Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল। লাখো লাখো নরনারী বাধ্য হয়েছিলেন সাতপুরুষের ভিটেমাটি ছাড়তে। অসহায় মানুষগুলি, অতঃপর, কোথায় যাবেন জানতেন না। সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ত্রিপুরায় উঠে এসেছিলেন বেশিরভাগ উদ্বাস্তু লোকজন। কিন্তু এই তরিও যে ছোট এবং ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই রবই সর্বত্র। অতএব স্বাধীনতার শিকার হাজার হাজার বাঙালি ছুটলেন আন্দামান, দণ্ডকারণ্য, বিলাসপুর, ভাইজাগ, বম্বে, নাগপুর, দিল্লি প্রভৃতি দূর দূর জায়গায়ও।
যাঁরা নিজেদের ‘স্বাধীনতার ভগীরথ’ বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা অতিদ্রুত ভুলে গিয়েছিলেন বাঙালি শরণার্থীদের প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার-দায়িত্ব-কর্তব্য। প্রচারসর্বস্ব দানখয়রাতি কিছু জুটলেও ‘পুনর্বাসন’ কত বাঙালি উদ্বাস্তু পরিবার পেয়েছিল, সেই উত্তর সেকালে মেলেনি, আজও তা অধরা, অথচ দিল্লি ও কলকাতায় একযোগে চালু ছিল এই সংক্রান্ত দপ্তর। স্বাধীনতার নামে চেপে বসা দেশভাগের বলি হয়েছিল পশ্চিম প্রান্তের রাজ্য পাঞ্জাবও। পশ্চিম পাঞ্জাব থেকেও এপারে উঠে আসেন কয়েক লক্ষ উদ্বাস্তু নারী-পুরুষ। তাঁদের পুনর্বাসন সমস্যা দ্রুত মেটানো হলেও চূড়ান্ত বৈষম্যের বলি হন বাঙালিরা। একযাত্রায় এই পৃথক ফলের জন্য উদ্বাস্তু বাঙালিকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। ওইসঙ্গে ছিল নেতাজির সঙ্গে জাতীয় নেতৃত্বের বঞ্চনা-শঠতার যন্ত্রণা। সব মিলিয়ে কংগ্রসকে কোনোদিনই তার রাজনৈতিক শক্তি বলে বাঙালি মনে করেনি। একমাত্র বিধানচন্দ্র রায়ের কর্মদক্ষতা বাঙালিকে মুগ্ধ করেছিল। ১৯৬২-তে কর্মরত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু না-হলে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো কি না জানার সুযোগ নেই। তবে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই যে বাঙালির মন থেকে কংগ্রেসের বিসর্জনের আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছিল তাতে বিতর্কের অবকাশ কমই।
প্রফুল্ল ঘোষ, প্রফুল্ল সেন ও অজয় মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে রাইটার্স যে-ক্ষমতার রাজনীতি প্রত্যক্ষ করেছে, তাতে কংগ্রেসের মহিমা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকী, বাহাত্তরে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়কে দিয়ে রাইটার্স দখল করেও বঙ্গে কংগ্রেস আর শক্তিশালী হয়নি, ঘটেছিল বরং উল্টোটাই—দলের মূলোচ্ছেদের বন্দোবস্ত! কারণ ‘সিদ্ধার্থশঙ্কর’ শব্দটি তাঁরই হাতযশে ‘গণতন্ত্র’-এর বিপরীতার্থক হয়ে উঠেছিল। ওইসঙ্গে দিল্লি লাগাতার উপহার দিয়ে গিয়েছে বাংলার প্রতি বঞ্চনার রকমারি। উদ্বাস্তু জনগণের ক্ষোভের আগুনে বাংলার প্রতি বঞ্চনা সুসিদ্ধ করে ভোটের বাজারে সহজপাচ্য পথ্যের মতোই পরিবেশন করেছেন মার্কসবাদী কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে বামপন্থীরা। সাতাত্তর থেকে টানা সাতবার কেল্লা ফতে হয়েছে ওই এক টোটকাতেই।
জ্যোতি বসুর সরকারকে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপের হুংকার একাধিকবার দিয়েছিলেন গনিখান চৌধুরী। রাজীব গান্ধীও আওয়াজ তুলেছিলেন, ‘এই হতাশা ভাঙতে চাই, নতুন বাংলা গড়তে চাই’। কিন্তু তাঁর ডাকে সেদিন তো বটেই, বাংলা তার পরেও কখনও সাড়া দেয়নি। ইন্দিরা ও রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর বাঙালি সবচেয়ে হতাশ হয়েছিল প্রণববাবুর প্রতি বঞ্চনা দেখে। এমনকী দু-দুটি ইউপিএ সরকারেও সোনিয়া গান্ধী যোগ্য সম্মান দেননি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। তাঁকে রাষ্ট্রপতি (২০১২-১৭) পদের ‘ললিপপ’ বাঙালি মুখেই তোলেনি। ততদিনে রাইটার্স থেকে পগার পার হয়ে গিয়েছে সিপিএম। কিন্তু সেই বিশাল শৃন্যস্থান পূরণে, ৩০ এপ্রিল ১৯৭৭-এর পর, কংগ্রেসের আর ডাক পড়েনি। ২০ মে, ২০১১ থেকে দাপটে রাজপাট সামলাচ্ছেন মা-মাটি-মানুষের জনপ্রিয়তম নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে বিধানসভাতেও বিগ জিরো হয়ে গিয়েছে সিপিএম, সঙ্গে দোসর কংগ্রেস। ঠিক কার ‘সঙ্গদোষে’ যে কার এই সর্বনাশ হল, এটা রাজনীতির ছাত্রদের একটি সময়োচিত গবেষণার বিষয়। তবে স্বাধীনোত্তর ৭৭ বছরের রাজনীতির চর্চায় এটুকু পরিষ্কার যে, তাকে বঞ্চনার নায়ককে বাংলা কখনোই তার নিকনো দাওয়ায় বড়পিঁড়ি পেতে দেবে না।
সামনে এত সুন্দর সহজপাঠ রয়েছে, মোদি-শাহ জুটি তা পড়ে দেখতে আগ্রহী হলেন না, কিছু না দিয়েই বাংলার মন জয়ের খোয়াব দেখলেন তাঁরাও! অন্তত নরেন্দ্র মোদি ভেবেছিলেন, ভোটের বাজারে রবীন্দ্রনাথ সাজা কিংবা ভাষণের মাঝে মাঝে বিকৃত বাংলায় দু-চারটি বাক্য আওড়ানোই যথেষ্ট, বাঙালি গলে জল হয়ে যাবে। এহেন গেরুয়া শো একুশের ভোট থেকেই ফ্লপ হতে শুরু করেছে, চব্বিশে এসে তো সুপার ফ্লপ! হবে নাই-বা কেন? উনিশে বাংলা মোদিকে ১৮ জন এমপি দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিদানে পেয়েছিল কী? ফিরে যাওয়া যাক চোদ্দোয়, দেশে মোদিযুগের সূচনা পর্বে। সেবার বাংলা থেকে দুটি আসন পেয়েছিল বিজেপি—আসানসোল এবং দার্জিলিং। বাংলার মানুষ ভোলেনি আসানসোলের ভোটদাতাদের কাছে মোদির সেদিনের দাবি—‘মুঝে ... চাহিয়ে!’ প্রথম মন্ত্রিসভার সূচনাতেই মন্ত্রী করা হয় আসানসোলের এমপিকে এবং বছর দুই বাদে মন্ত্রিসভায় জায়গা পান আলুওয়ালিয়া। উল্লেখ্য, তাঁরা দু’জনেই ছিলেন রাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০০৯-এ বাংলা থেকে বিজেপি এমপি হন একজনই। কিন্তু দার্জিলিঙের যশবন্ত সিনহাকে নিয়ে বাঙালির তেমন আবেগ ছিল না। এগারোয় রাজ্যে পালাবদলের পর বিরোধীরা বাংলার মাটিকে তাদের দুর্জয় ঘাঁটি ভাবা ছেড়ে দেয়। ২০১৪ সালে বামফ্রন্ট ১৫ থেকে মাত্র ২-এ নেমে আসে! তারই বিপরীতে, ওই কঠিন মাটিতেও বিজেপি দখল করে বাংলার সাবেক শাসক সিপিএমেরই সমান সংখ্যক আসন (২)। স্বভাবতই, বাংলার মানুষের বিশেষ প্রত্যাশা ছিল মোদির কাছে, কেননা কেন্দ্রে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (২০১২-তে রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী) পর বাংলা আর কোনও পূর্ণমন্ত্রী পায়নি। কিন্তু সেই আক্ষেপ-হতাশা দূর করার কোনও উদ্যোগ মোদি নেননি।
এরপর ২০১৯। প্রবল মোদি-বিরোধী ঢেউ উপেক্ষা করেই, বাংলার বহু কোটি মানুষ মোদির প্রতিনিধিদের ভোট দেন। একলপ্তে নির্বাচিত হন ১৮ জন, দলের রাজনৈতিক দাবি যাই থাক, বিজেপির ইতিহাসে সে ছিল এক অভাবনীয় ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা! কিন্তু অতঃপর বাংলার মানুষ আরও অবাক হয়ে দেখল, সেবারও মন্ত্রিসভায় কোনোরকম গুরুত্ব পেল না বাংলা। মন্ত্রী করা হল মাত্র দু’জনকে। আসানসোলের এমপি নগরোন্নয়ন এবং রায়গঞ্জের দেবশ্রী চৌধুরী নারীকল্যাণ মন্ত্রক পেলেন। দু’জনকেই করা হল নিয়মরক্ষার রাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাধীন দায়িত্বও দেওয়া হল না তাঁদের! ২০২১-২২-এ আসানসোলের এমপি গেরুয়াবেশ ত্যাগ করেন। পরে অজ্ঞাত কারণে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন দেবশ্রীও। ফলে, দেশের মন্ত্রিসভায় ১৮ এমপির বাংলার প্রতিনিধিত্ব পুরো ‘শূন্য’ হয়ে যায়! দেখেশুনে এই বিভ্রম হতে পারে, পশ্চিমবঙ্গ নামক সবচেয়ে রাজনীতি সচেতন রাজ্যটি বোধহয় ভারতের মানচিত্র থেকে সাময়িক ছুটি নিয়েছে! অতঃপর, মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন অন্য চারজন—শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার, নিশীথ অধিকারী এবং জন বারলা। শেষদিন পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় তাঁরাই থেকে গিয়েছিলেন, তবে রাষ্ট্রমন্ত্রী (বিরোধী কটাক্ষে যা ‘অর্ধ’ কিংবা ‘সিকি’ মন্ত্রী) পরিচয়ে। 
সব মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর সরকারের কাছে যাহাই ২ তাহাই ১৮! অতএব, বারোজন গেরুয়া এমপির বাংলা এবার যে আরও গুরুত্ব হারাতে চলেছে, এই সহজ অনুমান রাজনৈতিক মহল আগেই করেছিল। ৯ জুন পরিষ্কার তাতেই সিলমোহর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর তৃতীয় মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে জায়গা পেলেন মাত্র দু’জন এবং যথারীতি রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেই—একজন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং অন্যজন মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুর। অর্থাৎ অর্ধ বা সিকি মন্ত্রীর সংখ্যাটিও হাফ হয়ে গেল! লক্ষণীয় যে, এমনও একাধিক নেতা মন্ত্রিসভায় সমাদৃত হয়েছেন, যাঁরা সংসদের কোনও কক্ষেরই সদস্য নন। যেমন ভোটে গোহারা হয়েও মন্ত্রী হয়েছেন পাঞ্জাবের রভনীত সিং বিটু। মন্ত্রিসভায় আরও ঢুকেছেন তামিলনাডুর প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি এল মুরুগান। তিনিই গত মন্ত্রিসভার একমাত্র পরাজিত সদস্য (তবে রাজ্যসভার এমপি), যিনি এবারও মন্ত্রিত্ব ফিরে পেলেন। অন্যদিকে, সুরেশ গোপীর সৌজন্যে এবারই কেরলে খাতা খুলেছে বিজেপি, মোদি তাঁকেও মন্ত্রী করেছেন। সেখানে দলের খ্রিস্টান নেতা জর্জ কুরিয়েন মন্ত্রী হয়েছেন ভোটে না লড়েও! সুদূর দক্ষিণী রাজ্যটিতে প্রভাব বাড়াতেই এই কৌশল। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ধরাশায়ী। তবু মন্ত্রিসভায় সর্বাধিক (৯) সদস্য ইউপি থেকেই। এরপরেই বিহার (৪ জন পূর্ণমন্ত্রীসহ মোট ৮) এবং মহারাষ্ট্র (দু’জন পূর্ণমন্ত্রীসহ মোট ৬)। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান পাঁচজন করে মন্ত্রী পেয়েছে। গুজরাতে ক্যাবিনেট মন্ত্রীই চারজন—তার মধ্যে রয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ! 
অর্থাৎ বিজেপি নেতৃত্ব বেশ জানেন, ভোটবৃদ্ধির জন্য সংগঠন মজবুত করা জরুরি। দিয়েথুয়ে মন জয় করতে না পারলে কোনও সমাজ তাদের সংগঠনমুখী হবে না। রাজ্যের নেতা-প্রতিনিধিরা দিল্লির দরবারে ওজনদার পদ না পেলে বাংলার জন্য দু’হাত ভরে আনবেন কী করে? দশ বছর যাবৎ সত্যিই উল্লেখযোগ্য কিছু আসেনি এরাজ্যে, আসার মধ্যে এসেছে কিছু কেন্দ্রীয় নজরদার টিম এবং সিবিআই, ইডি, আইটি, এনআইএ প্রভৃতি। তারা বরং বাংলা থেকে ঝেঁটিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মোদ্দা কথা হল, সবার জন্যই ‘গিভ অ্যান্ড টেক’, বাদ কেবল বাংলা! এরই পাশে রাখতে হচ্ছে, দার্জিলিংসহ উত্তরবঙ্গ নিয়ে বাংলার অখণ্ডতার পক্ষে উদ্বেগজনক গোপন গেরুয়া এজেন্ডাটিকে। 
এসবেরই অনিবার্য পরিণতি দেখতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি—ক্ষয় ও ভাঙন—পতনের পোক্ত সড়ক। বিজেপিওয়ালাদের হালফিল মনোভাব অবশ্য মমতা-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের জন্য একদিক থেকে স্বস্তিদায়ক। হলফ করে বলা যায়, বাংলায় প্রভাব বিস্তারের সমস্ত আশাই মোদি অ্যান্ড কোং ছেড়ে দিয়েছেন। মমতাকে টক্কর দিতে দু’শো পারের হুংকার, ছবি হয়ে গিয়েছে উনিশেই। না-হলে লাগাতার আর্থিক বঞ্চনা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পাশে মন্ত্রিত্ব নিয়েও এমন ধ্যাষ্টামো চলে! লেনাদেনার এই হতশ্রী মার্কা প্ল্যান নিয়ে কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষী দল অন্তত বাংলার বুকে রাজনীতি করতে পারে না।
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনজরে
তার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন প্রাক্তন। এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ব্যস্ত রাস্তায় প্রাক্তন প্রেমিকার মাথায় রেঞ্জ দিয়ে ১৫ বার আঘাত করে খুন ...

পরিধি রায়ের বয়স ১০ বছর। এই বয়সেই টেবিল টেনিস খেলে নাম করে ফেলেছে। জলপাইগুড়িতে গিয়েছিল রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। ...

পাঁচ দিনে তিনটি ম্যাচ! বৃহস্পতিবার ভারতের সামনে আফগানিস্তান। শনিবার লড়াই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আর সোমবার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।  ২০ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে সুপার এইট পর্বে তিনটি ম্যাচ ...

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাই মডেল। রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্পের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজও রাজ্যে ভালোভাবে রূপায়িত হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৬৪- ফ্রান্সের রাজা একাদশ লুই ডাক ব্যবস্থা চালু করেন
১৫৯৫- ষষ্ঠ শিখ গুরু গুরু হরগোবিন্দের জন্ম
১৮৭৭- ভূমি থেকে আকাশে উলম্বভাবে ওড়ার, আকাশ থেকে ভূমিতে অবতরণের এবং আকাশে স্থির থাকার যান তথা আদি যুগের হেলিকপ্টার পরীক্ষা করা হয়
১৯০৭- শিক্ষাবিদ ও নারী শিক্ষা প্রচারক উমেশচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯৪৭- লেখক সলমন রুশদির জন্ম
১৯৫৫- অভিনেত্রী মিঠু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৮- অভিনেতা মুকেশ খান্নার জন্ম
১৯৬২- অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থীর জন্ম
১৯৬৪- যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্ম
১৯৭০- রাজনীতিক রাহুল গান্ধীর জন্ম
১৯৮১- ভারতে টেস্ট টিউব বেবির জনক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮৫- অভিনেত্রী কাজল আগরওয়ালের জন্ম
২০০৮- বর্তমানের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩৬ টাকা ১০৭.৮৩ টাকা
ইউরো ৮৮.০৪ টাকা ৯১.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী ৫/৫৮ দিবা ৭/২৯। বিশাখা নক্ষত্র ৩১/৮ অপরাহ্ন ৫/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬/১৭, সূর্যাস্ত ৬/১৯/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৫/২৫ মধ্যে রাত্রি ৯/৫২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। 
৪ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী প্রাতঃ ৫/৫২। বিশাখা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৯ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১২ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলে হারাল জার্মানি

11:28:58 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: আমেরিকাকে ১৮ রানে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:26:30 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ২ : হাঙ্গেরি ০ (৭৫ মিনিট)

11:10:45 PM

 ইউরো কাপ: জার্মানি ১-হাঙ্গেরি ০ (হাফটাইম)

10:24:30 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ১-হাঙ্গেরি ০ (২৩ মিনিট)

09:59:45 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ০ : হাঙ্গেরি ০ (৫ মিনিট)

09:41:41 PM