প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, খুব শীঘ্রই আমাদের জেলায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে মালদহ এবং শিলিগুড়ির মত লালারস পরীক্ষা করার যন্ত্র বসতে চলেছে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা এখান থেকেই লালারস পরীক্ষা করতে পারব, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হবে।
এরইমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হলে একদিকে যেমন সময় বাঁচবে, পাশাপাশি অন্য দুই মেডিক্যাল কলেজের উপর থেকেও চাপ অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিমাণে সোয়াবের নমুনা জমে গিয়েছে। তাই আপাতত ভিন জেলা থেকে আসা নমুনার সংখ্যা বেঁধেও দেওয়া হয়েছে। যদি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ওই পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হয়ে যায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই এই জেলার নমুনাগুলি তো আর বাইরে পাঠাতে হবেই না, বরং বাইরের জেলা থেকেই কিছু নমুনা এখানে পরীক্ষা করা হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, এদিন করোনা আক্রান্ত চোপড়া ও চাকুলিয়ার দু’জন রোগীকে সুস্থ ঘোষণা করে কোভিড হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও যাঁরা চিক্যিসাধীন রয়েছেন, তাঁরাও চিক্যিসা ব্যবস্থায় সাড়া দিচ্ছেন। সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। রোগীদের কারও মধ্যেই কোনও উপসর্গ আর দেখা যাচ্ছে না বলে দাবি করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। যদিও সুস্থ ঘোষণা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে যাঁদের, তাঁদের ১৪ দিনের জন্য গৃহবন্দী থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তাঁদের উপর এলাকার আশা কর্মী এবং বাকি স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরদারি চলবে লাগাতার।
এব্যাপারে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, আমাদের জেলায় যেসব আক্রান্ত কোভিড হাসপাতালে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রবিবার দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হল। আগেও তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা যাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাঁরাও সুস্থ আছেন। চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিকমতো চলছে।
বিভিন্ন জায়গা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঢুকছে। তাঁদের মধ্য থেকেই এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তদের হদিশ মিলেছে। এধরনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই জেলায় সোয়াব টেস্টের স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা করার দাবি বারবার উঠতে থাকে। এতদিন লালারস সংগ্রহ করে সেই নমুনা কখনও মালদহে আবার কখনও শিলিগুড়িতে পাঠানো হচ্ছিল। এখনও সেই প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। কিন্তু সেসব জায়গা থেকে রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছিল বলেও জানা গিয়েছে। এই সমস্যা নজরে আসায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি জেলা প্রশাসন কথা বলে। তারপরই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষার যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া গেলে সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও জেলা প্রশাসনের সুবিধা হবে।