Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এমনটা তো হওয়ার ছিল না
তন্ময় মল্লিক

একটু বেশি রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন মালদহের রাজেশ মাহাত। গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু, ঘর তৈরির কাজে হাত দেওয়ার আগেই লকডাউন। রাজেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। বুঝেছিলেন, সেখানে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে। বউয়ের কথাগুলো বড্ড কানে বাজছিল। পই পই করে বলেছিল, ‘বাইরে যেতে হবে না। আমাদের চলে তো যাচ্ছে।’ কথা কানে তোলেননি রাজেশ। বলেছিলেন, চিন্তা করিস না বউ। মাস দুই পরই ঘরে ফিরব। ঘর ছাড়ার দিন রাজেশের বউ কোলের ছেলেটাকে নিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে ছিল। কাপড়ের খুঁটে আটকে ছিল চোখের জল। সেই ছবিটা রাজেশের বার বার মনে পড়ছে। তখন ভাবতেও পারেননি, বোধনের আগেই বেজে যাবে বিসর্জনের বাজনা। ফিরতে হবে কপর্দকশূন্য অবস্থায়।
গামছায় মুড়ি আর শুকনো চিঁড়ে বেঁধে নেমে পড়েছেন রাস্তায়। কোন পথে মালদহ, জানা নেই রাজেশের। তবে পথই পথকে চিনিয়ে দেয়। ট্রেন লাইন ধরে এগিয়ে চলা। একা নয়, হাঁটার মিছিলে আরও অনেকে। সকলে তাঁরই মতো। চলেছেন শিকড়ের টানে। হাঁটতে হাঁটতেই সিদ্ধেশ্বর মাহাত, আশিস পালদের সঙ্গে বন্ধুত্ব। কারও বাড়ি বাঁকুড়া, কারও পুরুলিয়া, কারও বর্ধমান। সংখ্যায় তাঁরা ১১ জন। টানা তিন দিন হাঁটার পর টাটা হয়ে পুরুলিয়া টাউন থানায়। পুলিস দিয়েছিল টিফিন। বেঁচে গিয়েছিল একবেলার খাবার। এই মাগ্গিগন্ডার বাজারে সেটাই অনেক। পুরুলিয়ার বিষপুরিয়ায় গাছতলায় রাত্রিবাস। তখনই রাজেশের সঙ্গে ফোনে কথা।
রাজেশ বললেন, জানেন, আমার কপালটা খুব খারাপ। যেদিন ওড়িশায় গেলাম, তার একদিন পরেই লকডাউন। কাজই শুরু করতে পারলাম না। বউকে বলেছিলাম, অনেক টাকা নিয়ে ঘরে ফিরব। ফিরছি একেবারে খালি হাতে। শরীর যে আর বইছে না। শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারব কি না জানি না।
রাজেশ একা নয়, দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ রাজেশ বাড়ি ফিরতে পাগল। নেমে পড়েছে রাস্তায়। বড় বড় শহরের বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন চত্বরে তাঁদের ভিড়। দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম। কিন্তু, এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। কেন গোরু, ছাগলের মতো পালে পালে হেঁটে হেঁটে ফিরতে হচ্ছে শ্রমিকদের? এর দায় কার?
মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গাবাদে মালগাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ১৬ জনের মৃত্যুতে টনক নড়েছে কর্তাদের। শুরু হয়েছে রাজনীতি। দায় চাপানোর রাজনীতি। আচমকাই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চিঠি। চিঠি নয়, পত্রাঘাত, ‘আমরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রত্যাশা মতো সাড়া পাচ্ছি না। রাজ্য সরকার ট্রেন ঢুকতে দিচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। তাঁদের আরও দুর্ভোগ হচ্ছে।’ তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা জবাব, ‘অমিত শাহ হয় অভিযোগ প্রমাণ করুন। না হলে ক্ষমা চান।’ পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে শুরু হয়েছে বাগযুদ্ধ, চিঠি চালাচালি। এই যু঩দ্ধে জিতবে কে, জানা নেই। তবে নিশ্চিত জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে পরিযায়ী শ্রমিকরাই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। আওরঙ্গাবাদ ঘুরিয়ে দিয়েছে সকলের নজর।
আওরঙ্গাবাদ একটা দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা কখনও বলে কয়ে আসে না। তবে, একটা ভয়ঙ্কর কিছু যে ঘটতে চলেছে, তার ঈঙ্গিত মিলেছিল আগেই। ঘরে ফেরার তাড়নায় পরিযায়ীদের স্রোত আছড়ে পড়েছিল দিল্লির স্টেশনে, মুম্বইয়ের বাসস্ট্যান্ডে। স্রেফ একটা গুজব, সরকার বাড়ি ফেরাচ্ছে। ব্যাস, সঙ্গে সঙ্গে করোনার আতঙ্ককে অগ্রাহ্য করে কাতারে কাতারে শ্রমিকের জমায়েত স্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে। রাজনীতির কারবারিদের টনক নড়েনি। বুঝতে পারেননি, ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরার তাগিদ কতখানি!
টনক যদি সেদিন নড়ত, তাহলে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই দেববতী সিংয়ের গায়ে উঠত না সাদা থান। টনক যদি সেদিন নড়ত, তাহলে গজরাজ সিংকে এক রাতে দু’টো জোয়ান ছেলেকে হারিয়ে বুক চাপড়ে কাঁদতে কাঁদতে বলতে হতো না, ‘হে ঈশ্বর, তুমি এত বড় সর্বনাশ কেন করলে?’ স্বজন হারানোর কান্নায় মধ্যপ্রদেশের আন্তোলি গ্রামের বাতাস বড্ড ভারী হয়ে উঠেছে। মালগাড়ির চাকায় ছিন্ন ভিন্ন ১৬টি লাশের ন’টিই এই আন্তোলি গ্রামের। কিন্তু, এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্রীয় সরকার অভিভাবকের মতো। কোনও বিপর্যয় ঘটলে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে রাজ্যগুলি। এটাই নিয়ম। তাই করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লকডাউনের ঘোষণা দেশের প্রতিটি রাজ্য বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নিয়েছিল। কুর্নিশ জানিয়েছিল গোটা দেশ। তাঁর অভিভাবকত্ব মেনে নেওয়ার পথে রাজনৈতিক মতপার্থক্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তাঁরই নির্দেশের আসমুদ্র হিমাচল করতালি দিয়ে, কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে করোনা লড়াইয়ের সৈনিকদের অভিনন্দন জানিয়েছিল। তাঁরই নির্দেশে ভারতবাসী মোমবাতি আর প্রদীপ জ্বালিয়ে অঙ্গীকার করেছিল করোনা মোকাবিলার। কিন্তু, লকডাউনের মেয়াদ যত বাড়ছে, লড়াইয়ের ফাঁকফোকর যেন ততই প্রকট হচ্ছে। আওরঙ্গাবাদের দুর্ঘটনা করোনা যুদ্ধের প্রধান সেনাপতিকে দাঁড় করিয়েছে এক ঝাঁক প্রশ্নের মুখে।
মার্চ মাসে কেরলে প্রথম করোনার অস্তিত্ব মিলেছিল। তার আগেই করোনার ভয়াবহতা জেনেছিল বিশ্ব। ফলে ভারতের সামনে করোনা মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা তৈরির যথেষ্ট সময় ছিল। মাত্র চার ঘণ্টার নোটিসে দেশজুড়ে ২১দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এখন অনেকেই বলছেন, মাত্র চারটে দিন সময় দিলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে এমন বিপদের মুখে পড়তে হতো না। তাঁরা শ্রমিকরা নিজের দায়িত্বেই বাড়ি ফিরে যেতেন। তাহলে পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন ভাড়া দেওয়া নিয়ে এত জলঘোলাও হতো না।
অনেকে হয়তো বলতেই পারেন, কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন কার্যকর করে ভেঙে দিতে চেয়েছিল করোনার চেন। কারণ তখন দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র শ’দুয়েক। কিন্তু, যখন বোঝা গেল, ভারতেও চীন, আমেরিকা, ইতালির মতো লম্বা লড়াই লড়তে হবে, তখনই দরকার ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মাস্টার প্ল্যানের। দরকার ছিল বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার। তার জন্য প্রতিটি রাজ্যকে দিতে হতো অর্থ। পরিযায়ী শ্রমিকরা সেই রাজ্যের ভোটার নন। তাই ভোট সর্বস্ব রাজনীতির যুগে তাঁদের জন্য কোনও রাজ্যেরই দায়বদ্ধতা থাকে না। প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করে যিনি যেখানে আছেন তাঁকে সেখানেই থেকে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁরা খাবেন কী করে, সেটা একবারও ভাবেননি।
দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দরকার ছিল কো-অর্ডিনেশনের। আর সেই কাজটা করতে পারে একমাত্র কেন্দ্র। কারণ যখনই কোনও ব্যাপারে দু’ই বা ততোধিক রাজ্য জড়িয়ে যায় তখন কেন্দ্রকেই হস্তক্ষেপ করতে হয়। তাই কোন রাজ্যে কত পরিযায়ী শ্রমিক আছে এবং তাদের ফেরত পাঠানোর ‘মুভমেন্ট প্ল্যান’ তৈরির দায় কেন্দ্রেরই নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, সেটা হয়নি। এমনকী, দিল্লি ও মুম্বইয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার তাগিদ দেখার পরেও নয়। ৪০দিন ভিন রাজ্যে কাটানোর পর যাঁরা এখন কোনওরকমে বাড়ি ফিরছেন তখন সকলের চোখেই সন্দেহের চাউনি। করোনার আবহে তাঁরা যেন এক একটি ‘মানব বোমা’।
এখন নয়, বাড়ির জন্য হাঁটা শুরু হয়েছিল মার্চ মাসের শেষেই। কাজের জায়গায় তালা ঝুলতেই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো বুঝতে পেরেছিল, সেখানে থাকলে করোনায় নয়, মরতে হবে খিদের জ্বালায়। তাই যে কোনও মূল্যে ফিরতে হবে বাড়ি। শুরু করেছিল হাঁটা। কেউ উত্তরপ্রদেশ থেকে মধ্যপ্রদেশ, কেউ মহারাষ্ট্র থেকে বিহার। দূরত্বের কথা মাথায় ছিল না। মাথায় ছিল একটাই চিন্তা, যে কোনওভাবেই হোক ফিরতে হবে বাড়ি। বেরিয়েছিল পুলিসের নজর এড়িয়ে। সন্তর্পণে। কারণ লকডাউন চলছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুই বদলে যায়। শুধু বদলান না রবীন্দ্রনাথ। তাঁর লেখার প্রাসঙ্গিকতা একইরকম থেকে যায়। তাই তো তিনি বিশ্বকবি। আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘মাটির পৃথিবী পানে আঁখি মেলি যবে/ দেখি সেথা কলরবে/ বিপুল জনতা চলে/ নানা পথে নানা দলে দলে/ যুগযুগান্তর হতে মানুষের নিত্য প্রয়োজনে/ জীবনে মরণে।’ কবি প্রয়াণের মাত্র ছ’মাস আগে যাঁদের কথা বলে গিয়েছিলেন, আজ ভারতবর্ষের রাস্তায়, রেল লাইনে তাঁদেরই মিছিল। মিছিলে চলতে চলতেই কেউ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছেন মালগাড়ির ধাক্কায়, কেউ পিষ্ট হচ্ছেন বাসের চাকায়। কিন্তু, এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না।
দেববতীদেবী আপনাকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা নেই। এক লহমায় আপনার জীবন থেকে মুছে গিয়েছে সমস্ত রং। এক অসীম শূন্যতা গ্রাস করে নিয়েছে আপনার জীবন। তবে, একটা কথা জেনে রাখুন, আপনার স্বামীর জীবনদান বৃথা যায়নি। আওরঙ্গাবাদের দুর্ঘটনায় টনক নড়েছে সরকারের। আপনার ঘর চুরমার হয়ে গেলেও হাজার হাজার শ্রমিক ঘরে ফিরছে ট্রেনে চেপে। এই ট্রেনের দাবি তো আপনার স্বামীরও ছিল। পূরণ হয়েছে সেই দাবি। তবে, এসবই হচ্ছে আপনার বৈধব্য-যন্ত্রণার বিনিময়ে।
16th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে।
বিশদ

19th  May, 2020
২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার।
বিশদ

18th  May, 2020
ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও।
বিশদ

17th  May, 2020
জানা অজানার রাষ্ট্র
সমৃদ্ধ দত্ত

রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, প্রত্যেক দেশবাসীকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলে ট্রেনে যাত্রা করতে দেওয়া হবে না। বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় কোন ফোনে? স্মার্ট ফোনে।
বিশদ

15th  May, 2020
পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চাই
দেশজুড়ে নানা ধরনের শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ
হারাধন চৌধুরী

 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, আগামী দিনে পৃথিবী চিহ্নিত হবে ‘করোনা-পূর্ব’ এবং ‘করোনা-পরবর্তী’ হিসেবে। দেশের প্রেক্ষাপটে তিনি যেটা বলেননি তা হল ‘করোনা-মধ্যবর্তী ভারত’। দেশবাসীর মনে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতটা রয়ে যাবে, সেটাই চিহ্নিত হবে ওই নামে।
বিশদ

14th  May, 2020
হবু-গবুর গোপন মন্ত্রণা
সন্দীপন বিশ্বাস

 মহারাজা হবুচন্দ্রের আচরণে মনটা খারাপই হয়ে গেল মন্ত্রী গবুর। রাজবাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। সকলের জন্য প্রটোকল থাকলেও একমাত্র গবুচন্দ্রেরই তেমন কোনও বালাই ছিল না।
বিশদ

13th  May, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, ইটাহার: ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রায়গঞ্জ শহরে বাস-বে বানাচ্ছে রায়গঞ্জ পুরসভা। জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের মোহনবাটি বাজার এলাকায় নেতাজি সুভাষ রোডের পাশে বাজারে ঢোকার মুখে ওই নতুন বাস-বে বা লেন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।   ...

নয়াদিল্লি, ২৪ মে: গৃহবন্দি জীবন একঘেয়েমি হয়ে উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ওপেনার রোহিত শর্মার কাছে। বাইশ গজে ফেরার জন্য ব্যাকুল তিনি। প্রচণ্ড মিস করছেন ...

সংবাদদাতা, ঘাটাল: ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভারই মেয়াদ চলতি সপ্তাহে শেষ হয়ে যাচ্ছে। করোনা-পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন হয়নি। তাই অন্যান্য জায়গার মতো পুরসভায় দু’জনের একটি করে কমিটি করে নতুন চেয়ারপার্সন নিয়োগ করা হবে। প্রত্যেক পুরসভাতেই এই মর্মে যুগ্ম সচিবের চিঠি চলে এসেছে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: উম-পুনের দানবীয় তাণ্ডবে বসিরহাট মহকুমায় নদীবাঁধ ভেঙে নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার একর চাষযোগ্য জমি। ওইসব জমিতে ফের কবে চাষ শুরু করা যাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উবেছে বিভিন্ন ব্লকের ভুক্তভোগী কৃষকদের।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম
১৯০৬ - বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪ - শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করল
২০১৮ - শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
ইউরো ৯০.৮৮ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া ৫০/৫৪ রাত্রি ১/১৯। মৃগশিরানক্ষত্র ৩/২ প্রাতঃ ৬/১০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/২ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫২ গতে ৪/৩২ মধ্যে । কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।  
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া রাত্রি ১২/০। মৃগশিরানক্ষত্র প্রাতঃ৫/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।  
১ শওয়াল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব থাইরয়েড দিবস১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী ...বিশদ

07:03:20 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ২,৪৩৬ জন, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২,৬৬৭ 

08:58:05 PM

তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত আরও ৮০৫ জন, রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১৭,০৮২ 

06:37:20 PM

বাংলায় করোনায় আক্রান্ত আরও ১৪৯ 
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪৯ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

06:23:35 PM

বাংলার ভয়ঙ্করতম বিপর্যয়ের মোকাবিলায় নিযুক্ত সরকারি কর্মীদের স্যালুট মমতার 
ঘূর্ণিঝড় উম-পুনের তাণ্ডব চিত্র এখনও বর্তমান দক্ষিণবঙ্গে। টানা কাজ করেও ...বিশদ

06:07:08 PM

উম-পুন: মৃতদের পরিবারের হাতে কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম 

05:32:00 PM