কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সকালে সার্কিট হাউসে আসেন তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্যরা। নব নির্বাচিত সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, দলের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব আলোচনায় অংশ নেন। কোচবিহার লোকসভা আসনে দলের জয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দ প্রকাশ করেন ও সকলকে ধন্যবাদ জানান বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
দলের জেলা সভাপতি বলেন, সবাই একসঙ্গে চলছি। তারজন্য নেত্রী খুশি। তিনি এভাবেই সকলকে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে জেলার সবক’টি আসন জিততে হবেই বলে জানিয়েছেন। দলের রাজ্য সহ সভাপতি কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে বলেছেন। কোচবিহার আসন আমরা পুনরুদ্ধার করেছি। আমাদের এই জয়ে তিনি খুশি। এরজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আগামী বিধানসভা ভোটে নয়ে নয় করতে হবে, এই টার্গেট তিনি দিয়ে গিয়েছেন।
বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, সকলে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে যেভাবে কোচবিহার লোকসভা আসনে জয় এসেছে সেভাবেই ২০২৬’এ জিততে হবে, একথাই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। তিনি সকলকে নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। দলের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় জানান, কোচবিহারের টিম ওয়ার্ক নিয়ে খুব খুশি দিদি। এই টিমওয়ার্ক চালিয়ে যেতে বলে যান।
কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একসময় চরমে উঠেছিল। যার ফল গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল হাতেনাতে পেয়েছিল। কিন্তু গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে সেই অবস্থান একটু একটু করে বদলাতে শুরু করে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের পক্ষ থেকে ঐক্যের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। সমস্ত জেলা নেতৃত্ব একহয়ে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে হারাতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছিল। তার ফলও দল হাতেনাতে পেল এবারে। আর এই ফলেই খুশি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে একমাত্র কোচবিহারেই জয় পায় তৃণমূল। ভোটের ফলের পর প্রথম উত্তরবঙ্গ এলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার রাতে জেলায় আসেন তিনি। মঙ্গলবার জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন। নিজস্ব চিত্র