কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, শহরের রথবাড়ি, ৪২০ মোড়, মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন কিছু এলাকা সূর্য ডোবার পর অন্ধকারে ঢেকে যায়। ফ্লাইওভার, সেতুরও একই অবস্থা। রথবাড়ি উড়ালপুলে আলোর যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সেখানে পথবাতি কার্যত জ্বলে না বললেই চলে। সাহাপুর এলাকায় মহানন্দা নদীর সেতুরও একই অবস্থা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মঙ্গলবাড়ি সেতুও অন্ধকারে ঢেকে যায়। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা ওইসব এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। চুরি, ছিনতাই মাঝেমধ্যেই হচ্ছে। উড়ালপুল ও সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় মহিলাদের কটূক্তি করা হয়। পুরুষ ও মহিলাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় বলেও পথচারীদের অভিযোগ। ফলে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে শহরের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবাড়ি সেতু অনেক পুরনো। আগে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওই সেতুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মহানন্দা নদীর উপর সেতুটি গড়ে তোলা হয়। ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ শহরের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এক সময় ওই সেতু মূল ভরসা ছিল। বর্তমানে অবশ্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তা হয়েছে। ইংলিশবাজার শহরের রামনগর কাছারি এলাকায় বাইপাস রাস্তায় মহানন্দা নদীর উপর চার লেনের সেতু নির্মীত হয়েছে। তবে মঙ্গলবাড়ি সেতুর গুরুত্ব আজও রয়ে গিয়েছে। দুই শহরের মধ্যে যাতায়াত এবং যাত্রীবোঝাই বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচলের ক্ষেত্রে সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সাহাপুর সেতুর মাধ্যমেও ইংলিশবাজার শহরের সঙ্গে পুরাতন মালদহ ব্লকের গ্রামীণ এলাকার যোগাযোগ রয়েছে। এদিকে, জাতীয় সড়ক ও রেল লাইনের উপর উড়ালপুলের মাধ্যমে ইংলিশবাজার শহরের সঙ্গে মানিকচক সহ জেলার পশ্চিম প্রান্তের বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও ব্লক এলাকার যোগ রয়েছে। ফলে ওইসব সেতু ও উড়ালপুলটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
পথচারী এবং গাড়ি চালকরা জানিয়েছেন, সমতল রাস্তার তুলনায় লম্বা সেতু বা উড়ালপুলে যানবাহন চালানো ঝুঁকি সাপেক্ষ। নিয়ন্ত্রণ হারালে সেতু বা উড়ালপুলের নীচে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাইক বা তিন চাকার গাড়িগুলিকে সেতুর উপর বড় যানবাহনকে জায়গা ছাড়তে হয়। সেখানে যানজট লেগে থাকলে সমস্যা হবে। নিজস্ব চিত্র।