Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
ভোটদাতারা
ভোটদাতাদের যথেষ্ট সাধারণ জ্ঞান রয়েছে, তাঁরা সেইমতোই তাঁদের যথার্থ মত দিয়েছেন। বিজেপির দেশ-শাসনের গত এক দশকের মডেলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তাঁরা। তাঁদের তরফে, একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে আর একটি সুযোগও দেওয়া হয়েছে, যদি বড় ধরনের কোনও সংশোধন তিনি করতে পারেন। বিজেপি ৩০৩টি আসন দিয়ে শুরু করেছিল। পরে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল নিজের জন্য ৩৭০ এবং এনডিএর জন্য ৪০০+।  টার্গেটটা, দুঃখজনকভাবে, দু’দিক থেকেই অপূর্ণ রয়ে গিয়েছে। শেষমেশ বিজেপি নিজে থেমে গিয়েছে ২৪০-এ পৌঁছে, যা তাদের জন্য বেদনাদায়ক এবং এনডিএর পক্ষে সংগ্রহের পরিমাণ মাত্র ২৯২।  বিজেপির প্রতি জনগণের বার্তা এবার স্পষ্ট—শরিক দলগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকারসহ একটি জোট সরকার গঠন করো, ত্যাগ করো বিভাজনের নীতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বাস্তবতা মেনে নাও, সামাজিক ক্ষেত্রে বিভাজনের যে যন্ত্রণা উপস্থিত হয়েছে তার নিরাময়ে উদ্যোগী হও, ফালতু অহঙ্কার ছেড়ে আপামর ভারতবাসীকে উন্নয়নের সড়কে টেনে তোলো। 
ভোটদাতারা অন্য একটি সিদ্ধান্তেও পৌঁছেছেন যে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া প্রয়াস চালিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তারা সম্ভবত এখনও তেমন প্রস্তুত নয়। লোকসভায় মোট ১৭০টি আসন  রয়েছে এমন ৯টি রাজ্যে কংগ্রেসের শিকড় ফের গভীরে নিয়ে যাওয়া জরুরি।  
বিজেপি
মাননীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার গঠনের জন্য মানুষের যে রায় পেয়েছেন তা শর্তসাপেক্ষ, কিন্তু অতিশয় আত্মবিশ্বাসের কারণে তিনি সেই সত্যটি উপলব্ধি করতে পারেননি।  প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠেই তিনি ভেবে নিয়েছেন যে, দলে তাঁর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই এবং সরকার গড়ার দাবি পেশের মতো সংখ্যা নেই অন্যকোনও দলেরও। মোদিজি যথার্থ উপসংহারে পৌঁছেছেন যে চন্দ্রবাবু নাইডু (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমার (জেডিইউ)—এই দু’জনেই হলেন মূলত লেনাদেনার নেতা। দিল্লিতে ‘কিংমেকার’ হওয়ার খেলার চেয়ে তাঁরা বরং বেশি উদগ্রীব, যথাক্রমে—অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বিহারে তাদের কষ্টার্জিত গদি রক্ষা নিয়ে।  আর এটাই দেখা গেল যে, মোদিজি ব্যক্তিগত আশ্বাসেই তাঁদের সন্তুষ্ট করতে পারেন। চন্দ্রবাবু এবং নীতীশের রাজ্যের জন্য ফান্ড, কিছু স্কিম এবং একধরনের ‘বিশেষ মর্যাদা’ দিলেই তো কেল্লা ফতে! 
মোদিজি তাঁর ‘কোর টিম’কেই আবার ফিরিয়ে এনে কী ভুল করেছেন, নীচে সেটাই বলব।
 কংগ্রেস
পাটিগণিত কথা বলে সোজাসুজি। কংগ্রেস মোট ৯৯টি আসনে জিতেছে। কিন্তু তার মধ্যে ৭৯টি এসেছে ৯টি রাজ্য থেকে। অন্য এমন ৯টি রাজ্য আছে যেগুলিতে মোট আসন সংখ্যা ১৭০, কিন্তু কংগ্রেস সেগুলি থেকে পেয়েছে মাত্র ৪টি! চিন্তার বিষয় এই যে, কংগ্রেসের প্রা঩প্তি—৫টি রাজ্যে জাস্ট শূন্য (০) এবং ৪টি রাজ্য থেকে মাত্র ১টি করে আসন। কংগ্রেস প্রথমোক্ত ৯টি রাজ্যে কী ভালো কাজ করেছে এবং শেষোক্ত ৯টি রাজ্যে কী ভুল করেছে, দলটির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই তা বিশ্লেষণ করা দরকার। উদয়পুর এবং রায়পুরে অনুষ্ঠিত দলীয় সম্মেলন থেকে প্রস্তুতিমূলক কাজ কিছু করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তুতিকে কাঙ্ক্ষিত পরিণতি দেওয়া গিয়েছে বলে আমার মনে হয় না।  কয়েকমাস পরেই যে রাজ্যগুলিতে বিধানসভার ভোট, সেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে এই নির্বাচনে কিছু আশার আলো দেখা গিয়েছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ওই তিন রাজ্যে সহযোগীদের নিয়ে কংগ্রেস যে ফল করেছে তাতে বিধানসভার ভোটে তারা এগিয়েই থাকবে এবং সেখানে তাদের ক্ষমতা দখল করার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়েছে। বিজেপি নিশ্চয় কঠিন লড়াই দেবে, তবে  অবশ্যই জয়ী হওয়ার মতো লড়বে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকও।    
সরকার
নরেন্দ্র মোদি যখন পরিবর্তনের বদলে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা বেছে নিয়েছেন, তখন তিনি কুড়ুল মেরেছেন নিজের পায়েই।  মোদির তৃতীয় সরকারের গঠন এবং পোর্টফোলিও বা মন্ত্রক বণ্টন থেকে একাধিক সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। প্রথমত, তাঁর সরকারের চলন এবং চলার ধরন পরিবর্তন করার জন্য ভোটদাতারা যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি তা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেননি। দ্বিতীয়ত, তাঁর সরকার পরিচালনার মৌলিক নীতিতে ফের অবিচল আস্থা রেখে তিনি এটাই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, তাঁর কোনও ভুল ছিল না। এটা তিনি বুঝিয়েছেন বিশেষ করে অর্থনীতি, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং বিদেশনীতি সম্পর্কে। তৃতীয়ত, মোদি পরোক্ষভাবে এও স্বীকার করেছেন, যে-পদ অলঙ্কৃত করেন সেই পদের উপযুক্ত প্রতিভাধর তিনি নন। চতুর্থত, তাঁর তৃতীয় সরকার পিএমও মারফতই চালিত হবে—যাঁরা এটা মেনে নেবেন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হবে কেবল তাঁদেরই—এটা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।  সবশেষে বলব, তিনি নিশ্চিত যে—অমিত শাহ এবং তিনি এনডিএ শরিকদের ‘ম্যানেজ’ করে চলার ক্ষমতা ধরেন, সরকারে শরিকদের সম্মানজনক ভূমিকা গ্রহণের সুযোগ ছাড়াই এই ম্যানেজ প্রক্রিয়া চলবে। 
মন্ত্রীদের কেউই এখনও তাঁর অগ্রাধিকার বা নীতি সম্পর্কে কোনও কথা বলেননি। নির্মলা সীতারামন হয়তো আগের মতোই জোরের সঙ্গে বলে যাবেন—মোদি জমানায় ভারতীয় অর্থনীতি ‘ক্লিপিং রেটে’ বাড়ছে, ২৪ কোটি মানুষের দারিদ্র্যমুক্তি ঘটেছে, মুদ্রাস্ফীতি নীচের দিকে, নতুন নতুন চাকরি হচ্ছে এবং কোনও একদিন ভারত ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠবে। বজায় থাকতে পারে অমিত শাহেরও দাবিগুলি—সন্ত্রাসবাদ পরাজিত হয়েছে, সংবিধান মেনেই শাসনকার্য চলছে মণিপুরে, সিএএ এবং ইউসিসির কাজ যথারীতি চলছে এবং আইপিসি, সিআরপিসি ও সাক্ষ্য আইনের স্থলে যে তিনটি আইন আনা হয়েছে, ভারতে টমাস ব্যাবিংটন ম্যাকোলের কাল থেকে ধরলে সেগুলিই সেরা।  বিশ্ব রাজধানীতে ছবি প্রদর্শনের সুযোগে এস জয়শঙ্কর গৌরবাচ্ছন্ন হতে পারেন, কিন্তু চীন ততক্ষণে চুপি চুপি ভারতের সঙ্গে তার স্বঘোষিত সীমান্ত পোক্ত করে নিচ্ছে এবং মালদ্বীপ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারের সঙ্গে গড়ে তুলছে নতুন অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক। রাজনাথ সিং বিশ্বাস করতে পারেন যে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাজ হল—সময়ে সময়ে সৈন্যদল পরিদর্শন করা এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) ও কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসকে (সিডিএস) কম গুরুত্ব দেওয়া।  অন্যদিকে, যখন বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বছরে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি (পরিমাণটা শুধুমাত্র চীনের সঙ্গেই ৮৫ বিলিয়ন ডলার) থেকে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল, তখন পীযূষ গোয়েল এই ধারণা ফেরি করতে পারেন যে, শিল্প ও বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারত উন্নতি করছে! পি কে মিশ্রকে প্রধান সচিব এবং অজিত দোভালকে এনএসএ হিসেবে নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে মোদি সরকার নিশ্চিত করেছে যে, তারা আগের জায়গাতেই অনড় রয়েছে, সই এবং সিলমোহর দুটিই পড়েছে সেই চিন্তাধারায়।  
এটা মোটেই মোদি ৩.০ নয়,  মোদি ২.১ সরকার।
জনগণ তাদের জীবনে ‘ভালোর জন্য একটা পরিবর্তন’ চেয়েছিল। চাকরি, জিনিসপত্রের দামে স্থিতিশীলতা এবং শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে ভোট দিয়েছে জনগণ।  একই মন্ত্রীরা একই দপ্তর দখল করে থেকে যদি একই নীতির প্রচার করে যান, তবে তার মানে দাঁড়াবে জনগণের রায়ের প্রতি নিষ্ঠুর উপহাস করা হল। প্রথম ধাপে হল সরকার গঠন। তাতেই মোদিজি দেশকে থমকে দিয়েছেন এবং হতাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং বাজেট অতঃপর। এই দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের প্রতীক্ষায় রইল জনগণ। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
17th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনজরে
তার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন প্রাক্তন। এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ব্যস্ত রাস্তায় প্রাক্তন প্রেমিকার মাথায় রেঞ্জ দিয়ে ১৫ বার আঘাত করে খুন ...

রেলের উচ্ছেদ নোটিসে ভিটেছাড়া হওয়ার আতঙ্কে হৃদরোগে বৃদ্ধের মৃত্যু঩ হল। তা সত্ত্বেও অনড় রেল। মঙ্গলবার সকালে কাটোয়া স্টেশন লাগোয়া একের পর এক ঝুপড়ি ভেঙে দিল তারা। ...

মালদহ জেলার সরকার পোষিত স্কুল ও মাদ্রাসায় দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই এখনও আসেনি। গরমের ছুটির পর ১০ জুন থেকে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। স্কুল খোলার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পাঠ্যবই না থাকায় পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন ...

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাই মডেল। রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্পের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজও রাজ্যে ভালোভাবে রূপায়িত হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৬৪- ফ্রান্সের রাজা একাদশ লুই ডাক ব্যবস্থা চালু করেন
১৫৯৫- ষষ্ঠ শিখ গুরু গুরু হরগোবিন্দের জন্ম
১৮৭৭- ভূমি থেকে আকাশে উলম্বভাবে ওড়ার, আকাশ থেকে ভূমিতে অবতরণের এবং আকাশে স্থির থাকার যান তথা আদি যুগের হেলিকপ্টার পরীক্ষা করা হয়
১৯০৭- শিক্ষাবিদ ও নারী শিক্ষা প্রচারক উমেশচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯৪৭- লেখক সলমন রুশদির জন্ম
১৯৫৫- অভিনেত্রী মিঠু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৮- অভিনেতা মুকেশ খান্নার জন্ম
১৯৬২- অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থীর জন্ম
১৯৬৪- যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্ম
১৯৭০- রাজনীতিক রাহুল গান্ধীর জন্ম
১৯৮১- ভারতে টেস্ট টিউব বেবির জনক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮৫- অভিনেত্রী কাজল আগরওয়ালের জন্ম
২০০৮- বর্তমানের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩৬ টাকা ১০৭.৮৩ টাকা
ইউরো ৮৮.০৪ টাকা ৯১.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী ৫/৫৮ দিবা ৭/২৯। বিশাখা নক্ষত্র ৩১/৮ অপরাহ্ন ৫/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬/১৭, সূর্যাস্ত ৬/১৯/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৫/২৫ মধ্যে রাত্রি ৯/৫২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। 
৪ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী প্রাতঃ ৫/৫২। বিশাখা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৯ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১২ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলে হারাল জার্মানি

11:28:58 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: আমেরিকাকে ১৮ রানে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:26:30 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ২ : হাঙ্গেরি ০ (৭৫ মিনিট)

11:10:45 PM

 ইউরো কাপ: জার্মানি ১-হাঙ্গেরি ০ (হাফটাইম)

10:24:30 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ১-হাঙ্গেরি ০ (২৩ মিনিট)

09:59:45 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ০ : হাঙ্গেরি ০ (৫ মিনিট)

09:41:41 PM