Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে। বক্স খুলে সারাই করা গেলে ভালো, না হলে খুঁটিতে চড়া... সেটাও অবশ্য অবলীলায় পারেন ঊষা। তরতর করে বেয়ে উঠে যাওয়া, তারপর খুঁটির মাথার দু’পাশে বেরিয়ে থাকা অংশে পা সেট করে বসে স্ক্রু-ডাইভার বের করা। এই কাজটাই ভালো জানেন ঊষা। আর জানেন, এটা বন্ধ হয়ে গেলে আজ বাদে কাল পেট চলবে না। তাই টিভিতে যখন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন হাইভোল্টেজ ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ নিয়ে ‘অতিদীর্ঘ’ বক্তৃতা দেন, তখনও তাঁর নজর থাকে কোনও এক মিটার বক্সে। আর হ্যাঁ, মাস্ক নেই তার। হয়তো বাড়তি খরচ...।
শ্রুতি সিং ডাক্তার। টানা কয়েকদিন বেশ টেনশনে ছিলেন... পিপিই পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু হাসপাতালটা যে কোভিড! প্রতি মুহূর্তে ভাবনা... হয়ে গেল না তো? শনিবার ট্যুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। পিপিই পরা অবস্থায়। অবশেষে মিলেছে। লিখেছেন, ‘ব্যাগটার মধ্যে শূয়োরের মতো ঘামছি। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।’ তাও থাম্বস আপ... আর টেনশন নেই তাঁর। অক্লান্ত পরিশ্রমেও না...। তিনি কি জানেন, দিল্লি পুরসভার ডাক্তাররা গত তিন মাস বেতন পাননি!
২০ লক্ষ কোটি। জিডিপির ১০ শতাংশ। অনেকগুলো টাকা। ভীষণ ভারী একটা অঙ্ক। আর তার থেকেও জটিল নির্মলা সীতারামনের পাঁচ দিনের ঘোষণা। ঘণ্টাখানেক টিভির সামনে বসে যদি ঊষা এই জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা পাঁচদিন ধরে শুনতেন, তাহলে কিন্তু তাঁর সংসার চলত না! আর তাঁর আশায় সেই সময়টা বসে থাকতে হতো বহু মানুষকে... বিনা বিদ্যুতে। শ্রুতিরও কি রোগী ছেড়ে টিভির সামনে বসে থাকলে চলবে? তাই তিনিও পারেন না। তাঁর জীবিকা যে মানুষকে জীবনের প্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনে মূল স্রোতে! কিন্তু ঊষা, শ্রুতিরা হয়তো আশা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী রাত ৮টার সময় জাতির উদ্দেশে ভাষণে যখন এত কথা বলেছেন, তার মানে এবার কিছু একটা পাওয়া যাবে।
নির্মলা বললেন। একদিন, দু’দিন...পাঁচদিন। তাঁরা ভাবলেন, আজ হল না... কাল নিশ্চয়ই মিলবে। যে সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি, তাকে মোকাবিলা করার মতো শক্তি। সামান্যই হোক না! শুধু কথায় যে পেট ভরছে না! বেশি কিছু নয়, লকডাউনে স্তব্ধ দেশের মাটিতে বেঁচে থাকার মতো কিছু সংস্থান। অনেক ঘোষণা করলেন নির্মলা। মানুষ শুনল, তারপর ভাবল... প্রধানমন্ত্রীর কাজকর্মের ঢালাও ফিরিস্তির বাইরে আর কী পেলাম? সরকার বাহাদুর সঙ্গে সঙ্গে বুঝিয়ে দিল... আরে পেলে তো! কোটি কোটি টাকা ঋণের সংস্থান। বাঁচতে হলে লোন করো। সুদ আমরা দেব। আমরা ভাবলাম, এ তো বেশ ভালো ব্যাপার! কত টাকা লোন পাওয়া যাবে? নির্মলা জানিয়েছেন, মুদ্রা শিশু প্রকল্পে লোন করলে ১২ মাস ধরে ২ শতাংশ সুদ সরকার দেবে। অর্থাৎ, বসে না থেকে ব্যবসা করুন। তার জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। ওই টাকায় ঠিক কেমন ‘বাণিজ্য’ হবে, বলা মুশকিল। তাও ধরা যাক, আপনি ৫০ হাজার টাকারই লোন করলেন স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে। ন্যূনতম সুদ ১০.৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ হিসেব কষে দেখলে মাসের শুরুতে সরকার খুব বেশি হলে আপনার জন্য দেবে সাড়ে ৮ টাকারও কম (২ শতাংশ)। রান্নাঘরে বাজার নেই, পেটে খাবার নেই... এমন একটা অবস্থায় ঘাড়ের উপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে খুব লাভ হবে কি?
আর একটা ঘোষণায় আসা যাক। বেসরকারি ক্ষেত্রে যাঁদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ড ফান্ড কাটা হয়, তাঁদের জন্য সুবিধা। বলা হচ্ছে, ১২ শতাংশ নয়, কয়েক মাস ১০ শতাংশ টাকা পিএফের জন্য কাটা হবে। অর্থাৎ বাকি ২ শতাংশ টাকা কর্মীরা বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। এবার প্রশ্ন, টাকাটা কার? সরকারের তো নয়! সেটা আপনার-আমার টাকা। যা ভবিষ্যতে অবসরপ্রাপ্ত জীবনের জন্য সরকারের ঘরে জমা থাকত, সেটাই আজ আমরা বাড়ি নিয়ে যাব। সরকার কিন্তু কিছু দিল না! বরং এই দুই শতাংশের প্রভাবটা পড়বে আমাদের পিএফ অ্যাকাউন্টে। অর্থাৎ, সঞ্চয়ে ধাক্কা।
সঞ্চয় বলে কিছুই নেই তো সেই ক্ষুদ্র চাষিদেরও। যাঁদের জন্য রীতিমতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অনেক কিছু করার কথা ঘোষণা করল মোদি সরকার। নাবার্ডের ৯০ হাজার কোটির পাশাপাশি কৃষকদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলেছেন নির্মলা। এই অঙ্কটাও নাবার্ড দেবে গ্রামীণ কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক বা রুরাল রিজিওনাল ব্যাঙ্ককে (আরআরবি)। সেখান থেকে কৃষকরা ঋণ নেবেন। গুজরাতের সেই কৃষক... পেঁয়াজ নিয়ে গিয়েছিলেন এপিএমসি মার্কেটে। আশা ছিল, বিক্রি করে যা দাম পাবেন, তাতে লকডাউনের এই সঙ্কটে না খেতে পেয়ে অন্তত মরতে হবে না। কিন্তু যা পেলেন, তাতে ক’বেলা খাবার জুটবে সেটাই প্রশ্ন। তাই তিনি কাঁদছিলেন... মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে। সরকার কি আশা করে, তিনি এবার গিয়ে লোনের জন্য লাইন দেবেন? দিলেই বা... শোধ করবেন কীভাবে? আর না পারলে?
এর থেকেও বড় আর একটা প্রশ্ন আছে... লোন কি তিনি সত্যিই পাবেন? এই ঋণের টোপ কিন্তু রাজার বাড়ির খাওয়ার মতো, না আঁচানো পর্যন্ত বিশ্বাস নেই। চেনাজানার ফোন বা চিঠি এক্ষেত্রেও ফোড়নের কাজ করে। আর প্রভাবশালী কানেকশন থাকলে কী হয়, তার প্রমাণ তো রয়েইছে... নীরব মোদি! এই প্যাকেজে আবার সেই প্রবণতাই খুঁচিয়ে তোলার চেষ্টাচরিত্র করেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। একদিকে কোম্পানিস অ্যাক্টে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হচ্ছে, যাতে গোলমাল পাকালেও ফৌজদারি কেস হবে না। পাশাপাশি টাকা ধার নিয়ে কেউ যদি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন, কিংবা নীরব মোদি-মেহুল চোকসি হয়ে যান... তাহলেও আগামী এক বছর তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও মামলা-মোকদ্দমা হবে না।
ভদ্দরলোকে বলবে, এই সরকার কর্পোরেট ফ্রেন্ডলি। কিন্তু মানুষ বলবে... বেওসায়ীদের সরকার। এই প্যাকেজের মোড়কে আসলে দেশীয় সব শিল্পক্ষেত্র বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার রাস্তা চওড়া করে দিয়েছে মোদি সরকার। প্রতিরক্ষা হোক কিংবা পরমাণু ক্ষেত্র... বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য সর্বত্র দরজা হাট করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ডিআরডিওতে লগ্নি করে কোনও কোম্পানির সর্বময় কর্তা বলতেই পারেন, দেখি তো আপনারা কী নিয়ে এত গবেষণা করছেন? আমার টাকাটা উঠছে তো?
প্রাইভেটাইজেশন নয়, কর্পোরেটাইজেশন। ধাপ্পাবাজির নতুন গালভরা নাম। আন্তর্জাতিক মহল ভারত সরকারের নামে ধন্য ধন্য করছে। সেটাই স্বাভাবিক। তাদের কাছে দেশের বাজারটাই তো উন্মুক্ত হয়ে গেল। আর ভারতের বাজার সবথেকে বেশি ‘প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন’। আমেরিকা হোক বা চীন, প্রত্যেকেই চায় আমাদের দেশের মাটিতে ব্যবসার ভিত শক্ত করতে। তাই সব শালিকের এক রা... দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যান, অসাধারণ দূরদর্শিতা। এর উপর ভর করেই ভবিষ্যতে ভারত উন্নতির শিখরে চড়ে বসবে। সে তো গেল দূরের কথা। ভারতের অর্থনীতি কবে এভারেস্টে উঠতে পারবে, সে নিয়ে গবেষণা করার সময় আজ নেই। এই সময় হিসেবের... কত লক্ষ মানুষ চাকরি হারালেন, কত কোটি মানুষের শেষ সঞ্চয়টুকু ‘বিনা প্রস্তুতির’ এই লকডাউনে শেষ হয়ে গেল, কত পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরার তাগিদে হাঁটতে শুরু করে পথেই প্রাণ দিলেন। হাতে টাকা কিন্তু তাঁরাও পেলেন না। বরং হাতে পাচ্ছেন এমন একটা রেশন কার্ড, যা ভাঙিয়ে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে তাঁরা খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে পারবেন। মানেটা স্পষ্ট, কীভাবে কার্যকর হবে, তার দায় রা‌঩জ্যের। কিন্তু রাজ্য কী পাবে? আছে তো! ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা ৩ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করে দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানেও কিন্তু শর্ত আছে... বেসরকারিকরণের শরিক হতে হবে। যাই হোক, রেশন মিলল। কিন্তু রান্না করবে কোথায়? পরিযায়ী শ্রমিকদের মাথায় তো আর স্থায়ী ছাদ থাকে না! তাই কেন্দ্রের আর্জি, পরিযায়ীদের সুলভে বাড়ি ভাড়া দিন। সে আর এক বিষম বস্তু। বাড়িওলা সবার আগে ভাববেন, ভাড়া তো দেব, ওঠাতে পারব তো?
পরিযায়ী শ্রমিকরা কখনও এই গ্রামে, তো কখনও ওই শহরে। এভাবেই চলে তাঁদের জীবন। কখনও ধানের মরশুমে ফসল তুলছেন, তো কখনও শহরে গিয়ে আবাসন প্রকল্পে কাজ করছেন জোগানদারের। এই অসংগঠিত ক্ষেত্রকে নথিভুক্ত করে যতই পরিসংখ্যানে বাঁধার চেষ্টা করা হোক না কেন, একটা বড় অংশ তালিকার বাইরেই থেকে যায়। এই লকডাউন পর্বে হয়তো সেই অংশটার খোঁজ মিলবে। তবে কথায় বলে, মানুষ অভ্যাসের দাস। কাজটাও একটা অভ্যাস। তিন-চার মাস কম সময় নয়! এই পরিযায়ী শ্রমিকরা বিভিন্ন উৎপাদন এবং নির্মাণক্ষেত্রে যত পরিষেবা দেন, তা আচমকা বন্ধ হয়ে গেলে লকডাউনের পর অর্থনীতির চাকা গড়াবে তো? বিনামূল্যে রেশন এবং ১০০ দিনের কাজ কিন্তু তাতে ইন্ধন জোগাতে পারে। ছেড়ে যেতে পারে কাজের অভ্যাস, হাঁটার অভ্যাস। যা বন্ধ করা অসম্ভব বলে জানিয়ে দিয়েছে খোদ সুপ্রিম কোর্টও। কিন্তু সেটাই সম্ভব হয়ে যাবে না তো? অদূর অভিষ্যতে? তখন কিন্তু আর কোনও সুদূরমেয়াদি পরিকল্পনা খাটবে না। মানুষ বেঁচে থাকে আজ, কাল এবং প্রতিদিন। বর্তমানকে সুনিশ্চিত না করে ভবিষ্যতের ইমারত গড়া যায় না।
হয় সেটা অবাস্তববোধ, না হলে দেশের সঙ্গে প্রতারণা।
19th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার।
বিশদ

18th  May, 2020
ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও।
বিশদ

17th  May, 2020
এমনটা তো হওয়ার ছিল না
তন্ময় মল্লিক

 একটু বেশি রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন মালদহের রাজেশ মাহাত। গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু, ঘর তৈরির কাজে হাত দেওয়ার আগেই লকডাউন। রাজেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। বুঝেছিলেন, সেখানে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
বিশদ

16th  May, 2020
জানা অজানার রাষ্ট্র
সমৃদ্ধ দত্ত

রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, প্রত্যেক দেশবাসীকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলে ট্রেনে যাত্রা করতে দেওয়া হবে না। বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় কোন ফোনে? স্মার্ট ফোনে।
বিশদ

15th  May, 2020
পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চাই
দেশজুড়ে নানা ধরনের শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ
হারাধন চৌধুরী

 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, আগামী দিনে পৃথিবী চিহ্নিত হবে ‘করোনা-পূর্ব’ এবং ‘করোনা-পরবর্তী’ হিসেবে। দেশের প্রেক্ষাপটে তিনি যেটা বলেননি তা হল ‘করোনা-মধ্যবর্তী ভারত’। দেশবাসীর মনে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতটা রয়ে যাবে, সেটাই চিহ্নিত হবে ওই নামে।
বিশদ

14th  May, 2020
হবু-গবুর গোপন মন্ত্রণা
সন্দীপন বিশ্বাস

 মহারাজা হবুচন্দ্রের আচরণে মনটা খারাপই হয়ে গেল মন্ত্রী গবুর। রাজবাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। সকলের জন্য প্রটোকল থাকলেও একমাত্র গবুচন্দ্রেরই তেমন কোনও বালাই ছিল না।
বিশদ

13th  May, 2020
একনজরে
রাষ্ট্রসঙ্ঘ, ২৪ মে (পিটিআই): সুপার সাইক্লোন উম-পুনে ভারত এবং বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর দুঃখপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেস।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: উম-পুনের দানবীয় তাণ্ডবে বসিরহাট মহকুমায় নদীবাঁধ ভেঙে নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার একর চাষযোগ্য জমি। ওইসব জমিতে ফের কবে চাষ শুরু করা যাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উবেছে বিভিন্ন ব্লকের ভুক্তভোগী কৃষকদের।   ...

নয়াদিল্লি, ২৪ মে: গৃহবন্দি জীবন একঘেয়েমি হয়ে উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ওপেনার রোহিত শর্মার কাছে। বাইশ গজে ফেরার জন্য ব্যাকুল তিনি। প্রচণ্ড মিস করছেন ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২৪ মে: স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং গ্লাভসের কালোবাজারি হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে রাজ্যগুলিকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্র। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে এন -৯৫ মাস্ককে চিহ্নিত করার পরেও বেশ কিছু জায়গায় অত্যধিক দামে তা বিক্রি হচ্ছে বলেই অভিযোগ।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম
১৯০৬ - বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪ - শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করল
২০১৮ - শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
ইউরো ৯০.৮৮ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া ৫০/৫৪ রাত্রি ১/১৯। মৃগশিরানক্ষত্র ৩/২ প্রাতঃ ৬/১০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/২ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫২ গতে ৪/৩২ মধ্যে । কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।  
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া রাত্রি ১২/০। মৃগশিরানক্ষত্র প্রাতঃ৫/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।  
১ শওয়াল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব থাইরয়েড দিবস১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী ...বিশদ

07:03:20 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ২,৪৩৬ জন, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২,৬৬৭ 

08:58:05 PM

তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত আরও ৮০৫ জন, রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১৭,০৮২ 

06:37:20 PM

বাংলায় করোনায় আক্রান্ত আরও ১৪৯ 
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪৯ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

06:23:35 PM

বাংলার ভয়ঙ্করতম বিপর্যয়ের মোকাবিলায় নিযুক্ত সরকারি কর্মীদের স্যালুট মমতার 
ঘূর্ণিঝড় উম-পুনের তাণ্ডব চিত্র এখনও বর্তমান দক্ষিণবঙ্গে। টানা কাজ করেও ...বিশদ

06:07:08 PM

উম-পুন: মৃতদের পরিবারের হাতে কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম 

05:32:00 PM