Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ভৈরবী মা
সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়

ঝিরঝিরে বৃষ্টি। মেঘছাওয়া একটা দিনে গায়ে ভেজা জ্যাকেট, জুতো আর হাতে বড় একটা ব্যাগ নিয়ে পোড়াবসন্তপুরে যখন পৌঁছল অর্জুন তখন বিকেল অস্তে ঢলেছে।
বোসদা বলেছিলেন, ‘ছোট গ্রাম। রাস্তা জুড়ে পলাশের সারি। কর্মঠ আদিবাসী আঁটসাট চেহারার মেয়ে মাঝেসাঝে। চাইলে মহুয়াও পাবে। আর শোনো, থাকার বন্দোবস্ত হয়েছে একটা। মহেশ সাঁতরা। নেশাখোর। বাড়িতে বউ আর শ্যালিকা। শ্যালিকাটির ওপর শুনেছি নাকি ভর হয়। ওটা নিয়ে চাপ নিও না। থাকাখাওয়া বাবদ তিন হাজার নেবে মাসে। স্টেশনে নেমে কাউকে মন্দিরবাড়ি বললে দেখিয়ে দেবে।’
ট্রেন থেকে নেমে একটু এদিক ওদিক দেখল অর্জুন। হেটো মেঠো দু-চারজন নেমেছিল সাথে। তারা এগিয়ে গিয়েছে।
‘মন্দিরবাড়ি? সোজা গিয়ে ডাইনের বাঁক নিয়ে একটু হাঁটা। কিন্তু ভরের দিন তো আজ নয়,’ দোকানি ছেলেটা রাস্তা দেখিয়ে বলে।
কৌতূহল দেখাল অর্জুন, ‘ভর কি মহেশবাবুর ওপরে হয়?’
‘না। শ্যামাদিদি, সাঁতরাবাবুর শালী, ওঁর ওপর হয়। সবাই ভৈরবী মা বলে। ভৈরবনাথের মন্দির তো।’
চা খেয়ে উঠে পড়ল অর্জুন। বাড়ি চিনতে অসুবিধা হয়নি। মন্দিরের চূড়া দূর থেকে চোখে পড়ে।
সাঁতরা অর্জুনকে দেখে খুশি হল— ‘রাস্তায় অসুবিধা হয়নি? আসেন। ঘরদোর আমার গিন্নি সব ঠিক করে রেখেছে। অ্যাডভান্সটা...’
গিন্নি কাছেই ছিলেন। ছোটখাট চেহারা, হেসে বললেন, ‘আপনি একটু বিশ্রাম নিন। পরে ভালো করে আলাপ হবে খন।’
অর্জুন ঘরে ঢুকে অ্যাডভান্সের টাকাটা দিতে গিয়ে লক্ষ্য করে লোকটা নেশা করে আছে।
আটটা নাগাদ সাঁতরা গিন্নি এলেন হাসিমুখে, ‘আপনি রাতে ভাত খান তো? এখানে রুটির চল নেই।’
হাসল অর্জুন, ‘ভাতই চলবে। থাকার সাথে সাথে খেতেও পাচ্ছি এই-ই অনেক।’
‘নিজে রান্নাবান্না পারেন?’
‘নাহ, একদম আনাড়ি,’ অর্জুন হাসে।
‘তবে তো এ ব্যবস্থাই বেশ। ওনার ফেরার কোনও ঠিক থাকে না। আপনাকে ন’টায় খেতে দেব তো? আর হ্যাঁ, কোনও অসুবিধা হলে বউদি বলে ডাক দেবেন ভাই।’ একটু আন্তরিকতা ছুঁইয়ে দিয়ে যান মহিলা।
বাথরুমটা একটেরে। উঠোনের এদিক ওদিক ছেটানো কাঠচাঁপা, আকন্দ, কামিনী, বকুল। একটি মেয়ে কোমরে আঁচল জড়িয়ে টিউবয়েলের দিকে যাচ্ছে। সাঁতরা বউদি গলা তুলে ডাকলেন ‘শ্যামা, এক বালতি জল দাওয়ায় দিস।’ মেয়েটিকে আড়চোখে দেখল অর্জুন। ওহ এই-ই তাহলে ভৈরবী মা! বোসদা থাকলে বলতেন, আরিব্বাস! তোমার তো লটারি লেগে গেল হে!
সকালে মিটার বসিয়ে ব্যারেজের মাপজোক চলে। পথচলতি মানুষজন তাকায়, জিজ্ঞেস করে, ‘বাঁধ সারাই হবে?’ ঠিকাদারের লোক আসতে শুরু করেছে। দুপুরের দিকে বাড়ি ফিরলে এক-একদিন শ্যামা খেতে দেয়। মাটিতে বসে খাওয়ার চল। পুরনো মোমবাতির মতো ঘিয়ে রঙা কোমরের ফালি, পায়ের গোছ দেখা যায় শ্যামা হাঁটু গেড়ে বসলে। পানপাতা মুখখানি তুলে শ্যামা শুধায় ডাল দেব আর? অর্জুন খেতে খেতে ডালের সম্বরার সুবাসের সাথে যেন ধুনো আর চন্দনের গন্ধ পায়। সাঁতরার সাথে তেমন দেখা হয় না। অর্জুন ভাবে বাড়িটা যেন বড় উদাসীন। অবশ্য সন্ধেবেলায় পুরুতমশাই এলে মন্দিরে কাঁসর আর শাঁখের আওয়াজ ওঠে। নিস্তরঙ্গ এ জীবন অর্জুনের খারাপ লাগে না।
নিস্তরঙ্গই ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে একদিন দুপুরে শ্যামা তরকারির বাটি এগিয়ে দিয়ে বলল,‘আজ রাতে আপনার খাবার ঘরে ঢাকা দিয়ে রাখলে অসুবিধা হবে না তো?’
‘নাহ, অসুবিধা কী? আপনি তো সারাজীবন আমাকে সামনে বসে খাওয়াবেন না। অভ্যেস খারাপ না করাই ভালো।’
লাল একটা আভা ফুটল বুঝি গালে। শ্যামা হেসে কথা ঘোরায়, ‘কাজ কেমন এগচ্ছে?’
‘এখনও সেভাবে শুরুই হয়নি তো।’
‘নদীর গর্তে মাছ উঠছে?’
‘চুনো মাছ?’ অর্জুন অবাক হয়।
‘হ্যাঁ, জলে টান ধরলে নদীর ধারের গর্তে টুকটাক মাছ আসে। ছোট ছেলেপুলেরা ধরে।’
‘আমি কি ছোট ছেলেপুলে?’ হাসে অর্জুন।
‘নাহ, আপনি মস্ত মানুষ,’ শ্যামা আলতো হেসে উঠে যায়।
নদীর ধারে সত্যিই অনেক গর্ত আছে। বিকেলে দুটো ছেলে গর্তে হাত ঢুকিয়ে চিংড়ি তুলছিল। এরকম আগে কখনও দেখেনি অর্জুন। শ্যামাকে গিয়ে বলবে আজই ভাবতে ভাবতে ফিরছিল। বাড়ির সামনে ভিড় দেখে থমকাল। ভিড়টা মন্দিরে। জোরে জোরে কাঁসরঘণ্টা বাজছে। অর্জুন পায়ে পায়ে এগয়। উঁকি দিয়ে দেখে ভিতরে টকটকে লাল শাড়ি পরে শ্যামা বসে। মাথা সামনে ঝোঁকানো। চুলে ঢেকে আছে মুখ। শরীরটা দুলছে। সামনে যজ্ঞের আগুন। দুলুনি দেখে মনে হচ্ছে শ্যামা আগুনের মধ্যে পড়ে যাবে। এক মহিলা ওর কানের কাছে গিয়ে কিছু বললেন। শ্যামা থালা থেকে ফুল তুলে ছুঁড়ে দিল আগুনে। পুড়ে গেল ফুলটা। শ্যামা মাথা দুলিয়ে ভয়ঙ্কর চেঁচিয়ে উঠল, ‘নাআ...নাআ।’ পুরুতমশাই মহিলার দিকে একটা কাগজের পুরিয়া দিয়ে বললেন, ‘প্রসাদী ফুল নিয়ে গিয়ে দিন। যদি একটু ভালো থাকে।’ ভদ্রমহিলা উঠে গেলেন চোখ মুছতে মুছতে। এই-ই তবে ভর হওয়া! শ্যামাকে দেখে কেমন ভয় লাগছে। এই মেয়েটাই কি দুপুরবেলা ওকে গর্তের মাছের কথা বলছিল? আর এক মহিলা এলেন। একইভাবে কানে কিছু বললেন। শ্যামা এবারও ফুল নিল হাতে, আগুনের মাঝে ছুঁড়ল। আগুনটা দপ্‌ করে কিছুটা উঠে নেমে এল। পুরোহিত চেঁচিয়ে উঠলেন,‘জয় মা! মা গো!’ মহিলা প্রণাম করে উঠে গেলেন হাসিমুখে। সম্ভবত যা চেয়েছেন তাই-ই হবে।
বউদি আরতির জোগাড় করছেন। প্রণামীর থালা থেকে নোট তুলে তুলে রাখছেন।
অর্জুন পায়ে পায়ে নেমে আসে মন্দির থেকে। চায়ের দোকানে গিয়ে বসে। চাওয়ালা ছেলেটি বলে, ‘ভর দেখলেন?’
‘দেখলাম। ভিড় হয় বেশ।’
‘তা হয়। কত লোকের কত মনস্কামনা।’
‘সব পূর্ণ হয়?’
‘তাই কি হয়? মানুষ নিজের ভাগ্য নিয়ে আসে দাদা। তবে মাকে বললে মা বলে দেন পূর্ণ হবে কিনা!’
‘কী করে বোঝেন?’
‘আগুনে ফুল দিলে সেটা যদি আগুনটা বাড়িয়ে দেয় তো পূর্ণ হয়। না হলে হয় না। মা সব জানেন।’
অর্জুন বোঝে এ গাঁয়ের লোক শ্যামাকে অন্য চোখে দেখে। সে চোখ অর্জুনের মত পাপী চোখ নয়। ওরা শ্যামাকে দেখলে ঘাড় ঝুঁকিয়ে প্রণাম করে। কিন্তু অর্জুনের প্রণাম আসে না। বরং সন্ধ্যারাতে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে নেমে আসা আটপৌরে শ্যামাকে দেখলে ওর খোলা চুলে একরাশ জোনাকি গেঁথে সেই জোনাকজোছনায় ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে ওর হাত দুটি ধরে জিজ্ঞাসা করতে, তুমি মানুষ হতে পার না শ্যামা? রোজ এসব ভাবতে ভাবতেই চোখে ঘুম নামে অর্জুনের। স্বপ্নে দেখে, মা বসে আছে জানলায়। ছোট্ট অর্জুন কাঁধে স্কুলের ব্যাগ। দৌড়ে এসে দরজা ধাক্কাচ্ছে...এ এক অদ্ভুত স্বপ্ন। যখনই অর্জুন নিজের মধ্যে ভীষণ অশান্ত থাকে তখনই এই স্বপ্নটা ফিরে আসে।
ঠিকেদারের লোকেরা কাজ শুরু করে দিয়েছে। অস্থায়ী ছাউনি বানিয়েছে। দিনমজুর সব। সকালে এসে কাজ শুরু করে। রাতে ছাউনিতে গিয়ে রেঁধেবেড়ে খায়। অর্জুন নিয়মমাফিক হিসেব রাখে, তদারকি করে। ফিরতে ফিরতে সন্ধে। বাড়ি ঢোকার মুখে প্রায়ই শ্যামার সাথে দেখা হয়। ঠাকুরমশাইকে বিদেয় করে হাতে প্রসাদের থালা নিয়ে মন্দির থেকে বেরিয়ে আসে শ্যামা। ওর মোম মোম শরীর জুড়ে ছড়িয়ে থাকে ছাপা শাড়ির ফুল পাতা মাছ কল্কার প্রিন্ট। চোখে চোখ পড়লে দুজনেই হাসে। অর্জুন মনে মনে বলে, ‘তুমি বড় সুন্দর শ্যামা।’
শ্যামা চোখ নামিয়ে নেয়। মহেশ সাঁতরার উঠোনওয়ালা বাড়ি, এলোমেলো ফুলগাছ, মন্দিরের সিঁড়িতে দাঁড়ানো চন্দনগন্ধী শ্যামা আর অন্ধকারের ঝিঁঝির ডাক মিলে অর্জুনকে একজন নিপাট গেরস্ত করে তোলার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। বউদি রান্নাঘরের দাওয়া থেকে জিজ্ঞেস করে, ‘কাজ হচ্ছে ঠিক মতো? কতদিন চলবে?’
অর্জুন চোখের কোণে শ্যামাকে ধরে রেখে সাড়া দেয়, ‘কী জানি। যত দেরি হয় ততই ভালো। আপনাদের এই গ্রামটা বড্ড সুন্দর। কাজ শেষ হলেই তো চলে যেতে হবে।’ ‘যাওয়ার উপায় আছে সেও তো সৌভাগ্য,’ আচমকা কথাটা বলে শ্যামা নিজের ঘরে ঢুকে যায়।
ক’দিন ধরে এই কথাগুলোই ঘুরছে মাথায়। শ্যামার যাওয়ার উপায় নেই বলে দুঃখ আছে? খেতে বসেও সে কথাই ভাবছিল। বউদি ভাতের থালা সাজিয়ে দিয়ে অর্জুনের দিকে তাকাল, ‘বাড়িতে সব ঠিকঠাক তো? অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে কেমন!’
শ্যামার সাড়া নেই কোথাও।
খেয়েদেয়ে বালিশে মাথা রেখে সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে ঘুম এসে গিয়েছিল। ঘুম ভাঙল একটানা একটা আওয়াজে। প্রথমে ঠাহর হয়নি কিসের আওয়াজ। তারপর বুঝল বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে। এরই মধ্যে ফ্যানটাও গেল বন্ধ হয়ে। লোডশেডিং? গুমোট ঘরের চেয়ে বাইরের বৃষ্টি বরং আরামদায়ক। বিছানা ছেড়ে বাইরে আসে অর্জুন আর সেই মুহূর্তে চমকানো বিদ্যুতের আলোয় সামনে তাকিয়ে স্তম্ভিত হয়ে যায়। মন্দিরের সিঁড়িতে বসে ভিজছে শ্যামা। খোলা চুল। মুখ নিচু করে জলের নাচ দেখছে যেন। বড় ব্যক্তিগত বসার ভঙ্গিটি। এ ছবি একান্তই শ্যামার। সরে যাওয়া উচিত বোঝে অর্জুন। কিন্তু উন্মত্ত প্রকৃতি ও স্থিতধী নারী দুইয়ে মিলে ওকে আটকে দেয় ছবিটার মধ্যে। সাঁতরা, বউদি, ভৈরবী মার মাহাত্ম্য সব ভুলে অর্জুন পায়ে পায়ে এগিয়ে যায়। শ্যামা মুখ তুলে তাকায় একবার। তারপর যেন এমনটিই রোজ ঘটে এই ভঙ্গিতে উঠে মন্দিরের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে। পিছনে সম্মোহিতের মতো প্রথমবার মন্দিরের ভিতরে পা রাখে অর্জুন। আলো নেই কোথাও কিন্তু চোখ সয়ে যায় ধীরে। ধূপ, চন্দন, ঘি আর ফুলের গন্ধের মধ্যে বসে শ্যামা ওকে শোনায় ভৈরবী মায়ের গল্প। সাঁতরা বড় লোভী জুয়াড়ি আর নেশাখোর। নিজের বলতে ওর আছে এই মন্দির আর দেবত্র বাড়িটুকু। দিদিকে বিয়ে করে এনেছিল মোটা পণ নিয়ে। সে টাকা উড়িয়ে ফেলে বাবাকে চাপ দিচ্ছিল টাকার জন্য। কিন্তু টাকা দেওয়ার বদলে অকালে চোখ বুজে বাবা সাঁতরাকে দিয়ে গেলেন দুই মেয়ে আর বসতবাড়িটি। মা আগেই গিয়েছিলেন। অনাথ দুই মেয়েকে সাঁতরা মুঠোয় পেল বাড়ি সমেত। অবিবাহিতা শ্যালিকাকে বাড়িতে এনে তুলল। মারধর গালিগালাজ করে দুই বোনকে দিয়ে সই করিয়ে নিল বাড়িটা। তারপর সেটা বিক্রি করতে কতক্ষণ। কিন্তু সে টাকাও রাখতে পারেনি। তখন চেষ্টা শুরু হল শ্যামাকে বেচে দেওয়ার। দু’দিন দুটো নতুন লোক এনে হাজির করল। বলে পাত্রপক্ষ। দিদি বলে মিথ্যে কথা। তোকে বেচে দেওয়ার তাল করছে ও। এরই মধ্যে একদিন মাঝরাতে শ্যামার ঘরে এসে ঢোকে সাঁতরা। হাতে দা-টা তুলে দিদিকে চিৎকার করে ডাকতে ডাকতে উঠোনে নেমে গিয়েছিল শ্যামা। তারপর থেকে রাতে দিদি ওর কাছে থাকত। বিশ্বাস নেই ওই লোককে। শ্যামাকে বলত, আঁচলে লঙ্কাগুঁড়ো বেঁধে রাখ। কিন্তু এভাবে কতদিন? শেষে দিদিই এই বুদ্ধি বের করে। ওদের গাঁয়ে শীতলাদেবীর ভর হতো। ওরা ভিড় করে দেখতে যেত সবাই। দিদি শ্যামাকে বলে পারবি না ওরকম? একবার ভর হলে মহেশ তোকে ছোঁবে না ভয়ে। বাড়িতে ওর তিনপুরুষের প্রতিষ্ঠা করা মন্দির। পাপের ভয় তো আছে! আর ভর হয়েছে শুনলে এই মন্দিরেও কিছু পুজো আসবে। সংসারটাও চলবে।
শ্যামা মেনে নেয় কারণ ওর তো যাওয়ার জায়গা নেই।
পরের সোমবার সন্ধেবেলায় মুখে খাবার সোডা নিয়েছিল খানিক, অল্প জল তার ওপর। দিদি ওদিকে ‘কোথায় কে আছ শিগগির এস গোঁ, ভর নেমেছে,’ চিৎকার করে লোক জড়ো করে ফেলেছিল। শীতলাতলার মতোই মন্দিরের মেঝেতে বসে দুলে দুলে বিড়বিড় করছিল শ্যামা। মুখ থেকে সোডার ফেনা বেরচ্ছিল গ্যাঁজলার মতো। ফুল ছুঁড়ে ছুঁড়ে মারছিল সবাইকে। তারপর ধীরে ধীরে শুয়ে পড়েছিল মেঝেতে। লোকে ওই ফুল মাথায় ঠেকিয়ে ফিরে গিয়েছিল।
কিছুদিনের মধ্যে দু’-চারবার এরকম হল। রটে গেল ভরের কথা। শ্যামা হয়ে উঠল ভৈরবী মা।
‘মানে এই ভর হওয়া ব্যাপারটা নাটক?’ অর্জুন অবাক হয়।
‘নাটক কেন? এও তো এক পথ! ভগবান তো নিজে এসে বাঁচাবেন না! তিনি বুদ্ধি দিয়েছেন। সেই বুদ্ধি খাটিয়েই আমরা বেঁচে আছি। জামাইবাবু আমার দিকে চোখ তুলে কথা কয় না! এদিকে মন্দির থেকে যা আসে তাতে সংসার চলে। জামাইবাবু বাইরে জালিয়াতি করে বেড়ায় কিন্তু ঘরে আর বাঁদরামো করে না,’ শ্যামা অকপটে বলে। ‘আর তোমার কাছে ওই মানসিক? ইচ্ছাপূরণ? আগুন ওঠা?’
শ্যামা করুণ হাসে, ‘ওটা তো নিজের বুদ্ধিতে। যে ইচ্ছেগুলো পূর্ণ হতে পারে যেমন মেয়ের বিয়ে, ছেলের চাকরি— এসব একদিন না একদিন তো হবেই, সেগুলোর জন্য আগে থেকে বেশি করে ঘি মাখানো ফুল নিয়ে ছুঁড়ি। আগুন অনেকটা উঠে যায়। কিন্তু যেগুলো পূর্ণ হবে কিনা জানি না সেগুলোতে শুকনো ফুল দিই। আগুন ওঠে না। লোকে তাও প্রসাদী ফুল নিয়ে যায়। পূর্ণ হলে ওই ফুলের জন্য হচ্ছে ভাবে। বিপদ থেকে মানুষ যে কারণেই উদ্ধার পাক, শেষে ভগবানকেই পুজো দেয়। সব তো তিনিই করছেন। তবে ভৈরবী মা না হলে জামাইবাবু এদ্দিনে আমাকে কারওর কাছে বেচে দিত।’ চুপ করো! শ্যামার মুখে হাত চাপা দেয় অর্জুন। ভেতরে একটা উন্মাদ রাগ ছটফটিয়ে ওঠে। ইচ্ছে করে সাঁতরাকে এক্ষুনি বিছানা থেকে তুলে এনে আছড়ে ফেলে ওই বকুলতলাতেই।
হাত সরিয়ে দেয় না শ্যামা। দু’চোখ বেয়ে নেমে আসা জল অর্জুনের হাত ভিজতে থাকে।
মন্দিরের দরজার কাছে একটা ছায়া নড়ে ওঠে অলক্ষ্যে।
রাতভর বৃষ্টিতে উঠোন ছেয়ে যায় ঝরে পড়া ফুলে।
পোড়াবসন্তপুর ফার্স্ট লোকালের জানলায় মুখ রেখে শ্যামা বলে, ‘এভাবে যাওয়া ছিল ভাগ্যে? কিন্তু তুমি, তোমার কাজ, এসব কী হবে?’
অর্জুন দুষ্টু হাসে ‘ভৈরবী মা সব ম্যানেজ করে দেবে দেখো।’ রাতের সেই ছায়াটি সকালে শ্যামার ঘরের বিছানায় ক’টা ফুল আর রুদ্রাক্ষ ছড়িয়ে দিয়ে জোড়হাত মাথায় ঠেকিয়ে বলল, দুগ্‌গা দুগ্‌গা...
24th  May, 2020
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি সুনীল নারিনের, কেকেআর ৯৪/০ (৭.৪ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:26:11 PM

আইপিএল: ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি ফিলিপ সল্টের, কেকেআর ১১৮/০ (৯ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:22:23 PM

আইপিএল: কেকেআর ৭০/০ (৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:10:43 PM

আইপিএল: কেকেআর ৭/০ (১ ওভার)(বিপক্ষ পাঞ্জাব)

07:47:09 PM

আইপিএল: চোটের কারণে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলছেন না কেকেআরের মিচেল স্টার্ক

07:28:29 PM

দেখে নিন ৫টা অবধি দেশের কোন অংশে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(দ্বিতীয় দফা): বিকেল পাঁচটা অবধি গোটা দেশে গড়ে ...বিশদ

07:25:25 PM