Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’!
আমরা ভুলে যাই, অধিকাংশ জনমত সমীক্ষাই কিন্তু বলেছিল যে ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কোনওক্রমে জিতবে। তারা অনুমান করতে পারেনি তৃণমূলের বিপুল জয়। আবার, ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গেই বিজেপির ১৮টি আসন লাভের অনুমানে ব্যর্থ হয়েছে অধিকাংশ সমীক্ষা। আসলে গত কয়েক দশকে ওপিনিয়ন পোল মুখ থুবড়ে পড়েছে বার বার। দেশে ও বিদেশে। এর সাক্ষ্য দিতে পারতেন অটলবিহারী বাজপেয়ি কিংবা হিলারি ক্লিন্টন। ব্রিটেনে ২০১৫-র ভোট, ২০১৬-র ব্রেক্সিট গণভোট, ভারতে ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন, এমনকী দিল্লির মতো ছোট ও শহুরে রাজ্যের বিধানসভাতেও জনমত সমীক্ষা বার বার দিগ্‌ভ্রান্ত হয়েছে। তা ভোটে জয়-পরাজয়ের আঁচ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। দিগ্‌ভ্রান্ত করেছে ভোটারদেরও। তবুও ভোটের পারদ চড়তে না চড়তেই সমীক্ষক সংস্থাগুলি হাজির রংবেরঙের অনুমানের পসরা নিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার না আছে নমুনা সংগ্রহ বা তথ্য-বিশ্লেষণ পদ্ধতির বর্ণনা, না আছে তথ্যের প্রয়োজনীয় সারসংক্ষেপ। জনমত সমীক্ষা তাই অনেক ক্ষেত্রেই স্ব-আরোপিত ভবিষ্যদ্বাণী। অভিযোগ, এর পিছনে থাকে শক্তিশালী-ক্ষমতাবান রাজনৈতিক দলের অর্থের কারিকুরিও। ওপিনিয়ন পোল গণতন্ত্রের জন্য সত্যিই আশীর্বাদ না অভিশাপ সেই বিচার কালের উপর ছেড়ে দিলেও, এটুকু বলাই যায় যে পরীক্ষার আগেই পরীক্ষার ফল বেরনোর এই সাসপেন্স থ্রিলার আজ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা সাত দফার লোকসভা নির্বাচন সেটাই প্রমাণিত করেছে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গের দিকেই তাকান, ভোট শুরু হওয়ার আগেই সব পূর্বাভাসের ইঙ্গিত ছিল, বিজেপি নাকি এ রাজ্যে বিরাট সাফল্য পেতে চলেছে। কেউ কেউ তো শাসকদল তৃণমূলের আসন সংখ্যা ১৫-র নীচেও নেমে আসার জল্পনা ছড়িয়ে দিয়েছিল। পাত্তা দেয়নি ইন্ডিয়া জোটকেও। আসলে একে বলে ভোটের আগেই ভোটারের মগজ ধোলাই! বোঝাই গিয়েছিল, এই ওপিনিয়ন পোলের মালিকদের সঙ্গে বাস্তবের মাটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। যেমন ধরুন, এবিপি সি ভোটারের সমীক্ষা রিপোর্ট জানিয়েছিল, ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৬৬টি আসন পেতে পারে এনডিএ। ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ১৫৬টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ২১টি আসন। ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স ভোটের আগেই বিরোধীদের কোমর ভেঙে দিতে চেয়েছিল। তাদের ওপিনিয়ন পোলের হিসেব ছিল, এনডিএ পাবে ৩৭৮ আসন আর ইন্ডিয়া জোট ৯৮। ‘ঈশ্বরের দূত’ নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করতে গিয়ে এরা ভুলেই গিয়েছিলেন আঞ্চলিক দলগুলির শক্তির অঙ্ক। ওপিনিয়ন পোলের মাতব্বররা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মিডিয়া ভোটের আগেই বিজেপিকে বার্তা দিতে চেয়েছে— আমি তোমাদেরই লোক। ফলে ভোট পর্বে কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন 
ঢুকেছে সেই সব মিডিয়ার কোষাগারে। ধর্মনিরপেক্ষর তকমা সাঁটা সেইসব মিডিয়ার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির রং হয়ে ওঠে গেরুয়া। এ তো প্রায় দেড় মাস ধরে জনগণই দেখেছে। সেই মিডিয়ার মাতব্বররা জানেনই না, গোটা ভোট পর্বে তারা ছিলেন জনগণের হাসির খোরাক। মজার কথা, এই রকম ওপিনিয়ন পোলগুলি যে ডিজিটাল মাধ্যমগুলি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়, ভোটের ফল উল্টো হলেই সেই সমীক্ষাগুলি উধাও হয়ে যায় সেই ডিজিটাল মাধ্যমগুলি থেকে। উল্টে তারাই সাফল্যে ভাগ বসাতে চায়। এ এক মজার খেলা!
এটা ঠিক, ভোটাররা জনমত সমীক্ষা শোনেন, তাকে গুরুত্ব দেন, ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’-এ অল্পবিস্তর প্রভাবিতও হন। জনতার যেহেতু জয়ীর সঙ্গে থাকার স্বাভাবিক প্রবণতা আছে, তাই সমীক্ষায় এগিয়ে থাকা দলের জনপ্রিয়তার গাড়িতে সওয়ার হতে সেই পক্ষে ভোট দিয়ে ফেলেন অনেকেই। ‘ব্যান্ডওয়াগন এফেক্ট’-এর উল্টোটাও সত্যি, যাকে বলা হয় ‘আন্ডারডগ এফেক্ট’। পিছিয়ে থাকা প্রার্থী বা দলের পক্ষেও বইতে পারে সহানুভূতির হাওয়া। কখনও আবার জনমত সমীক্ষা ভোটারদের নিরুৎসাহও করে দিতে পারে। আর বুথফেরত সমীক্ষা? বিভিন্ন কেন্দ্রে মানুষের ভোট দেওয়া হয়ে গেলে ভোটারদের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই কোথায় কোন দল কতগুলি আসন পাবে, তার ভবিষ্যদ্বাণী করে বুথফেরত সমীক্ষা। সাধারণত, কয়েকটি নির্বাচনী সংস্থা এই ধরনের সমীক্ষার আয়োজন করে থাকে। ভোটারদের ‘মনের কথা’ জানতে তারা ব্যবহার করে বেশ কিছু কৌশল। তার মাধ্যমেই তৈরি করা হয় নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল। সমীক্ষার জন্য প্রথমে বিভিন্ন কেন্দ্রের কয়েকটি বুথ বাছা হয়। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন সমীক্ষকেরা। ভোট দিয়ে ভোটাররা বেরলে তাঁদের নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন করা হয়। সেই উত্তরের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় সমীক্ষার ফল। 
‘অল্টারনেটিভ মিডিয়া’-র বর্তমান আইকন রবীশ কুমার বুথফেরত সমীক্ষাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, আমরা সবাই একটা সংখ্যা জানতে চাই। আসলে আমাদের চোখের সামনে মোবাইল বা টেলিভিশনের পর্দায় একটা সংখ্যা আসুক, সেই প্রত্যাশা থাকে। সেই সংখ্যায় কেউ কীভাবে পৌঁছলেন, কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ওই সংখ্যায় উপনীত হলেন, তা জানার চেষ্টা করি না। যখন সেই সংখ্যাটা ভোটের ফলের সঙ্গে মিলে যায় বা আমাদের প্রত্যাশাকে পূর্ণ করে, তখন আমরা খুশি হই। আবার যখন আমাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সেই সংখ্যা, আসলে বুথফেরত সমীক্ষায় দেখানো কোনও নম্বর মেলে না, তখন আমরা হতাশ হই, ক্রুদ্ধ কিংবা ক্ষুব্ধ হই। কখনোই ওই সংখ্যায় পৌঁছানোর বিজ্ঞান বা তাত্ত্বিক দিকটাকে অনুসন্ধান করে দেখি না।
ঠিক যেমন হয়েছে এবারের লোকসভা ভোটেও। এবিপি নিউজ-সি ভোটার বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের ৪০০ আসনে জেতার পূর্বাভাস না দিলেও ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া এবং নিউজ ২৪- টুডেজ চাণক্যের বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটকে ‘৪০০ পার’ স্বপ্নপূরণের বার্তা দিয়েছিল। এবিপি নিউজ-সি ভোটারের পূর্বাভাস ছিল, এনডিএ ৩৫৩-৩৮৩, ‘ইন্ডিয়া’ ১৫২-১৮২ এবং অন্যেরা ৪-১২টি লোকসভা আসনে জিততে পারে। নিউজ ২৪- টুডেজ চাণক্যের মতে এনডিএ ৪০০, ‘ইন্ডিয়া’ ১০৭ এবং অন্যদের ৩৬টি লোকসভা আসনে জেতার সম্ভাবনা। এর মধ্যে একাই ৩৩৫টিতে জিততে পারে। কংগ্রেস জিততে পারে ৫০টিতে। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার ইঙ্গিত ছিল, এনডিএ ৩৬১-৪০১, ‘ইন্ডিয়া’ ১৩১-১৬৬ এবং অন্যেরা ৮-২০টি আসনে জিততে পারে। উল্টোদিকে, বিরোধীরা এবং আজকের দুনিয়ায় যাদের, ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ সাংবাদিক বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে, তাঁদের বক্তব্য ছিল, শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা রাখার জন্যেই কেন্দ্রের শাসক দল নিজেদের মতো করে বুথফেরত সমীক্ষাকে গড়েপিটে নিয়েছে। এই অভিযোগ যে কতটা ঠিক তা টের পাওয়া গিয়েছিল ফল প্রকাশের পরই।
লক্ষ্য করুন, খোদ নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ৪ জুনের পরে শেয়ার বাজার এত দৌড়বে যে হাঁফ ধরবে। অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন, ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে রাখুন। তারপরে বাজার চড়বে। বাস্তবে বুথ-ফেরত সমীক্ষাও মোদি সরকারের বিপুল আসনে জিতে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরে নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল সূচক। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ফল বেরনোর দিন ৪০০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় সেনসেক্স। লগ্নিকারীদের ৩১ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়। রাহুল গান্ধীর কথায়, এ যাবৎকালের ‘সবচেয়ে বড় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির’ ঘটনা। রাহুলের প্রশ্ন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন পাঁচ কোটি পরিবারকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন? এমন পরামর্শ দেওয়া কি তাঁদের কাজ? কেন তাঁরা এমন এক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সেবি?’ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, এটাই কি ছিল এবারের বুথফেরত সমীক্ষার খেলা?
ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, একাই তিনশোর বেশি এবং জোটে সাড়ে তিনশোর বেশি আসনের কৈলাস পর্বত থেকে ভোটাররা ‘পরমাত্মা’ নরেন্দ্র মোদিকে টেনে নামিয়েছেন জোট রাজনীতির মাটিতে। গোদি মিডিয়ার কেষ্ট-বিষ্টুদেরও উলঙ্গ করে দিয়েছে নির্বাচনের ফল। কারণ, মাত্র তিনদিন আগে তাঁদেরই চ্যানেলে চ্যানেলে বুথফেরত সমীক্ষায় ৩০০-৪০০ আসন দিয়ে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছিল মোদিকে। সেদিন গোদি মিডিয়া অবশ্য সেখানেই থামেনি। বুথফেরত সমীক্ষায় ইন্ডিয়া জোট তথা কংগ্রেস গোহারান হারছে দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে মোদি তৃতীয় মেয়াদে কী কী করবেন, ভারতকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন– এসব গভীর আলোচনাও চালানো হয়েছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে। আজতক নেটওয়ার্কের অ্যাঙ্কর অঞ্জনা ওম কাশ্যপ রীতিমত নাক ফুলিয়ে লাইভ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তাঁদের মতো বড় চ্যানেলে বিরোধীদের কোনও পরিসরই দেওয়া উচিত নয়। গত এক দশকে ভারতের প্রায় প্রত্যেক সংবাদমাধ্যমের মালিক এই ধরনের মেধাহীন, অর্ধশিক্ষিত সাংবাদিকদেরই দায়িত্বপূর্ণ পদে উন্নীত করেছেন। শেষ দফার নির্বাচনের পরে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওতে রবীশ কুমার বলেছিলেন, চ্যানেলগুলিতে খরচ কমাতে রিপোর্টার যত কমানো হয়েছে, তত রমরমা হয়েছে অঞ্জনা ওম কাশ্যপদের মতো অ্যাঙ্করদের। খবরকে এক ধরনের অসুস্থ বিনোদনে পরিণত করে মানুষের মন বিষিয়ে দেওয়া এবং মোদিকে দোষগুণের অতীত এক সত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কাজই করে গিয়েছে টিভি চ্যানেলগুলি। দিনরাত মোদিকে দেখানো, বিরোধীদের প্রায় না দেখানো, দেখালেও তাদের বক্তব্য এমনভাবে বিকৃত করা যাতে মোদির সুবিধা হয়— এইসব কৌশল দেশবাসীও বুঝে ফেলেছিলেন। ফলে ৪ জুন ইন্ডিয়া টুডের স্টুডিওতে অ্যাক্সিস-মাই ইন্ডিয়া সংস্থার প্রধান প্রদীপ গুপ্তা এসে নিজের পাহাড়প্রমাণ ভুলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেছিলেন। কারণ, ততক্ষণে গোটা দেশে উদোম হয়ে গিয়েছে তাঁদের খেলা। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘পেইড পোল’!
আর এই বাংলায়, একমাত্র কাগজ— যারা ফল প্রকাশের আগের দিনও লিখেছিল: মোদির বারাণসীতে ‘উল্টো ম্যাজিক’! এটা একটা উদাহরণ মাত্র। বাকিটা মিলিয়ে নিন দেড় মাসের ‘বর্তমান’ কাগজের খবরগুলি থেকেই।
13th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনজরে
তার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন প্রাক্তন। এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ব্যস্ত রাস্তায় প্রাক্তন প্রেমিকার মাথায় রেঞ্জ দিয়ে ১৫ বার আঘাত করে খুন ...

মালদহ জেলার সরকার পোষিত স্কুল ও মাদ্রাসায় দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই এখনও আসেনি। গরমের ছুটির পর ১০ জুন থেকে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। স্কুল খোলার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পাঠ্যবই না থাকায় পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন ...

রেলের উচ্ছেদ নোটিসে ভিটেছাড়া হওয়ার আতঙ্কে হৃদরোগে বৃদ্ধের মৃত্যু঩ হল। তা সত্ত্বেও অনড় রেল। মঙ্গলবার সকালে কাটোয়া স্টেশন লাগোয়া একের পর এক ঝুপড়ি ভেঙে দিল তারা। ...

পরিধি রায়ের বয়স ১০ বছর। এই বয়সেই টেবিল টেনিস খেলে নাম করে ফেলেছে। জলপাইগুড়িতে গিয়েছিল রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৬৪- ফ্রান্সের রাজা একাদশ লুই ডাক ব্যবস্থা চালু করেন
১৫৯৫- ষষ্ঠ শিখ গুরু গুরু হরগোবিন্দের জন্ম
১৮৭৭- ভূমি থেকে আকাশে উলম্বভাবে ওড়ার, আকাশ থেকে ভূমিতে অবতরণের এবং আকাশে স্থির থাকার যান তথা আদি যুগের হেলিকপ্টার পরীক্ষা করা হয়
১৯০৭- শিক্ষাবিদ ও নারী শিক্ষা প্রচারক উমেশচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯৪৭- লেখক সলমন রুশদির জন্ম
১৯৫৫- অভিনেত্রী মিঠু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৮- অভিনেতা মুকেশ খান্নার জন্ম
১৯৬২- অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থীর জন্ম
১৯৬৪- যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্ম
১৯৭০- রাজনীতিক রাহুল গান্ধীর জন্ম
১৯৮১- ভারতে টেস্ট টিউব বেবির জনক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮৫- অভিনেত্রী কাজল আগরওয়ালের জন্ম
২০০৮- বর্তমানের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩৬ টাকা ১০৭.৮৩ টাকা
ইউরো ৮৮.০৪ টাকা ৯১.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী ৫/৫৮ দিবা ৭/২৯। বিশাখা নক্ষত্র ৩১/৮ অপরাহ্ন ৫/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬/১৭, সূর্যাস্ত ৬/১৯/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৫/২৫ মধ্যে রাত্রি ৯/৫২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। 
৪ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী প্রাতঃ ৫/৫২। বিশাখা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৯ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১২ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলে হারাল জার্মানি

11:28:58 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: আমেরিকাকে ১৮ রানে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:26:30 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ২ : হাঙ্গেরি ০ (৭৫ মিনিট)

11:10:45 PM

 ইউরো কাপ: জার্মানি ১-হাঙ্গেরি ০ (হাফটাইম)

10:24:30 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ১-হাঙ্গেরি ০ (২৩ মিনিট)

09:59:45 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ০ : হাঙ্গেরি ০ (৫ মিনিট)

09:41:41 PM