Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও। যে দেশটা একদিন শুধু বাংলা ভাষাকে বুকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চেয়েছিল, যে বাংলা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল শত শত প্রাণ— সেই ভাষাকে মুছে বাংলাদেশকে ঘাতকরা আবার পিছনের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। বাংলা ভাষা ও বাঙালির অস্তিত্বকে পদদলিত করে দেশটা আবার আগুনখোর মৌলবাদী হয়ে উঠেছে। বাংলা ভাষাকে ‘পদ্মার পানি’তে ডুবিয়ে উর্দুকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রাক্কালে এই ‘জহ্লাদদের’ সামনে দাঁড়িয়ে আজ সম্পূর্ণ অসহায় দেশের সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ। প্রতিবাদের সব রাস্তা বন্ধ। হয় পোষ মানো, নাহলে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো। 
সুতরাং, কাঁদো বাংলাদেশ কাঁদো। যে দেশ ইতিহাসকে মুছে ফেলে দানবের ভাষ্যে নতুন ইতিহাস লিখতে চায়, তার থেকে ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারী আর কেউ নেই। আজ সে দেশের অধিকাংশ যুবক গোপনে শিরে করাঘাত করছেন। তাঁরা ছ’মাসের মধ্যেই বুঝতে পারছেন, খাল কেটে কুমির ডেকে এনে কী ভুলই না করেছেন! ফলে শান্তিহীন, কল্যাণহীন, সংস্কৃতিহীন এক মূর্খের ‘বেহেস্তে’ আজ তিল তিল করে দগ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ। 
বাংলাদেশে মৌলবাদ অবশ্য আজ নতুন নয়। এক সাংস্কৃতিক চেতনার দুর্বিনীত প্রত্যাশার মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ। মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতা খর্ব হলেও সেখানে মৌলবাদের দাঁড়া সবসময় সক্রিয় থেকেছে। ১৯৯৩ সালে তসলিমা নাসরিন তাঁর ‘ফেরা’ উপন্যাসে এই মৌলবাদের স্বরূপটাকে দেখিয়েছিলেন। দেখিয়েছিলেন কীভাবে শিশুমনে মৌলবাদের বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদেরই অজান্তে। বহুদিন পর কল্যাণী তার ছেলে দীপনকে নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছে। তার ছেলেবেলার দিনগুলোকে ফিরে পেতে, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে। 
‘কল্যাণী জিজ্ঞাসা করে— ওদের সঙ্গে খেললে বুঝি? কি খেললে?
দীপন ভাঙা কণ্ঠে বলে— আমি খেলিনি। ওরা পিঁপড়ে পিঁপড়ে খেলছিল। 
—পিঁপড়ে পিঁপড়ে আবার কী খেলা, এই নাম শুনিনি তো!
—দেওয়ালে যখন লাইন ধরে পিঁপড়ে যায়, ওরা বেছে বেছে লাল পিঁপড়ে মারে, কালো পিঁপড়ে মারে না। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কালোগুলো মারছো না কেন? ওরা বলল, কালো পিঁপড়ে তো মুসলমান, তাই। তবে লালগুলো কী? ওরা বলল, হিন্দু। 
কল্যাণীর বুক কেঁপে ওঠে। দীপনের মুখে কী শুনছে সে! শরিফার ছেলেমেয়েরা হিন্দু পিঁপড়ে মারে?’   
এভাবেই অবোধ চৈতন্যের ভিতরে বিষবাষ্পকে ঠুসে দেওয়ার কাজ চলেছে বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে। জানোয়ারের মন থেকে যেমন বনকে ফেলে দেওয়া যায় না, তেমনি বাংলাদেশের ভিতর থেকে রাজাকারদেরও নিঃশেষ করা যায়নি। আজ তারাই হিংস্র হয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে মৌলবাদীদের হাতে চলে গিয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতা। তাই সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ, মানবিক মূ্ল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ কেউ ঘরে ঢুকে গিয়েছেন, কেউ আত্মগোপন করেছেন। গৃহযুদ্ধে দীর্ণ এই রক্তাক্ত বাংলাদেশে মুক্তমনা মানুষের কোনও জায়গা নেই। তাদের নানা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয় জেলে পোরা হচ্ছে কিংবা গুমখুন করা হচ্ছে। গত ছয় মাসে সেদেশে দেড় হাজার মানুষের কোনও খোঁজ নেই। ভেঙে ফেলা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি, স্মৃতিসৌধ, স্বাধীনতার স্মৃতি মুছে ফেলতে কী প্রাণান্তকর চেষ্টা! কারাগার থেকে একের পর এক মুক্তি দেওয়া হচ্ছে সন্ত্রাসবাদীদের। মিরপুরের কিলার আব্বাস, তেজগাঁওয়ের সুইডেন আসলাম, মহম্মদপুরের পিচ্চি হেলাল, হাজারিবাগের ফ্রিডম রাসুর মতো ভয়ঙ্কর জঙ্গিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের নতুন করে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিচ্ছে সরকারই। জঙ্গিদের হাতে বৈধ পাসপোর্ট তুলে দিতে পুলিস ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়েছে। ইউনুসের সঙ্গে নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে কুখ্যাত জঙ্গিরা।  
শান্তির জন্য নোবেল পাওয়া একটা মানুষের নৃশংস উস্কানিতে বাংলাদেশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। হায়নারা বেরিয়ে এসেছে অন্ধকার গর্ত ছেড়ে। এই প্রেক্ষাপটের সামনে দাঁড়িয়ে নতুন একুশে ফেব্রুয়ারি। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গান আজ তার মর্যাদা হারিয়েছে। আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত এবং প্রথমে আবদুল লতিফ ও পরে আলতাফ মাহমুদ সুরারোপিত এই গানটি একটা আন্দোলনের ইতিহাসকে অমর করে রেখেছে। ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ মহম্মদ আলি জিন্না পূর্ববঙ্গে এসে ঢাকা, চট্টগ্রামে কয়েকটি সভা করেন। সেই সভায় তিনি স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন, ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। সেখানে বাংলার কোনও স্থান নেই।’ স্বাধীনতার পর থেকেই এনিয়ে ধিকি ধিকি আগুন জ্বলছিল পূর্ববঙ্গে। জিন্নার সেই ভাষণে ঘৃতাহুতি হল। দাউদাউ করে জ্বলে উঠল আন্দোলনের অগ্নিশিখা। বাংলা ভাষার দাবিতে সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ল। অচিরে মানুষের মনে জন্ম নিল স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন। সেই আন্দোলনকে সমূলে দমন করতে রাষ্টশক্তির অস্ত্রকেই ব্যবহার করল পাকিস্তান। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি চলল গুলি। মৃত্যু হল রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারের। সেই আন্দোলকে শ্রদ্ধা জানাতে জন্ম নিল আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস। আজ প্রতিটি জাতি তার ভাষাকে নিয়ে গর্ব করে, উদযাপন করে। 
অথচ সেই দেশে নিজেদের শিকড়কে উপড়ে ফেলতে নেমেছে একদল মানুষ। তারা সবকিছু ভেঙে ফেলতে চাইছে। চাইছে শিক্ষা চুলোয় যাক, ঘরে ঘরে জন্ম নিক বিচ্ছিন্নতাকামী মৌলবাদ। তাই শিক্ষাবর্ষের বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও এখনও ছাত্ররা হাতে বই পায়নি। মাত্র ১৫ শতাংশ পড়ুয়ার হাতে বই পৌঁছেছে। বাংলাদেশে প্রাথমিকে পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজন হয় প্রায় ১০ কোটি এবং মাধ্যমিকে বইয়ের প্রয়োজন হয় ৩০ কোটি। সেই সব বইয়ের আশি শতাংশ ছাপা হয় ভারতে। কেননা ভারতে একটা বই ছাপতে যদি একশো টাকা খরচ হয়, সেটাই বাংলাদেশে খরচ হয় দু’শো টাকা। প্রথমত সেখানে কাগজের বিশাল দাম, সময়ে কাজ শেষ করার মতো প্রেসও নেই। তাছাড়া দক্ষ কর্মীরও অভাব।   
একদিকে পড়াশোনা বন্ধ, অন্যদিকে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে অবৈধ মাদ্রাসা। সেগুলি আসলে জঙ্গি গড়ার আখড়া। সেখানে ‘লাল পিঁপড়ে’ মারার প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। ভারত বিরোধী মানসিকতা তাদের ভেতরে গেঁথে দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠছে জঙ্গিশিবিরও। 
আসলে যে কোনও ফ্যাসিস্ট সরকারই শিক্ষাকে ভয় পায়। বাংলাদেশে শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রদীপে তেল কমে আসছে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বইমেলা। শুদ্ধ চেতনায় আঘাত হানতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৌলবাদী লুম্পেনরা গিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছে নাট্যোৎসব, বসন্ত উৎসব, আবৃত্তির অনুষ্ঠান, লালন স্মরণোৎসব সহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 
একনায়কতন্ত্রের মেজাজে শাসন কায়েম করলেও ইউনুস কিন্তু আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি ভালো করেই জানেন, এখনই যদি ভোট হয়, তবে হাসিনার জয় অবধারিত। দেশে যত অত্যাচার বাড়ছে, ততই শক্ত হচ্ছে হাসিনার পায়ের তলার মাটি, ততই গণতান্ত্রিক শক্তি তাঁর দিকেই ঢলে পড়ছে। তাই কোনওভাবেই ইউনুস ভোটে যাবেন না। ডিসেম্বরে ভোটের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই ভোট আদৌ হবে কি না সন্দেহ। তার আগেই সম্ভবত এমন রাজনৈতিক ঝড় উঠবে, যাতে ইউনুস-বিসর্জনের পর্ব ত্বরান্বিত হবে। আগামী ছ’মাস তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনিও যথেষ্ট সংশয়ে রয়েছেন। কেননা তাঁর সাম্প্রতিক একটি বক্তৃতায় বলেছেন, ‘আপনারা নতুন বাংলাদেশ এনে দিয়েছেন। আমরা সেটা রাখতে পারব কি?’ এখন তিনি বাঘের পিঠে সওয়ারি। বাঘ তাঁকে একদিন খাবেই। শুধু সময়ের অপেক্ষা।  
ইউনুসের ভয়টা আরও বেড়েছে মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের পর। ট্রাম্প খুব আন্তরিকভাবেই মোদিকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাপারটা আপনিই দেখুন।’ তারপর থেকে অবশ্য ভারত বিরোধী উস্কানি কিছুটা কমেছে বলেই সেদেশের রাজনৈতিক মহলের অভিমত। ইউনুস সরকার এটাও জানে, সাতদিন যদি ভারত থেকে বাংলাদেশে ট্রাক না যায়, দেশটা স্রেফ আধপেটা খেয়ে বেঁচে থাকবে। 
মাঝে একদিন, তারপরেই একুশে ফেব্রুয়ারি। এতদিন ধরে ভাষা দিবস কিংবা পয়লা বৈশাখ কী আন্তরিকতার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ পালন করতেন! এতদিন সীমান্তে হাত ধরাধরি করে দুই দেশ পালন করে এসেছে ভাষা দিবস। কাঁটাতারের রাজনৈতিক বেড়া থাকলেও বাংলা ভাষার আকুলতা তাকে বেড়ি পরাতে পারেনি। কিন্তু এবারের উৎসব বিদ্ধ হয়েছে সেই কাঁটাতারেই। মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় আওয়াজ তুলেছিলেন ‘আমারে দাবায়ে রাখতে পারবা না। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।’ বাংলাদেশে তার সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছে। হয়তো আরও অনেকটা সময় লাগবে। কিন্তু একুশের ময়দানে বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার জন্য শুরু হবে নতুন লড়াই। বাঙালি হিসেবে দুই প্রান্তের মানুষেরই এক সুর। ‘বাংলা আমার তৃষ্ণার জল, তৃপ্ত শেষ চুমুক…’। এই রোমান্টিসিজ঩মেই কিন্তু বাঙালি ডুবে যায় না। তারপরেও থাকে অন্য স্বর— ‘বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান, ক্ষিপ্ত তির ধনুক’। লড়াইয়ের বজ্রনির্ঘোষও লুকিয়ে রয়েছে বাংলা ভাষায়, বাঙালির মননে। কোনওদিনই বাঙালিকে ‘দাবায়ে’ রাখা যায়নি। সে এপার বাংলাই হোক বা ওপার বাংলা।
19th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

22nd  February, 2025
ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

18th  February, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
একনজরে
বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ফের অমানবিক ছবি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে হাসপাতালের ভিতর একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির একতলায় সিঁড়ির নীচে পড়ে মুমূর্ষু এক রোগী। কথা বলার শক্তি পর্যন্ত ...

তেলেঙ্গানার নাগরকুর্নুলে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান সুড়ঙ্গের ছাদ। উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের ভয়ঙ্কর স্মৃতি উস্কে দিল শনিবারের এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, অন্তত ৮ জন ভিতরে আটকে পড়েছেন। ...

সেয়ানে সেয়ানে ...

বৃদ্ধার হাত ধরে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে শোরগোল পড়েছিল এলাকায়। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে এবার পিটিয়ে খুন করল বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় শোরগোল বালুরঘাটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: ইংরেজ কবি জন কিটসের মৃত্যু
১৮৪০: সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন সিংহর জন্ম
১৮৮৬: বিশিষ্ট রসায়নবিদ চার্লস মার্টিন হল মূল্যবান এ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের সুত্র আবিষ্কার করেন
১৯০৪: ভারতীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সমাজ সংস্কারক ও ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সাইন্স এর প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্রলাল সরকারের মৃত্যু 
১৯১৩: জাদুকর প্রতুলচন্দ্র সরকার বা সিনিয়ার পিসি সরকারের জন্ম
১৯৬৫: ইংরেজ কমিক অভিনেতা, লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক স্ট্যান লরেলের মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেত্রী মধুবালার মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রীর জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা আয়ুব খানের জন্ম
১৯৭৪: ফ্যাশন ডিজা‌ইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হার্শেল গিবস জন্মগ্রহণ করেন
১৯৮১: ইংরেজ ফুটবলার গ্যারেথ ব্যারি জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮২: অভিনেতা ও মডেল করণ সিং গ্রোভারের জন্ম
১৯৯৮: ক্রিকেটার রমন লাম্বার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ ফাল্গুন, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী ১৯/৩৩ দিবা ১/৫৬। মূলা নক্ষত্র ৩১/৩০ রাত্রি ৬/৪৩। সূর্যোদয় ৬/৬/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৩৩/২৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৩ গতে ৯/৫৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ গতে ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৪ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৪ গতে ২/৫৭ মধ্যে। 
১০ ফাল্গুন, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী দিবা ১০/২৯। মূলা নক্ষত্র দিবা ৩/৫৫। সূর্যোদয় ৬/১০, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ গতে ৯/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে ও ১২/৫৬ গতে ১/৪৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৮ গতে ৭/১৭ মধ্যে ও ১২/১০ গতে ৩/২৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/০ মধ্যে। 
২৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহন বাগান, পরপর দু’বার এই খেতাব জিতল সবুজ-মেরুন শিবির

11:55:09 PM

এক্সিট পোলের হিসেব অনুযায়ী জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে জয়ী ফ্রেডরিচ মের্জের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল জোট

11:13:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন বিরাট কোহলি

10:21:00 PM

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করলেন কোহলি

10:14:41 PM

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা ও শিশু

10:01:00 PM

দুর্গাপুরের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে বাইকের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

10:01:00 PM