Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

আপনি দশানন দাসকে চেনেন?              
যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।   
লোকটাকে দেখলেই মায়া হবে আপনার। সবার হয়। কিন্তু জানেন তো, বিন্তিমাসির ভাইপোর বন্ধুর পিসের ভাই অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়া ওই দশানন দাসকে একদম পছন্দ করে না। ওকে দূর থেকে দেখলেই রাস্তা বদলে অন্য রাস্তা ধরে। কী বলছেন, অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়ার নামই শোনেননি আপনি? দূর মশাই, আপনি দেখি কিছুই জানেন না। দশানন দাসকে চেনেন না, অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়ার নাম শোনেননি, তাহলে জানেনটা কী?                        
ও মা রাগ করলেন? আচ্ছা আচ্ছা, আপনি দশানন দাস বা অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়াকে চেনেন না সে আর এমনকী! নাই চিনতে পারেন। আপনি তো আর বলেননি যে ভজগৌরাঙ্গ খন্দকারকে আপনি চেনেন না! আমি জানি তাঁকে আপনি চেনেন। আরে ওই যে, গত মাঘ মাসে খালপাড়ের মাঠে যে সুপারহিট যাত্রাপালাটা এসেছিল, ওই যে ‘গলির মোড়ে পুকুরধারে তুমি আর আমি’, সেই দলেরই অধিকারী হলেন ভজগৌরাঙ্গ খন্দকার। কী, চিনলেন তো এবার? জানি চিনবেন। তা সেই ভজগৌরাঙ্গের লতায়পাতায় পিসতুতো ভাই হল গে অবিনশ্বর। কিন্তু এই গল্পটা আসলে অবিনশ্বরের নয়। এটা আসলে দশানন দাসের গল্প।              
আরে চললেন কোথায়? বসুন না মশাই। এই আপনাদের নিয়ে আর পারা যায় না। সব ব্যাপারে তাড়াহুড়ো। বাড়ি যাবেন? সে তো যাবেনই। তা বাড়ি গিয়ে কী করবেন? সেই তো আপনার গাছপাকা ছেলেকে পড়াতে বসাবেন। তক্ষুনি লোডশেডিং হয়ে যাবে। রোজই হয়। এক হাতে পাখা চালাতে চালাতে এক হাতে ছেলের অঙ্ক খাতায় ত্রৈরাশিকের অঙ্ক কষবেন। মাঝে মাঝে পাখার বাঁট দিয়ে মাথার খুশকি আর পিঠের ঘামাচি চুলকোবেন। এদিকে ছেলেও ইয়াব্বড় বড় হাই তুলবে। তুলবেই। কারণ আপনি তো ত্রৈরাশিক কবেই ভুলে মেরে দিয়েছেন। কিন্তু সে কথা ছেলের সামনে প্রকাশ করা চলে না। তাই অগত্যা আপনি আঁক কষেই চলবেন। তারপর যেই না ছেলে আরেকবার হাই তুলবে, অমনি ছেলের পিঠে পাখার ডান্ডা দিয়ে এক রদ্দা কষিয়ে বিড়ি ধরিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াবেন।                
তা তাতেও কী শান্তি আছে? মধ্যবিত্ত বাঙালি পুরুষ নিজের বাড়িতে বসে কবেই বা নিরুদ্বিগ্ন মনে একটা আস্ত বিড়ি টানতে পেরেছে? আপনিও পারবেন না। যেই দ্বিতীয় টানটা দিয়ে ধোঁয়াটা ছাড়বেন, অমনি দেখবেন আপনার গিন্নি রান্নাঘর থেকে চিল চিৎকার জুড়েছেন। না, মানে প্রথমেই সেটা ঠিক ঢক্কানিনাদ মার্কা হবে না। বিড়বিড়, গজগজ, ফ্যাঁচফ্যাঁচ অনেকগুলি পর্ব পেরিয়ে তারপর যেমন বজ্রপাতটা হয় বরাবর, তেমনই হবে। বাঙালি পুরুষের সমস্যা হল গে, পূর্বরাগ পর্বগুলোতে কানে ঠুলি এঁটে থাকে। তারপর আর সামলাতে পারে না। আপনিও পারবেন না জানা কথাই।            
সুতরাং বজ্রপাতটা হবেই। হতে বাধ্য। যেইমাত্র লোডশেডিং হয়েছে, আর আপনার আশপাশের বাড়িগুলোতে জেনারেটরের ঘ্যাটঘ্যাট শব্দ আর নেবারস এনভি ওনারস প্রাইড মার্কা মৃদু মিহিন আলো ছড়িয়ে পড়ছে, আপনার দেড়-দুই দশক পুরনো গিন্নিটিও রান্নাঘরে ইঁদুর আর আরশোলার মাঝে ঘেমে নেয়ে প্রথমে দপদপ করে, পরে দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করেছেন, জেনে রাখুন, আপনি শহিদ হয়েই গেছেন। তারপর সেই তো, থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়। যুদ্ধটা এই বয়সে এসে শোয়ার ঘরেও থামে না। বিয়েতে শ্বশুরমশাইয়ের দেওয়া বিছানার দুইপ্রান্তে বিবদমান দুই প্রতিপক্ষ মাঝে কুরুক্ষেত্রের বিস্তীর্ণ প্রান্তর রচনা করে ঘুমোতে যাবেন। আপনার গিন্নি অভিমানী মেনির মতো ফ্যাচফ্যাচ করে চলবেন, যতক্ষণ না ঘুম আসে। ওদিকে আপনিও চোখ আর নিঃশ্বাস দুটোই প্রাণপণে চেপে পাথুরে অহল্যার মতো পড়ে থাকবেন।                
আমি কী করে জানলাম? আরে মশাই, ফিফটিন ইয়ারস ধরে সংসার কচ্ছি, আমি জানব না? একদম ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা। বাড়ি ঢোকা মাত্র শুরু হবে অশান্তি। তাই তো রাত ন’টা অবধি রোজ এখানে বসে থাকি, এই আপনাদের মতো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গল্পগাছা করি টরি আর কী! তারপর ন’টার ট্রেন ধরি। বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে রাত দশটা। ততক্ষণে বউ ‘ঢ্যাঁড়স-কুমার নাচন-ওয়ালা’ সিরিয়ালে ঢুকে যায়। ওটা ওর ফেভারিট। কিন্তু লোড শেডিং হলেই চিত্তির। মোটা মানুষ তো, দরদর করে ঘামে। তখন শুরু হয় চিল চিৎকার আর আমার বাপ-বাপান্ত। কী বলব, প্রতিবেশীদের বাড়ির দরজা-জানলা তখন এই গরমের মধ্যেও ধপাধপ বন্ধ হতে থাকে। সব দোষ আমার। আমি হলাম গে বেসরকারি অফিসের তস্য জুনিয়ার কেরানি। জিভ বের করে খাটায়, বেতনের ভাঁড়ে মা ভবানী। জেনারেটর কেনার পয়সা পাব কোথায়? সে যাই হোক, আমার কথা ছাড়ুন। আরে উঠছেন যে বড়? বসুন না, দশানন দাসের গল্পটা একটু শুনে যান।              
আচ্ছা যেটা বলছিলাম, দশানন দাসের অমন পাগলপারা অবস্থা বরাবর ছিল না। দিব্যি ভালো মানুষ, মায়ের হাতের পুঁটি, চারা বা খলসে মাছের ঝোলটি দিয়ে এক থালা ভাত খেয়ে ফুলবাবুটি সেজে অফিসে যেত সে, মাইরি বলছি। কী, বিশ্বাস হচ্ছে না তো? আমার কথা কিন্তু বর্ণে বর্ণে সত্যি। আরও শুনতে চান? দশানন দাস একটি সরকারি চাকরিও করত। হলই বা চতুর্থ শ্রেণির কেরানি, তাইতে কী মশাই! চাকরির যা বাজার, পেপারে দেখেননি, আজকাল লাশকাটা ঘরে ডোমের চাকরির জন্যেও পিএইচডির ছাত্ররা ফর্ম ভরে!          
দশানন দাস অবিশ্যি অত লেখাপড়া করেনি। তার বাবা তখনও বেঁচে। ছেলের লেখাপড়ায় মন নেই বেশ বুঝেছিলেন তিনি। ওই বয়স থেকেই ছেলে টেরি বাগিয়ে, ফুল-পাতা-জঙ্গল ছাপ হাওয়াই শার্ট পরে মেয়ে-ইশকুলের সামনে ঘুরে বেড়ায়। দেখেশুনেই বুঝি মনের দুঃখে অসময়ে চোখ বুজলেন ভদ্রলোক। আর তার পরের বছরই দুই বচ্ছর ফেল মারার পর তৃতীয় বছরে গিয়ে আশ্চর্যভাবে দশানন দাস উচ্চ মাধ্যমিকের চৌকাঠটা পেরিয়ে গেল এবং বাবার ছেড়ে যাওয়া সরকারি চাকরির সিংহাসনে গিয়ে বসল।           
আহা, দশানন দাসের জীবনে সোনারঙা সময় ছিল সেটা। কিন্তু মহিলাদের সমস্যাই হচ্ছে তারা পুরুষদের সুখ সহ্য করতে পারে না। এই যে, আপনি আবার উশখুশ করতে শুরু করলেন যে বড়? একটু শান্ত হয়ে বসে শুনুন না মাইরি। ধরান, বিড়িটা ধরান। আমাকেও একটা দেবেন। মাথায় ধোঁয়া না লাগলে গল্প গড়ায় না।      
হ্যাঁ, তা যা বলছিলাম। দিব্যি তো ছিল দশানন দাস। কিন্তু তার সেই সুখ মায়ের সইলে তো? সে বুড়ি উঠেপড়ে লাগলেন ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজতে। তা দশাননের যে খুব একটা আপত্তি ছিল তাও নয়। নারীজাতি সম্পর্কে যাবতীয় জ্ঞান আহরণ তার সেই কাঁচা বয়সেই সারা হয়ে গেছিল। মায়ের সঙ্গে ফি সপ্তাহান্তে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতৃকুলের বাড়িতে গিয়ে জলযোগ সহকারে অনূঢ়া কুমারীদের দিকে টেরচা চোখে তাকিয়ে বেশ নতুন শিহরন অনুভব করছিল। মনে হচ্ছিল, একখানি নরমসরম বউ হলে মন্দ হয় না।                   
নিশ্চয়ই ভাবছেন, যে দশাননের এক মুখরা, দজ্জাল বউ এল, যার জন্য দশাননের আজ এই অবস্থা! উঁহু, আপনার কল্পনাশক্তির প্রশংসা করতে পারছি না। বউ এল দশাননের, ঠিক যেমনটা সে চেয়েছিল। সাত চড়ে রা করে না, ভীরু চোখে চায়, বকলে চোখ ছলছল করে তার, চোখের পাতায় বাষ্প জমে। এই দেখুন দেখি, মেয়েদের ব্যাপারটাই এমন। তাদের কথা বলতে গেলেই আমার কেমন কাব্যি পায়। তা সে যা হোক, দশাননের বউটির নামটিও ছিল বেশ নরম। ধরা যাক, তার নাম লাবণী। অমন সুন্দরী বউ পেয়ে দশানন তো কী করবে ভেবেই পায় না। বউকে ‘মাথায় রাখলে উকুনে খাবে, মাটিতে রাখলে পিঁপড়েয় খাবে’ দশা তার।         
অল্প বয়স থেকে মেয়েদের সম্পর্কে যেটুকু থিওরিটিক্যাল জ্ঞান আহরণ করেছিল দশানন, বউয়ের বেলায় কোনও অভিজ্ঞতাই কোনও কাজে এল না। এ মেয়ের মনের তল পাওয়া ভার। এমনিতে লাবণী সুগৃহিণী। সারাদিন মুখ বুজে ঘরের কাজ করে, বেতো শাশুড়ির সেবা করে। খাসা রান্নাও করতে পারে। আত্মীয়স্বজনেরা নতুন বউয়ের রান্না খেয়ে ধন্য ধন্য করে যায়। শাড়ি-গয়নার জন্য আবদার করে না, সিনেমা বা বাজারে যাওয়ার জেদ করে না। শুধু মঙ্গল আর শুক্কুরবার করে বেলা এগারোটায় ফুলকুল্লি জংশন ইস্টিশনের কাছে শীতলা মন্দিরে পুজো দিতে আসে বউ। ঠাকুর-দেবতাতে তার ভারী ইয়ে, মানে ভক্তি। বিয়ে হওয়া ইস্তক দশাননের মঙ্গলের জন্য ব্রত রেখেছে। জ্যোতিষী নাকি বলেছেন, ছয়মাসের আগে স্বামীসঙ্গ করলে তার বৈধব্যযোগ আছে। অবাক চোখে বউকে চেয়ে চেয়ে দেখে দশানন, আর ভাবে, আহা, এত সুখও তার কপালে ছিল!           
কিন্তু সে সুখ বেশিদিন সইল না। এক মঙ্গলবার লাবণী মন্দিরে পুজো দিতে গেল। গেল তো গেলই, আর ফিরল না। খুব ট্র্যাজিক গল্প মশাই, কী আর বলব! সেই থেকে দশানন দাস কেমন জানি পাগল পাগল হয়ে গেল। প্রতি হপ্তায় মঙ্গল আর শুক্কুরবার করে বিন্তিমাসির দোকানে এসে বসে থাকে আর বিড়বিড় করে। মাঝে মাঝে উঠে গিয়ে মন্দিরে যাওয়া আসার পথে মেয়ে-বউদের মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।           আহা আহা, আপনি অমন কাঁদো কাঁদো মুখ করে আছেন কেন? তা আপনারই বা কী দোষ। দশানন দাসের দুঃখে পাথরও কাঁদে। দশানন দাসকে ওই এলাকায় সকলেই চেনে। তাই তো বিন্তিমাসি ফি মঙ্গল আর শুক্কুরবার ওকে বিনি পয়সায় চা খাওয়ায়। সঙ্গে লেড়ো বিস্কুট। বউ পালানো পুরুষ মানুষদের মহিলারা বরাবরই একটু বেশি স্নেহের চোখে দেখে, এটাই নিয়ম। বোঝে না, যারা ঘরে বউ নিয়ে নিত্যদিন জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের দুঃখ আরও বেশি। সবই কপাল!              
কী বলছেন? লাবণী কোথায় গেল? দাঁড়ান মশাই, এসব কথা কি আর উঁচু গলায় বলা যায়? আচ্ছা শুনুন তবে, ঠিক এইখানটায় গল্পে এন্ট্রি নিচ্ছে কে? না, অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়া। সেই ছোটবেলা থেকেই অবিনশ্বরের সঙ্গে লাবণীর প্রেম। হলে কী হবে? বেকার প্রেমিক, তার উপর আধা বিহারী। যদিও তিন পুরুষ বাংলায় বাস। ওদিকে লাবণীর অমরীশ পুরী মার্কা বাপ কিছুতেই আধা বিহারী, বেকার ছেলের সঙ্গে মেয়ের বে দেবেন না। ওই যেমন বাংলা সিনেমায় হয়, দু’জনে মিলে হাতে হাত দিয়ে কান্নাকাটি করে। তারপর একদিন প্রেমিকা পোঁ পোঁ সানাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি চলে যায়, সেরকম হার্ট-ড্রেঞ্চিং প্রেম কাহিনি মশাই।         
তো লাবণী ও তার প্রেমিক মিলে মোক্ষম প্যাঁচ কষেছিল। শ্বশুর বাড়িতে ক’দিন লক্ষ্মী বউ হয়ে রইল সে। দশাননকে ধারেকাছেও ঘেঁষতে দিল সে। শুধু মঙ্গল আর শুক্কুরবার মন্দির যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করত। সুখ দুঃখের গপ্পগাছা করত। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা চলত। এরই মধ্যে তার প্রেমিকটি এদিক ওদিক করে একখানা চাকরি জুটিয়ে ফেলল। তারপর সময় বুঝে দু’জনে ভাগলবা। সেই থেকে দশাননের এই দশা।      
কী বলছেন, আমি দশানন দাসকে কেন খুঁজছি? কী আর বলব মশাই, লজ্জার কথা। দশানন দাসকে আমার খুব দরকার। তাকে জানাতে তো হবে যে সে কী বাঁচা বেঁচে গেছে! ভাগ্যিস লাবণী তাকে ছেড়ে পালিয়েছিল, নইলে শুধু মঙ্গল, শুক্কুরবার কেন, বরাবরের জন্যই এ দোকান আর সে দোকানের বেঞ্চে বসে কাটাতে হতো। বাড়ি ফেরার কথা মনে হলেই মনে হতো বাঘের গুহায় মাথা ঢোকাতে যাচ্ছে। সংসারের জ্বালায় তাকে জ্বলতে হয়নি, বড় বাঁচা বেঁচেছে সে।      
যাক, আপনার সঙ্গে আলাপ হয়ে খুব ভালো লাগল মশাই। আজ উঠি। ন’টার ট্রেনটা ধরতে হবে। যাই বলুন, বিবাহিত লোক হল বলদের মতো, গোয়াল যতই খারাপ হোক, দিনের শেষে ফিরতেই হয়। আচ্ছা চলি কেমন?  
ডাকলেন আমাকে? আমার নাম? ওই দেখুন কথায় কথায় নিজের নামটাই বলা হয়নি। আমার নাম অবিনশ্বর সর্বাধিকারী চৌরাশিয়া। আসি ভাই, আর দেরি হলে ট্রেনটা মিস করব। তখন আবার বউ...! যাক গে যাক। আপনার সঙ্গে দুটো সুখ-দুঃখের কথা কয়ে সন্ধেটা ভারী ভালো কাটল। ভালো থাকবেন। 
07th  April, 2024
জীবন যখন অনলাইন
অনিন্দিতা বসু সান্যাল

বেণী-সমেত লম্বা চুলের ডগাটা কাটতে কাটতেই ফোনটা এল। সকাল সাতটা। খবরের কাগজ অনেকক্ষণ আগেই ফেলে গিয়েছে চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার সামনে। ভোরেই ওঠার অভ্যেস মন্দিরার। বিশদ

28th  April, 2024
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
পুজো, চায়ের আসরে চর্চা, ছোট ছোট জনসভা, পথসভা। নানা কায়দায় হুগলি ও শ্রীরামপুরে প্রচার সারলেন লোকসভার প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার তীব্র গরমের মধ্যেও প্রার্থীরা অক্লান্ত প্রচার করেছেন। ...

‘শেষ সম্মানীয় ডাকু ছিল মালখান সিং, বুঝলেন!’ সম্মানীয়? ডাকাত আবার সম্মানীয়? লোকেন্দ্র তোমারের চোখমুখ কুঁচকে গেল। যেন অসন্তুষ্ট। তীব্র চোখে তাকালেন। ‘এই চম্বলের যে কোনও ...

ফের চোটের কবলে মায়াঙ্ক যাদব। ৩০ এপ্রিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নিজের চতুর্থ ওভার পূর্ণ করতে পারেননি তিনি। প্রথম বলের পরই মাঠ ছাড়েন লখনউ সুপার জায়ান্টসের তরুণ পেসার। ...

আচমকা বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির জেরে গত মাসেই থমকে গিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির জনজীবন। ১৯৪৯ সালের পর এমন বৃষ্টি দেখেননি সেখানকার মানুষ। জলমগ্ন দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছবি দেখে চমকে গিয়েছিল গোটা দুনিয়া। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনকে কেন্দ্র করে জ্ঞাতি বিরোধের আশঙ্কা। কর্মে সংযোগের অভাব। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৯৪ - কলম্বাস জামাইকা আবিষ্কার করেন
১৭৬৫ - বাংলার গভর্নর পদে নিযুক্ত হয়ে রবার্ট ক্লাইভ কলকাতায় উপনীত হন
১৭৬৫ - ব্রিটিশদের সঙ্গে মারাঠাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়
১৮০২- শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির
১৮৩৭ - অ্যাথেন্স বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় গ্রীসে
১৮৩৯- ভারতীয় শিল্পপতি ও টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটার জন্ম
১৯১৩- ভারতের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ মুক্তি পেল
১৯২৩ - ভারতের গোরখপুরে হিন্দুধর্মীয় গ্রন্থের বৃহত্তম প্রকাশনা সংস্থা গীতা প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৩৯- সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস ত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন
১৯৬৯- তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর জাকির হুসেনের মৃত্যু
১৯৮১- অভিনেত্রী নার্গিসের মৃত্যু
১৯৮৮- কল্লোল যুগের অন্যতম প্রধান সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব প্রেমেন্দ্র মিত্রর মৃত্যু
২০০৬- রাজনীতিবিদ প্রমোদ মহাজনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬১ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০২.৯১ টাকা ১০৬.৩৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৯ টাকা ৯১.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪। দশমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১১/২৫। শতভিষা নক্ষত্র ৪৭/২৮ রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৬/৪১, সূর্যাস্ত ৬/০/৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৭/৪১ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫৩ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২০ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
২০ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪। দশমী রাত্রি ৮/১৮। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৫। সূর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৬/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
২৩ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ঝড়ের সম্ভাবনা, ৬-৭ মে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ আবহাওয়া দপ্তরের

01:53:02 PM

১০৩৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

01:52:26 PM

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র দেশের জন্য কাজ করেছেন, তৃণমূল সেই বংশের অপমান করেছে : মোদি

01:24:31 PM

তৃণমূল সিএএ আটকাতে পারবে না: মোদি

01:24:31 PM

মতুয়াদের ন্যায় দিতে আমরা সিএএ লাগু করেছি: মোদি

01:24:31 PM

আখের গোছাতে ব্যস্ত ইন্ডি জোট: মোদি

01:24:31 PM