Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

হিমাংশু সিংহ: মমতার মতো ফাইটার সবাই হয় না। হাজার কোটির প্রচার ও নেতা কেনাবেচাকে হারিয়ে তিনি অবলীলায় গদি রক্ষা করতে পারেন। সেই কারণেই একুশে, চব্বিশে বাংলায় থমকে গিয়েছে গেরুয়া আগ্রাসন, যার কেতাবি নাম ‘মোদি রথ’। ছাব্বিশের দেওয়াল লিখনও বেশ পড়তে পারছে বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু বেচারি কেজরিওয়াল পারলেন না। টাকা ক্ষমতা, আর উচ্চকিত প্রচারের সামনে তাঁকে হার মানতেই হল। মুখ্যমন্ত্রীর মুকুট, যত্নে গড়া শিশমহল, বিতর্কিত মাদক আইন, লোকপাল আন্দোলন... পিছনে পড়ে রইল সব। দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়েই গদি হারালেন ভোটে হেরে। কিন্তু, পেল্লায় প্রাসাদ তো শুধু কেজরিওয়াল বানাননি। ওটা সরকারি সম্পত্তি। তাই সঙ্গে করে নিয়ে যেতেও পারেননি বহুমূল্য জাকুজি, সোনার জল করা কমোড, দামি মার্বেল আর বেলজিয়াম কাচের চোখ ধাঁধানো চাকচিক্য। কিন্তু দীনদয়াল মার্গের অদূরে আপ সাততারা অফিস কাম বহুতল কমপ্লেকস তো বানায়নি কয়েক হাজার কোটি টাকায়। তারপরও অর্থ ও ক্ষমতা ভোগ শুধু কেজরিরাই করেছে, একথা দেশবাসী মানবে? যেমন গত একদশক ধরে নির্বাচন এলেই সিবিআই-ইডি’র প্রোঅ্যাকটিভ ভূমিকা বাংলার মানুষ আর বিশ্বাস করে না। দুর্নীতি শুধু তৃণমূল করে এই প্রচার অতি ব্যবহারে আজ উপেক্ষিত, বঙ্গে বড্ড ক্লিশে! ন্যূনতম একশো দিনের কাজের টাকা আর আবাসের বরাদ্দ আটকে বাংলার বন্ধু সাজা যায়?
কোভিডের সময় থেকে ধরলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে রাজ্যে কেন্দ্রের শাসক গেরুয়া শিবিরের তৈরি জেলা, ব্লক থেকে শুরু করে রাজধানীর কেন্দ্রস্থল— সবমিলিয়ে প্রায় ৩০০ অট্টালিকাই প্রমাণ করছে ‘আচ্ছে দিনটা’ আসলে কার? এক দশক আগের প্রতিশ্রুতি মেনে ১৫ লাখ টাকা ভোটারের পকেটে ঢোকেনি। বছরে দু’কোটি চাকরি হয়নি আম জনতার। নোটবাতিল আর জিএসটি জীবন তছনছ করে দিয়েছে। মধ্যবিত্ত নাকাল মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায়। কিন্তু ফুলে-ফেঁপে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে কাদের? মোদিজি ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি’র বার্ষিক আয় ছিল ৯৭০ কোটি। ২০১৯-২০ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬২৩ কোটি টাকা। এই বৃদ্ধি প্রায় চারগুণ। যে কোনও কর্পোরেট সংস্থার পক্ষেও এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। জানা নেই এটাই সব কি না? নাকি গুপ্তধনের একটি বিন্দু মাত্র! সাগরের আরও দেখা বাকি। দলের অন্যতম স্তম্ভ সরকারের মুখ অমিত শাহ ২০১২ সালে যে এফিডেভিট পেশ করেছিলেন তাতে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১২ কোটির কাছাকাছি। সাতবছর পর ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ৪০ কোটির বেশি। অর্থাৎ তিনগুণেরও বেশি। আর চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে সেই সম্পত্তির খতিয়ান আরও বেড়ে হয় ৬৫ কোটি। কোথা থেকে এত বাড়ি-সম্পত্তি হচ্ছে দলের এবং প্রথম সারির নেতাদের, সেই প্রশ্ন করা বারণ! করবও না। ওটাও তো উন্নয়নেরই সূচক! কিন্তু বিকাশ কারও একতরফা অধিকার হতে পারে?
একটি হিসেব বলছে, এই মুহূর্তে দেশে গেরুয়া দলের মোট সম্পত্তি ছুটছে লক্ষ কোটির দিকে। দশ বছরে বিজেপি শুধু দলীয় অফিস নির্মাণেই খরচ করেছে ১২০০ কোটির বেশি। নিশ্চয়ই দিল্লির প্রাসাদগুলির নির্মাণ খরচ এর বাইরে। আর গত দু’টি লোকসভা ভোটে শুধু প্রচারে, বিজ্ঞাপনে সভা সমিতিতে খরচ হয়েছে সওয়া এক লক্ষ কোটির মতো। অধিকাংশ হিসেবই ‘এডিআর’-এর। কেজরিওয়ালের ৪৫ কোটির শিশমহল তো এই খরচের পাশে নস্যি! তবু বেচারা তাতেই ঘায়েল। কে চিৎকার করে বলবে, শিশমহল তো শুধু উনি একা বানাননি! সব পাখিই মাছ খায়, দোষ হয় শুধু মাছরাঙার! শিশমহল এখন বিজেপি’র দখলে, তারা যা খুশি করবে। কিন্তু দেশজুড়ে গেরুয়া বাহিনীর বিশাল দলীয় সম্পত্তি তা তো হাতবদল হওয়ার নয়? দেশের পরিকাঠামোর চেয়েও শাসক দলের ঘর বাড়ি, ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সম্পত্তির বিকাশ হচ্ছে দ্রুত গতিতে! 
ভয়ঙ্কর প্যান্ডেমিকে দেশের মানুষ যখন অসহায় তার মধ্যেও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা থেকে শুরু করে অমিত শাহ জেলায় জেলায় পার্টি অফিস খোলার কথা ঘোষণা করেছেন একাধিক সভায়। করতেই পারেন। এতে অন্যায় কিছু নেই। শুরুতে টার্গেট ছিল সাড়ে ছ’শোর মতো বাড়ি-অফিস তৈরির। এখন উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম এবং প্রত্যন্ত উত্তরপূর্ব ভারত ধরে মোট ৮৫০টি বাড়ি তৈরির পথে এগচ্ছে নতুন বিজেপি। ইতিমধ্যেই প্রায় তিনশো অফিস বাড়ির উদ্বোধন হয়েও গিয়েছে। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডাজি। আগামী লোকসভা ভোটের আগেই সেই পরিকাঠামো নির্মাণের টার্গেট পূরণ করায় জোর দেওয়া হয়েছে সর্বস্তর থেকে।
মোদি জমানায় দিল্লিতে বিজেপি’র তিন তিনটে বিশালাকার প্রাসাদ গড়ে তোলার পর, এই তালিকায় নতুন সংযুক্তি ঘটতে চলেছে সঙ্ঘ পরিবারের ১২ তলার সর্বাধুনিক আরও তিনটি টাওয়ার। যদিও সঙ্ঘের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে বিজেপি’র যোগ থাকার কথা নয়, তবু এই রমরমা তো কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সুবাদেই। এই সত্যটা কে অস্বীকার করবে? দিল্লির বুকে ৪ একর জমির উপর তিন তিনটে টাওয়ার, কনফারেন্স হল, প্রত্যেক টাওয়ারে ১২০০ লোক বসতে পারে এমন বিশালাকার অডিটোরিয়াম, বাইরে থেকে আসা সঙ্ঘীদের থাকার জন্য ৩০০ সুসজ্জিত ঘর, মিনি হাসপাতাল, লাইব্রেরি, তিনশো গাড়ি পার্ক করার প্রশস্ত জায়গা। সবমিলিয়ে বলা হচ্ছে ৫ লক্ষ বর্গফুট চোখ ধাঁধানো ফ্লোর স্পেস। খাস রাজধানীর বুকে এসব মাত্র ১৫০ কোটি টাকায় হয়? একটা শিশুও জানে, হয় না। আর রিয়াল এস্টেট ডেভেলপাররা ভয়ে বলুন, ভক্তিতে বলুন নীরবে শুধু মুচকি হাসেন। যেমন আজ থেকে সাত বছর আগে উদ্বোধন হওয়া ঝাঁ চকচকে সাততারা দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বিজেপি সদর কার্যালয়। আধুনিক রিডিং রুম, কনফারেন্স হল, লাইব্রেরি, পার্কিং এরিয়া, দলের নেতাদের গুরুত্ব অনুযায়ী এক একটি তলায় আলাদা বসার ঘর। তারই পাশে দিল্লি বিজেপি’র জন্য সংরক্ষিত বহুতলের সবচেয়ে উপরের তলাটা। কার্যকর্তাদের জন্য পৃথক অফিস, ক্যান্টিন, লাইব্রেরি, মিটিং হল, ইন্টিরিয়র ডেকরেশনে পাঁচ হাজার কোটি টাকাও যে নস্যি, তা কে না জানে? নিন্দুকে বলে বাস্তবে খরচ হয়েছে তার চেয়েও ঢের বেশি। বলা হচ্ছে, বিজেপি যেমন পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, তেমনি এই অফিসটিও গোটা বিশ্বে যে কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের বৃহত্তম কার্যালয়। এটা আমার কথা নয়, বলেছেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অমিত শাহ। নিঃসন্দেহে মাত্র ৪৫ বছরের অভিযাত্রায় একটি দলের পক্ষে এটা কম বড় কৃতিত্ব নয়। কিন্তু ওখানেই থেমে যায়নি। গত লোকসভা ভোটের আগে দিল্লিতে আরও একটি প্রাসাদের উদ্বোধন করেছেন মোদিজি, যার নাম রেসিডেন্সিয়াল অ্যান্ড অডিটরিয়াম কমপ্লেক্স। ক’টা দলের আছে রাজধানীর বুকে এমন একটার পর একটা বহুতল। শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেসের বাড়িটা তো এর পাশে লিলিপুট! দলের ব্যাখ্যা, বাইরের থেকে আসা নেতা কর্মীরা কাজে এলে হোটেলে উঠতে বাধ্য হন। সেই অসুবিধা দূর করতেই এই পেল্লায় বাড়িটি। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক এবং দলের সহ সভাপতিরা ক্লাসও নেবেন তরুণ নেতা কর্মীদের। সর্বত্র থাকছে এযুগের দাবি মেনে আইটি সেলের জন্য পৃথক পরিকাঠামো। ক্ষমতা যেতেই শিশমহল ফেলে যেতে হয়েছে কেজরিকে। দলের সম্পত্তি কিন্তু ক্ষমতা গেলেও দলেরই থাকবে, শিশমহলের মতো কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কেউ বলবে না, ওখানে গরিবের জন্য দাতব্য চিকিৎসালয় কিংবা স্কুল খুলব।
দিল্লির ঝাণ্ডেলওয়ালায় বর্তমান অস্থায়ী অফিসের অদূরেই তৈরি হচ্ছে, আরএসএসের নতুন অফিস-বাড়ি। যেমন তেমন বাড়ি নয়, সঙ্ঘের শতবর্ষে রাজধানীর অফিস স্থানান্তরিত হচ্ছে এই নতুন ভবনে। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের নামে পুরো কমপ্লেক্সের নাম রাখা হয়েছে ‘কেশব কুঞ্জ’। ১৯২৫-এ আরএসএস প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরের মাথায়, ১৯৩৯ সালে সঙ্ঘ প্রথম নাগপুরের সদর দপ্তরের জন্য নিজস্ব অফিস-বাড়ি নির্মাণ করে। সম্ভবত এবার দিল্লির ‘কেশব 
কুঞ্জ’ নাগপুরকেও ছাড়াবে। আলাদা করে তিন বাড়ির নাম ‘প্রেরণা’, ‘উপাসনা’ এবং ‘অর্চনা’ রাখা হয়েছে। ভক্তিভাবের অসামান্য মিশেল যেন। তিন ভবন মিলিয়ে গোটা কমপ্লেক্সের আয়তন পাঁচ লাখ বর্গ ফুট। প্রতিটিতে একশো করে মোট তিনশো ঘর রয়েছে ‘কেশব কুঞ্জে’। আছে ২৭০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। আছে ক্যান্টিন এবং হাসপাতাল। আর আছে ১২০০ লোক বসার ব্যবস্থা সহ তিনটি অত্যাধুনিক অডিটরিয়াম। আরএসএস সূত্রে বলা হয়েছে, সারা দেশ থেকে সংগঠনের কাজে আসা সদস্য, অনুগামীদের কথা বিবেচনায় রেখেই সেখানে তিনশোজনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অফিস কমপ্লেক্সের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে হনুমান মন্দির। আরএসএস সূত্রে জানানো হয়েছে, দিল্লির নতুন অফিস তৈরিতে খরচ জুগিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরাই। পাঁচ টাকা থেকে কয়েক লাখ পর্যন্ত চাঁদা দিয়েছেন তারা। কিন্তু সিপিএমের স্টাইলে কৌটো নেড়ে এমন পেল্লায় প্রাসাদ হয়? তিন বছর আগে দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে উঠে গিয়েছে বিজেপির জাতীয় সদর দপ্তর। সেই বাড়িতেও পাঁচ লাখ বর্গ ফুট জায়গা রয়েছে। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই পার্টি অফিস না হোটেল! তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরিতেও এক বিরাট অফিস গড়ে তোলা হয়েছে, যা দেখে বিস্ময় চেপে রাখতে পারেনি দক্ষিণের রাজনৈতিক দলগুলিও। ওড়িশায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা খরচে ৩৬টি অফিসের সূচনা হয়েছে। এসব তথ্যই মিলেছে সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ এবং এডিআরের রিপোর্টে।
আপনি ১৫ লক্ষ টাকা পাননি। দশ লক্ষ সরকারি পদ ফাঁকা কিন্তু বাজেটে চাকরির কোনও ঘোষণা নেই। স্টার্ট আপকে ঋণ দেওয়ার হাজারো টোপ আছে, কর্মসংস্থানের দিশা নেই। কালো টাকা খতম হয়নি। বাইশ সালে কৃষকের আয় দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতিও ভেসে গিয়েছে। দাম কমানোর দাওয়াই নেই। যথারীতি কৃষকের আত্মহত্যা, পরিযায়ীদের হাহাকার কান পাতলেই শোনা যায়। স্পর্শ করা যায় বেকার যুবকের হতাশা। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পাশে নিয়ে তিনি ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেনের’ পাল্টা ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেনের’ শপথ নিলেও আসলে শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে শুধু গেরুয়া দলেরই। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, বিজেপি এই মুহূর্তে 
দেশের ধনীতম দল। জানি না বিশ্বেরও ধনীতম রাজনৈতিক সংগঠন হতে আর কতটা বাকি। দিল্লিতেই অন্তত তিনটি পেল্লায় সাততারা অফিস। আর পুরনো অশোকা রোডের অফিস যেখানে বাজপেয়ি ও আদবানিজি বসতেন, সেটিকে ভোটের ওয়ার রুম ও আইটি সেলের কাজে ব্যবহার করার জন্য নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে। একুশ সালে করোনার অভিঘাতের মধ্যেই গুরগাঁওতে বিজেপি’র এক লক্ষ স্কোয়ার ফুটের অফিস উদ্বোধন হয়। 
বিকশিত ভারত না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
16th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

22nd  February, 2025
ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

18th  February, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
একনজরে
বৃদ্ধার হাত ধরে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে শোরগোল পড়েছিল এলাকায়। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে এবার পিটিয়ে খুন করল বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় শোরগোল বালুরঘাটে। ...

সেয়ানে সেয়ানে ...

বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ফের অমানবিক ছবি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে হাসপাতালের ভিতর একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির একতলায় সিঁড়ির নীচে পড়ে মুমূর্ষু এক রোগী। কথা বলার শক্তি পর্যন্ত ...

বাংলাদেশে এক বিএনপি নেতাকে স্ত্রীর সামনে পিটিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। মৃত মহম্মদ বাবুল মিয়া ছিলেন বিএনপির কুল্লা ইউনিয়নের প্রাক্তন সহ সভাপতি। শুক্রবার বিকেলে ধামরাই এলাকায় সর্ষে খেতে কাজ করছিলেন বাবুল ও তাঁর স্ত্রী। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: ইংরেজ কবি জন কিটসের মৃত্যু
১৮৪০: সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন সিংহর জন্ম
১৮৮৬: বিশিষ্ট রসায়নবিদ চার্লস মার্টিন হল মূল্যবান এ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের সুত্র আবিষ্কার করেন
১৯০৪: ভারতীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সমাজ সংস্কারক ও ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সাইন্স এর প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্রলাল সরকারের মৃত্যু 
১৯১৩: জাদুকর প্রতুলচন্দ্র সরকার বা সিনিয়ার পিসি সরকারের জন্ম
১৯৬৫: ইংরেজ কমিক অভিনেতা, লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক স্ট্যান লরেলের মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেত্রী মধুবালার মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রীর জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা আয়ুব খানের জন্ম
১৯৭৪: ফ্যাশন ডিজা‌ইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হার্শেল গিবস জন্মগ্রহণ করেন
১৯৮১: ইংরেজ ফুটবলার গ্যারেথ ব্যারি জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮২: অভিনেতা ও মডেল করণ সিং গ্রোভারের জন্ম
১৯৯৮: ক্রিকেটার রমন লাম্বার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ ফাল্গুন, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী ১৯/৩৩ দিবা ১/৫৬। মূলা নক্ষত্র ৩১/৩০ রাত্রি ৬/৪৩। সূর্যোদয় ৬/৬/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৩৩/২৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৩ গতে ৯/৫৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ গতে ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৪ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৪ গতে ২/৫৭ মধ্যে। 
১০ ফাল্গুন, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী দিবা ১০/২৯। মূলা নক্ষত্র দিবা ৩/৫৫। সূর্যোদয় ৬/১০, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ গতে ৯/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে ও ১২/৫৬ গতে ১/৪৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৮ গতে ৭/১৭ মধ্যে ও ১২/১০ গতে ৩/২৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/০ মধ্যে। 
২৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহন বাগান, পরপর দু’বার এই খেতাব জিতল সবুজ-মেরুন শিবির

11:55:09 PM

এক্সিট পোলের হিসেব অনুযায়ী জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে জয়ী ফ্রেডরিচ মের্জের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল জোট

11:13:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন বিরাট কোহলি

10:21:00 PM

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করলেন কোহলি

10:14:41 PM

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা ও শিশু

10:01:00 PM

দুর্গাপুরের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে বাইকের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

10:01:00 PM