Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

স্মৃতির পর্দায় দূরদর্শন
জগন্নাথ বসু

বিগত শতাব্দীর অন্যতম বিস্ময়! সেই অক্টাগন থেকে আজকের স্মার্ট, ওএলইডি—টেলিভিশনের বিবর্তন বন্ধ হয়নি এই ফাইভজি যুগেও। আর একসপ্তাহ পরেই ২১ নভেম্বর। ১৯৯৬ সালের এই দিনেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম বিশ্ব টেলিভিশন ফোরাম। সেই থেকে তারিখটি বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে পরিচিত। তার আগে এই মাধ্যমের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতির পথে হাঁটল ‘বর্তমান’

তখন দূরদর্শনের দু’দল কর্মীদের মধ্যে প্রচণ্ড গণ্ডগোল। স্টুডিও অফিসটা ঘিরে রেখেছে আমাদের বিপক্ষের কয়েকজন। তাদের টপকে স্টুডিওতে ঢোকার কোনও উপায় নেই। এদিকে খবর পড়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। সেদিনই প্রথম জানতে পারলাম দূরদর্শন ভবনের মধ্যে থাকা এক গোপন সুড়ঙ্গের কথা। সেটির লুকনো দরজা খোলা হল। সেই প্রায়ান্ধকার সুড়ঙ্গপথে হোঁচট খেতে খেতে কোনওরকমে ট্রান্সমিশন রুম। ক্যামেরা রেডি। লাইভ খবর পড়তে হবে তক্ষুনি। স্ক্রিপ্ট পড়ার সময়  পর্যন্ত হাতে নেই। কপাল থেকে একফোঁটা ঘাম টপ করে জামার কলারে পড়ল, বুঝতে পারলাম। ঠিক তখনই মনিটরে দেখতে পেলাম নিজের মুখ। এয়ার করে দেওয়া হয়েছে আমাকে। প্রায় এক্সটেম্পোতে পড়লাম পুরো খবর। জগন্নাথ বসুকে উপস্থাপক হিসেবে সেই প্রথম দেখল মানুষ। এই কথাটা অনেকেরই কিন্তু জানা নেই। বেশ গা ছমছমে একটা বিষয়, তাই না...
এই ঘটনাটা ঘটছে দূরদর্শনে। কিন্তু আমার কর্মজীবন শুরু রেডিওতে। তখন বেতার তরঙ্গের নিত্য আনাগোনার মধ্যে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে একটু একটু করে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে অ্যান্টেনা। বদল আসছে, মালুম হচ্ছিল। কোনও অজানা পথে পা বাড়ানোর একটা চাপা উত্তেজনা থাকে। সেই অনুভূতি নিয়েই এলাম টেলিভিশনের ময়দানে। দীর্ঘদিনের চেনা পরিবেশ ছেড়ে আসাটা খুব সহজ ছিল না। স্বয়ং তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আপনার থেকে রেডিও  পেয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক কিছু দেওয়ার বাকি।’ জবাবে বলেছিলাম, ‘আমায় শূন্য থেকে শুরু করতে দিন।’ রেডিওর কর্তাব্যক্তিরাও ছাড়তে চাননি। তবু বুক ঠুকে চলে এলাম। হাজার হোক, পরিবর্তনই তো জীবনের নিয়ম। রেডিও জগতের অনেকেরই ধারণা ছিল, টিভিতে আমার কেরিয়ার বোধহয় দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ফিরে আসব রেডিওতেই। আমার মনে অবশ্য কোনও সংশয় ছিল না। জানতাম, রেডিওতে আমি যত দক্ষই হই না কেন, এই জগৎ আমার কাছে অচেনা, নতুন। এখানে আমি শুধুই এক ছাত্র। নতুন মাধ্যম চেনা-জানার অসম্ভব খিদে নিয়ে শুরু হল পথচলা।
সালটা ১৯৯২। আমার দুনিয়া বদলাল। বদলাচ্ছিল দূরদর্শনও। সেই সময়ে সাহিত্য মনস্কতা, সৃজনশীলতার পথ ছেড়ে ধীরে ধীরে বাণিজ্যমুখী হয়ে উঠছিল দেশের একমাত্র টেলিভিশন সংস্থা। এর মধ্যেই একদিন জরুরি মিটিং ডাকলেন তৎকালীন ডিরেক্টর জেনারেল রতিকান্ত বসু। বুঝিয়ে দিলেন, সময় বদলাচ্ছে। অনুষ্ঠানের জন্য আর মানুষ এসে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকবে না। বরং কোন অনুষ্ঠানের কেমন জনপ্রিয়তা, তার রেটিং, টিআরপি সহ হরেক হিসেবের সঙ্গেই বানাতে হবে চমকদার প্রোমো। সেটি নিয়ে যেতে হবে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। তাঁদের আকৃষ্ট করতে হবে বিজ্ঞাপনের জন্য। বুঝতে পারলাম, বিনোদনের বাণিজ্যিকীকরণের সূচনা হয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞাপন সংগ্রহের জন্য চালু হল নতুন এক দপ্তর। প্রধান পদে বসানো হল আমাকেই। একটু গোড়ার কথায় ফিরে আসি। দেশে দূরদর্শনের সূচনাকাল অবশ্য ছিল একদমই অন্যরকম। ১৯৩৬ সালে বিশ্বে প্রথম টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু করে বিবিসি। তার প্রায় দু’দশক পরে ১৯৫৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে পথ চলা শুরু দূরদর্শনের। ছোট একটি ট্রান্সমিটার নিয়ে অস্থায়ী এক স্টুডিও থেকে প্রথমবার পরীক্ষামূলক সম্প্রচার করা হয়। সহযোগিতা করেছিল ইউনেস্কো। সেই শুরু। সপ্তাহে দু’দিন এক ঘণ্টা করে দূরদর্শনে অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো। ১৯৬৫ সাল থেকে চালু হয় দিনভর সম্প্রচার। অল ইন্ডিয়া রেডিও’র অংশ হিসেবে। সে বছরই প্রথম পাঁচ মিনিট দীর্ঘ খবরের বুলেটিনের সূচনা। পাঠ করতেন প্রতিমা পুরী। দূরদর্শনের প্রথম সংবাদ উপস্থাপিকা। হাতে গোনা দর্শক। তাও প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর আসেন সালমা সুলতান।
একটা সময় পর্যন্ত অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দূরদর্শন ছিল একই ছাতার তলায়। ১৯৭৬ সালের ১ এপ্রিল দু’টি সংস্থা আলাদা হয়ে যায়। দূরদর্শনের লোগো কী হবে? তা তৈরি করার দায়িত্ব পড়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের উপর। সেখানকার পড়ুয়াদের মোট ১৪টি নকশার মধ্যে থেকে বঙ্গসন্তান দেবাশিস ভট্টাচার্যের আঁকা লোগোটি পছন্দ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর অনুরোধেই দূরদর্শনের ‘সিগনেচার টিউন’ তৈরি করেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর। ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’-র প্রথম লাইনের সুরের আদলে। কলকাতায় অবশ্য দূরদর্শন আসে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট। শুরু হল দু’ঘণ্টার সম্প্রচার। পর্দায় কলকাতা দূরদর্শনের প্রথম উপস্থাপিকা শর্মিষ্ঠা দাশগুপ্তের মুখ। বললেন, ‘নমস্কার, কলকাতা টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শুরু হল ব্যান্ড এক, চ্যানেল চারে।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় তথ্য ও বেতারমন্ত্রী বিদ্যাচরণ শুক্ল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, রাজ্যের তথ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। টালিগঞ্জের রাধা ফিল্ম স্টুডিওর একফালি অফিস ছিল তখন টেলিভিশন সেন্টার। সারা দিন ধরে চলত রেকর্ডিং। সন্ধ্যায় ট্রান্সমিশন, ঘোষণা, সংবাদ পাঠ। ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই নিজস্ব অফিস পায় কলকাতা দূরদর্শন কেন্দ্র, গল্ফ গ্রিনে। উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী।
ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে দূরদর্শনের। শুধু কলকাতায় নয়, দেশজুড়েই। ১৯৮২ সালের নভেম্বর মাসে এশিয়ান গেমসের আয়োজন করে ভারত। সেই সময় থেকেই শুরু হয় রঙিন ছবির সম্প্রচার। তখন সপ্তাহজুড়ে চলত ‘চিত্রমালা’, ‘সাপ্তাহিকী’, ‘চিত্রহার’, ‘রঙ্গোলি’র মতো নানান অনুষ্ঠান। সঙ্গে ছিল ‘হামলোগ’,‘বুনিয়াদ’-এর মতো সিরিয়াল। যদিও জনপ্রিয়তার নিরিখে নতুন নজির গড়ে ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমাতো টিভি স্ক্রিনের সামনে। দেখানো হতো নানান তথ্যচিত্র। বিভিন্ন বিষয়ের উপর। 
কলকাতা দূরদর্শনে শুরু থেকেই দর্শকদের অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হতো। সেই কারণে সূচনা হয় ‘দর্শকের দরবারে’ অনুষ্ঠানের। দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগের ভার এল পঙ্কজ সাহার কাঁধে। এই অনুষ্ঠানের হাত ধরেই আমজনতার কাছে টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। পরবর্তীতে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ভার আসে আমার হাতে। আমি অনুষ্ঠানটিতে কিছুটা বদল আনি। সরাসরি চলে যাই দর্শকদের মাঝে। ঘুরে বেড়াই হরেক জেলায়। এমনই একবার অনুষ্ঠান ছিল বর্ধমানে। অনুষ্ঠানের মধ্যেই দেখা এক গ্রাম্য মানুষের সঙ্গে। পরনে ফতুয়া, ধুতি। কোলে বাচ্চা। জিজ্ঞাসা করলাম, টিভি দেখেন? কোন অনুষ্ঠানটি সবচেয়ে ভালো লাগে? শহুরে কায়দার সেই প্রশ্নের সটান জবাব দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘যাত্রা দেখতে ভালো লাগে। দেখান না ক্যানে?’ টের পেয়েছিলাম, শহুরে ভাবনার বাইরেও একটা দুনিয়া রয়েছে। কলকাতায় বসে তা টের পাওয়া যায় না।
দূরদর্শনের অন্দরের রেষারেষিতে কী হতে পারে, শুরুতে উল্লেখ করেছিলাম। বিষয়টি একটু বিস্তারিত বলি। একটা সময়ে রেডিও-টিভির টানাপোড়েন চরম আকার নিয়েছিল। খবরের বিভাগকে বিপাকে ফেলার মরিয়া চেষ্টাও চালিয়েছিল কয়েকজন। একদিনের ঘটনা এখনও স্মৃতিতে তাজা। খবরের বিভাগের সবাই হাত তুলে নিয়েছে। এর মধ্যেই আমাকে ডেকে পাঠালেন অধিকর্তা। তাঁর সাফ নির্দেশ, খবরের বিভাগ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। আজ আপনাকেই খবর পড়তে হবে। উনি জানতেন, কার্যক্ষেত্রে অফিসার পদে থাকলেও আমি একজন বাচিক শিল্পীও বটে। সেদিন শরীর বিশেষ ভালো ছিল না। তথাপি কর্তার নির্দেশ। উপায় কী! স্টুডিওতে যাব কীভাবে? চার দিক বন্ধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধরা। শেষে এক সুড়ঙ্গ পথের মধ্যে দিয়ে ট্রান্সমিশন রুমে নিয়ে গেলেন স্টেশন ইঞ্জিনিয়ার। আপৎকালীন পরিস্থিতি বলে কথা। অস্থায়ীভাবে সেখান থেকেই হবে সরাসরি সম্প্রচার। পৌঁছনো তো গেল, কিন্তু খবর কোথায়! কী দেখে পড়ব! এদিকে প্রায় সাতটা বাজে। মনে হচ্ছিল, আজ আর বোধহয় খবর পড়া হবে না। এর মধ্যেই হাজির এক চা বিক্রেতা। চা দেওয়ার মধ্যেই লুঙ্গির ভাঁজ থেকে বার করে দিলেন ‘খবর’। মক-শো করার সময় নেই। সরাসরি অন-এয়ার। কাজে লাগল রেডিওর অভ্যাস। নির্ভুলভাবে খবর পড়লাম। সম্প্রচার শেষ হতেই ফোন করলেন তৎকালীন অধিকর্তা। সাধুবাদ দেওয়ার সঙ্গে খবর পরিবেশনের ভারটিও দিলেন তৎকালীন অধিকর্তা। আমার পরে কয়েকটি বুলেটিন পড়েন সহকর্মী অজিত মুখোপাধ্যায়। মজার কথা, তিনিও দূরদর্শনে এসেছিলেন রেডিও থেকেই।
আরও কয়েকজনের কথা না বললে এই ফিরে দেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাঁদের মধ্যে একজন অভিজিৎ দাশগুপ্ত। সেই সময়ে দূরদর্শন মাধ্যমটি বুঝে সেই অনুযায়ী কাজ করা খুব সহজসাধ্য ছিল না। অথচ সেই কাজটি খুব সহজেই করতেন অভিজিৎ। তাঁর প্রযোজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে সেই দক্ষতার ছাপ রেখেছিলেন। অন্যদিকে, নিজেদের দক্ষতায় উপস্থাপিকা হিসেবে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন শাশ্বতী গুহঠাকুরতা, চৈতালি দাশগুপ্তরা। কলকাতা দূরদর্শন মানেই একঝাঁক স্মৃতির মন্তাজ। ধীরে ধীরে সময়ের চাদরে ঢেকে গিয়েছে অতীতের দিনগুলি। কেবল টিভির যুগে যাঁদের জন্ম, বেড়ে ওঠা, তাঁদের দূরদর্শন নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা হয়তো নেই। কিন্তু আমাদের সময়টা ছিল অন্যরকম। আবেগ, ভালোবাসার আর এক নাম ছিল দূরদর্শন, যা আজ শুধুই নস্টালজিয়া। টিআরপির লড়াইয়ে সবাই এখন ছুটছে। দূরদর্শনের সামনে একের পর এক দাপুটে বেসরকারি চ্যানেল। এ চ্যালেঞ্জ কঠিন। তার পরেও দূরদর্শন ফের ঘুরে দাঁড়াবেই। সেই বিশ্বাস লালন করে চলেছি আজও।
13th  November, 2022
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
একনজরে
কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM

আইপিএল: ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি প্রভসিমরনের, পাঞ্জাব ৬৮/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:15:20 PM

আইপিএল: পাঞ্জাবকে ২৬২ রানের টার্গেট দিল কেকেআর

09:39:04 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট রিঙ্কু সিং, কেকেআর ২৫৯/৫ (১৯.৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:32:37 PM