কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
সুজাতা বাথরুম থেকে বেরলেই সুকমল ওকে খবরটা দিল। থমকে গেল সুজাতা। বলল, চলে গেল? কী হয়েছিল?
সুকমল বলল, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকুও পায়নি।
সুজাতা বলল, কই, পুজোর সময় তো বোঝাই যায়নি এতটা অসুস্থ!
ঠিকই। ক’দিন আগেই এ বছরের পুজোতেও সাধনদা যথারীতি পঞ্চমীর দিন হাজির হয়েছিল। ওকে দেখে মনে হয়নি আর ক’দিনই মাত্র ওর আয়ু। সুকমল বলল, বাইরের চেহারায় সবসময় ভেতরের অসুস্থতা ফুটে বেরয় না।
সুজাতা কিছু বলল না। গম্ভীর মুখে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়াল। সুকমলের দশ মিনিট আগেই সুজাতার ট্রেন। ওর স্কুল সুকমলের স্কুলের থেকেও অনেক দূরে। সুজাতা বেরিয়ে যাবার সময় সুকমল দেখল ওর মুখ তখনও থমথমে। হবে নাই বা কেন? ওদের বিয়ে হয়েছে বাইশ বছর। বাইশ বছর ধরে সাধনদাকে সুজাতা দেখছে। মনখারাপ হওয়া স্বাভাবিক। সাধনদাকে সুকমল যে কত বছর ধরে দেখছে তা ওর মনে নেই। মনে হয় বুঝি বা জন্ম থেকেই সাধনদাকে ও দেখছে। আজ আটচল্লিশ বছর ধরেই মনে হয় সাধনদা বুঝি বা একই রকম আছে। মাথায় কাঁচা পাকা চুল। সামনের তিনটে দাঁত নেই। হাত শিরা-ওঠা। মুখে অজস্র বলিরেখা।
স্কুলে পৌঁছেও সুকমল দেখল শূন্যতার বোধ ওকে ছেড়ে যাচ্ছে না। ক্লাস নিতে নিতে বারবার অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছে সে। সাধনদা ওর নিজের দাদা তো নয়ই, পরিবারেরও কেউ নয়। কিন্তু তবুও মানুষটার জন্য বুক হু হু করছে। এর মধ্যেই মা একবার ফোন করেছে ওকে। মা এখন আছে মুম্বইতে, ভাইয়ের কাছে। সাধনদার মৃত্যুতে খুবই ভেঙে পড়েছে মা। ফোনে এমনকী কাঁদছিল। সাধনদার মৃত্যুতে এতখানি বিপন্ন বোধ করছে ওরা সবাই অথচ শেষ কয়েক বছর সাধনদার সঙ্গে ওদের দেখা হতো কেবল পুজোর সময়েই। পঞ্চমীর দিন সাধনদা ঠিক ওদের গ্রামের বাড়িতে হাজির হয়ে যেত। সাধনদার ফোন ছিল না। তাই ওকে খবর দেওয়ারও কোনও ব্যাপার ছিল না। কিন্তু ঠিক পঞ্চমীর দিন এসে হাজির হয়ে যেত সাধনদা। সেই কত কত বছর ধরে। তারপর পুজোর ক’টা দিন একসময় বাবার পেছন পেছন ব্যাগ হাতে করে হাটে যেত সে। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে বাজারে যেত সুকমলের সঙ্গে। শেষের ক’বছর তেমন কাজকর্ম আর করতে পারত না। ওই সকালবেলা একটু হাটে যাওয়া আর রাত্রিবেলা সদর দরজায় তালা দেওয়া। এই ছিল ওর কাজ। বাকি সময়টুকু নানা গল্পে ভরিয়ে রাখত ও। বিচিত্র সব গল্প। তার কোনটা যে সত্যি আর কোনটা যে মিথ্যে বোঝার কোনও উপায়ই ছিল না। কত কত কথা মনে পড়ছে সুকমলের। ক্লাসে ও মন বসাতেই পারছে না।
ও যে বেশ অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছে সেটা খেয়াল করেছিল নিবেদিতা। থার্ড পিরিয়ডটা অফ ছিল সুকমলের। নিবেদিতারও অফ। সুকমলকে জিজ্ঞেস করল নিবেদিতা, আপনার আজ মুড অফ বলে মনে হচ্ছে। কী হয়েছে?
সুকমল বলল, একজন মারা গেছে।
নিবেদিতা বলল, কে?
সুকমল বলল, সাধনদা, আমাদের গ্রামের বাড়ির কাজের লোক।
নিবেদিতা বলল, আপনাদের বাড়িতেই থাকতেন উনি?
সুকমল বলল, না, না, পুজোর সময় প্রতিবছর আসত। আর নানা অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে। আমার বিয়েতে খুব খেটেছিল।
নিবেদিতা বলল, আজ আমি একটু মাংসের ঘুগনি করে এনেছিলাম। কিন্তু আপনার তো মনখারাপ। আজ নিশ্চয়ই আপনি ঘুগনি খাবেন না। পরে আবার অন্য একদিন বানিয়ে আনব।
নিবেদিতা এটা করে। মাঝে মাঝেই সুকমলের জন্য নানান খাবার বানিয়ে নিয়ে আসে। বিয়ে করেনি। সারা বছরে একাধিকবার ভারতের নানা জায়গায় বেড়াতে যায় আর নানা ধরনের খাবার বানায়। এ দুটোই ওর শখ। কিন্তু নিবেদিতার ওর জন্য এই খাবার বানিয়ে নিয়ে আসা নিয়ে মাঝে মাঝে খুবই সংকোচ বোধ করে সুকমল। টিফিনের সময় স্টাফরুমে সকলের সামনেই ওর জন্য আলাদা করে বানিয়ে আনা খাবার সুকমলকে দেয় নিবেদিতা। এক-একদিন এমন হয় যে, নিবেদিতার বানিয়ে আনা খাবার খাওয়ার জন্য বাড়ির টিফিন স্টেশনের ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয় সুকমলকে। কারণ, বাড়িতে টিফিন ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া বিপদের। একটা সময় কিছুদিন রাঁধুনি রেখেছিল সুজাতা। কিন্তু, কারওর রান্নাই ওর পছন্দ হতো না। তাই একে একে সবাইকেই ছাড়িয়ে দেয়। এখন খুব ভোরে উঠে নিজেই রান্না করে সুজাতা। নিজের আর সুকমলের টিফিনও বানায়। সেই টিফিন না খেয়ে সুকমল নিবেদিতার আনা টিফিন খেয়েছে এ কথা জানতে পারলে সুজাতা যে কুরুক্ষেত্র বাঁধাবে বাড়িতে, তা সে জানে। তাই যেদিন নিবেদিতা টিফিন আনে ওর জন্য, সুজাতার বানানো টিফিন স্টেশনের ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া ছাড়া ওর আর অন্য কোনও উপায় থাকে না। মাঝে মাঝেই ও ভেবেছে, ওর জন্য নিবেদিতা যে টিফিন বানিয়ে আনে সেটা ওর সুজাতাকে জানানো উচিত। সুজাতাকে এটা না জানিয়ে ও অন্যায় করছে। কিন্তু ভয়েই ও আজ পর্যন্ত সুজাতাকে কথাটা বলে উঠতে পারেনি। এদিকে নিবেদিতাকে যে টিফিন আনতে নিষেধ করবে সেই সাহসও সুকমলের নেই। ও জানে ওর জন্য নিবেদিতার এই টিফিন আনা নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে ফিসফাস কথাবার্তা হয়। নিবেদিতা সেসবকে পাত্তাই দেয় না। সুকমলকে মাঝে মাঝে দু-একজন দু-একটা বাঁকা কথা শোনালে ও চুপ করেই থাকে।
সুকমল বেশ অনেকক্ষণ চুপ করে আছে দেখে নিবেদিতা বলল, মেনে নেওয়া খুব কঠিন, কিন্তু জানেন তো, মৃত্যুই জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য। এবং মৃত্যু সহ্যও হয়ে যায়।
তা ঠিক। ভুল বলেনি নিবেদিতা। বাবাকে হারিয়ে ওরা দুই ভাই আর মা তো দিব্যি বেঁচে আছে। জেঠুকে হারিয়ে ওর জেঠতুতো বোন আর জেঠিমা মানে বড়মাও তো জীবনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। শোকের আয়ু স্বল্প। কিন্তু বেদনার নয়। মৃত্যু এমন এক বেদনার জন্ম দেয় যা মানুষ অনেকদিন পর্যন্ত বহন করতে থাকে। বাবা বা জেঠুর মৃত্যুর বেদনা ওরা এখনও বহন করছে বইকি! সুকমল জানে সাধনদার মৃত্যুর বেদনাও দ্রুত অন্তর্হিত হবে না।
সন্ধেবেলা মা সুকমলকে বলল, তোর একবার বেলিয়াতোড় যাওয়া উচিত। সাধনের স্ত্রীকে কিছু টাকা দিয়ে আসা দরকার।
কথাটা ভুল বলেনি মা। এত বছরের সম্পর্ক। সাধনদার অবর্তমানে ওর পরিবারকে কিছুটা সাহায্য তো করা দরকার অবশ্যই। সাধনদার বাড়ি বারবেঁধা। ওদের গ্রাম বেলিয়াতোড়ের থেকে খানিকটা দূরে ছোট্ট আরেকটা গ্রাম। কিন্তু সে গ্রামে আজ পর্যন্ত কোনওদিন যায়নি সুকমল। ও ঠিক করল রবিবার দিন বারবেঁধা যাবে।
রবিবার সকাল সকাল বেলিয়াতোড় পৌঁছে গেল সুকমল। দেখল, ও সাধনদার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বড়মা খুবই খুশি হয়েছে। অনর্গল বলে চলেছে সাধনদার কথা। যে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে সাধনদা কীভাবে বারবার বাজারে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য পান-সিগারেট কিনে এনে দিত, সে কথা বলছে। ছোটদের কীভাবে ভূতের গল্প শোনাত সাধনদা, বলছে সে কথা। বলছে একবার ওদের গ্রামের যাত্রায় অভিনয় করতে গিয়ে যে-ডায়লগ ও মাত্র একটিবার বলেছিল কীভাবে প্রতিবার সুকমলদের বাড়িতে এসে সেই ডায়লগ ও প্রতি বছর সবাইকে শোনাত, সে কথাও। সুকমলের মনে পড়ল একটা অদ্ভুত রহস্যজনক গল্প বলত সাধনদা। মাঝে বছর তিনেক পুজোর সময় সাধনদা আসেনি। তারপরে হঠাৎ উদয় হয়। সুকমলরা অবাক হয়ে গিয়েছিল। সাধনদা তিন বছর কেন বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল জিজ্ঞেস করায় ও অম্লান বদনে বলেছিল, চলে গিয়েছিল ভিয়েতনাম। শুনে চমকে উঠেছিল সুকমল। বলেছিল, ভিয়েতনাম গেলে কী করে? তোমার কি পাসপোর্ট আছে নাকি? উত্তরে যে গল্প বলেছিল সাধনদা তা রীতিমতো রহস্যজনক। এক আড়কাঠি নাকি ওকে বাঁকুড়া থেকে ধরে নিয়ে পাচার করে দিয়েছিল ভিয়েতনামে। সেখানে ওকে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতে হতো। ভিয়েতনামে কাজ করা এক বাঙালি পুলিস অফিসার তাকে উদ্ধার করে এবং তারপর সেই অফিসারের দয়াতেই নাকি সাধনদা আবার বাঁকুড়ায় ফিরে আসে। সুকমলরা যখন ওকে জিজ্ঞেস করত, আচ্ছা, বল তো প্লেনের ভেতরটা কীরকম দেখতে, ও বলতে পারত না। যখন বলত, দেখাও তো তোমার পাসপোর্ট, তখন বলত, পাসপোর্ট নাকি কেড়ে নিয়েছিল ভিয়েতনামের ওই দালাল। ওদের নানা প্রশ্নের সদুত্তর সাধনদা কিছুতেই দিতে পারত না ঠিকই, কিন্তু নিখুঁত বর্ণনা দিত ভিয়েতনামের রাস্তাঘাটের। শুনে মনে হতো ও বুঝি সত্যিই ভিয়েতনামে ছিল। সাধনদার ওই তিন বছর উধাও হয়ে যাওয়ার আসল কারণ যে কী তা ওর কথাবার্তা থেকে কিছুতেই স্পষ্ট হতো না। বোঝাই যেত না যে, ও সত্যি বলছে নাকি মিথ্যে বলছে। আসলে ওকে অবিশ্বাস করার কারণও ছিল। একবার ও এসে জানায়, ওর ঘরদোর নাকি হাতি ভেঙে দিয়েছে। ওই অঞ্চলে হাতির উৎপাত প্রবল। কাজেই ওরা সবাই সাধনদার কথা বিশ্বাসই করেছিল। পরে সাধনদার গ্রামের গণেশদা বলেছিল, হাতি ওদের গ্রামে এসেছিল সত্যি। কিন্তু সাধনদার বাড়ি হাতি একেবারেই ভাঙেনি। ও নাকি নিজেই পাঁচিলের কিছুটা অংশ ভেঙে দিয়েছিল যাতে হাতি বাড়ি ভাঙলে পঞ্চায়েত যে টাকা দেয়, সেই টাকাটা ও পায়। গণেশদাকে সাধনদার ভিয়েতনাম যাওয়া নিয়েও জিজ্ঞেস করেছিল সুকমল। কিন্তু এ বিষয়ে গণেশদাও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেনি। সাধনদার ভিয়েতনাম যাওয়ার গল্পটাকে সুকমলরাও তাই শেষ পর্যন্ত একটা মজার খেলা হিসেবেই নিয়েছিল। পুজোর সময় নতুন বন্ধুবান্ধবরা এলে ওরা সাধনদাকে বলত ওর ভিয়েতনাম যাওয়ার গল্পটা শোনাতে। সাধনদা গড়গড় করে মুখস্থ বলার মতো একই গল্প বলে যেত। বন্ধুরা মজা পেত। মজা পেত সুকমলরাও। আজ হঠাৎ সুকমলের মনে হচ্ছে, সাধনদা সত্যিই ভিয়েতনাম গিয়েছিল কি না সেটা ওর স্ত্রীর কাছ থেকে আজকে জেনে নেওয়া যাবে। সাধনদার জীবনের একটা বড় রহস্য অন্তত ওর মৃত্যুর পরে স্পষ্ট হওয়া দরকার। সুকমল আরেকটা সিদ্ধান্তও নিল। যদি দেখা যায় সাধনদা সত্যিই ভিয়েতনামে গিয়েছিল, তাহলে ও সুজাতাকে নিবেদিতার ওর জন্য টিফিন বানিয়ে নিয়ে আসার বিষয়টা জানাবে। সুজাতার কাছ থেকে এই ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখতে ওর মনের ওপর ভীষণ চাপ পড়ে।
ভাড়া গাড়িতে সুকমল যখন বারবেঁধায় সাধনদার বাড়ি পৌঁছল, তখন সন্ধে হব হব। সাধনদার মৃত্যুতে ওর দুই ছেলে এবং স্ত্রী খুব একটা যে ভেঙে পড়েছে তেমনটা মনে হল না। সুকমল কুড়ি হাজার টাকার নোটের একটা বান্ডিল সাধনদার স্ত্রীর হাতে দিয়ে বলল, জীবিত অবস্থায় সাধনদার জন্য তেমন কিছু তো করতে পারিনি। এই টাকাটুকু রাখুন বউদি। হয়তো আপনাদের কাজে লাগবে।
টাকাটা পেয়ে সাধনদার স্ত্রী খুবই খুশি হয়েছে মনে হল। মা-বড়মার খবর নিল। কথাবার্তা আরেকটু এগতেই সুকমল জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা বউদি, সাধনদা প্রায়ই আমাদের বলত ও একবার বছর তিনেকের জন্য ভিয়েতনামে গিয়েছিল। সত্যিই গিয়েছিল কি?
সাধনদার স্ত্রী বলল, আমি জানি নাই। উ একবার অনেক দিনের লাগ্যে ঘরে ফিরে নাই। কুথায় ছিল জানি নাই। মাঝে মাঝেই লোকটা হাপিশ হঁয়্যে যেত, আবার ফিরত। উর অত খবর রাখতাম নাই।
শুনে অবাক হয়ে গেল সুকমল। সাধনদার নিজের স্ত্রীও জানে না ও সত্যি সত্যিই ভিয়েতনামে গিয়েছিল কি না। একটা লোক এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল, অথচ তাকে ঘিরে থাকা একটা রহস্যের সমাধান হল না। একটা সত্য জানা গেল না।
বারবেঁধা থেকে বেলিয়াতোড় ফেরার সময় সুকমল দেখল মধ্য-হেমন্তেই রাস্তার দু-পাশে ঘন কুয়াশা জমতে শুরু করেছে। একটু এগতেই কুয়াশার ওপাশে বারবেঁধা বলে যে একটা গ্রাম আছে আর মনেই হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল কুয়াশা গ্রামটাকে মুছেই দিয়েছে একেবারে। ধূসর ঘন কুয়াশার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সুকমল ঠিক করল নিবেদিতার বিষয়টা সুজাতাকে জানাবে না। ওর মনে হল, পৃথিবীর কিছু কিছু সত্য মাত্র কয়েকজন লোকই জানে। হয়তো বা একজনই জানে। সকলে জানে না। জানার প্রয়োজনও নেই। কিছু কিছু সত্য কুয়াশার আড়ালে থাকাই ভালো।