Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বাকি সব গুছিয়ে আনার জন্য!’ নাকের উপর নেমে আসা চশমাটা একটু ঠেলে ঠাকুরমশাই বললেন, ‘অ্যাঁ! বাঙালি হয়ে এটাও জানো না যে, ভাদ্রমাসে এসব শুভ কাজ করতে নেই! মলমাস বলে কতা! তা তোমরা পড়াশোনা জানা বড়ঘরের মানুষ! এসব জানবেই বা কেন!’
আমার কাছেও অনেকেই আসেন বিয়ে নিয়ে কথা বলতে। তাঁদের অধিকাংশই প্রথমে জিজ্ঞেস করেন, ‘আচ্ছা, অমুক মাসটি, অমুক দিনটি, অমুক সময়টি শুভ তো? ওই মাসটি মলমাস নয় তো? পৌষমাসে পনেরো তারিখের আগে কোনও হল পাচ্ছি না, জানেন! কী হবে! পনেরোই ডিসেম্বরের পর তো মলমাস পড়ে যাচ্ছে!’ শুভ-অশুভ, এই কথাগুলি পেরিয়ে মলমাস কথাটিতে যাই। এটি একটি বিশুদ্ধ অঙ্ক দ্বারা সৃষ্ট ভাবনামাত্র। অনেকটা ইংরেজি লিপ ইয়ারের মতো। প্রতি চার বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি দিন বাড়ানো হয় হিসেবের সুবিধার জন্য। মলমাসও তাই। প্রতি বছরে একাধিক মলমাস হওয়া তো দূরের কথা, সব বছরে মলমাস থাকেও না। মাসের হিসেব, বছরের হিসেব ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একরকম। আমাদের ভারতবর্ষের আবার আলাদা দু’রকম। চান্দ্র মাস এবং সৌর মাস।
ভারতীয় প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যা অনুযায়ী পৃথিবীর চারপাশে সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের প্রায় ২৭.৩ দিন সময় লাগে। পৃথিবী প্রতি ৩৬৫.২৪২২ দিনে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী ও চাঁদ ২৭.৩ দিনে সূর্যের চারপাশে প্রায় ১/১২ পথ পদ্ধতি হিসাবে সরে গিয়েছে। এর অর্থ হল এক পূর্ণিমা থেকে পরবর্তী পূর্ণিমা পর্যন্ত, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথের বক্ররেখার কারণে চাঁদকে আবার পূর্ণিমা রূপে আবির্ভূত হওয়ার আগে ২.২ অতিরিক্ত দিন ভ্রমণ করতে হবে। এটি চান্দ্র বছর এবং সৌর বছরের মধ্যে বছরে ১০.৮৭ দিনের পার্থক্য তৈরি করে। এই পার্থক্যের জন্য পূরণ করতে, গড়ে প্রতি ৩২.৫ মাস পরে অতিরিক্ত একটি মাস যোগ করা হয়। এবং প্রায় তিন বছর পর এমন একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয় বলে একে অধিক মাস বলেও অভিহিত করা হয়। এই অতিরিক্ত মাসকেই মূলত মলমাস বলা হতো। এর সঙ্গে ভালো বা খারাপের যোগ থাকতেই পারে না।
সাধারণ হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ না-করা পর্যন্ত কোনও শুভ কার্য শুরু হয় না। এক্ষেত্রে মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি যে, বৈদিক যুগে হিন্দু ধর্ম বলে কোনও ধর্মের উল্লেখ নেই। আসলে দিন যত এগিয়েছে, আমরা সামাজিক ধারায় যেন আরও পিছিয়ে পড়েছি। গ্রহ-নক্ষত্রের গতিধারা, পূর্ণিমা-অমাবস্যা, গ্রহণের সঙ্গে মানুষের জীবনের যোগ যুক্ত করেছি। পুরোটাই অত্যন্ত সচেতনভাবে। জীবনযাত্রা যত জটিল হবে, তত বেশি করে আমাদের ব্রাহ্মণদের, সমাজপতিদের কাছে ছুটতে হবে। এই সময় এমন কাজ করা যায় তো? করলে আমার পরিবারের কারুর কোনও বিপদ আসবে না তো? আর যদি করতেই হয়, তবে কীভাবে, কত বড় যজ্ঞ বা শান্তি স্বস্ত্যয়ন করলে তা থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে? এ যেন ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার এবং দুর্নীতি প্রতিষ্ঠা করে টাকা লুন্ঠনের নিদারুণ উপায়। দরিদ্র হলে আসলে তার সবটাই অশুভ।
এক মাসে দু’টি অমাবস্যা পড়লে সেই মাসটিকে দুষ্ট বা মলিন মাস অর্থাৎ মলমাস বলা হয়। একবার সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে, জীবনবোধ দিয়ে ভেবে দেখুন তো, অমাবস্যার সঙ্গে কাজ করা বা না করার কোনও যোগ থাকতে পারে? আজ পর্যন্ত যত কাজ, যেগুলিকে আমরা উৎসবের মতো করে পালন করি, তা বিয়ে, গৃহপ্রবেশ বা অন্নপ্রাশন—যাই হোক না কেন, যাঁরা যাঁরা পাঁজি দেখে, প্রচলিত ধারায় দিনক্ষণ মেনে সম্পন্ন করেছেন, সবার সব কিছু ঠিকঠাক হয়েছে তো? আর এই সব কিছু ভারতবর্ষের মধ্যেই হয়?  যেমন, নির্ভয়ার ঘটনায় কারা যেন বলেছিল, মেয়েটি রাতে বেরিয়েছিল কেন? ধর্ষকদের ভাই বলে ডাকেননি কেন? কৃষ্ণনাম করেনি কেন? তাদেরই তৈরি করা শাস্ত্র তৈরি করেছে শুভ-অশুভের এমন আশ্চর্য হিসেব! যা মানুষের হাতে নেই! অথচ মানুষ ভয় পায়! অজানাকে ভয়। অচেনাকে ভয়। আর সেই না জানা থেকেই অন্ধ ভক্তি।
চৈত্র, কার্তিক, ভাদ্র আর পৌষমাসে এদিকে লক্ষ্মীপুজো হয়। ভাদ্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের জন্মদিন পালন করা হয়। রাধার জন্মও কল্পনা করা হয়েছে এই ভাদ্র মাসেই। আবার মহারাষ্ট্রের সবথেকে বড় উৎসব গণেশ পুজোও এ মাসেই হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষ মৃতদের পুজোর জন্য সংরক্ষিত। এই সময়টিকে পিতৃপক্ষ বলা হয়। ঋষি পঞ্চমীও এই মাসেই পালন করা হয়। এতগুলো পুজো বা উৎসব যে মাসে পালিত হয়, সেই মাসটিকে অশুভ বলে লাঞ্ছিত করাই বা কেন? তাছাড়া ঈশ্বরে যিনি বিশ্বাস করেন, তিনি কী করে মনে করতে পারেন যে সর্বমঙ্গলময় ঈশ্বর সময়কে শুভ-অশুভতে ভাগ করেছেন? আর যাঁরা বোঝেন, ঈশ্বরের অস্তিত্ব একটি কল্পনামাত্র, তাঁদের তো এই সব কিছু নিয়ে মাথা ঘামানোর কথাই না!
আমাদের বাংলা ভাষায় প্রতিটি মাসের নাম এসেছে কোনও না কোনও নক্ষত্রের নামে। যেমন পুষ্যা নক্ষত্রের নাম থেকে পৌষ। ঠিক তেমনই পূর্ব ভাদ্রপদ, ‍উত্তর ভাদ্রপদ থেকে এসেছে ভাদ্র মাসের নাম। আর ভাদ্র মাত্রেই তো অধিমাসও নয়। কিন্তু দশচক্রে ভগবানও ভূত হয়, এই নিয়মে ভাদ্রমাসকে অধি বা মলমাস হয়ে বসে আছে। আর ওই যুক্তির ব্যাখ্যাকে চাপা দিয়ে উঠে এসেছে অন্ধকার মাসের তত্ত্ব। দুষ্ট মাসের তত্ত্ব। ঠিক যেমন সব জেনেও আমরা রাসায়নিক সার দেওয়া খাবার খাই বা রাস্তার জাঙ্ক ফুডের দোকানে দাঁড়িয়ে রোল, চাউমিন, মোমো, পিৎজা খেয়ে তার পরেই অ্যাসিড, পেটব্যথার জন্য ওষুধ কিনতে ছুটি... আর শেষে ভর্তি হই হাসপাতালে; এও যেমন একটা চক্র। এই সমস্ত অন্ধ বিশ্বাস ছড়িয়ে, অশুভ শক্তির বিপদের কথা বলে আমাদের মানসিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয়, যাতে আমরা ছুটি শুভ শক্তির নাম করে ব্যবসা করা অশুভ শক্তির দালালদের কাছে।
নিজেকে প্রশ্ন করুন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশ্ন করুন। ইস্কুলে ছেলেমেয়েদেরও প্রশ্ন করতে উৎসাহ দেওয়া হোক। শরীরের যেমন হজমশক্তি বাড়ানো দরকার, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম দরকার, ঠিক তেমনই মানসিক হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলার জন্য যে কোনও বিষয় গভীরে গিয়ে বোঝা দরকার। উপলব্ধি করা দরকার।
শ্রবণ-মনন-নিদিধ্যাসন। এই ছিল প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষার পদ্ধতি। আগে ভালো করে শোনো। সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করো। বার বার চর্চা করো। তার পরে সেই বিষয়ের অর্থকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের সহায়তায় উপলব্ধি করো। কিন্তু মেনে নেওয়ার অভ্যাসটি আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গিয়েছে। সেই ‘সোনার কেল্লা’য় জটায়ু মেনে নিয়েছিলেন ফেলুদার কথা। কোনও প্রশ্ন নয়। তারপরেও তাঁকে থামানো যায়নি। মনের মধ্যে গজিয়ে ওঠা প্রশ্ন করেই ফেলেছিলেন। আমরা করি না। ছেলেমেয়েদের প্রথমেই চুপ করিয়ে দিই। নিজেদের মনে প্রশ্ন জাগলেও অধিকাংশ সময়েই চুপ করে থাকি। কী জানি বাবা, ঝামেলা বাড়িয়ে কাজ কী! যদি কিছু খারাপ হয়, গোলমাল হয়, শুধু শুধু দোষ ঘাড়ে নেওয়ার দরকার কী! বরং মেনে নাও। সেই একটি জনপ্রিয় গান আছে না—‘কথা বলো না, কেউ শব্দ করো না, ভগবান নিদ্রা গিয়েছেন, গোলযোগ সইতে পারেন না!’ ২০২৪ সালে এসেও আমাদের সেই অবস্থা। শিক্ষা ব্যবস্থারও গোড়াতেই গলদ। মুখস্থ করো। আত্মস্থ নয়। কারণ আত্মস্থ করতে গেলেই প্রশ্ন তৈরি হবে যে। তাই মেনে নিতে শেখাও। বুঝতে হবে না, পালন করুক। যাঁরা অচেতনভাবে এই সব মেনে চলেন, তাঁদের কথা তবু আলাদা।  কিন্তু এইসব আশ্চর্য লোকাচার যাঁরা তৈরি করেন, তাঁরাই ভয়ানক বিপজ্জনক। কারণ তাঁরা সবথেকে ভালো জানেন যে, শুভ-অশুভ বলে কিছু হয় না সেভাবে। আর সেই কারণেই দুর্বলদের লুট করার জন্য তাঁরা অনায়াস দক্ষতায় এই সমস্ত অপবিশ্বাসের বীজ মানুষের মনে পুঁতে দেন।  
08th  September, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
একনজরে
ফের ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় রক্তাক্ত পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ। শনিবারের সকালে জোরালো আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার রেল স্টেশন চত্বর। ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জনের ...

তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মা ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে আগেই। কিছুদিন আগে তিনিও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এত বয়সে তিনি মা হলে সমাজ কী বলবে, তা ভেবে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন মন্দিরবাজার থানার চাঁদপুর ধোপাহাটের বাসিন্দা কাজল কয়াল। ...

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতার প্রশংসা করলেন এনসিইআরটি-পরখের সিইও এবং প্রধান ইন্দ্রাণী ভাদুড়ি। শনিবার স্বভূমি রাজকুটীরে বণিকসভা সিআইআই আয়োজিত শিক্ষা সম্মেলন ‘এডুকেশন ইস্ট সামিট ২০২৪’-এ  উপস্থিত ছিলেন তিনি। ...

জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে বদল হতে পারে। তেমন সম্ভাবনার অআঁচ করে শক্তি বাড়াতে চেষ্টা করছে বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠী। জেলার রাজনীতিতে ‘ত্রিশক্তি’ বলে পরিচিত মৃণাল সরকার, গৌতম দাস ও অম্বরীশ সরকারকে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বিভিন্ন মঞ্চে একছাতার তলায় দেখা যাচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৮৩ - জার্মান সন্ন্যাসী ও পুরোহিত প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার নেতা মার্টিন লুথারের জন্ম
১৪৯৩ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রায় অ্যান্টিগুয়া আবিষ্কার করেন
১৬৫৯ - ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে
১৮২২ - বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনার পথিকৃৎ উইলিয়াম কেরির পুত্র ফেলিঙ্ কেরির মৃত্যু
১৮৪৮ - ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রগুরু স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৮৮ - ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯০৭ -  অভিনেতা হরিধন মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৮ - বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের ফাঁসি কার্যকর হয়
১৯১৮ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি
১৯৫৪ - কবি ও সাহিত্যিক জয় গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৫ – চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন পরিচালক রাজা সেনের জন্ম
১৯৬৭ – অভিনেতা আশুতোষ রানার জন্ম
১৯৮২ - পৃথিবীতে ১৯১০ সালের পর আবার হ্যালির ধূমকেতু দেখা গেল
১৯৯১ - আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একুশে বছরের নির্বাসন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল আবার আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেয় কলকাতার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে
২০০৯ – অভিনেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার সিম্পল কাপাডিয়ার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৩ টাকা ৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৬২ টাকা ১১১.৪০ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৬ টাকা ৯২.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৪২/২৩ রাত্রি ১০/৪৬। শ্রবণা নক্ষত্র ১৪/৫৮ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৫/৪৯/২৭, সূর্যাস্ত ৪/৫১/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১৮ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২২ গতে ৩/১৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি। 
২৩ কার্তিক, ১৪৩১, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ৬/২২। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৪। সূর্যোদয় ৫/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৬ গতে ২/৩৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৩ গতে ৩/২৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/১৩ মধ্যে ও ১২/৪৪ গতে ২/৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩০ মধ্যে ও ৪/১৩ গতে ৫/৫১ মধ্যে। 
৬ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দ্বিতীয় টি২০: ভারতকে ৩ উইকেটে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:12:00 PM

নয়ডায় ইলেকট্রিক টাওয়ারের উপর উঠে নাচ এক ব্যক্তির, চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের
রবিবার দুপুরে নয়ডা সেক্টর ৭৬-এ তাজ্জব কাণ্ড। একটি ইলেকট্রিক টাওয়ারের ...বিশদ

10:57:46 PM

ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে কলকাতা বিমান বন্দর থেকে আটক ১

10:57:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ৭ রানে আউট আন্দিলে, দঃ আফ্রিকা ৮৬/৭ (১৫.৪ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:53:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ০ রানে আউট মিলার, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:33:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: ২ রানে আউট ক্লাসেন, দঃ আফ্রিকা ৬৬/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট - ১২৫

10:31:00 PM