Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

 নরেনের ঘুড়ি
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

স্বামীজি যখন প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এলেন, তার অনেক আগে থেকেই তিনি ইউরোপীয় দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য— তিনি খুঁজছেন, এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ এবং জীব জগৎ এল কোথা থেকে। এই জগতের স্রষ্টা কে! আরও কৌতূহল— সাধারণ মানুষ যে ভগবানের কথা বলে, সেই ভগবান কে? তাঁর দর্শন কি পাওয়া যায়!
ধনীর সন্তান। প্রাচুর্যের মধ্যেই বড় হচ্ছেন। পিতা বিশ্বনাথ তাকে সবরকমের স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন। তিনি নিজে গতানুগতিকভাবে ঈশ্বর বিশ্বাসী ছিলেন এমন কথা বলা যায় না। তিনি এক জায়গায় নিজের সম্পর্কে বলেছিলেন— আমি হেডোনিস্ট, অর্থাৎ জীবনের রূপ, রস, গন্ধ উপভোগ করতে চাই। সব ধর্মের তত্ত্বই তিনি জানতেন। তবে সমন্বয়ে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি হাফিজ পড়তেন, সুফি সাধকদের লেখা পড়তেন, আবার শ্রীমদ্ভাগবতের রসও গ্রহণ করতেন। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে ছোট একটি পুস্তিকাও লিখেছিলেন। যেমন লিখেছিলেন ‘সুলোচনা’ নামের একটি উপন্যাস। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতচর্চা করেছিলেন। সঙ্গীত পরিবেশনও করতেন। প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে মজলিস বসাতেন, আর শ্রোতাদের মোগলাই খানা খাওয়াতেন। রন্ধনবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। পুত্র নরেন্দ্রনাথকে দিয়ে চাঁদনি থেকে একটি রান্নার বই আনিয়েছিলেন। মাঝেমাঝে বাড়ির রান্নাঘরের দখল নিয়ে পিতা-পুত্রে মোগলাই পদ রান্না করতেন। তাঁর এক মক্কেল ছিলেন মোগল রমণী। তিনি সময়ে সময়ে এক একটি পদের রান্নার প্রণালী লিখে পাঠাতেন। পুত্র নরেন্দ্রনাথকে তিনি চেয়েছিলেন আদর্শ এক পুরুষ হিসেবে তৈরি করতে। স্বাস্থ্য হবে সুন্দর, চওড়া বুক, মনে দুর্জয় সাহস, সমস্ত বাধা অতিক্রম করার অতি মানবীয় শক্তি। নরেন্দ্রনাথ ব্যায়ামবীর হবেন, কুস্তিগীর হবেন, সাঁতার শিখবেন, শিখবেন রোয়িং, বন্দুক চালানো, ঘোড়ায় চড়া। পুত্রকে তিনি সর্বঅর্থে এক বীর তৈরি করতে চেয়েছিলেন। দিয়েছিলেন স্বাবলম্বী হওয়ার শিক্ষা।
স্বামীজি কিন্তু সঙ্গে এনেছিলেন অতি মানবীয় এক মন। উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন অতি-লৌকিক এক কৌতূহল। তিনি বিচরণ করতেন অনন্তে। ছাত্রজীবন থেকেই অভ্যাস করতেন ধ্যান। বুদ্ধদেবের দর্শন তাঁকে আকৃষ্ট করেছিল। জানতে চাইতেন একটি ক্ষুদ্র জীবনেই কি মহাজীবন শেষ হয়ে যায়! অনন্তের সঙ্গে সান্তের কি কোনও সম্পর্ক আছে! এই জগতের বাইরে পা ফেললে মানুষ যায় কোথায়! এটি কি একটি অলাতচক্র! এ কি কোনও কংসের কারাগার! সেই কারাগারেই কি ভগবান বিষ্ণু আসেন! বুদ্ধদেব যে নির্বাণের কথা বলে গিয়েছেন তা কি নির্বাপিত জীবন প্রদীপ! নাকি চিরপ্রজ্জ্বলিত একটি দীপশিখা! কী বলছেন হাফিজ, রুমি। কী বলছেন কান্ট, হেগেল, হিউম, ডেকার্ট, স্পেনসার। চিন্তার এই স্বাধীনতা তিনি পেয়েছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে। এই পরিবারেরই একজন পূর্বে সন্ন্যাস নিয়ে সংসার ত্যাগী হয়েছেন। রক্তের ধারায় রয়েছে সেই বৈরা঩গ্যের বীজ। কিন্তু নরেন্দ্রনাথ হবেন স্বতন্ত্র এক পথের পথিক। এই দুনিয়ার যাবতীয় যন্ত্রণার উত্তরাধিকারী নীরবে মোক্ষণ করবেন অন্তরের অশ্রুজল। সেই ক্রন্দনে কোনও হাহাকার থাকবে না, থাকবে একটা জ্বলন। গুমরে গুমরে বাজবে অদ্ভুত এক বিদ্রোহের বাঁশি। ব্রাহ্ম হীরালালকে বলবেন, এই বিশ্ব সৃষ্টির অতি উত্তম ব্লু-প্রিন্ট আমার কাছে আছে। যা আমি ঈশ্বরকে দিতে পারি। পরবর্তীকালে তিনি বলবেন, সন্ন্যাস হল মৃত্যুপণ, যে মরতে প্রস্তুত তারই সাজে গেরুয়া ধারণ।
দক্ষিণেশ্বরে সাধক, গুপ্ত যোগী শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কাছে এলেন এক কলেজি যুবক। তিনি যা খুঁজছেন তা কোনও দর্শনে নেই, ব্রাহ্ম সমাজে নেই, রামমোহন বা দেবেন্দ্র ঠাকুরের কাছেও নেই। এই গোলাকার বৃহৎ শালগ্রাম- সম জগতের আড়ালে কে আছেন? মহাশয়! আপনি কি ঈশ্বর দেখেছেন? আমি আপনার ওই মন্দিরের মা কালী অথবা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর— এঁদের সম্পর্কে কিছুই জানতে চাই না। আমি অসীম, অনন্তের খবর চাই। আমি বেদ পাঠ করেছি। অতীত ঋষিদের চিন্তার সঙ্গে পরিচিত। কঠোপনিষদ আমার প্রিয় গ্রন্থ। কিন্তু যমরাজ নচিকেতাকে বলতে পারেননি, মৃত্যুর পর মানুষ কোথায় যায়! আমি সেই বালক নচিকেতা। আমি নরেন্দ্রনাথ দত্ত, আমার পিতা একজন বিখ্যাত অ্যাটর্নি বিশ্বনাথ দত্ত, আমার মা ভুবনেশ্বরী। সেদিন এতকথা তাঁকে বলতে হয়নি। ঠাকুর জানতেন কে এসেছে! কেন এসেছে! তিনি জানতেন, একে আসতেই হবে! তিনি মৃদু হেসে অশান্ত যুবকটিকে গ্রহণ করেছিলেন। সেদিন তাঁর মধ্যে যে স্নেহের প্রকাশ ঘটেছিল তাতে দত্ত নরেন্দ্রনাথ এতটাই অভিভূত হয়েছিলেন, যা তিনি আর ভুলতেই পারেননি। শটকা কলে ব্যাধেরা যেমন পাখি ধরে, শ্রীরামকৃষ্ণ এই গরুড় পক্ষীটিকে তাঁর বিশাল স্নেহের বিরাট খাঁচায় চিরকালের জন্য ধরে ফেললেন।
নচিকেতা মৃত্যুর রহস্য জানতে চেয়েছিলেন। পিতা বিশ্বনাথ দত্ত হঠাৎ মারা গিয়ে এই নচিকেতাকে জানিয়ে গেলেন—তোমার জীবনে শোকের কোনও অবকাশ নেই। অশ্রু বিসর্জনের শৌখিনতাও থাকবে না। আমার উত্তরাধিকার হল অভাব আর এই পরিবারটির বিশাল বোঝা। তুমি আমার জ্যেষ্ঠ পুত্র, কাঁধে তুলে নাও সংসারের এই স্থূল ভার। পিতার মৃত্যু যেন হাতুড়ির আঘাত। নরেন্দ্রনাথ যেন অগ্নিতে লাল করা একখণ্ড লোহা। প্রথম মৃত্যু তাঁকে যে শিক্ষা দিয়েছিল, সেই শিক্ষা পরবর্তীকালে কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা তাঁর জানা ছিল না।
নরেন্দ্রনাথের দুই পিতা। জাগতিক পিতা চলে গেলেন। দক্ষিণেশ্বরে দু’হাত বাড়িয়ে বসে আছেন তাঁর আধ্যাত্মিক পিতা। তিনি নরেন্দ্রনাথকে তৈরি করছেন ইন্দ্রের বজ্রের মতো করে। বেদান্তি নরেন্দ্রনাথ মৃত্যকে দেখতে শিখেছেন অন্য চোখে। জীবনের ক্ষয় নেই লয় আছে। জলের বিন্দু জলেতেই মিলায়, যা আজ আছে এখানে, কাল তা ফিরে যাবে সেখানে। প্রশ্ন ছিল ভগবান কোথায়? গুরু বুকে আঘাত করে শিখিয়ে গেলেন, ভগবান এখানে।
ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ যথেষ্ট সময় দিলেন তাঁর না থাকাটাকে সহনীয় করার জন্য। দিলেন সেবার সুযোগ। নরেন্দ্রনাথ এবং পরবর্তীকালে যে যুবকরা রামকৃষ্ণ সঙ্ঘ তৈরি করবেন, তাঁদের দলনেতা হয়ে কাশীপুর উদ্যান বাটীতে গুরুর সেবায় নিয়োজিত হলেন। মাঝেমাঝে সকলকে সচেতন করতে লাগলেন—এই দেহটি চলে যাবে, আয় যত পারি সেবা করি। সেবাই ধর্ম। আর যত পারি গ্রহণ করি গুরুর শিক্ষা, গুরুর দর্শন। জেনে রাখ শোকের কোনও অবকাশ নেই। গতি থমকে যাবে কিছুক্ষণের জন্যে, কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণের রথ চলতেই থাকবে। আমরা ধরে রাখব সেই রথের রশি। রথের চারটি চাকা— ধর্ম, অর্থ, কাম আর মোক্ষ।
ঠাকুর চলে গেলেন। নরেন্দ্রনাথের কাঁধে দিয়ে গেলেন একটি নতুন যুগের ভার। দিয়ে গেলেন একটি ধর্ম—যা সমস্ত ধর্মের সমন্বিত রূপ। একটি সংগঠন তৈরি করতে হবে, যে যুবকদল তাঁর বাঁশি শুনে গৃহত্যাগ করেছেন তাঁদের আশ্রয় দিতে হবে, তাঁদের পরিচালিত করতে হবে শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শের পথে। দূর, দূর, বহু দূরে যেতে হবে। নরেন্দ্রনাথের দুঃখ কোথায়? পুরোটাই তো দায়িত্ব।
একটি চিত্র চোখের সামনে ভাসছে—নরেন্দ্রনাথ নীল আকাশে বিরাট একটা ঘুড়ি তুলেছেন, হাতে লাটাই আর সুতো। কলে বাঁধা সেই ঘুড়ি উড়ছে, আর দক্ষিণেশ্বরের পঞ্চবটীতে গান হচ্ছে—শ্যামা মা উড়াচ্ছে ঘুড়ি ভবসাগর বাজার মাঝে। নরেন্দ্রনাথের হাতে লাটাই, আর ওই নীল আকশের বুকে শ্রীরামকৃষ্ণ- ঘুড়ি বাতাসে সাঁতার কাটছে।
28th  June, 2020
স্বামীজির শেষদিন
শংকর

স্বামীজি বলতেন, ‘শরীরটা কিছু নয়, কিন্তু এই শরীরের দ্বারাই তাঁকে লাভ করতে হবে।’ কর্মই ছিল তাঁর ঈশ্বরলাভের পথ। আর কর্মকাণ্ডের বারিধারায় মহাবিশ্বকে সজল করে আচমকা সেই শরীরই ত্যাগ করেছিলেন তিনি। ৪ জুলাই, ১৯০২... ফিরে দেখা স্বামী বিবেকানন্দের শেষের সেদিন।
বিশদ

28th  June, 2020
নব নীলাচল মাহেশ 

এবার মন্দিরের ধ্যানঘরে মাসির বাড়ি তৈরি করে জগন্নাথদেবকে নিয়ে যাওয়া হবে। লিখেছেন গুঞ্জন ঘোষ।  বিশদ

21st  June, 2020
অনলাইনে ইসকনের রথোৎসব 

এই প্রথমবার কলকাতার রাজপথ পরিক্রমণ করবে না ইসকনের রথ। করোনার সংক্রমণের জন্য এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। খবরে স্নেহাশিস সাউ।  
বিশদ

21st  June, 2020
জয় প্রভু জগন্নাথ 

তিনি জগন্নাথ। জগতের নাথ। জগতের শুভ অশুভ, দুঃখ সুখ, প্রলয় শান্তি, বিপর্যয় সৃষ্টি সব কিছুর নিয়ন্তা তিনি। তিনি চাইলে নিমেষে বদলে যায় জীবন। তাঁর ইচ্ছেতেই মহামারী শেষে ফিরে আসবে নতুন ভুবন। সেই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরেই আসন্ন রথযাত্রার পুণ্যলগ্নে প্রভু জগন্নাথকে বন্দনার আয়োজন। 
বিশদ

21st  June, 2020
শত হেমন্ত সুরে

পথ হারাবেন বলেই হয়তো তিনি সুরের পথে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁর গায়কী ও সুরসৃষ্টিতে বাঙালি মাত্রই খুঁজে পান পথের সন্ধান— তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। আর দু’দিন পর অর্থাৎ ১৬ জুন তাঁর জন্মশতবর্ষ। সেই বিশেষ দিনটিকে স্মরণে রেখে আরবসাগরের পার থেকে সঙ্গীত জগতের এই দুরন্ত ঘূর্ণির স্মৃতিচারণা করলেন নায়ক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী তথা এই কিংবদন্তি শিল্পীর পুত্রবধূ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। শুনলেন অয়নকুমার দত্ত।
বিশদ

14th  June, 2020
আমজনতার মহাকাশযাত্রা
উপাসনা দাশগুপ্ত

দিনটা শনিবার। বিকেল ৩টে ২২ মিনিট। কম্পিউটারে ইউটিউব খুলে স্পেস এক্সের লঞ্চ দেখছি। টানটান উত্তেজনা। লঞ্চ সফল হবে তো! মহাকাশ যাত্রায় এবার যেহেতু দু’জন মহাকাশচারী রয়েছেন, তাই ব্যাপারটা যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই খারাপ কিছু ঘটলে ভয়ানকও বটে। 
বিশদ

07th  June, 2020
এক নজরে স্পেস এক্স 

মঙ্গলগ্রহে চাষাবাদ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল পৃথিবীর প্রথম সবথেকে সফল বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা। নাম ছিল ‘মার্স ওয়েসিস’। কিন্তু, একবছরের মধ্যেই সংস্থার প্রধান এলন মাস্ক বুঝতে পারেন এই কাজ করার সময় এখনও আসেনি।  
বিশদ

07th  June, 2020
 লক্ষ্য লাদাখ

  ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি...। দশকের পর দশক ধরে চলতে থাকা সীমান্ত টেনশন মাথাচাড়া দিয়েছে। ফের আগ্রাসী চীন। পিছু হটবে না ভারতও...। বিশদ

31st  May, 2020
লকডাউনের দিনগুলি
ডাঃ শ্যামল চক্রবর্তী

মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন গাইনি বাড়ির উল্টোদিকে কার্ডিওলজি বিল্ডিংয়ের সামনে। পাশে পুলিস কমিশনার। খবর পেয়ে দ্রুত ওখানে চলে এলেন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও ডেপুটি সুপার। মিটার দেড়েক দূরত্ব, করজোড়ে মুখ্যমন্ত্রী... ‘খুব ভালো কাজ করছেন আপনারা।
বিশদ

24th  May, 2020
করোনা কক্ষের ডায়েরি
ডাঃ চন্দ্রাশিস চক্রবর্তী

 গত ১০০ বছরে পৃথিবী এরকম মহামারী দেখেনি। শহরের প্রায় সমস্ত বড় হাসপাতালে এখন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি। ফলে আউটডোর চলছে গুটিকয়েক রোগী নিয়ে, হাসপাতালের ক্যান্টিন বন্ধ, ভিতরের রাস্তাগুলো ফাঁকা, বাইরে গাড়ির লাইন নেই…।
বিশদ

24th  May, 2020
এয়ারলিফট 
সমৃদ্ধ দত্ত

একটা স্তব্ধতা তৈরি হল ঘরে। সন্ধ্যা হয়েছে অনেকক্ষণ। এখন আর বেশি কর্মী নেই। অনেকেই বাড়ি চলে গিয়েছেন। তবু কিছু লাস্ট মিনিট আপডেট করার থাকে। তাই কয়েকজন এখনও রয়েছেন অফিসে। তাঁদেরও ফিরতে হবে।  
বিশদ

17th  May, 2020
রবির মানিক 

শ্রীকান্ত আচার্য: অতীতে কলকাতায় বরাবরই ঠাকুর পরিবার এবং রায়চৌধুরী পরিবার, সব দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। তা সে জ্ঞানের পরিধি বলুন বা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল—সব ক্ষেত্রেই এই দুই পরিবার উন্নত করেছে বাংলাকে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জন্ম ১৮৬৩ সালে।  
বিশদ

10th  May, 2020
অনুরাগের রবি ঠাকুর 

সন্দীপ রায়: বাবার কলাভবনে ভর্তি হওয়া থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সংযোগটা একরকম তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যদিও আপনারা জানবেন, শৈশবে ওঁর মোটেই শান্তিনিকেতন যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। তবে হ্যাঁ, সেখানে গিয়ে কিন্তু তাঁর অবশ্যই মন পরিবর্তন হয়েছিল। 
বিশদ

10th  May, 2020
‘ছবিটা ভাই ভালো হয়েছে। তবে
চলবে কি না, বলতে পারছি না!’ 

প্রশ্ন: ‘চারুলতা’-র জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করেছিলেন?
মাধবী: ছ’বছর বয়স থেকে কাজ করা শুরু করেছিলাম। তারপর নানা পথ পেরিয়ে প্রেমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে কাজ। ‘সাহসিকা’ বলে একটি ছবিতে হিরোইনের ছেলেবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। 
বিশদ

10th  May, 2020
একনজরে
জীবানন্দ বসু, কলকাতা: বিদেশি বিনিয়োগ তথা বেসরকারিকরণ ইস্যুতে কয়লা শিল্পে তিনদিনের লাগাতার ধর্মঘট নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধংদেহী অবস্থান নিল আরএসএস নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক ...

কলম্বো: গড়াপেটা বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শ্রীলঙ্কাকে। দেশের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুথামাজে অভিযোগ করেছিলেন, ২০১১ আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ইচ্ছা করে ভারতের কাছে হেরেছিল। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রখ্যাত যাত্রাভিনেতা তথা নির্দেশক ত্রিদিব ঘোষ সোমবার ভোরে তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। বিভিন্ন যাত্রাপালাতে তিনি ...

বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: ১৩৫ কোটির দেশে ডাক্তারিতে রয়েছে মাত্র ১৪টি সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের আসন! চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো এই তথ্য জানা গেল মেডিক্যাল কাউন্সিল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম
১৯১৭-দাদাভাই নওরজির মৃত্যু।
১৯৫৯ - বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর মৃত্যু
১৯৬৬- মাইক টাইসনের জন্ম।
১৯৬৯- রাজনীতিবিদ সুপ্রিয়া সুলের জন্ম।
১৯৮৫- মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপসের জন্ম।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮১ টাকা ৭৬.৫৩ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯০ টাকা ৯৫.২০ টাকা
ইউরো ৮৩.৫৩ টাকা ৮৬.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৫৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,২৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,৭৯০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৮৯০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী ৩৭/৭ রাত্রি ৭/৫০। চিত্রা ১/৩৯ প্রাতঃ ৫/৩৯ পরে স্বাতী ৫৭/৪২ রাত্রি ৪/৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/১০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৯/০ মধ্যে।
১৫ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী রাত্রি ৭/১৩। চিত্রা নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৪১ পরে স্বাতী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫। সূযোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ১২/৩ গতে ২/১১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে।
৮ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম১৯১৭-দাদাভাই নওরজির ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে করোনা পজিটিভ আরও ২,১৯৯ জন, মোট আক্রান্ত ৮৭,৩৬০ 

10:41:52 PM

আগামী ৩ মাসের জন্য স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র 

10:08:59 PM

কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে 
কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে সাড়ে চার টাকা। আগামীকাল থেকে ...বিশদ

09:56:15 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৪,৮৭৮ জন, মোট আক্রান্ত ১,৭৪,৭৬১ 

08:38:03 PM