প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল ঝড়বৃষ্টির কারণে হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি১, ২, মিনাখাঁ ও বসিরহাট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধ ভেঙে বহু গ্রাম এখনও জলমগ্ন। চাষজমির উপর এখনও কোথাও কোমর সমান, কোথাও একগলা জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাঁধ মেরামত শেষে নতুন করে জল ঢোকা বন্ধ করা গেলেও, আগের নোনা জল জমির উপর থেকে যাবে। চাষিদের কথায়, ওই জল শুকোতে অন্তত মাসখানেক সময় লাগবে। আর তাতে মাটি লবণাক্ত হবে। নোনা মাটিতে ধান বা কোনও সব্জি চাষ কার্যত অসম্ভব। এমনিতেই বিভিন্ন রাজ্যে কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরছেন বহু লোক। তার উপর চাষ বন্ধ হলে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার রসদ কোথা থেকে জোগাড় হবে, তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না চাষিরা।
সন্দেশখালির ন্যাজাট১, খুলনা ও কোরাকাটি গ্রামের চাষিরা বলেন, আইলার সময় ভিটে ও চাষজমি নোনা জলে ভেসে গিয়েছিল। এর ফলে বছর তিনেক সেখানে চাষ করা যায়নি। এমনকী পুকুর ও ঝিলে মিষ্টি জলের মাছ চাষও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভাত জোগাড়ের জন্য গ্রামের বেকার ছেলেমেয়েরা কলকাতা সহ বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিল। এবারও সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে আগের মতো আর বাইরে কাজ পাওয়া যাবে না। তাই সকলের মুখেই একই প্রশ্ন— এবার আমরা বাঁচব কীভাবে?
অন্যদিকে, শনিবার রাতে প্রবল জোয়ারে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গৌড়েশ্বর নদীর কুমিরমারি ও বাঁশতলি এলাকায় নতুন করে নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী ও তারপোলিনের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। পানীয় জলের সঙ্কটের পাশাপাশি ডায়ারিয়া সহ বিভিন্ন জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন এলাকার মানুষ। এখনও বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল পরিষেবা চালু হয়নি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুততার সঙ্গে ত্রাণ সামগ্রী, তারপোলিন, পানীয় জল ও ওষুধ পাঠানোর কাজ চলছে।