Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। দিল্লি হয়েই তো যেতে হবে। আবার সিমলা কিংবা রাজস্থান? সেক্ষেত্রেও ওই দিল্লি ছুঁয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকে। অর্থাৎ উত্তর ভারত ভ্রমণে দিল্লিকে স্পর্শ করে যাওয়া কিংবা আসা-যাওয়ার পথে এক-দু’দিন দিল্লিতে থেকে গিয়ে ‘লোকাল ট্যুরে’র  প্ল্যান অতি পরিচিত। 
প্রতিটি ক্ষেত্রেই সর্বাগ্রে কী মনে আসে? থাকব কোথায়? আবহমান সময় ধরেই বাঙালি পর্যটকের কাছে দিল্লিতে থাকার জায়গা দু’টিই। দিল্লি কালীবাড়ি কিংবা পাহাড়গঞ্জ। ক্রমেই এসেছে আরও নানাবিধ বিকল্প। একাধিক বাঙালি সংস্থা পরিচালিত কালীবাড়ি। দক্ষিণ দিল্লি, চিত্তরঞ্জন পার্ক, গ্রেটার কৈলাসের দুর্গাবাড়ি, ময়ূর বিহার, মাতৃমন্দির ইত্যাদি। বাঙালি খাওয়া, বাঙালি থাকা ও মন্দির। 
দিল্লি ভ্রমণের খুঁটিনাটি বলার জন্য এই প্রসঙ্গের অবতারণা নাকি? একেবারেই নয়। একটিমাত্র স্থানের মাহাত্ম্য বর্ণনা উদ্দেশ্য। পাহাড়গঞ্জ। শুধু বাঙালি নয়। ভারত হোক অথবা নেদারল্যান্ড। বিশ্বের যেকোনও প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক, পরীক্ষার্থী, ইন্টারভিউ দিতে আসা কর্মপ্রার্থী কিংবা ছোটবড়  ব্যবসায়ী। সকলের কাছে সবথেকে সুবিধাজনক থাকার স্থান হিসেবে জনপ্রিয়তায় এক নম্বর পাহাড়গঞ্জ। আজও সমান জনপ্রিয়। কেন? কারণ দিল্লি স্টেশনের লাগোয়া। অসংখ্য হোটেল। অসংখ্য খাবার দোকান। এবং বাস, ট্রেন, মেট্রো, অটো, ই-রিকশ। সবই একই একটিই স্থানে। 
নয়াদিল্লি স্টেশনের দু’টি প্রবেশ এবং প্রস্থান দিক। একটি ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে। আজমীরি গেট প্রস্থানদ্বার। আর অন্যটি ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিক থেকে প্রবেশ ও প্রস্থান দ্বার। এই ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে দিল্লি শহরে পা রাখলেই ঠিক উল্টোদিকের যে জনপদ তাকেই বলা হয় পাহাড়গঞ্জ। যা হোটেলের স্বর্গরাজ্য। খাদ্যের সুরম্যক্ষেত্র। ট্রেন থেকে নেমেই হোটেল চাই? পাহাড়গঞ্জ। খুব ভোরে ট্রেন ধরতে হবে? পাহাড়গঞ্জ হোটেলই ভরসা। অতএব  হোটেল এবং খাদ্যভাণ্ডারের জন্য তো ব঩টেই, একটি যাতায়াতের পথে অস্থায়ী আস্তানার জন্য পাহাড়গঞ্জ আদর্শ। 
সম্রাট শাহজাহান নির্মাণ করেছিলেন শাহজাহানাবাদ। অর্থাৎ আজকের পুরনো দিল্লি যেখানে। বাজার, তবায়েফ খানা, মীনাবাজার, সরাইখানা, ব্যবসায়ীদের আগমন, ভাগ্য ফেরানো, সঙ্গীত-সাহিত্য চর্চা,  লালকেল্লা, যমুনা, বাদশাহদের মেজাজ মর্জি, চক্রান্ত, সংঘর্ষ, গুপ্তহত্যা, উত্থান-পতন— এই তাবৎ ইতিহাস আবর্তিত হয়েছে ওই চাঁদনি চক, লালকেল্লাকে কেন্দ্র করেই। শাহজাহান থেকে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ। 
কিন্তু ওই আলোকোজ্জ্বল ইতিহাস বই থেকে কিছুটা দূরেই নিজের একক অস্তিত্ব বজায় রেখে যেন প্রতিটি ঘটনাকে নীরবে পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছে একটি বাজার। একটি জনপদ। তার নাম পাহাড়গঞ্জ। যে নিজেও অসংখ্য ঘটনার পটভূমি। অথচ জনমনে সেগুলি সম্পর্কে সম্যক ধারণা কম। 
দিল্লিতে নাদির শাহ ১৭৩৯ সালের ওই গণহত্যা ঘটালেন কেন? কেনই বা দিল্লির মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ শিখাও প্রদীপে পরিণত হয়েছিল? তার কারণও এই পাহাড়গঞ্জ। নাদির শাহের সেনাবাহিনী এই পাহাড়গঞ্জ বাজারে এসেছিল কেনাকাটা করতে। তাদের পণ্য বিক্রি করতে রাজি হয়নি দিল্লিবাসী কিছু ব্যবসায়ী। সেই নিয়ে তর্কবিতর্ক। দিল্লিবাসী কম যায় না। দুর্ধর্ষ নাদির শাহ সেনাবাহিনীর কিছু সেনাকে সংঘর্ষে খতম করে দেওয়া হল। আর সেই রাগেই নাদির শাহের হরিয়ানার কার্নাল থেকে দিল্লি অভিযান। এমনকী সেই অভিযানের সময় হঠাৎ তার উপর ইট পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। ব্যস! হুকুম দিলেন কতল এ আম। রক্তে ভেসে গেল দিল্লি। 
সিপাহি বিদ্রোহ চলছে। সিপাহিদের দ্রোহে কাঁপছে দিল্লির ব্রিটিশ বাহিনী। ১৮৫৭ সাল। মিরাটে যার সূত্রপাত। মিরাটের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও ফতেপুরের ডেপুটি কালেক্টর থিও মেটকাফ সিপাহিদের বিদ্রোহের সংবাদ পেয়েই ভাবলেন দিল্লিতে আগে কোম্পানিকে খবর দিতে হবে। নিজেই রওনা হলেন ১১ মে। এসে পৌঁছলেন। বললেন ব্রিটিশ রেসিডেন্টকে যেকোনও মুহূর্তেই আসতে চলেছে সিপাহিরা। সাবধান। 
তাঁকে ফিরতে দেওয়া হল না। বলা হল নজফগড়ের যুদ্ধে যেন তিনি বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন। কিন্তু কোনও যুদ্ধেই কিছু লাভ হল না। সিপাহিদের কাছে সব প্রতিরোধ ভেঙে পড়ল। দিল্লি দখল করল সিপাহিরা। আর শুরু হল ব্রিটিশ হত্যা ও বিতাড়ন। আতঙ্কিত ইউরোপিয়ানরা পাগলের মতো দিল্লি থেকে পালাচ্ছে। খোদ মেটকাফের বাড়িও রেহাই পায়নি। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হল। 
প্রাণ বাঁচাতে হবে মেটকাফকে। কোথায় যাবেন? লালকেল্লা, চাঁদনী চক, শাহজানাবাদের ধারেকাছে তাঁকে দেখা গেলে আর রক্ষা নেই। আলো আঁধারি দিল্লির রাস্তায় ঘোড়ায় চেপে জঙ্গলের ভিতর থেকে যমুনার তীর ঘেঁষে প্রাণভয়ে ১৮৫৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পালাচ্ছেন এক ব্রিটিশ ডেপুটি কালেক্টর! সিপাহিদের ভয়ে।
অবশেষে দেখা যাচ্ছে আলো। দূর থেকে। একটি জনপদ। এসে দেখলেন এটাই পাহাড়গঞ্জ। বাজার আছে। বসতি আছে। তবে শাহজানাবাদের মতো উজ্জ্বল নয়। একটু যেন ম্লান। মুঘল আমলের কোতোয়ালিতে গেলে কি রক্ষা পাওয়া যাবে? পথেঘাটে ঘোরার থেকে সেটাই ভালো। অতএব সোজা কোতোয়ালিতে গেলেন। 
পাহাড়গঞ্জ কোতোয়ালির কোতোয়াল সাহেব কে এখন? মুইন উদ দিন হুসেন খান। একজন ডেপুটি কালেক্টর পদের ব্রিটিশ প্রায় হাতে পায়ে ধরে প্রাণভিক্ষা চাইলেন। মুইন উদ দিন হুসেন খান দেখলেন, একজন মানুষ প্রাণের ভিক্ষা চাইছে। তাকে কি সিপাহিদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত? আবার এই ব্রিটিশরাই আজ নয় কাল আবার তাঁদের উপর, তাঁদের বাদশাহের উপর দাদাগিরি করবেন হয়তো। তবু প্রাণ রক্ষার্থে এসেছেন যিনি, তাঁকে রক্ষা করাই তো ধর্ম। অতএব মুইন উদ  দিন হুদেন খান থিও মেটকাফকে নিরাপদে দিল্লির বাইরে চলে যেতে সহায়তা করলেন। মেটকাফ চলে গেলেন রাজপুতানায়। কে ছিলেন এই মুইন উদ দিন হুসেন খানের সম্পর্কিত দাদা? মির্জা গালিব!
দিল্লি রাজধানী হয়ে আসার পর নতুন দিল্লি নামক নয়া শহর গড়ে তোলা হবে। ১৯২০ সালে নজর দেওয়া হল পাহাড়গঞ্জে। স্যার এডুইন লুটিয়েন্স সাজাচ্ছেন দিল্লিকে। পাহাড়গঞ্জ হয়ে উঠল বাণিজ্যিক কেন্দ্র। যার কেন্দ্রস্থলে ইম্পিরিয়াল সিনেমা। ১৯৩০ সাল। আশ্চর্য স্থাপত্য। এখানে ঢুকলে 
দেখা যায় মানুষ নড়ছে চড়ছে। অথচ পর্দায়। এর নাম বায়োস্কোপ। তবে কথা বলে 
না কেউ। 
পাহাড়গঞ্জে সাইলেন্ট সিনেমার যাত্রা শুরু হল ইম্পিরিয়াল সিনেমা হলের হাত ধরে। তবে নিয়ম ছিল যতক্ষণ না দর্শকে পূর্ণ হয়ে যাবে সিনেমা হল, ততক্ষণ সিনেমা শুরু হবে না। তাই বলে কি অতক্ষণ ধরে বসে থাকবে দর্শক? তা কেন? যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ হচ্ছে, ততক্ষণ হবে বাইজিদের নৃত্য! অর্থাৎ সিনেমার টিকিটে বাইজিনৃত্য ফ্রি! পাহাড়গঞ্জে ১৯৪৭ সালের পর থেকে হাজার হাজার উদ্বাস্তু এসে দোকান চালু করল। কোনওমতে সংসার চালানোর কিছু ব্যবস্থা করতে হবে তো! অতএব মুঘল আমল থেকে উদ্বাস্তু। পাহাড়গঞ্জ এক চিরন্তন আশ্রয়খানা। দিল্লির একমাত্র স্থান যা জেগে থাকে ২৪ ঘণ্টা। 
মুঘল এল। ব্রিটিশ এল। স্বাধীনতা এল। পাহাড়গঞ্জ চলমান ইতিহাস হয়ে আজও জেগে রয়েছে! 
20th  October, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো।  বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
একনজরে
রানওয়ের মতো চকচকে রাস্তা। তাও আবার যানজটহীন। তাই সুযোগ পেলেই স্মার্টসিটি নিউটাউনে এতকাল গাড়ি ও বাইককে বেপরোয়া গতিতে নিয়ে যেতেন এক  শ্রেণির চালক। পুলিস হাতেনাতে ধরতে না পারায়, তারা দিব্যি পার পেয়ে যেত। ...

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, ইউভার্স ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। কয়েক লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। তবে ...

মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি। বিধানসভা ভোটের আগে সেই ফলাফলই কপালে ভাঁজ ফেলেছিল বিজেপির। রাজনীতির কারাবারিরা ধরেই নিয়েছিলেন, এবার মহারাষ্ট্রে শাসক মহাযুতি জোটের ফেরা কঠিন। কিন্তু, ...

বেহাল রাস্তার ধুলো উড়ে এসে জমছে সর্বত্র। জমিতে কয়েক ইঞ্চি পুরু ধুলো। রাস্তায় গোড়ালি সমান। এতটাই ধুলো উড়ছে যে কয়েক হাত দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না। খাবার ও পানীয় জলের পাত্রে জমছে ধুলোর আস্তরণ। বাড়ছে শ্বাসকষ্ট। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

সংবিধান দিবস
জাতীয় দুগ্ধ দিবস
বিশ্ব কেক দিবস

১৩৭৯: ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড নিউ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৮৫: বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান-প্রশাসক দেবেন্দ্র মোহন বসুর জন্ম
১৮৯০: ভাষাবিদ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১১:  বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতা শ্যাম লাহার জন্ম
১৯২২: দুই রঙ বিশিষ্ট টেকনিকালারে নির্মিত প্রথম ছবি ‘টোল অব দ্য সী’ মুক্তি পায়
১৯২৩: গণিতবিদ (ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “গণিত সম্রাট” উপাধি দিয়েছিল) যাদব চন্দ্র চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৪৯: ভারতীয় গণপরিষদে ভারতের সংবিধান অনুমোদিত হয়
১৯৫৬: অভিনেত্রী অনামিকা সাহার জন্ম
১৯৯২: টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কমবয়েসী ক্রিকেটার হিসেবে [১৯ বছর ২২ দিন] শচীন তেন্ডুলকর ১ হাজার রান করেন
১৯৭২: অভিনেতা অর্জুন রামপালের জন্ম
১৯৭৬: 'মাইক্রোসফট' নামটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধিত হয়
২০০৮: লস্কর ই তৈবা জঙ্গিদের মুম্বইয়ে হানা, অন্তত ১৬৪ জনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪৮ টাকা ১০৮.২০ টাকা
ইউরো ৮৬.৮২ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪। একাদশী ৫৪/২৮ রাত্রি ৩/৪৮। হস্তা নক্ষত্র ৫৬/২৫ রাত্রি ৩/৪৮। সূর্যোদয় ৫/০/৩৫, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ মধ্যে পুনঃ ৭/২৬ গতে ১১/৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১১/৫০ মধ্যে পুনঃ ১/৩৬ গতে ৩/২২ মধ্যে পুনঃ ৫/৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/২১ গতে ৮/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে। 
১০ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৩/৫৬। হস্তা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৫/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৩ গতে ৮/৪৪ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েলের

11:51:00 PM

বক্সিরহাটে গাড়ি থেকে উদ্ধার প্রচুর মাদক

11:37:00 PM

বিদেশি পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু
এক জার্মান পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু। আগামী কাল হাওড়ার বি গার্ডেন ...বিশদ

10:42:00 PM

গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল (আইএফএফআই): উপস্থিত অভিনেত্রী রাখি গুলজার

10:08:00 PM

গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল (আইএফএফআই): উপস্থিত অভিনেতা আর মাধবন

10:04:00 PM

ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হলেন বিজ্ঞানী ডাঃ জয়তীর্থ রাঘবেন্দ্র জোশ

09:54:00 PM