল। ব্যাগটা কোনও ফাটলের মধ্যে ফেলতে পারলে আর কেউ ওটা খুঁজে পাবে না। হঠাৎ প্রথম ছেলেটা ফিরে এসে তার হাত ধরে টানল, ‘নীচে চল বাবু, বহুত তেজ পানি আ-রাহা।’ বারবার বাধা পড়ছে তার কাজে। বিরক্ত মুখে আকাশের দিকে তাকাল সে। ইতিমধ্যেই বাকি দু’জন ঢালু পথে পাহাড়ের অন্যদিকে নেমে যাচ্ছে। তার হাত ধরে আবার টান দিল ছেলেটা, ‘জলদি চল বাবু।’
মুষলধারায় বৃষ্টি নামল। ওরা ছুটতে ছুটতে একটা বাড়ির দাওয়ায় উঠে দাঁড়িয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে গ্রাম। টিনের চাল দেওয়া মাটির দোতলা বাড়ি। চালের উপর তুমুল শব্দে বৃষ্টি পড়ছে। ঝুলন্ত এক টুকরো টিনে আলকাতরা দিয়ে হিন্দিতে লেখা, ‘মাহাতো গেস্ট হাউস’। আকাশের দৃষ্টি লক্ষ্য করে একজন প্রশ্ন করল, ‘তুম রহগে বাবু?’ উত্তরের অপেক্ষা না করে অন্য দু’জন চিৎকার করে উঠল, ‘রোশনি, দরওয়াজা খোল।’ একটু পরে দরজা খুলে দাঁড়াল সতেরো-আঠারোর এক আদিবাসী তরুণী। 
বিপত্নীক, নিরঞ্জন মাহাতোর বয়স হয়েছে। সম্পর্কে তিনি রোশনির ঠাকুরদা। বাবা চাকরি নিয়ে বম্বে গিয়েছিল। আর ফেরেনি। মাও চলে গেছে অন্যের সংসারে। বাড়িতে তাই দাদু আর নাতনি। রোজগারের আশায় দোতলার ঘরে অতিথি রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে প্রচার এবং দরকারি সুবিধা যেমন বিদ্যুৎ, রাস্তা, ভালো টয়লেট ইত্যাদি না থাকায় তেমন কেউ আসে না। নিরঞ্জন একসময় কলকাতায় কাজ করতেন। বাংলাটা মন্দ বলেন না। আকাশ ঠিক করল, এখানেই থাকবে। জায়গাটা মোতিঝোরার কাছে। কাজেই তার সুবিধা হবে। বুড়ো জানতে চাইলেন, ‘একা আসছেন? ঘুরতে?’ হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল আকাশ। এমন সময় রোশনি এসে বলল, ‘ডাল, চাওল, আলু-সব্জি, চলেগা?’
দোতলার ঘরে মেঝেতেই শোয়ার ব্যবস্থা। আকাশের সঙ্গে আর জামাকাপড় নেই। সে মাদুরের উপর শুয়ে পড়ল ভিজে কাপড়েই। জানলাটা বেশ নিচুতে। শুয়ে শুয়ে দিব্বি দূরের পাহাড় আর চাষের জমি দেখা যায়। প্রবল বৃষ্টিটা এখনও চলছে। পাহাড়ের দিকে তাকাতেই মৃত্যু চিন্তাটা ফিরে এল। বৃষ্টি কমলে সে মোতিঝোরায় যাবে। পাথরের উপর থেকে হঠাৎ পিছলে যাওয়া এমন কিছু অস্বাভাবিক নয়। এসব কথাই বিড়বিড় করছিল সে। বুঝতে পারেনি কখন রোশনি এসে ঢুকেছে তার ঘরে। চোখাচোখি 
হতেই নিজেকে গুটিয়ে নিল আকাশ। রোশনি ইতস্তত করে বলল, ‘খানা লাগা দিয়া।’
খেতে বসে বুড়ো আবার খুললেন দুঃখের ঝাঁপি। ‘মেয়েটাকে নিয়েই যত চিন্তা। আমি না থাকলে ওর কী হবে বাবু?’ এসব শুনে মুখ বাঁকিয়ে উঠে গেল রোশনি। আকাশের সন্দেহ হল, মেয়েটা বাংলা বোঝে! কথা থামাতে সে বলল, ‘বিয়ে দিয়ে দিন।’ উপর-নীচ মাথা নাড়তে নাড়তে বুড়ো বলল, ‘অনেক টাকা দরকার বাবু।’ এরপর একদম চুপ করে গেল আকাশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বুড়ো প্রশ্ন করল, ‘রাতে মহুয়ার সঙ্গে মুর্গা রুটি খাবেন?’
পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে আকাশ। খাকি পোশাকের লোকটা অতর্কিতে ধাক্কা দিতেই সে পড়ে গেল। একটা আলগা পাথরকে জড়িয়ে ধরার প্রাণপণ চেষ্টাও ব্যর্থ হল। ধাক্কা খেতে খেতে শরীরটা কুণ্ডলী পাকিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে নীচের দিকে। ভয়ঙ্কর এই দৃশ্যটা দেখে হাততালি দিচ্ছে নবনীতা। বীভৎস স্বপ্নটা ভাঙতেই মাদুরের উপর উঠে বসল আকাশ। দুপুরে খাওয়ার পর সে তবে ঘুমিয়ে পড়েছিল! সংবিৎ ফিরে পেতেই লক্ষ করল হ্যারিকেন হাতে দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে রোশনি। সে কি অনেক্ষণ এসেছে! তার মুখের ভাব দেখে অপ্রস্তুত রোশনি প্রশ্ন করল, ‘চায়ে পিওগে?’
বৃষ্টি থামার কোনও নাম নেই। রাতে খাওয়ার পর আবার শুরু হল মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা। টিনের চালে একটানা বৃষ্টির শব্দ বিরক্তিকর লাগছে। কখন যে চোখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে আকাশ বুঝতে পারেনি। ঘুম ভাঙল মধ্যরাতে। কেউ তার কানের কাছে ঘেসঘেসে গলায় কিছু কি বলছিল! বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। বাইরে তাকিয়ে চমকে উঠল সে। জ্যোৎস্নায় পাহাড় জঙ্গল সব পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। আজ পূর্ণিমা নাকি! ছিটকানি খুলে দিতেই ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ করে সদর দরজাটা খুলে গেল। বাইরে অসংখ্য ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ। 
এমন জ্যোৎস্না আগে কখনও দেখেছে কি না, মনে পড়ছে না। পৃথিবীকে বিদায় জানানোর আগে সবকিছুই বড় সুন্দর মোহময় লাগছে যেন। দ্রুত মোতিঝোরার দিকে এগিয়ে চলল আকাশ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সব যন্ত্রণা থেকে সে মুক্তি পেয়ে যাবে। এসব ভেবে আর সান্ত্বনা নয় দুঃখ হচ্ছে তার। বারবার মা-বাবার কথা মনে পড়ছে। মনের মধ্যে ভেসে উঠছে যৌথ মুহূর্তের ছেঁড়া ছবির কোলাজ। একটা কষ্ট গলার কাছে দলা পাকিয়ে আছে। চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে তার। পারছে না! সেই ঘেসঘেসে কণ্ঠ বলে উঠল, দৌড়...দৌড় দে।
হাঁপাতে হাঁপাতে পাহাড়ের উপরে এসে সে দাঁড়াল। সারা পৃথিবী ঘুমাচ্ছে। একটু পরে সেও ঘুমিয়ে পড়বে। মৃত্যু বড়ই বিচিত্র। বড্ড একা লাগছে নিজেকে। আজকের কথা কাউকে কোনও দিন সে বলতে পারবে না। চোখ বন্ধ করে ফেলল আকাশ। তার মাথা ঘুরছে। শিরাগুলো দপদপ করছে। লম্বা শ্বাস নিয়ে শেষ পা বাড়িয়ে দিতে যাওয়ার মুহূর্তে প্রবল হাতির গর্জন শুনে সে থমকে দাঁড়াল। তারপর নীচের দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে গেল চোখ। মোতিঝোরার জলে নেমেছে বুনো হাতির পাল। জ্যোৎস্নায় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ওদের। অকল্পনীয় এই মুহূর্তে সেই ঘেসঘেসে কণ্ঠটা চিৎকার করে উঠল, ঝাঁপ দে।
পাথরের মতো খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সে। পা যেন সরছে না। বারবার চোখ যাচ্ছে হাতিদের দিকে। ওরা জল নিয়ে খেলছে। মানুষের জীবন ওদের মতো সহজ নয়। সেই ঘেসঘেসে কণ্ঠটা এবার চিৎকার করে উঠল। বুকের রক্ত হিম হয়ে আসছে। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। আর দেরি করার সময় নেই। ডান পা তুলল আকাশ। শরীরটা এগিয়ে দিল সামনের দিকে। 
এক বিকট আর্ত-চিৎকার আর তারপরই কেউ পিছন থেকে খামচে ধরল জামাটা। অতর্কিত টানে মাটিতে পড়ে গেল আকাশ। চোখ তুলে দেখল তার সামনে রোশনি দাঁড়িয়ে রয়েছে। মেয়েটার পিছনে থালার মতো জ্বলজ্বল করছে পূর্ণিমার চাঁদ। রোশনি তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। উঠে দাঁড়াল আকাশ। কী যেন বলছে মেয়েটা। আকাশ ঠিক বুঝতে পারছে না। এতক্ষণ আটকে থাকা কান্নাটা এবার সশব্দে বেরিয়ে এল। ওর হাত দুটো নিজের হাতের ভিতর খুব শক্ত ধরে আছে রোশনি। 
29th  September, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো।  বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
একনজরে
আগামী  ২২ জানুয়ারি থেকে সুন্দরবনে শুরু হবে তৃতীয় পাখি উৎসব। চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের কর্তারা। এই বার্ড ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে আবেদন করতে হবে। ...

মঙ্গলবার বিচারক না আসায় মণীশ শুক্লা খুনের মামলায় সাক্ষ্যদান পর্ব শুরু হল না। প্রথম সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মণীশের বাবা ডাঃ চন্দ্রমণি শুক্লার। বিচারক অনুপস্থিত থাকায় আদালতে এসেও ফিরে যেতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডাঃ শুক্লা। ...

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে তারপরই ছন্দপতন। চার ম্যাচে দু’টি হার। বাকি দুই ম্যাচে জয়ের সুবাদে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৮ নম্বরে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ...

৪৩তম ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে প্যাভিলিয়ান গড়ে লগ্নিকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)। এনআইএসএম, বিএসই, এনএসই, এমসিএক্স, এনএসডিএল, অ্যামফির মতো বেশ কয়েকটি সংস্থার সহায়তায় তারা যে প্যাভিলিয়নটি তৈরি করেছে, তার নাম ‘ভারত কা শেয়ার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৮২ - উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিবাহ
 ১৭৯৫- গেরাসিম লেবেদেফের উদ্যোগে কলকাতার মঞ্চে প্রথম অভিনীত হল নাটক
১৮৫২ - কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ধারণার একজন প্রবর্তক  অগাস্টা অ্যাডার মৃত্যু
১৮৭৮- কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচির জন্ম
১৮৮৮ - কবিপুত্র তথা বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ ও লেখক রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৯৫ - বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল তাঁর সমস্ত সম্পত্তি উইল করে নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য তহবিল গঠন করেন।
১৯০৭ - বিশিষ্ট ভারতীয় হিন্দি ভাষার কবি ও লেখক হরিবংশ রাই বচ্চনের জন্ম
১৯১৩- চিত্রশিল্পী চিত্রানিভা চৌধুরির জন্ম
১৯১৪ - ব্রিটেনে প্রথম মহিলা পুলিস নিয়োগ হয়।
১৯৪০- অভিনেতা ও মার্শাল আর্ট শিল্পী ব্রুস লি’র জন্ম
১৯৫২- সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির জন্ম
১৯৮৪- অভিনেতা ও গায়ক অসিতবরণের মৃত্যু
১৯৮৬- ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়নার জন্ম
১৯৯২ - এই দিন থেকে ব্রিটেনের রানী আয়কর দিতে শুরু করেন।
২০০৮- ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিংয়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৪৩ টাকা ৮৫.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৯ টাকা ১০৭.৯০ টাকা
ইউরো ৮৬.৭৫ টাকা ৯০.১০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১/৫৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৭/২৮ গতে ৮/১১ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১৯ গতে ৩/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ গতে ৭/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ৩/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২৪ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/২২ মধ্যে। 
১১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী শেষরাত্রি ৬/২। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৪ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৪ গতে ৪/২৪ মধ্যে।  
২৪ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন শীতলতম রাত, বুধবারে ১০.৪ ডিগ্রির ঠাণ্ডায় দাঁতকপাটি দিল্লিবাসীর

11:44:29 PM

বাংলাদেশের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে সরব আফ্রিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা ম্যারি মিলবেন

10:34:00 PM

অসমের শ্রীভূমিতে দুটি গাড়ি থেকে ৭৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

09:53:00 PM

আইএসএল: মহামেডানকে ২-১ গোলে হারাল বেঙ্গালুরু

09:39:00 PM

৫৫তম গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল (আইএফএফআই): উপস্থিত পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকর

09:30:00 PM

উত্তাল বঙ্গোপসাগর, তামিলনাড়ুতে ট্রাক্টরের সাহায্যে মাছ ধরার নৌকাগুলিকে জল থেকে ডাঙায় তোলা হল

09:26:00 PM