কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। আমতলা, বারুইপুর, ক্যানিং, বাসন্তী সহ আরও কয়েকটি এলাকায় যান তাঁরা। প্রথমে বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার আমতলা পার্টি অফিসে যায় পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। অভিযোগ ওঠে, নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঘরছাড়ারা যেখানে আছেন, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়নি নেতাদের। কিন্তু বড় নেতারা আসবেন, সেই আশায় অনেক কর্মী-সমর্থক সেখানে অপেক্ষা করতে থাকেন। ততক্ষণে খবর ছড়িয়ে পড়ে, প্রতিনিধি দল পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে চলে যাচ্ছে। পথেই একদল বিজেপি সমর্থক প্রতিনিধি দলের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের গাড়ি আটকে দেন বিক্ষোভকারীরা। বাধ্য হয়ে গাড়ির দরজা খুলে বাইরে এসে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করেন তিনি। অনিমা মান্না নামে স্থানীয় এক বিজেপি নেত্রী তাঁকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলার আবেদন জানান। বিপ্লব বলেন, ‘আবার আসব। আজ বেশি সময় নেই।’ এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ৫০-৬০ জন ঘরছাড়া আছেন। তাঁদের কথা শোনার সময় না থাকলে ওঁরা কেন এলেন! বিক্ষোভকারীদের একাংশ পার্টি অফিসে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে যান বিষয়টি নিয়ে। সেখানে আবার দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এক পক্ষ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সেটা ভেঙে দেয় অপর গোষ্ঠী। অনিমাদেবী বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, কেন্দ্রীয় দল আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, তারা এখানে এলই না।’
বারুইপুরে এসেও অস্বস্তিতে পড়তে হয় গেরুয়া শিবিরের এই নেতাদের। সেখানে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়নি বিজেপির যাদবপুর ও জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের। তাঁদের না দেখতে পেয়ে দৃশ্যত বিরক্ত হন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তারপর নিজেই এসি ঘরের চাবি জোগাড় করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সেখানে বসান। আধঘন্টা সেখানে থেকে প্রতিনিধি দল রওনা দেয় ক্যানিং, বাসন্তীর উদ্দেশে।
এদিকে, বিকেলে বসিরহাটে যায় তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রথমে তারা বসিরহাটের আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজবাড়ি এলাকায় চারটি আক্রান্ত পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন। সঙ্গে ছিলেন বসিরহাট বিজেপির অবজার্ভার অর্চনা মজুমদার ও পরাজিত
বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তৃণমূলের কারা কারা তাঁদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, সেসব তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। আক্রান্ত বাসন্তী পাইক বলেন, ‘ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে তৃণমূলের সন্ত্রাসে এলাকা প্রায় পুরুষশূন্য। পুলিসকে জানিয়েও কাজ হয়নি। আমরা চাই, এলাকায় সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসুক।’ কেন্দ্রীয় দলের সদস্য রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য। সমস্ত তথ্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দেব।’ এর মধ্যেই ইতিউতি প্রশ্ন ওঠে, সন্দেশখালি আন্দোলনের সময় তো নেতারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছিলেন। ভোটের পর তাঁরা কোথায় গেলেন!