Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অপারেশন ৭১: পর্ব ৪
রেডিও সিগন্যাল
সমৃদ্ধ দত্ত

আলফা, ব্রেভো, ডেলটা, ফক্সডোর্ট, ইয়ার্নি, ইকো আর চার্লি। এগুলো হল অপারেশনাল সেক্টর। পূর্ব পাকিস্তানের তিনটি বন্দরে মোতায়েন করা পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ ধ্বংসের অভিযান যখন চলবে, তখন যদি সেই অপারেশন টিম ব্যর্থ হয় কিংবা কোনও কারণে ধরা পড়ে যায়, তাহলে ভারতীয় সেনাবাহিনী আর নৌসেনার এই সাতটি সেক্টর ব্যাক আপ সাপোর্ট টিম হিসেবে থাকবে। অভিযান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। টিম ব্যর্থ হতে পারে। কিন্তু অপারেশন জ্যাকপট সফল করতেই হবে। পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান যখন পূর্ব পকিস্তানে বাঙালি নিধন প্রোগ্রামে মত্ত হয়ে মহানন্দে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে আছেন এবং একের পর এক অত্যাচারের কাহিনি শুনে আত্মপ্রসাদ লাভ করছেন, তখন ভারতের অন্দরে উত্তরবঙ্গের মূর্তি নদীর কাছে, রাজগঞ্জে, বিহারের চাকুলায়, ত্রিপুরার দেবতামুড়ায়, অসমের মাসিমপুরে, মেঘালয়ের টুরায়, ডোমকল জলঙ্গির বর্ডারে তৈরি হয়েছে ব্যাক অ্যাপ ক্যাম্প। চলছে ট্রেনিং। মুর্শিদাবাদ আর নদীয়ার বর্ডার পলাশির প্রান্তরে মূল প্রশিক্ষণ চলছে। আর সেই যোদ্ধারা মাঝেমধ্যেই এই ক্যাম্পগুলিতে এসে টেকনিক্যাল সাপোর্ট সম্পর্কে অবহিত হয়ে ফের ফিরে যাচ্ছে পলাশিতে। 
১৫ জুন ১৯৭১। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এস এম নন্দা পলাশির ক্যাম্প পরিদর্শনে এলেন। তিনি এবং ভারত সরকার একটা সাংঘাতিক কঠিন বাজি হাতে নিয়েছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডোদের এই কাজটির জন্য পাঠানো হতো, তাহলে অতটা টেনশন হতো না। কিন্তু এ কাজের দায়িত্বে পূর্ব পাকিস্তানের সাবমেরিনার্স, বিদ্রোহী নৌসেনা, একঝাঁক মুক্তিযোদ্ধা আর ইস্ট পাকিস্তান বেঙ্গল ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের নেওয়া হয়েছে। তাদের এই কয়েকমাসের মাত্র ট্রেনিং-এ এত বড় একটা অভিযানে পাঠালে মিনিট বাই মিনিট অপারেশন সাকসেসফুল হবেই তার নিশ্চয়তা নেই। অন্য দেশ, অন্য অজানা ভূগোলের দিকে পাঠানো হবে অন্য দেশের একঝাঁক যোদ্ধাকে। সবটাই এক চান্স ফ্যাক্টর। তাই অ্যাডমিরাল নন্দা এই বাছাই করা ৩০০ জন যোদ্ধাকে বললেন, আপনাদের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আপনাদের মনোবল। আপনাদের ভবিষ্যৎ বিজয়। ইন্ডিয়ান আর্মি আর নেভির স্ট্র্যাটেজির কুশলতা। সব কিছু আপনাদের হাতে। মনে রাখবেন একটা কথা, শুধু‌ই পাকিস্তানের মোতায়েন করা জাহাজগুলিকে ধ্বংস করাই আপনাদের লক্ষ্য হবে না। এই ধ্বংসলীলার পিছনে আরও গভীর কারণ আছে। আমাদের স্ট্র্যাটেজি যদি সফল হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহলও কিন্তু ভয় পাবে। তারা বুঝতে পারবে, ইস্ট পাকিস্তানের সমুদ্র কিংবা নদীপথ মোটেই সুরক্ষিত নয়। যে কোনও সময় জাহাজ, ভেসেল অথবা ন্যাভাল বোটে অ্যাটাক করা হতে পারে। তাই পাকিস্তানের আহ্বান সত্ত্বেও ওই সব আন্তর্জাতিক মহল এরপর নিজেদের যুদ্ধজাহাজ কিংবা নৌবাহিনীর বোট পূর্ব পাকিস্তানে সাপ্লা‌ই করতে ভয় পাবে। তারা যতই পাকিস্তানের বন্ধু হোক, নিজেদের সেনাবাহিনীকে এভাবে মৃত্যুর মুখে কে পাঠাবে? তাই তাদের ভয় পাইয়ে দিতে হবে। তার ফলে পাকিস্তান বিদেশ থেকে সাহায্য পাবে না। একবার যদি একসঙ্গে এতগুলো জাহাজ উড়িয়ে দেওয়া যায়,  পাকিস্তানের আর্মস আর অ্যামুনিশনের সাপ্লাই লা‌ইনও বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের এয়ার ফোর্স ইতিমধ্যেই কিন্তু বন্ধ করে দিয়েছে এয়ারস্পেস। ইন্ডিয়ার এয়ারস্পেস লঙ্ঘন করলেই গুলি করে নামানো হবে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা যে কোনও বিমানকে। এবার সমুদ্র আর নদী রুটও আমরা বন্ধ করে দেব। সম্পূর্ণ বন্দি হয়ে যাবে পাকিস্তান ইস্ট পাকিস্তানের মধ্যেই।  তাই এবার ফাইনাল কাজটা আপনাদের হাতযশ আর মনের জোর। পারবেন তো? সমস্বরে প্রায় তিনশো যোদ্ধা হাত মুষ্টিবদ্ধ করে চিৎকার করে বলে উঠলেন, পারব স্যার!
মোট ৮টা গ্রেডে ভাগ করা হল কমান্ডোদের। পলাশির প্রান্তরে গঙ্গায় অন্তত ১৫ থেকে ১৭ ঘণ্টা প্রতিদিন ট্রেনিং। নিয়ম করে পরীক্ষা নিচ্ছেন ভারতের ২০ জন নেভি ইনস্ট্রাকটর। লেফটেন্যান্ট এস দাস, লেফটেন্যান্ট ভি পি কপি, লিডিং সি ম্যান এম কে গুপ্তা, এস সিং। নানা বুজ রয়েছেন নেতৃত্বে। পরীক্ষায় সবথেকে ভালো ফল যারা করছে, তাদের জন্য এ গ্রেড। এভাবে এইচ গ্রেড পর্যন্ত। এ গ্রেডে যারা থাকবে, তারাই লিমপেট মাইন উইথ টাইমার রাখবে যুদ্ধজাহাজে।  ওই মাইন জাহাজের কেবলবক্সে রেখে নিমেষের মধ্যেই ঝড়ের গতিতে সাঁতরাতে হবে। দরকার হলে ওলিম্পিক্সের চ্যাম্পিয়নের রেকর্ডও ভেঙে দিতে হবে। শুধুই পরীক্ষার রেজাল্ট নয়। দরকার ভূগোল জানা। তাই ঠিক যেখানে যেখানে জাহাজকে টার্গেট করা হবে, সেই জেলা আর আশপাশের জেলায় যাদের বাড়ি, সেই যোদ্ধাদের চান্স দেওয়া হল। কারণ, নদী, ঘাট, বন্দর, গ্রাম এবং স্থানীয় ভাষা, এটা সম্যকভাবে জানা দরকার। পূর্ব পাকিস্তান মানেই তো আর সর্বত্র একইরকম বাংলা ভাষা নয়। অসংখ্য ভিন্ন উচ্চারণ, ডায়ালেক্ট আর বাচনভঙ্গি। সেরকমভাবেই কথা বলতে পারলে, গ্রামবাসীর সাহায্য যখন লাগবে, সেই সময় সুবিধা হয় অনেক। কোনও গেরিলা যুদ্ধ অথবা বিপ্লবই স্থানীয় জনগণের সহায়তা ছাড়া সফল হতে পারে না। ইতিহাস সাক্ষী। 
মোংলা বন্দর অপারেশনের জন্য ৬০ জন কমান্ডো বাছাই করা হল। তারা প্রত্যেকেই খুলনা জোনের। দুঃসাহসিক যাত্রাপথের সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে তাদের। তাই বাছাই করা হয়েছে এই টিমকে। প্রথমে পলাশি ক্যাম্প থেকে বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট। একপ্রস্থ ব্রিফিং। তারপর ক্যানিং। মাতলা নদীর পাশে একটি  বেস ক্যাম্পে এসে রিপোর্টিং। আগে থেকেই সেখানে আছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জি এস অরোরা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শালিক।  কলকাতা রেডিওর একজন  রিজিওনাল ডিরেক্টর আছেন তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু এই নৌবাহিনীর অভিযানে কলকাতার রেডিও সেন্টারের রিজিওনাল সেন্টারের কী ভূমিকা? তিনি এবং তাঁর দুই টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কেন এসেছেন এই আদ্যন্ত এক গেরিলা অভিযানে? কারণ, এই অভিযানে ঠিক যতটা গুরুত্বপূর্ণ  নৌবাহিনী আর সেনা কমান্ডোদের সহায়তা, ঠিক সমপরিমাণ তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব কলকাতার আকাশবাণীর। কেন? 
পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ আর মিলিটারি ভেসেল ধ্বংস করার জন্য অপারেশনে যাওয়া কমান্ডোদের সঙ্কেত দেওয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধার এই দল থাকবে তখন কোথায়? কোনও জঙ্গলে।  নদীবক্ষে। অথবা সমুদ্রবন্দরের কাছে গ্রামের গোপন আস্তানায়। তাহলে কীভাবে পৌঁছনো যাবে সঙ্কেত? বহু চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, ভারতীয় রেডিও মারফত দু’টি গান বাজানো হবে। কখন আক্রমণ করতে হবে তার সঠিক সময়ের দুটি অ্যালার্ট দেবে আকাশবাণী। 
ন্যাভাল কমান্ডো নম্বর জিরো জিরো থ্রি নাইনের কমান্ডার আমিনুর রহমান খুসরুকে ভারতের লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরা স্পষ্ট করে দিয়ে বললেন, লুক কমান্ডারস,  একটা জিনিস ভুলবেন না। ওই গান কিন্তু একটা নির্দিষ্ট দিনে সারাদিনে শুধুমাত্র দু’বারই বাজানো হবে। আর নয়। এমনকী স্বয়ং আমাদের প্রাইম মিনিস্টার অনুরোধ করলেও আমরা আর বাজাতে পারব না। মিলিটারি সঙ্কেত সিস্টেম এমনই। সুতরাং আপনাদের রেডি থাকতে হবে। আর চরম সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ, গান বাজবে যে কোনও মোমেন্টে। ওই গান বাজার অপেক্ষায় আপনাদের রেডিওর অনুষ্ঠান ফলো করতে হবে। এক্সট্রা ব্যাটারি নেবেন। কারণ, অভিযানের পথে ব্যাটারি জলে ভিজে যেতে পারে। রেডিও নষ্ট হতে পারে। তাই দুটো সেট রাখবেন। আর অনেক ব্যাটারি। 
কীভাবে আসবে গানের সিগন্যাল? আকাশবাণী কলকাতার পূর্বাঞ্চলীয় প্রোগ্রামে বাজানো হবে সেই সাঙ্কেতিক গান দু’টি। কমান্ডো মুক্তিযোদ্ধাদের রেডি করার জন্য সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৬টায় একবার বাজানো হবে একটি গান। আর অন্য গানটি বাজবে ঠিক রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে কোনও এক সময়। পূর্বাঞ্চলীয় প্রোগ্রামের নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি স্ট্রং। তাই এই গান নদীতেও শোনা যাবে। রেডিওর সাধারণ শ্রোতারা প্রতিদিনের মতোই ভাববে স্বাভাবিক নিয়মেই রেডিওর প্রোগ্রামে গান বাজছে। কিন্তু একমাত্র কলকাতা আকাশবাণীর কিছু কর্মী, ভারতের সামরিক ও নৌসেনার অফিসাররা, গুপ্তচর সংস্থা আইবি এবং RAW, আর অভিযানে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধারাই বুঝতে পারবেন বিশেষ ওই দুই  গানের অর্থ কী! সেই গান অনুসরণ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা অভিযানকে চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। 
কী  সেই গান, যা পাকিস্তানের নৌবাহিনীকে ধ্বংস করার এই মহাযুদ্ধের সর্বপ্রথম শক্তিশালী এক অস্ত্র হতে চলেছে? প্রথম গান পঙ্কজকুমার মল্লিকের। ‘আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান’। যখনই এই গান বাজানো হবে অর্থাৎ ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ৬ টায়, তখন রেডি হয়ে যেতে হবে। বুঝে নিতে হবে যে, ভারতীয় স্পাই ও মিলিটারি বাহিনী মাহেন্দ্রক্ষণটি চিহ্নিত করতে পেরেছে যে আজই অভিযান! অতএব তৈরি হও। এই গান শোনার সঙ্গে সঙ্গে যেন মুক্তিযোদ্ধারা বন্দরের ঘাঁটির কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করে। এবং অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী গানের জন্য। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আক্রমণ করতে হবে। তাহলে অ্যাটাক করা শুরু হবে কখন? সেটা দ্বিতীয় গান বাজার পরই। দ্বিতীয় গান সন্ধ্যা মুখোধ্যায়ের— ‘আমার পুতুল লক্ষ্মী পুতুল আজকে প্রথম যাবে শ্বশুরবাড়ি’। এই গানের অর্থ কী? অর্থ হল, যে টিম যেখানে আছে, তারা সেই  বেসস্টেশন ছেড়ে তখনই বেরিয়ে পড়ুক গন্তব্যে। এর পর আর কোনও অ্যালার্ট দেওয়া হবে না। ওই দ্বিতীয় গানই হবে চূড়ান্ত সঙ্কেত।  
ব্রিফিং শেষ। বেরিয়ে পড়ল চারটি টিম। টার্গেট মোংলা সমুদ্রবন্দর, চাঁদপুর নৌবন্দর, নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দর, দাউদকান্দি ফেরিঘাট এবং হিরণ পয়েন্ট। 
কর্ণফুলী নদীতীরে এসে পৌঁছনো গেল দীর্ঘ যাত্রাশেষে। আপাতত নদীতীর ফাঁকা। তবে বৃষ্টি হচ্ছে। নিঃশব্দে আরও একটু উপরে এসে জড়ো হয়েছে ৬০ জনের দল। বোটগুলি জলের অনেকটা ভিতরে রেখে নদীজলে নেমে তটভূমিতে আসা হয়েছে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা। দু’জন যোদ্ধাকে মাঝি সাজানো হয়েছে। তারা  যুদ্ধজাহাজের অবস্থান আর গতিপ্রকৃতি দেখে আসবে। তারপর সেই গান বাজলে হবে চূড়ান্ত অপারেশন। 
যদি তাদের দেখে পাকিস্তানি নৌসেনার সন্দেহ হয় আর গুলিও ছোড়ে, তাহলে কিন্তু তাদের পাল্টা প্রত্যাঘাত করা চলবে না। জলে ঝাঁপ দিতে হবে। থাকতে হবে ডুবে। ডুবসাঁতারে ফিরে আসতে হবে। গুলি লাগতে পারে। হ্যাঁ। তবু পাল্টা আক্রমণ নয়। যাতে পাকবাহিনী বুঝতে না পারে যে, একটি গেরিলা অভিযানের সম্ভাবনা আছে। ১৩ আগস্ট। সন্ধ্যাতেই নিকষ কালো অন্ধকার। ক্যানিং থেকে বেরনোর পর সুন্দরবন পেরিয়ে আসতে হয়েছে। অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে।  চরাচর ভেজা । মাটি কর্দমাক্ত। আকাশ থমথমে। ভোর হয়েছে। এখন অপেক্ষা। যোদ্ধাদের ক্লান্ত শরীর অবসন্ন। চোখ আর জেগে থাকতে চাইছে না। কেটে গেল সারারাত। আচমকা তন্দ্রাচ্ছন্ন সেই শরীরগুলোয় চমক লাগল। ভোরের আলো। রেডিও চালানো হল তৎক্ষণাৎ। হঠাৎ চমক। গান বাজছে। ১৪ আগস্ট। স্নায়ুগুলো টানটান। অবশেষে সেই গান। ‘আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান..’ উত্তেজনায় কর্ণফুলী নদীর তীরে যেন লাফিয়ে উঠলেন যোদ্ধারা। মাঝি সেজে পাকিস্তানের জাহাজের কাছে যাওয়া দু‌ই যোদ্ধা নিরাপদে ফিরে এসেছে রাতেই। তারা বলেছে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। অপারেশন করা যাবে। তবে সার্চলাইট চলে সারারাত। দলনেতা ওয়াহিদ চৌধুরী বললেন, আমরা তিনজন করে ঝাঁপ দেব পানিতে। পেটে বাঁধা হল গামছা। তার মধ্যে প্লাস্টিকে মোড়া লিমপেট মাইন। প্রত্যেক জাহাজে অন্তত তিনটে করে মাইন লাগাতে হবে। কারণ, জলে ভিজে যদি একটি দু’টি না কাজ করে! তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়া চলবে না। আজ রাতে দ্বিতীয় গান বাজলে অপারেশন শুরু। টানটান স্নায়ু নিয়ে মানুষগুলি অপেক্ষা করছে। স্বাধীন দেশ গড়ার স্বপ্ন তাদের চোখে। দপ দপ করছে সেই চোখ উত্তেজনায়। কেটে গেল দিনটি। 
এখন সন্ধ্যা। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানি জাহাজ। তবে একটাই সমস্যা। অবিরত সার্চলাইট। সারাদিন কেটে গেল। রাতের অপেক্ষা। উত্তেজনায় ক্ষুধা তৃষ্ণা যেন নেই। কিন্তু গান বাজছে না। কী হল? প্রথম গান আবার বাজল। অর্থাৎ এখনও গ্রিন সিগন্যাল নয়। অবশেষে পরদিন ভোরে এল মাহেন্দ্রক্ষণ। ‘আমার পুতুল লক্ষ্মী পুতুল’ বেজে উঠল। বন্দর থেকে দুই কিলোমিটার হেঁটে উজানে যাওয়া। নাহলে স্রোতে ভেসে যাবে সবাই। আজ সন্ধ্যার পর অভিযান। একটু পরই নদীতে নেমে কাছাকাছি পৌঁছতে হবে। তারপর পরস্পরের দিকে তাকিয়ে নদীতে নামল এই অসমসাহসীরা। কন্ট্রোল রুমে জেনারেল অরোরা আর অ্যাডমিরাল নন্দা ততোধিক টেনশনে। কাজটা পারবে তো এই কমান্ডোরা? সারাদিনের মতো মুড়ি, ছাতু, কলা খেয়ে নিয়ে তিনজন করে করে নদীতে নামার পর পরস্পরের হাত ধরে থাকল। যাতে কেউ ছিটকে না যায়। সন্ধ্যা নেমে এল। এবার অন্ধকার ঘন হচ্ছে। জলে নামা যাক। সামনেই চরলাক্ষ্যা নেভি বেস ক্যাম্প। ওখানেই পরপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের জাহাজ। 
কিন্তু এ কী ঠান্ডা জল! অসম্ভব এক শীতলতা গ্রাস করল প্রতিটি শরীরকে। আগস্ট মাসে এত ঠান্ডা জল! ঠকঠক করে কাঁপুনি শুরু হল। হাত ধরা ছিল এতক্ষণ। কিছুক্ষণ পর আর পরস্পরকে ধরে রাখা গেল না। হাত ছেড়ে গেল। তিনজন তিনদিকে। প্রতিটি টিমের। মোট ৩৯ জন নেমেছিল। এখন সবাই একা। অন্ধকারে কেউ যেন বুঝতেই পারছে না টিমের বাকিরা কোথায়! প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে এগতে থাকল। ঠান্ডা জলে টের পাওয়া গেল আবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নেমেছে। বুকডোবা জলে দাঁড়িয়ে সক঩লেই একবার আকাশে তাকাচ্ছে। ঈশ্বর-আল্লাহের দোয়া থাকবে তো? হঠাৎ তীব্র সার্চলা‌ইট এসে পড়ল কর্ণফুলীর জলে! 
২০ মিনিট কেটে গেল। প্রথম বিস্ফোরণ ঘটল বার্জে। অর্থাৎ একটি টিম অথবা অন্তত একজন পৌঁছে গিয়েছে। শুরু হয়েছে অপারেশন।  মুহূর্তের মধ্যে আরও একঝাঁক সার্চলাইট জ্বলে উঠল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুরু হল গুলি। পাকিস্তানি নেভি গুলি করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিক এরকমই ট্রেনিং দিয়েছিলেন ভারতীয় নেভি অফিসাররা। কীভাবে গুলির মধ্যেই সাঁতরে যেতে হবে। কীভাবে সার্চলাইট এড়িয়ে জলে ডুবে থেকে টার্গেটের কাছে পৌঁছে মাইন লাগাতে হবে কেবলের বক্সে। সেভাবেই অগ্রসর হচ্ছে ৩৯ জনের দলটি। গুলি যাচ্ছে কানের পাশ থেকে। গুলি যাচ্ছে মাথার উপর দিয়ে। জল ছিটকে উঠছে গুলির অভিঘাতে। জলের আন্দোলনের কোনটা বৃষ্টির ফোঁটা আর কোনটা বুলেটের অভিঘাত, তা যেন বোঝা যায় না। সার্চলাইট, গুলি ছিলই। তার মধ্যেই আচমকা তিনটে বোট এগিয়ে আসছে নদীবক্ষ দিয়ে। কী করবে এই অবস্থায় এই যোদ্ধারা?
(চলবে)
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
24th  October, 2021
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দেখে নিন ৫টা অবধি দেশের কোন অংশে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(দ্বিতীয় দফা): বিকেল পাঁচটা অবধি গোটা দেশে গড়ে ...বিশদ

07:12:00 PM

আইপিএল: টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত পাঞ্জাবের (বিপক্ষ কেকেআর)

07:03:52 PM

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার ৩ আসনে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায়, বিকেল ৫টা অবধি বাংলার ৩ আসনে ...বিশদ

06:35:21 PM

সন্দেশখালিতে গেল এনএসজি টিম

05:12:03 PM

দেখে নিন ৩টে অবধি দেশের কোন অংশে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(দ্বিতীয় দফা): দুপুর ৩টে অবধি গোটা দেশে মোট ...বিশদ

04:16:36 PM

বিহারের মুঙ্গেরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

03:52:19 PM