কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে সৌমিত্র ওন্দার রতনপুরে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। রতনপুর বাজারে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটে যেতে যেতে পথচলতি মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন। সেই সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলের ওন্দার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা বর্তমানে রতনপুর অঞ্চলের পর্যবেক্ষক ভবতারণ চক্রবর্তী। সৌমিত্র তাঁকে দেখে এগিয়ে যান। তৃণমূল নেতাও কিছুটা এগিয়ে আসেন। ভবতারণবাবুর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন সাংসদ। তাঁর মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা। এই ঘটনার ভিডিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে সৌমিত্রর দলবদল নিয়ে জল্পনা।
উল্লেখ্য, সৌমিত্র প্রথম বিধায়ক হন কংগ্রেসের টিকিটে। তারপর তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হন। পরবর্তী নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে চলে যান। ২০১৯ ও ’২৪ সালের লোকসভা ভোটে তিনি বিজেপির টিকিটেই সাংসদ হয়েছেন। সৌমিত্র দলের সাংসদ থাকাকালীন ভবতারণবাবু ওন্দা ব্লক তৃণমূলে কিছু সময়ের জন্য সভাপতি ছিলেন। ফলে তাঁদের পূর্ব পরিচিতি যথেষ্ট। সৌমিত্র বলেন, ‘এটা সৌজন্য। রাজনীতিতে দল আলাদা হতেই পারে। কিন্তু উনি আমার থেকে বয়স্ক। একসময় একসঙ্গে দল করেছি। এই সৌজন্য আমি আগেও দেখিয়েছি। এখানে কোনওরকম দলবদলের জল্পনা খোঁজা ঠিক হবে না। আমাকে ও বিজেপিকে মানুষ ভোট দিয়েছে। বিজেপির কর্মীরা ভোটে পরিশ্রম করেছেন। তাই দলবদলের কোনও ব্যাপার নেই। রাজনীতিতে সৌজন্য থাকা প্রয়োজন। আগামী দিনেও তা মেনে চলব।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিষ্ণুপুরের উন্নয়নের জন্য যে কোনও পদাধিকারীর কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিয়ে আসাটা আমার লক্ষ্য। এর অন্য কোনও সমীকরণ নেই।’ তৃণমূল নেতা ভবতারণবাবু বলেন, ‘তৃণমূলে একসঙ্গে রাজনীতি করেছি আমরা। আমি রতনপুর বাজারে দাঁড়িয়েছিলাম। সৌমিত্র হেঁটে যাওয়ার সময় দেখা করেন। আমিও তাঁকে সৌজন্য দেখিয়েছি।’
উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুরে জয়লাভের পর সৌমিত্র নানা ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। যা নিয়ে জেলাজুড়ে তাঁর দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়। তৃণমূল নেতার পা ছুঁয়ে প্রণামের পর সেই জল্পনার ঘিয়ে আগুন পড়ে। সৌমিত্র অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি বিজেপিতেই থাকছেন। -নিজস্ব চিত্র