Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। এসবই হচ্ছে একুশের ভোটের মতো ছাব্বিশেও কী হয়-কী হয় আবহ তৈরির লক্ষ্যে। একুশে ছিল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, এবার হিন্দুত্ব। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কোনও লড়াই-ই নেই। তাই বিজেপিকে ঠেকাতে জোটেরও দরকার নেই। তৃণমূল একাই কাফি। অবশ্য এটার হক তাঁর আছে। কারণ ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে সমূলে উৎপাটিত করার হিম্মত ও মোদি-শাহ জুটির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের দম তিনিই দেখিয়েছেন। তাই এটা হুঙ্কার বা আস্ফালন নয়, তাঁর আত্মবিশ্বাস।
ছাব্বিশের ভোটে বাংলায় কী হবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির অনেকেই বলছেন, ‘দিল্লির পর এবার বাংলা’। তবে, এটা বিজেপির পুরনো কৌশল। এক দশক ধরে এটাই চালিয়ে যাচ্ছে। কোনও রাজ্য দখল করলেই গেরুয়া শিবির ‘এবার লক্ষ্য বাংলা’ রেকর্ডটা বাজিয়ে দেয়। ত্রিপুরা দখলের পরেও জোর হাওয়া তোলার চেষ্টা হয়েছিল। বলেছিল, ‘ত্রিপুরার পর এবার বাংলা।’ একই কথা শোনা গিয়েছিল বিহার ও ওড়িশা দখলের পরেও। তবে 
এই হুঙ্কার শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নয়, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও শুনতে হয়েছে বারবার। ঝাড়খণ্ড দখলের জন্য গেরুয়া শিবির মরিয়া চেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। কারণ কারও পা মাটিতে থাকলে কুলোর বাতাস দিয়ে তাকে উড়িয়ে দেওয়া অসম্ভব।
রাজনীতি হল লড়াই। শক্তিধর প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারলে মানুষ তাঁকে বীরের সম্মান দেয়। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে জেলে ভরেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। হেমন্ত ময়দান ছাড়েননি। স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপির সঙ্গে সমানে টক্কর চালিয়ে গিয়েছেন। তাই অভিযোগ সত্যি বা মিথ্যে যাই হোক না কেন, ঝাড়খণ্ডের মানুষ তাঁকে বিজেপি বিরোধী বলেই মনে করে। কিন্তু কেজরিওয়াল লড়াইয়ের রাস্তায় হাঁটেননি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন। হয়তো ভেবেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে লড়লে সহানুভূতি পাবেন। কিন্তু দিল্লির মানুষ তাঁর ‘নাটক’ পছন্দ করেনি। ভোটের ফলেই সেটা স্পষ্ট। 
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পাখির চোখ। তারজন্য মোদি-শাহ জুটি আগেও ঝাঁপিয়েছে, আগামী দিনেও ঝাঁপাবে। কিন্তু তাঁরা জানেন, প্রতিপক্ষ হিসেবে কেজরিওয়াল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নয়। একুশের ভোটে তাঁরা সেটা ভালোই টের পেয়েছেন। দল ভাঙিয়ে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লেলিয়ে দিয়ে, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদি ও দিদি’ বলে কটাক্ষ করেও টার্গেটের অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল। 
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, দিল্লিতে বিজেপি জয়ী হয়নি, হেরেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। শুধু দুর্নীতি ইস্যুতেই নয়, পরিষেবা নিয়েও দিল্লিবাসীর ক্ষোভ ছিল বিস্তর। বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঘোষণায় বিজেপি কিছুটা সুবিধে পেলেও আপ মার খেয়েছে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে। বছর তিনেক আপের সংগঠন বলে কিছুই ছিল না। যে প্রত্যাশা জাগিয়ে আপ ইনিংস শুরু করেছিল তার জোশ ধরে রাখতে পারেনি, এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা। তাতে মানুষ প্রচণ্ড চটেছিল। তার ফায়দা ঘরে তুলেছে বিজেপি। 
দিল্লিতে বহু বছর ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও আপের ব্যর্থতার লাভ তারা ঘরে তুলতে পারেনি। কারণ যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। বিজেপি সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। ২০১৬ সালের পর পশ্চিমবঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সিপিএম নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে বিজেপি এ রাজ্যে জায়গা পেয়েছিল। দিলীপ ঘোষের গরমাগরম ভাষণে অনেকেই মনে করেছিলেন, তৃণমূলের মোকাবিলা সিপিএম নয়, বিজেপিই করতে পারবে। সেই কারণে বিজেপিই হয়ে ওঠে প্রধান বিরোধী দল। দিল্লিতেও বামেদের মতোই কংগ্রেস দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছে। এইজন্যই বোধহয় বলে, এক নম্বর একবার দ্বিতীয় হয়ে গেলে লড়াইয়ে বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না।
তবে একথা ঠিক, কেজরিওয়াল নিজেকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির একটি আসনেও আপ জিততে পারেনি। তাতেই বোঝা গিয়েছিল, কেজরিওয়ালকে জেলে পাঠানোর বিন্দুমাত্র সহানুভূতি আপ পায়নি। দিল্লির মানুষ তাঁকে পছন্দ করছেন না। তখনই যদি কেজরিওয়াল ক্ষোভের কারণ খুঁজে সংশোধন করে নিতেন, তাহলে দিল্লির ভোটের ফল অন্যরকম হতো। 
কাজ করলে ভুল হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে কেউ ভুল স্বীকার করে শুধরে নিলে মানুষ তাকে ক্ষমাও করে। তার জ্বলন্ত প্রমাণ একুশের নির্বাচন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের প্রায় অর্ধেক আসনে জিতেছিল বিজেপি। তারজন্য সিপিএমের স্টাইলে ‘মানুষ আমাদের ভুল বুঝেছে’ না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেঁটেছিলেন সংশোধনের রাস্তায়। তাঁর নির্দেশে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনী কেন্দ্রে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছিলেন। তা করতে  গিয়ে অনেক জায়গায় ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। তাতে জনগণের মনে জমে থাকা ক্ষোভ, রাগ বেরিয়ে গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘শিক্ষা’ নিয়েছিলেন বলেই একুশে তৃণমূল ড্যাং ড্যাং করে জিতেছিল। কিন্তু আইআইটিয়ান কেজরিওয়াল সেই শিক্ষাটাই নিলেন না। পরিণতি? গোহারা হল আপ।
তাছাড়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কেউ কখনওই কট্টর বিজেপি বিরোধী বলে মনে করেনি। আপ সরাসরি বিজেপিকে হারিয়ে কোনও রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেনি। দিল্লিতে এবং পাঞ্জাবে আপ ক্ষমতা পেয়েছিল কংগ্রেসকে হারিয়ে। কিন্তু যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় সেখানে কোনও দাগই কাটতে পারেনি। অনেকেই মনে করেন, কেজরিওয়াল ঘুরপথে বিজেপিকে ক্ষমতা দখলে সাহায্য করে যাচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তিনি ‘বিজেপির বন্ধু’ বলেই বিবেচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক সচেতন মানুষ তাঁকে ‘পাল্টুরাম’ না বললেও নবীন পট্টনায়কের মতো তাঁকেও ‘সুবিধাবাদী’ বলেই মনে করে। 
পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লির ১৮টি আসনে বিজেপি জয় পেয়েছে কংগ্রেস ও আপের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হওয়ায়। বাংলায় এই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তৃণমূল তৈরির পর থেকেই মালদহ ও মুর্শিদাবাদ বাদে কংগ্রেস কার্যত সাইনবোর্ড সর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। আর বামেদের সিংহভাগ ভোট আগেই বিজেপিতে শিফ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই রাজ্যের প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোটের প্রায় সবটুকুই পায় বিজেপি। ফলে বিজেপির নতুন করে ভোটবৃদ্ধির জায়গা তেমন নেই। একমাত্র রাস্তা, শাসক দলকে ভাঙা। কিন্তু সেই সুযোগও 
এবার ক্ষীণ।
গত বিধানসভা ভোটের আগে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের তোলা হাওয়ায় ভেসে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা আকাশ ছুঁয়েছিল। তাতেও দু’শো টার্গেট নিয়ে নামা বিজেপি একশো টপকাতে পারেনি। তাই চার্টার্ড প্লেনে চড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের বেশিরভাগই ‘মুচলেকা’ দিয়ে তৃণমূলে ফিরেছেন। একুশের পর বাংলায় প্রতিটি নির্বাচনেই বিজেপির ভোট কমেছে। বঙ্গ বিজেপি সাংগঠনিক হালও করুণ। ‘অফার’ দিয়েও সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি। এই শক্তি দিয়ে আর যাই করা যাক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না। 
ক্ষমতায় থাকলে ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ কাজ করে। তা সে কেন্দ্র সরকার হোক বা রাজ্য সরকার। এই কারণেই চারশো আসনের স্লোগান দিয়ে নরেন্দ্র মোদির দল আড়াইশো টপকাতে পারেনি। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দুর্নীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গেও ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ কাজ করছে। কিন্তু তা যাতে সরকার গড়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, তারজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্প। মোদি সরকারের বঞ্চনার এক নম্বর টার্গেট বাংলা। ছুতো পেলেই গরিব মানুষের টাকা বন্ধ করছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার আঁচ খেটেখাওয়া মানুষের গায়ে লাগতে দিচ্ছেন না। প্রতিটির বিকল্প প্রকল্প চালু করেছেন।
কেন্দ্রের আবাসের টাকা বন্ধ। তা সত্ত্বেও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ১২ লক্ষ উপভোক্তার প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার কাজ শেষ। দ্বিতীয় দফার টাকাও রেডি। আরও ১৬ লক্ষ গরিব পরিবারের মাথার উপর ছাদের পরিকল্পনাও মমতা সেরে ফেলেছেন। বছরের পর বছর ঝুলে থাকা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্যও বরাদ্দ করেছেন ৫০০ কোটি টাকা। প্রতিটি প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে তিনি বাংলার সাধারণ মানুষের মনে ভরসার অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন। তাকে দিল্লি জয়ের কুলোর বাতাস দিয়ে যাঁরা ভাঙার স্বপ্ন দেখছেন, রাজনীতির পাঠশালায় তাঁদের ‘মহামূর্খ’ না বললেও  কিছুতেই ‘পণ্ডিত’ বলা যাবে না।
15th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

22nd  February, 2025
ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

18th  February, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
একনজরে
সেয়ানে সেয়ানে ...

দেউচা-পাচামি নিয়ে বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস! বহিরাগতদের বীরভূমের ‘মূলবাসী’ সাজিয়ে প্রকল্প ভেস্তে দিতে চলছে গেরুয়া উস্কানি। ছবি ও তথ্য প্রমাণ হাজির করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হল ...

বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ফের অমানবিক ছবি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে হাসপাতালের ভিতর একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির একতলায় সিঁড়ির নীচে পড়ে মুমূর্ষু এক রোগী। কথা বলার শক্তি পর্যন্ত ...

উচ্ছেদ বন্ধ করতে বর্ধমান শহরে জবরদখলকারীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক ‘বাহুবলী’। কয়েক মাস আগে পুরকর্তৃপক্ষ গোলপবাগ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জবরদখলকারীদের সরিয়ে দেয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: ইংরেজ কবি জন কিটসের মৃত্যু
১৮৪০: সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন সিংহর জন্ম
১৮৮৬: বিশিষ্ট রসায়নবিদ চার্লস মার্টিন হল মূল্যবান এ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের সুত্র আবিষ্কার করেন
১৯০৪: ভারতীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সমাজ সংস্কারক ও ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সাইন্স এর প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্রলাল সরকারের মৃত্যু 
১৯১৩: জাদুকর প্রতুলচন্দ্র সরকার বা সিনিয়ার পিসি সরকারের জন্ম
১৯৬৫: ইংরেজ কমিক অভিনেতা, লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক স্ট্যান লরেলের মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেত্রী মধুবালার মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রীর জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা আয়ুব খানের জন্ম
১৯৭৪: ফ্যাশন ডিজা‌ইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭৪: দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হার্শেল গিবস জন্মগ্রহণ করেন
১৯৮১: ইংরেজ ফুটবলার গ্যারেথ ব্যারি জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮২: অভিনেতা ও মডেল করণ সিং গ্রোভারের জন্ম
১৯৯৮: ক্রিকেটার রমন লাম্বার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ ফাল্গুন, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী ১৯/৩৩ দিবা ১/৫৬। মূলা নক্ষত্র ৩১/৩০ রাত্রি ৬/৪৩। সূর্যোদয় ৬/৬/৫১, সূর্যাস্ত ৫/৩৩/২৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৩ গতে ৯/৫৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ গতে ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৪ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৪ গতে ২/৫৭ মধ্যে। 
১০ ফাল্গুন, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী দিবা ১০/২৯। মূলা নক্ষত্র দিবা ৩/৫৫। সূর্যোদয় ৬/১০, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ গতে ৯/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে ও ১২/৫৬ গতে ১/৪৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৮ গতে ৭/১৭ মধ্যে ও ১২/১০ গতে ৩/২৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/০ মধ্যে। 
২৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহন বাগান, পরপর দু’বার এই খেতাব জিতল সবুজ-মেরুন শিবির

11:55:09 PM

এক্সিট পোলের হিসেব অনুযায়ী জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে জয়ী ফ্রেডরিচ মের্জের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল জোট

11:13:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন বিরাট কোহলি

10:21:00 PM

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করলেন কোহলি

10:14:41 PM

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা ও শিশু

10:01:00 PM

দুর্গাপুরের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে বাইকের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

10:01:00 PM