সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
অঞ্জলি সুইটস
বেলেঘাটায় রয়েছে অঞ্জলি সুইটসের দু’টি শাখা। এদের ৭০-৭৫ রকমের মিষ্টির মধ্যে পাওয়া যাবে গুড়ের বিভিন্ন ধরনের সন্দেশ, নলেন গুড়ের পুর ভরা তালশাঁস, গুড়ের রসগোল্লা। জয়নগর থেকে আনা বিশেষ নলেন গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় এইসব মিষ্টি। ক্রিসমাস, বার্থডে স্পেশাল গুড়ের ফ্লেভারের পেস্ট্রি এবং কেক পাবেন। চকোলেট ফ্লেভারেরও রকমারি কেক, পেস্ট্রি পাবেন। মিষ্টি পাবেন ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০/৬৫ টাকা পর্যন্ত। কেক এবং পেস্ট্রি ২৫/৩০ প্রতি পিস। বার্থডে কেক ২৫০ টাকা থেকে শুরু।
আনন্দময়ী সুইটস
বরানগরের আনন্দময়ী সুইটস-এর কর্তৃপক্ষ জানালেন ১৯৭২ সালে শুরু এই দোকান। ওঁদের নবতম সংযোজন বেকারি ইউনিট। পাবেন এগলেস কেক, কুকিস সহ নোনতা খাবার। শীতকালীন মিষ্টির মধ্যে উল্লেখযোগ্য নলেন গুড়ের মহারানি সন্দেশ, নলেন গুড়ের সুফলে, গুড়ের দুধপুলি। এছাড়া আছে গুড়ের শঙ্খ সন্দেশ, গুড়ের কাঁচাগোল্লা, গুড়মালাই, গুড় ভরা তালশাঁস।
সতীশ ময়রা
সতীশ চন্দ্র দাস অ্যান্ড সন্স, সতীশ ময়রা নামে পরিচিত দোকানটি প্রতিষ্ঠার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়। আবার ১৯২০ সালে চালু হয়। এটি দক্ষিণ কলকাতার গার্ডেনরিচের অন্যতম প্রাচীন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। বর্তমানে হাইকোর্ট ও বিধানসভায় সতীশ ময়রার ক্ষীর এবং গুড়পুলির কদর রয়েছে। এদের শীতকালীন সম্ভারে পাবেন গুড়ের পুলি সন্দেশ, কাঁচাগোল্লা, ক্রিসমাস স্পেশাল গুড়ের বেক সন্দেশ কেক, গুড় ক্যান্ডি, গুড়ের মালাই সন্দেশ, গুড় কলস, গুড় বাটি সন্দেশ, গুড়ের ছানার পায়েস ইত্যাদি। এখনও এদের সর্বনিম্ন মিষ্টির দাম ৫ টাকা থেকে শুরু। গুড়ের রসগোল্লা, শান্তিপুরের নিঁখুতি, আম এবং অন্য ফলের সন্দেশ, অর্ডার দিলে নলেন গুড়ের দই পাওয়া যায়। পুরনো ট্র্যাডিশন মেনে শুরুর সময়ের নারকেল নাড়ু, ক্ষীরের নাড়ু, কদমা, তিলের নাড়ু, মোয়া, তিল খাজা ইত্যাদিও পাবেন এখানে।
বিষ্ণু সুইটস
উত্তর কলকাতার আহিরিটোলার শ্রী বিষ্ণু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত দুধের তৈরি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি এই দোকানের বিশেষত্ব। পাবেন রকমারি গুড়ের মিষ্টি। নরমপাকের জলভরা, মৌসুমি সন্দেশ, সরের রোল, ইন্দ্রাণী, মাদার ইন্ডিয়া, দুধপুলি, গুড়ের মনোহরা, স্পেশাল গুড়ের রসমালাই, রাবড়ি, গুড়ের রসগোল্লা, সাদা রসগোল্লা ইত্যাদি।
নিতাই সুইটস
২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল, বিগত প্রায় ১৭ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে কলকাতার দমদম, কালিন্দী, বেলগাছিয়া সহ সাতটি শাখায় মিষ্টান্ন পরিবেশন করে চলেছে নিতাই সুইটস। এদের এ বছরের শীতের স্পেশাল মিষ্টির মধ্যে থাকছে সবই গুড়ের আইটেম। বিশেষ উল্লেখযোগ্য তুবড়ি সন্দেশ, ঘট সন্দেশ, আকাশপ্রদীপ, মন্দির সন্দেশ, প্যাটিস সন্দেশ ইত্যাদি। এছাড়া নলেন গুড় দিয়ে বানানো বিশেষ তালশাঁস সন্দেশ পাবেন। রয়েছে গুড়ের বেকড সন্দেশ, বেকড রসগোল্লা, গুড়ের রসগোল্লা, বাটারস্কচ সন্দেশ ইত্যাদি। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০, ২৫ টাকার বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির পাবেন এখানে।
নিউ গোবিন্দ সুইটস
দক্ষিণ কলকাতার বেহালার এই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পথচলা শুরু ১৯৭৭ সালের ১মে থেকে। শীতকালীন মিষ্টির মধ্যে এ বছরের সম্ভারে থাকছে গুড়ের রসগোল্লা ও গুড়ের রসমালাই। এছাড়াও খুবই জনপ্রিয় গুড়ের মাখা সন্দেশ ও কড়াপাকের সন্দেশ। বিভিন্ন ধরনের সন্দেশ পাবেন ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকায়। এই সব মিষ্টির স্বাদ নানারকম হওয়ায় তার জনপ্রিয়তাও খুবই বেশি, জানালেন এই মিষ্টির দোকানের কর্তৃপক্ষ।
শ্রীকৃষ্ণ সুইটস
বিগত প্রায় ৭০ বছরের ও অধিক সময় ধরে ক্রেতাদের মিষ্টি মুখ করিয়ে আসছে বড়বাজারের শ্রীকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। বড়বাজার ছাড়াও এদের আরও ৬টি শাখা আছে। সারা বছর একশোরও বেশি ভ্যারাইটির মিষ্টি পাবেন এখানে। তবে শীতকাল মানেই গুড়ের মরশুম। তাই এই সময়ে থাকছে বিশেষ কিছু ধরনের মিষ্টি, গুড়ের মালাই সন্দেশ, গুড়ের তালশাঁস সন্দেশ, গুড়ের মাখা সন্দেশ, গুড়ের দুধপুলি, গুড়ের ক্ষীরপুলি, গুড়ের রসগোল্লা সহ আরও অনেক কিছু পাবেন। গুড়ের মালাই বা গুড় সরচুনি, এদের স্পেশাল আইটেম। তবে শুধু গুড়ের নয়, স্বাদের বৈচিত্র্য দিতে থাকছে শীতকালে গাজরের হালুয়া, গন্ধলাড্ডু, দিলখুসা। বিভিন্ন মিষ্টির দাম ২০-৫০ টাকার মধ্যে।
দেশপ্রিয় সুইটস অ্যান্ড কনফেশনার্স
হাওড়া এবং কলকাতা মিলিয়ে মোট ৭টি দোকান রয়েছে ৬৫ বছরের পুরনো দেশপ্রিয় সুইটস অ্যান্ড কনফেশনার্স প্রাইভেট লিমিটেডের। এখানে পাবেন গুড়ের রসগোল্লা, নলেনগুড়ের কাজু পাটালি, গুড়ের মোয়া, নলেন গুড়ের তালশাঁস সন্দেশ (দুই সাইজ ও দামে), নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ, নলেন গুড়ের বেকড মাখা সন্দেশ, নলেন গুড়ের মিল্ক কেক, নলেন গুড়ের কালাকাঁদ, গুড়ের রসমালাই ইত্যাদি। পাবেন কাঁচাগোল্লা (দু’রকম দামে)। ১০ টাকা থেকে শুরু করে সন্দেশ, কাঁচাগোল্লা পাওয়া যায়। সর্বোচ্চ ৬০ টাকা পর্যন্ত মিষ্টি পাবেন এখানে। এছাড়াও খাস্তা কচুরি, রাধাবল্লভী, পনির পসিন্দার সঙ্গে শীতে কড়াইশুঁটির কচুরিও থাকে।