Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পিশাচ সাধু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সহজের। নচেও তার ভবিষ্যৎ জানতে চায়। সাধু বলেন, ‘তুই অপঘাতে মরবি।’ শুনে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত নচে। তারপর...

রিকশওয়ালার নাম নেত্র। নেত্রকে পিশাচ সাধু বলেন, তিনে নেত্র। তাকে দেখেই সেই কবে একদিন পিশাচ সাধু হুংকার দিয়েছিলেন, নেত্র তুই মহাদেব, তুই ব্যোম শঙ্কর! তোর তিন নম্বর চোখটা আছে কপালে। সেটা বন্ধ হয়ে আছে। অন্ধ হয়ে আছে। তোকে খুলতে হবে, ওপেন করতে হবে—। 
নেত্র ঘাড় নেড়েছে। ব্যস! নেত্র সেই তিন নম্বর চোখের খোঁজেই পিশাচ সাধুর পায়ে পড়ে আছে। সে তার তিন নম্বর চোখটা ওপেন করতে চায়। একবার ওপেন করলেই সে মহাদেব। ব্যোম শঙ্কর! আর এ-জন্মের যাতনা তাকে ভোগ করতে হবে না। সারাদিন স্বর্গে থাকবে, নেশায় থাকবে! সুখ আর ভোগ!
পিশাচ সাধু বলেছেন— ‘নেত্র, তুই তোর তিন চোখে স্বর্গ-মর্ত-পাতাল দেখতে পাবি। একটু চেষ্টা করে যা নেত্র, তুই তিনে নেত্র!’
নেত্র চেষ্টা করে। মন দিয়ে চেষ্টা করে কপালের বন্ধ চোখটি, অন্ধ চোখটি খুলতে। একদম বিফল হয়নি। কেউ না জানুক সে জানে। গাঁজার খুব ধুমকি হলে মনে হয় চোখটা চিড়িক চিড়িক করে খুলছে— মনে হয় স্বর্গে আছি! ধুমকিতে তার স্বর্গদর্শন হয়! ধুমকিতে উড়তে উড়তে তার সাধুবাবার কথা মনে পড়ে। সাধুবাবা তাকে ঠিক কথাই বলেছে, সে এক এক চোখে এক একটা জিনিস দেখবে। এই যেমন গাঁজা খেলেই মনে হয় তার ডানা আছে, ঊর্ধ্বাকাশে উড়ছে। আবার যেদিন যেদিন পিশাচ সাধুর কাছে বাংলা-প্রসাদ পায়, বাংলা-সেবা করে সেদিনই মনে হয় তাকে কেউ নীচের দিকে টানছে। এ কথা সে পিশাচ সাধুকে বলেছে। সাধুবাবা তার কথা শুনে থম মেরে থাকে। তারপর বিড়বিড় করে, ‘সাধন করতে হবে রে নেত্র এমনি এমনি হবে না, ওটা বিভ্রম!’
নেত্র বলে, ‘বাবা পেটে একটু জল পড়লেই পা দুটি কিলবিল করে। যেন আমার পুরো শরীল পাতাল প্রবেশ করবে।’ 
পিশাচ সাধু বলেন, ‘নেত্র বাংলা-সেবার পর পাতাল দেখতে পাস?’
‘দেখতে পাই না, তবে খুব লীচে, ধরিত্রীর গভভে কিছু যে এট্টা হচ্ছে বেশ টের পাই।’
‘গুড! গুড! তুই সাধন পথেই চলেছিস।’
নেত্র বলে, ‘বাবা সগ্গ আর পাতাল স্বল্প হলেও ঠাহর হল, এবার বাকি মর্ত!’
পিশাচ সাধু হাসেন, বলেন, ‘মর্ত তোর রিকশার চাকা। চাকাই সব। চাকাই সভ্যতা, চাকাই ধর্ম, চাকাই কর্ম! চাকাই টানছে! চাকাই গড়াচ্ছে। পাকে পাকে গোটাচ্ছে। পাকে পাকে ছাড়ছে!’
সেই নেত্রই রিকশর চাকা ঘুরিয়ে টেনে নিয়ে এসেছিল পিশাচ সাধু আর তার চার নম্বর বউ বঁড়শিকে। ওরা দারোগাবাড়ির ভেতরে সেঁধিয়ে যেতেই সে রিকশকে সেট করে সিটের ওপর দু ঠ্যাং তুলে ঘুমের আয়োজন করছিল। হাতে গাঁজার পুরিয়া। তাকে পাকড়াও করে নচে। নচে ভেতরে ডেকে নেত্রকে ফুল ট্যাঙ্কি বাংলা গিলিয়ে, ভরপেট ভাত-মাংস খাইয়েছে। নেত্র খুশ!
নেত্র খুশ হতেই নচে বলে, ‘নেত্র সুপারি নিবি।’
সুপারির মানে নেত্র ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি। সে ভেবেছিল, বাবু তাকে মাংস-ভাত খাইয়ে এবার পান-সুপারি দিচ্ছে। কিন্তু নচে বলল অন্য সুপারির কথা।
নচে বলল, ‘নে নেত্র তোকে আমি সুপারি দিলাম। রিকসো সুদ্দু পিশাচটাকে খালে উল্টে দে। পড়ার সময় বউটার হাত ধরে টেনে নিবি। ওই বুড়ো পিশাচটা পচা খালে ডুবে মরুক। ভামটা সবার সামনে বলল— আমার অপঘাত আছে। আমার অপঘাতে মিত্তু! আমি কি না নগদা নিয়ে মানুষ টপকাই। আরে আমি যা করি পার্টির অর্ডারে করি। পার্টিকে ভালোবেসে করি। তোমাকে ক্যাপ্টেন বলে রেসপেক্ট করি বলে— তুমি আমাকে ফাঁসিয়ে দিলে, আমার অপঘাত আছে। নেত্র পারবি? খালের ধারে নিয়ে গিয়ে শুদু রিকসোটা কাত করে দিবি। পিশাচটা মাল খেয়ে লাট হয়ে আছে। খালে পড়লে গপ গপ করে পাঁক খেয়ে খালাস হয়ে যাবে!’
নেত্র ঘাড় নাড়ে। এই ঘাড় নাড়ার মানে নচে জানে না— সেটা হ্যাঁ, নাকি না!
পিশাচ সাধু এটা একদম ঠিক কথা বলেনি। নচের যুক্তি সে যা করেছে— তা পার্টির জন্যে করেছে। তাকে কি না সবার সামনে হ্যাটা করল। দিনকাল ভালো না। ত্রিশ বছরের গভমেন্ট উল্টে যাবে মনে হচ্ছে, আর সে সময় বলল— তার অপঘাতে মিত্তু আছে। না, না, মুখ ফুটে এ-কথা বলা তোমার উচিত হয়নি। তুমি জানো তোমার মুখের বাক্যি ফলে যায়...। নচের কান্না পেল। বহুত দিন পরে তার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। যাদের জন্যে চুরি করল— তারাই বলছে চোর!
নচে বলল, ‘নেত্র, তুমি আমার ভাই। আমার থেকে তোমার বয়স কম। আমার চিমড়েপানা শরীর তাই আমার বয়স তোমার ঠাহর হচ্ছে না। আমি পাক্কা চল্লিশ। হাফপ্যান্ট পরা থেকে পার্টি করছি। আর আমাকে কি না সবার সামনে বলল— মার্ডার হবি।’
নচের দোসর গৌর। 
গৌর বলল, ‘নেত্র, সুপারি নিয়ে নে। খালের ধারে নিয়ে গিয়ে রিকসোটা উল্টে দিবি। আমি স্কিম করে দিচ্ছি। রিকসোয় তোলার সময় ক্যাপ্টেনকে ডান দিকে বসাব। তোর খাল পড়বে ডাইনে। খালপাড়ের মোড়ের মাথায় যেখানে ভ্যাটটা আছে, ভ্যাটটা বাঁয়ে রেখে কাটিয়েই ডাইনে উল্টে দিবি। ক্যাপ্টেন টপকে যাবে। শালা দেখ, কার অপঘাতে মিত্তু! রিকসো ডানদিকে কাত হলেই ওই মেয়ে বুড়োর গায়ে পড়বে, তারপর আর দেখতে হবে না। বলো হরি হরি বোল!’
নেত্র ওদের দু’জনের কথাতেই ঘাড় নেড়ে দিল।
নচে বলল, ‘নেত্র, ওই পিশাচটা তোকে ডাকেনি। মেয়েছেলে নিয়ে ড্যাং ড্যাং করে খেতে ঢুকে গিয়েছে। অথচ তোকে বলে— তুই ওর তিনে নেত্র। তোকে এক্সপ্লয়েড করে নেত্র। মেহনতি মানুষকে শোষণ করে। ওই পিশাচটা জমিদার। সামন্ততান্ত্রিক—!’
‘তান্ত্রিক’ কথাটা নেত্রর খুব মনে ধরল। অনেকের মুখেই সাধুবাবার নামে এমন কথা বলতে শুনেছে। তান্ত্রিক! সে উৎসাহে খুব জোরে জোরে ঘাড় নাড়ল। ঠিক কথা।
গৌর ঠান্ডা গলায় বলল, ‘নেত্র, তোকে আমরা ঠকাব না। আমাদের এখানে খালপাড়ের বাসিন্দাদের লিস্টে তোর নাম ঢুকিয়ে দেব। তোকে গৃহহীন করে দেব। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানে কাজ শুরু হলেই তুই একটা ফ্ল্যাট পেয়ে যাবি। একটা ফ্ল্যাট কম কথা নয় নেত্র। তুই সুপারি নে, রিকসো উল্টে দে। আমরা তোকে সুপারি দিলাম।’ 
নেত্র ঘাড় নাড়ল। ঘাড় নাড়ার কী মানে কেউ জানল না।
ক্যাপ্টেন বের হতেই গৌর দৌড়ে এল। এসে রিকশর ডানদিকের গদি ঝেড়ে— বলল, ক্যাপ্টেন এদিকে বোসো। ক্যাপ্টেন গৌরের কাঁধে ভর দিয়ে রিকশয় উঠে বসল। বঁড়শিও টপ করে উঠে রিকশয় বসল। গৌর টিপে দিল নেত্রকে। বলল, ‘ক্যাপ্টেন ডানদিকে বসেছে নেত্র, কাজটা সেরে দিস।’
ক্যাপ্টেন  বললেন, ‘এই গৌরা, নচে কই?’
‘নচে খুব টেনশনে পড়ে গেছে ক্যাপ্টেন। তুমি দুম করে বলে দিলে— ও মার্ডার হবে!’
ক্যাপ্টেন বুজে আসা চোখ টেনে বললেন, ‘আমি! আমি কখন বললাম— নচে খালাস হয়ে যাবে?’
নচে এগিয়ে এল, ক্ষুব্ধ গলায় বলল, ‘তুমি বলোনি— তুই অপঘাতে মরবি! এটা ঠিক কথা হল? তুমি জানো তোমার মুখের কথা ফেলনা যায় না।’
নচের কথা উড়িয়ে দিয়ে খিল খিল করে হেসে উঠল বঁড়শি! ‘ঠাকুরপো, তুমি এই বুড়োর কথা ধরো না। উনি তো দিব্যচোখে দিন রাত দেখছেন— আমি এর সঙ্গে পালাচ্ছি, ওর সঙ্গে ভাগছি! কই ওর কথা ফলছে না। আমি তো ওর সঙ্গেই ঘর সংসার করছি।’
ক্যাপ্টেন বললেন, ‘একদম ঠিক। শকুনের শাপে গোরু মরে না নচে! তোর কোনও ভয় নেই, তুই লড়ে যা।’
বঁড়শি একটু হাত বাড়িয়ে বলল, ‘মনে দুঃখ রেখো না ঠাকুরপো, তুমি এত যত্ন করে খাওয়ালে, তার বিনিময়ে কেউ অভিশাপ দিতে পারে—।’
কথা বলতে বলতে বঁড়শির হাতটা হয়তো নচের দিকে একটু এগিয়ে এসেছিল। ক্যাপ্টেন সটান সোজা হয়ে বসলেন। ‘এই মেয়ে— তুমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে নাকি! ও ব্যাটা কুমির! কুমিরের কান্নায় তোমাকে ভোলাচ্ছে। এই নেত্র চালা রিকশা।’ 
নেত্র কষে চাপ দেয় প্যাডেলে।
দাঁত কিড়মিড় করে নচে— ‘শালা, তোমার সুপারি নিয়েছে নেত্র। তুমি আর রাস্তা টপকে ব্রিজে উঠতে পারবে না, তোমার এই খালপাড়েই আজ পিশাচ জীবন খতম।’
গৌর বলল, ‘নেত্র সুপারি নিয়েছে, ও ঠিক কাজ সেরে দেবে!’
নচে বলল, ‘দুগ্গা! দুগ্গা!’
দু’জনের চোখের সামনে থেকে রিকশ নিয়ে লটরপটর করতে করতে নেত্র হাওয়া হয়ে গেল।  নিঃশ্বাস বন্ধ দোতলার বারান্দায় এসে বসল নচে আর গৌর। নীচের তলায় পরমেশ্বরকে ঘিরে হুল্লোড় চলছে। কমলের বাবাকে নকল করে জুয়ারি দেবু তখন আসর জমিয়ে দিয়েছে।
খালপাড়ে উঠল রিকশ। বঁড়শি বলল, ‘আপনি ধরে বসুন। বড্ড টলমল করছেন।’
‘টলমল করুক তোর বাপ!’ হুংকার ছেড়ে ক্যাপ্টেন সোজা হয়ে বসলেন। আর বসে বসেই দু’হাত তুলে দিলেন মাথার ওপর। 
‘এ কী আপনি হাত ছেড়ে দিলেন কেন?’
ক্যাপ্টেন আদুরে বললেন, ‘ধরব না। তুই আমাকে ধরে থাক, ছিটকে যেতে দিবি না। আমি ছিটকে গেলেই তুই বিধবা!’
বিধবা শুনেই মুখ ঝামটা দিল বঁড়শি, ‘আপনি বড্ড বাজে কথা বলেন।’ 
নেত্র চিৎকার করে হুঁশিয়ারি দিল, ‘সাধুবাবা সামনে বেপদ! রিসকা ডাইনে হেলবে।’
বঁড়শি বলল, ‘আপনি নিতাই গৌরাঙ্গ হয়ে থাকবেন না, লোক রগড় দেখছে।’
‘লোক দেখুক, আমি বগলে করে কলাটা মুলোটা নিয়ে ফিরছি না। আমি হাত ছেড়ে দিয়েছি, কোনও কিছু ধরছি না।’
ভ্যাটকে বাঁয়ে রেখে নেত্র রিকশ কাটিয়ে নিয়ে চলল।
‘উঃ আপনাকে নিয়ে আর পারি না। হাত নামান বলছি—নইলে রিকশ থেকে আমি খালে ঝাঁপ দিয়ে মরব।’
কথাটা নেত্রর কানে যেতে সে ক্যাঁচ করে ব্রেক মারল। পিছন দিকে তাকিয়ে বলল, ‘স্বামী-স্তিরির ঝামেলি আপুনেরা এখানে মিটিয়ে নেন, আমার গাড়ি থেকে সুইসাইট করা যাবেনি।’
নেত্রর কথায় পিশাচ সাধু হো হো করে হাসলেন, বললেন, ‘নেত্র, তোর দু চোখই খোলেনি বাপ! তুই তিন চোখের স্বপ্ন দেখছিস। ওরে পাঁঠা এটা ঝামেলি নয় প্রেম! প্রেম পিরিত বুঝিস। আমি হাত ছাড়ব আর ও ধরবে। আমাকে জড়িয়ে ধরবে। ও ছাড়বে তখন আমি জাপটে ধরব। কী বলো বঁড়শি?’
বঁড়শি খিলখিল করে হাসল। বলল, ‘আপনি যতই বলেন, ওর চোখের সাটার খুলবে না। ও তিনে নেত্র নয়, তেচোখো মাছ! ওকে কেউ ছোঁবে না, আপনি ছুঁয়ে উদ্ধার করে দিয়েছেন।’
রিকশ আবার চলছে।
বঁড়শি বলল, ‘আপনি ইদানীং খুব বাড়তি কথা বলছেন!’
‘কোন কথাটা বাড়তি বললাম?’
‘ওই ছেলেটা কি আপনার ক্লায়েন্ট— বিনি পয়সায় ওর মুখ দেখে ভালো ভালো কথা বলে দিলেন? দিলেনই যদি তবে শর্ত দিতে পারতেন, আমার ভবিষ্যদ্বাণী ফললে হাজারএক টাকা প্রণামী দিয়ে যাবি।’
‘ধুসস শালা!’
‘ওই তো গরিবের কথা বাসি হলে মিঠে লাগবে। ভালো তো ওর হবে, আপনার কী হবে?’
‘আমার কিছু চাই না।’
‘ভালো বলে কিছু জুটবে না, কিন্তু খারাপ বলে নচের কাছে গাল খেলেন। অথচ ও আপনাকে ক্যাপ্টেন ক্যাপ্টেন করে হেঁকে ডেকে খেতে দিল। মুখে এবার কুলুপ দিন। অনেক বিদ্যা ফলিয়েছেন। তাছাড়া সকলকে ঘরের কথা বলেন কেন?’
বোকা বোকা মুখ করে ক্যাপ্টেন বললেন, ‘কই বললাম?’
‘বলেননি, সেজ বউটা আসে, এসে টাকাপয়সা, বাসনকোসন নিয়ে যায়—আপনি ঘরের কথা পরকে বলেন।’
ক্যাপ্টেন হাসেন।
‘হাসি নয়, আপনি খুব খারাপ মানুষ! সবার সামনে বললেন—এই মেয়ে বঁড়শি! হ্যাঁ, আমি বঁড়শি। আমাকে বঁড়শি করে টোপ সাজায় কে? আপনি টোপ গিলেছেন— তবে একবার গাল থেকে টোপ খোলার চেষ্টা করে দেখুন— আপনার আলজিব ছিঁড়ে নিয়ে যাব! আমার নাম বঁড়শি!’
(চলবে)
14th  March, 2021
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:45:21 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM

আইপিএল: ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি প্রভসিমরনের, পাঞ্জাব ৬৮/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:15:20 PM

আইপিএল: পাঞ্জাবকে ২৬২ রানের টার্গেট দিল কেকেআর

09:39:04 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট রিঙ্কু সিং, কেকেআর ২৫৯/৫ (১৯.৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:32:37 PM