Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। 
চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। একবারও মণিপুরের সেই মায়েদের পাশে গিয়ে দাঁড়াননি। কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেননি। উল্টে ধর্মীয় বিভাজনকে উস্কে দিয়েছেন লাগাতার দিল্লিতে বসে। কুকি আর মেই঩তেইদের মধ্যে বিদ্বেষ জিইয়ে রাখতে হবে তো! 
আজ হাসছেন শশীতা নিগার।
দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের নার্স। ২০২১ সালের এপ্রিলে রাত সাড়ে সাতটা থেকে তিনি এবং হাসপাতালের পরিচালকরা কাঁদতে কাঁদতে সরকারি হাসপাতাল আর সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে কিছু অন্তত অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠাতে বলেছিলেন। চোখের সামনে তখন ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে ১৩ জন রোগীর নাক থেকে অক্সিজেন টিউব খুলে নিতে হয়েছে। কারণ অক্সিজেন ফুরিয়ে গিয়েছে হাসপাতালে। একে একে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন সেই হাই প্রোফাইল রোগীরা। যাঁরা বিপুল অঙ্কের ইনকাম ট্যাক্স দিতেন। যাঁরা ভোট দিতেন। যাঁরা আপনার কথায় বিশ্বাস করতেন। আপনি কী করছিলেন এরকম এক মাসে? বাংলায় ভোটপ্রচার করছিলেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে অক্সিজেনের সাপ্লাইয়ের জন্য আপনার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলেন। তাঁকে বলা হয়, উনি বেঙ্গলে ভোটে ব্যস্ত। আপনি সেই ভোটে কী বলেছিলেন বেঙ্গলে গিয়ে? ‘দিদি ও দিদি...’। 
আজ হাসছে পাঁচটি অতৃপ্ত আত্মা। 
২০২০ সালের মার্চ মাসে পাঁচজনের পরিবার হাঁটছিল হরিয়ানার কুণ্ডলি-মানেসর-পলবল এক্সপ্রেসওয়েতে। গুরুগ্রাম থেকে বিলাসপুর বাড়ি ফিরছিল তারা। আচমকা লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। থাকার জায়গা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। খাবারও প্রায় শেষ। তাই তারা হাঁটার পথে নেমেছে। মধ্যরাতে একটি ট্রাক এসে তাদের পিছন থেকে ধাক্কা মারে। শিশু, মহিলা ও পুরুষ। গোটা পরিবার ধ্বংস। কেন অতৃপ্ত? কারণ তাদের কাছে আইডেন্টিটি কার্ড পাওয়া যায়নি। জানা যায়নি তাদের পরিচয়। তারা মধ্যরাতে নিজেদের অজান্তেই বিনা দোষে মুছে গেল অস্তিত্ব থেকে। পৃথিবী তাদের নামপরিচয়ই জানল না। তাহলে তারা কারা ছিল? তারা ছিল উপেক্ষিত ভারত। সেই সময় হাই প্রোফাইল ভারতকে আপনি কী বিনোদন দিয়েছিলেন? নির্দেশ দিয়েছিলেন, ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থালা বাসন কাঁসর ঘণ্টা বাজাতে! 
আজ হাসছে পুনম মণ্ডল। 
তার স্বামী ৩৫ বছরের ছাবু মণ্ডল গুরুগ্রামের ফ্ল্যাট নির্মাণের সাইটে  টাইলস বসানোর কাজ করত। কোভিডের কারণে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ। প্রথম যে কাজটি ছাবু করেছিল তা হল মোবাইল বিক্রি করে দেওয়া। তা না হলে খাবার কিনবে কীভাবে? আড়াই হাজার টাকায়। বউ পুনমকে কিছু বাজার করে এনে দিয়েছিল। আর ওই টাকা হাতে দিয়ে বলেছিল চালিয়ে নাও কিছুদিন। কিছু কাজ তো পাবই। ছাবু মণ্ডল কাজ পায়নি। বরং পুলিসের লাঠি খেয়েছিল। তারপর প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া ঘরে ফিরে সে আত্মহত্যা করে। তার কথা রাষ্ট্র ভাবেনি। তখন আপনি কী করেছিলেন? আপনি ধনী ভারতকে একটি খেলা দিয়েছিলেন। লাইট নেভানোর খেলা। ২০২০ সালে ৫ এপ্রিল রাত ৯টার সময় ৯ মিনিটের জন্য সবাই যেন ঘরের লাইট নিভিয়ে দেয়। প্রদীপ জ্বালিয়ে থাকে। এলিট ইন্ডিয়া তাই করেছিল। ছাবু মণ্ডলদের ঘরের আলো আগেই নিভে গিয়েছিল! 
আজ হাসছে হাতরাসের দলিত তরুণীর সেই পরিবার। 
বুলগড়ি গ্রামের সেই তরুণীর পরিবার ঠাকুর সম্প্রদায়ের খেতে কাজ করত মজুরের। সেই মেয়ে গোরুর জন্য ঘাস পাতা আনতে খেতে গিয়েছিল। চারজন যুবক তার দোপাট্টা ধরে টেনে নিয়ে যায়। ধর্ষণ করে। দোপাট্টা নৃশংসভাবে জড়িয়ে টানাটানি করায় তার স্পাইনাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জিভ কেটে নেওয়া হয়। পুলিস অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এ হাসপাতাল ও হাসপাতালে তাকে নিয়ে পাগলের মতো ছোটাছুটি করে পরিবার। দিল্লির হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরিবারকে না জানিয়ে, অনুমতি না নিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিস মধ্যরাতে তার দেহ সৎকার করে দেয়। খোলা মাঠে। আপনার সামান্যতম সহানুভূতি পেল না কেন তারা? উল্টে আপনার দল সেই ধর্ষণকারীদের পক্ষেই ছিল। 
আজ হাসছে নিয়াবন, জনোরা, রামনগরের বাসিন্দারা।
হঠাৎ করে সন্ধ্যার পর এসে যাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল নোটিস। বাড়ি ফাঁকা করে দিতে হবে। বাড়ি ভাঙা হবে। কেন? রাম পথ তৈরি হবে। আমাদের নিজের জমি। নিজের বাড়ি। আমরা কোথায় যাব? প্রশাসন আর পার্টির লোকেদের কিছু যায় আসে না। তারা যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিল, জয় শ্রীরাম। অযোধ্যার পাড়ায় পাড়ায় হাহাকার শুরু হয়। রাকেশকুমার গুপ্তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল অযোধ্যায়। ৬৪ বছরের রাকেশকুমার বলেছিলেন, আমার নাতি নাতনিরা স্কুলে যেতে পারে না। আমাদের থাকার জায়গা নেই। অনেক দূরে ছেলে ঘর ভাড়া নিয়েছে। সেখানে সবাই মিলে থাকতে হয়। অথচ আমার তিনতলা বাড়ি ছিল। এখন রিকশ চালাই। রাকেশকুমার গুপ্তার মতো অসংখ্য অযোধ্যাবাসীর চোখের জল সরযু নদী দেখেছে এবং তারপর ৪ জুন এসেছে। আপনি আর অযোধ্যায় যাবেন কোন মুখে? মনে আছে ২২ জানুয়ারি আপনি দম্ভভরে বলেছিলেন আপনি একাই নাকি ভারতের এক হাজার বছরের ভবিষ্যৎ সেদিন নির্ধারণ করে গেলেন! এই কোটি কোটি বছরে প্রাচীন মহাবিশ্বে আপনি নিজের উচ্চতাকে এত দীর্ঘ ভাবলেন কীভাবে? 
আজ হাসছে বাসুদেব বিশ্বাস, নগেন দাসের পরিজনেরা। 
মুখের ভাষা বাংলা হওয়ার অপরাধে যাদের ডিটেনশনে ক্যাম্পে স্থান হয়েছিল। এবং মৃত্যু হয়েছিল। ১২ লক্ষ হিন্দুর নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল এনআরসি তালিকায়। তাদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে আসা। কিন্তু বহুসংখ্যক ভারতবাসী। দেশের যে কোনও প্রান্তে নিম্নবর্গের মুখে বাংলা ভাষা শুন঩লেই আপনার অনুগামী ভক্তবৃন্দ সন্দেহ করে তারা নাকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। 
আজ বাঙালি হাসছে। 
আপনারা কে? বাঙালির কালচার বাঁচানোর দায়িত্ব নেওয়ার? আপনারা কে? বাঙালিকে ধর্মাচারণ শিক্ষা দেওয়ার! আপনারা কে? বাঙালি কী খাবে এবং কী খাবে না সেটা ঠিক করে দেওয়ার? সেলুলার জেলের বন্দি ও মৃত্যু তালিকায় একবার চোখ বোলান তো কোন রাজ্যবাসীর নাম বেশি আর কাদের প্রায় খুঁ঩জেই পাওয়া যাবে না! দেশভাগে আপনাদের রাজ্যের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়েছে? ১৯৪৭ সাল বা তার পরেও পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা লক্ষ লক্ষ জনস্রোত তো হিন্দু ছিল? আপনাদের ওখানে কতজনকে স্থান দেওয়া হয়েছে? বিগত ১০ বছরে বাংলার জন্য ঠিক কী কী উন্নয়ন দিয়েছেন? কতগুলো নতুন শিল্প পেল বাংলা? কত লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করলেন? উল্টে রামনবমী আর হনুমনজয়ন্তীর দিন  অস্ত্রমিছিলের কালচার আমদানি করা হয়েছে বেশি বেশি। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের গৃহদেবতা ছিলেন রঘুপতি। ফুলিয়ার কৃত্তিবাস ওঝা রামায়ণের সুললিত অনুবাদ দিয়ে গিয়েছেন। কাশীরাম দাসের মহাভারত আমাদের শিক্ষিত করেছে। বৈশাখ মাসব্যাপী অশ্বত্থ গাছের শিকড়ে জল ঢালা ব্রতের অঙ্গ। রাঢ়বঙ্গে শিব ও মনসার পর সবথেকে জনপ্রিয় ঈশ্বর ধর্মঠাকুর। এসব জানতে হবে তো আপনাদের! বাঁকুড়ায় স্বরূপ নারায়ণ, বর্ধমানে অনাদিনাথ, মেদিনীপুরে ক্ষেত্রপাল...এরকম সব বৈচিত্র্যময় ঈশ্বর আরাধনার সন্ধান না করে, শুধুই হিন্দু বনাম মুসলিম করলে হবে কীভাবে! হিন্দু খতরে মে হ্যায়? তা ১০ বছরে হিন্দুর নিরাপত্তাই আপনি নিশ্চিত করতে পারলেন না? হিন্দু জাগরণের এপিসেন্টার যা হওয়া উচিত ছিল, সেই অযোধ্যাই আপনাদের হারিয়ে দিল? এই স্লোগানটাই তো আপনার ব্যর্থতা! বাংলায় এসে বাঙালিকে এত রকম বাণী দেওয়ার অধিকার যোগ্যতা এবং হোমওয়ার্ক আপনাদের আছে কি না আগে তো সেই আত্মসমীক্ষা করা উচিত ছিল। মানুষকে অপমান করবেন না। লক্ষ্মীর  ভাণ্ডারকে ভিক্ষা বলবেন না। মানুষের সবথেকে আনন্দ হয় কারও অহংকার ভাঙতে পারলে! ঔদ্ধত্য, দম্ভ, অহংকার, বঙ্গবাসী অনেক দেখেছে এবং বিগত ৭৬ বছরে প্রত্যেককে শিক্ষাও দিয়েছে! যদি এখনও কারও অহংকার জন্মায়, তাদেরও পতন হবে। আপনি এই সিম্পল থিওরি বুঝলেন না! 
আজ হাসছেন পরমাত্মা। 
আজ পর্যন্ত কোনও প্রকৃত সাধক যে কথা উচ্চারণ করতে সাহস করেননি যে, তাঁকে স্বয়ং পরমাত্মা সরাসরি পাঠিয়েছেন মানুষের সেবা করার জন্য, সেকথাও আপনি অনায়াসে বলেছেন। এই যে অতি আত্মবিশ্বাস যা কার্যত চরম এক আত্ম অহংকারের প্রকাশ, এটা প্রায় ৫০ বছর রাজনৈতিক জীবনের পরও কেন একজন মানুষের মধ্যে প্রবিষ্ট হয়? এটা সমাজতত্ত্বের গবেষণার বিষয়! আপনাকে কেউ কখনও ভাবেনি দুর্বল দেখবে। এককভাবে সরকার গড়তে না পেরে আপনাকে সারাক্ষণ জোটশরিকদের দয়াদাক্ষিণ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে, এটা কল্পনাই করেননি আপনি নিজেও। শরিক নির্ভর একটি সরকারের সবথেকে বড় সঙ্কট কী হয়? আপনিই ১০ বছর ধরে একজন মানুষ সম্পর্কে সেই কথা বলে এসেছেন এবং হাসাহাসি ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন। আপনারা বলেছেন, পলিসি প্যারালিসিস হয়। নীতি পঙ্গুত্ব! তাই একক গরিষ্ঠ সরকারই আপনার মাধ্যমে ভারতের কাম্য, এই দাবি করেছিলেন। এই শ্লেষ, অপমান আর ঠাট্টায় রক্তাক্ত হয়েও নিজের স্বভাবসিদ্ধ ডিসেন্সি ও শিক্ষার দীপ্তিতে তিনি নীরব থেকেছেন। 
আজ হাসছেন ডক্টর মনমোহন সিং! 
পুরনো সংসদ ভবনকে অতীত করে দিয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করে আপনি নিজেই নিজের ছাপ ইতিহাসে রেখে যেতে চেয়েছেন। স্বপ্ন দেখেছেন চারশো পার করে দৃপ্ত ভঙ্গিতে নবনির্মিত সংসদে প্রবেশ করবেন! পাল্টে দেবেন সংবিধান। পাল্টে দেবেন আইন। পাল্টে দেবেন ইতিহাস। পাল্টে দেবেন রাজনীতিকে। অথচ সেই ভবনে আপনাকে দুর্বল হয়ে ঢুকতে হবে এবার। 
 হাসছে গণতন্ত্র! 
07th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
একনজরে
মালদহ জেলার সরকার পোষিত স্কুল ও মাদ্রাসায় দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই এখনও আসেনি। গরমের ছুটির পর ১০ জুন থেকে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। স্কুল খোলার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পাঠ্যবই না থাকায় পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন ...

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাই মডেল। রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্পের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজও রাজ্যে ভালোভাবে রূপায়িত হয়েছে। ...

পাঁচ দিনে তিনটি ম্যাচ! বৃহস্পতিবার ভারতের সামনে আফগানিস্তান। শনিবার লড়াই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আর সোমবার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।  ২০ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে সুপার এইট পর্বে তিনটি ম্যাচ ...

তার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন প্রাক্তন। এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ব্যস্ত রাস্তায় প্রাক্তন প্রেমিকার মাথায় রেঞ্জ দিয়ে ১৫ বার আঘাত করে খুন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৬৪- ফ্রান্সের রাজা একাদশ লুই ডাক ব্যবস্থা চালু করেন
১৫৯৫- ষষ্ঠ শিখ গুরু গুরু হরগোবিন্দের জন্ম
১৮৭৭- ভূমি থেকে আকাশে উলম্বভাবে ওড়ার, আকাশ থেকে ভূমিতে অবতরণের এবং আকাশে স্থির থাকার যান তথা আদি যুগের হেলিকপ্টার পরীক্ষা করা হয়
১৯০৭- শিক্ষাবিদ ও নারী শিক্ষা প্রচারক উমেশচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯৪৭- লেখক সলমন রুশদির জন্ম
১৯৫৫- অভিনেত্রী মিঠু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৮- অভিনেতা মুকেশ খান্নার জন্ম
১৯৬২- অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থীর জন্ম
১৯৬৪- যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্ম
১৯৭০- রাজনীতিক রাহুল গান্ধীর জন্ম
১৯৮১- ভারতে টেস্ট টিউব বেবির জনক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮৫- অভিনেত্রী কাজল আগরওয়ালের জন্ম
২০০৮- বর্তমানের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩৬ টাকা ১০৭.৮৩ টাকা
ইউরো ৮৮.০৪ টাকা ৯১.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী ৫/৫৮ দিবা ৭/২৯। বিশাখা নক্ষত্র ৩১/৮ অপরাহ্ন ৫/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬/১৭, সূর্যাস্ত ৬/১৯/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৫/২৫ মধ্যে রাত্রি ৯/৫২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। 
৪ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী প্রাতঃ ৫/৫২। বিশাখা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৯ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১২ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলে হারাল জার্মানি

11:28:58 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: আমেরিকাকে ১৮ রানে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:26:30 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ২ : হাঙ্গেরি ০ (৭৫ মিনিট)

11:10:45 PM

 ইউরো কাপ: জার্মানি ১-হাঙ্গেরি ০ (হাফটাইম)

10:24:30 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ১-হাঙ্গেরি ০ (২৩ মিনিট)

09:59:45 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ০ : হাঙ্গেরি ০ (৫ মিনিট)

09:41:41 PM