কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
পুজোয় শাড়ি পরবেন তো? কী ধরনের শাড়ি পছন্দ?
পুজোয় শাড়িই পরি। অন্য কিছু নয়। আমার নিজের কালেকশন থেকেই কিছু পরব। অনেক উপহার পেয়েছি। তবু এবার পরিস্থিতি এমন যে সেইভাবে মনটাকে বাঁধতে পারছি না। যদিও কিছু পেশাগত দায়বদ্ধতা আছে আগে থেকেই। সেখানেও শাড়িই থাকবে পোশাকের মধ্যে। আমার পছন্দের খুব সিম্পল পাড়ওয়ালা কটনের শাড়ি থাকবে। খাদি বেনারসিও পরতে পারি।
সাজ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন?
এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসি। সাজগোজ একেবারে কনভেনশনাল হোক, সেটা চাই না। তাই অনেকেই আমাকে বলেন, চট করে বেশ সুন্দর সেজে নিলি তো! চতুষ্পর্ণীতেও সেই সুন্দর সাজই দেখতে পাচ্ছেন। মনের মতো সাজে আমার চুলটা সুন্দর হতে হবে। চোখের মেকআপ ভালো হতে হবে। সুন্দর কাজল, একটা টিপ আর লিপস্টিক।
এবার পুজো কিছুটা অন্যরকম। কীভাবে কাটাবেন পুজো?
পুজোর দিনে পুজো হবে। তার আলাদা আমেজ থাকে। মানুষ সারা বছর অপেক্ষা করেন পুজোর জন্য। কিন্তু এবার পুজোর আগে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল, তা সবার মনেই প্রভাব ফেলেছে। তাই স্বাভাবিক আনন্দ উদ্দীপনা আমরা সেভাবে খুঁজে পাচ্ছি না। পুজোয় মা দুর্গার অন্যায় সংহারী ছবিটাই দেখতে পাব। আমাদের পুরনো পাড়ায় পুজোর এবার ৭৫ বছর পূর্তি। অনেক আড়ম্বর, পরিকল্পনা ছিল। সেসব হচ্ছে না। অনাড়ম্বরভাবেই পুজো সারা হবে। আমার মনে হয় সেটাই শ্রেয়।
এই সময়টার জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। সবার পেশাগত দিকটাও বিবেচ্য। আপনার মত?
পেশাগত দিক থেকে যাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন, তাঁদের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। কারণ সারা বছরের রোজগারের মূল ভাগটাই এই সময়ের জন্য তোলা থাকে। এবারের ঘটনাটাই এমন যে প্রতিটি শ্রেণির মানুষ প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। প্রসাধনশিল্পী, কেশসজ্জা শিল্পীদের কাজ বাতিল হয়েছে। পুজোর সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের সত্যিই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ওঠাপড়া নিয়েই জীবন। পুজোর সঙ্গে যুক্ত মানুষ কাজ থেকে বঞ্চিত না হোন, সেটাও চাইব।
মায়ের কাছে কী প্রার্থনা করবেন?
বলব, মা তুমি শক্তি দাও। নারীর জন্য সুস্থ পরিবেশ থাকুক। পুরুষ নারীকে সম্মান করুক।
চতুষ্পর্ণীর পাঠকদের জন্য কোনও পরামর্শ?
পুজো ভালো করে কাটান। তবে যে মেয়েটি যন্ত্রণা পেয়ে চলে গেল, সে যেন সুবিচার পায়।
মডেল: ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
মেকআপ, হেয়ার ও স্টাইলিং: কৌশিক ও রজত
ছবি: সুদীপ্ত চন্দ