কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
পুজোয় কী প্ল্যান এবার?
সে অর্থে প্ল্যান করে কিছু করা হয় না। পুজোর সময় হঠাৎ করেই বেরিয়ে যাই। এবার যা পরিস্থিতি তাতে বুঝতেও পারছি না কোথায় কীভাবে কতটা পুজো হবে। এমন পুজো আগে কখনও হয়তো দেখিনি। পুজোর আনন্দ-উত্তেজনা এবার একটু হলেও কম। এই পরিস্থিতি পেরিয়ে যেতে হবে। তা বলে সব কিছু ভুলে গেলাম সেটা কিন্তু একেবারেই নয়। ওই ভাবনাটা সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমার ছোট্ট মেয়েটার জন্য একটু তো বেরতেই হবে। ও যখন একেবারে ছোট, তখনও ওকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছি। সাত আট মাস হবে তখন। গতবার হেঁটে হেঁটে দেখেছে। এবারও যাব। আরও ভালো করে বুঝবে। আমি নিজে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখতে ভালোবাসি। খুব ভিড়ে যাই না। কিন্তু সকাল সকাল বেরিয়ে বা দুপুরে ঘুরে আসি। রাতে ঘোরা হয় না। প্রচুর ঠাকুর না দেখলেও সল্টলেকের দিকটা যাই, তুলনামূলক ফাঁকা থাকে।
পুজোর সাজগোজ?
কীরকম শাড়ি কিনছি বা পোশাক পরছি, সেটার উপরে নির্ভর করে কেমন সাজব। আর কেনাকাটা সারা বছর ধরেই চলে। সব একবারে পরা হয় না। হয়তো জামার কাপড় কেনা আছে। পরে বানানো হল। ছোটবেলায় নতুন জামার গন্ধ নিয়ে একটা পাগলামি ছিল। মনে হতো কখন পরব! এখন অষ্টমীর অঞ্জলিতে শাড়ি মাস্ট। তবে বাকি সবদিন শাড়ি পরা হয়তো হল না। কোনওদিন ওয়েস্টার্ন, কোনওদিন সালোয়ার কামিজ, এইভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। আমি এমনিতে প্রচুর সাজি না। শাড়ির পরলে একটু সাজি। বাকিটা ক্যাজুয়াল থাকতেই পছন্দ করি।
মেয়েকে সাজান তো?
হ্যাঁ। ওকেও অঞ্জলির সময় শাড়ি পরানোর ইচ্ছে আছে। এবার একটু বড় হয়েছে। ও বুঝবে। তবে সুতির জামাকাপড়ই রাখি ওর জন্য। বাচ্চাদের অনেক জামায় খুব অস্বাস্থ্যকর লাইনিং দেওয়া থাকে। সেটায় র্যাশ বেরিয়ে যেতে পারে ওদের নরম ত্বকে। তাই বাচ্চার জামার ফ্যাব্রিক কী ধরনের, সেটা দেখে নিই সবসময়। নিজের শখপূরণের জন্য বাচ্চাকে আরামদায়ক কিছু না পরিয়ে জবরজং সাজানো ঠিক নয়। এটা আমি মেনে চলি। আর ছোট বাচ্চাদের লিপস্টিক নেলপলিশ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একটু বুঝেশুনে চলা উচিত। বাচ্চার পায়ে একটু নেলপালিশ অথবা চোখে ঘরে পাতা কাজল ছাড়া আর কিছু দিই না। সাজানোর জন্য সুন্দর হেড অ্যাক্সেসরিজ দিই ওকে।
চতুষ্পর্ণীর শ্যুটে কোন শাড়িটা ভালো লেগেছে?
এই শ্যুটে সাদা-লালের কম্বিনেশনে যে শাড়িটা, সেটাই সবচেয়ে ভালো লেগেছে। এটা ভালো লাগার একটা বড় কারণ, এই শাড়িটা সব জায়গায় সবসময় পরে যাওয়ার মতো। আসলে কী হয়, গর্জিয়াস শাড়িগুলো তো আর দিনের বেলার কোনও অনুষ্ঠানে গেলে পরা যায় না। আর আমার সাদা এবং কালো রং খুব প্রিয়। এই রংগুলো দিনে বা রাতে যে কোনও সময় পরা যায়। এমনিতে কটন ভালোবাসি। হলুদ শাড়িটাও ভালো লেগেছে। আমার বেশিরভাগ পোশাকে অবশ্য সাদা-কালোর ভাগ বেশি থাকে।
শাড়ি পরে সাজার সময় কী কী মাথায় রাখেন?
আয়নায় নিজেকে দেখে বোঝার চেষ্টা করি এই সাজের সঙ্গে কোন গয়না মানাবে। যদি সাদা জমি লাল পাড় গরদ পরি, তাহলে সোনার গয়না পরব। সঙ্গে লাল টিপ। অন্য কোনও সুতির শাড়ি পরলে তার সঙ্গে রুপোর গয়না বা মুক্তোর গয়না পরি। মূল কথা, সাজে যেন মার্জিত ভাবটা থাকে। কখনওই যেন মনে না হয়, সাজটা আমার ব্যক্তিত্বকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। দূর থেকে আসছি, দেখে মনে হল শাড়ি বা ঠোঁটের রং ঠিকরে বেরচ্ছে, সেটা যেন না হয়। সিলভার লুক অ্যালাইক গয়নাও পরি। সাদা-কালোর সঙ্গে মানায়।
পাঠকদের জন্য টিপস?
সাজের সময় সানস্ক্রিন মাস্ট। এখন দিন দিন এটা জরুরি হয়ে উঠছে। আর পুজোর আবহাওয়ায় সুতির পোশাক, একটু হাত ঢাকা পরলে ভালো। সান বার্ন কম হয়। ট্যানপ্রবণ যাঁরা, তাঁদের জন্য ভালো। রাতে জমকালো পোশাক পরতে পারেন।
ইয়েলো সাউথ কটন: চিত্রাস,
যোগাযোগ: ৬২৯১১২৪৩৯৪
মেকআপ: অনিতা সাধুখাঁ
ছবি: প্রদীপ পাত্র
গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল
লিনেন বেনারসি: বেনারসি টেক্সটোরিয়াম
যোগাযোগ: (০৩৩) ২৫৫৫৬৪২৭
শ্যুটিংস্থল: চন্দ্রকোণ স্টুডিও
জুয়েলারি: আত্রেয়ী ক্রিয়েশন, গড়িয়া
যোগাযোগ: ৯৬৭৪১৮৯৯৩৯
খাবার সৌজন্য: চাওম্যান যোগাযোগ: ১৮০০৮৯০২১৫০
হোয়াইট কটন শাড়ি:
অভিনব বুটিক, হাওড়া
যোগাযোগ: ৯৮৩১৮০৫০৮৯