প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
লকডাউনের দীর্ঘ দু’মাস করোনা ভাইরাসের মারণ থাবা থেকে রক্ষা পেয়েছিল রানিগঞ্জ শহর ও রানিগঞ্জ ব্লক। কিন্তু এবার রানিগঞ্জ ব্লকের জেমারি পঞ্চায়েতের জেকে নগরের ওল্ড মাইনস এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ল। যা নিয়ে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জেকে নগর বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বন্ধের চেহারা নিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসিএলে কর্মরত ৫১ বছরের এক কর্মী তাঁর স্ত্রী, মেয়ে সহ পরিবারের লোকজনদের নিয়ে দিল্লিতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়ে আটকে পড়েন। ১৮ মে তাঁরা ডুবুরডিহি চেকপোস্ট হয়ে জেলায় ফেরেন। দিল্লি থেকে আসায় পরিবারের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। শনিবার রাতে ওই ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁদের রাতেই স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী ও পুলিস দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালে নিয়ে যায়। রবিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। অভিযোগ, ইসিএলের কর্মী নিজে কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। এমনকী তাঁর স্ত্রী মন্দিরে গিয়েছিলেন। একথা ছড়িয়ে পড়তেই পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। পরিবারের সংস্পর্শে আসা ন’জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান বিএমওএইচ মনোজ শর্মা।
একইভাবে জামুড়িয়ার ইকরায় আসানসোল পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পাঁচ বছরের শিশুর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবা বারানসীতে হোটেলে কাজ করতেন। সেখানেই তিনি তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। লকডাউনে কাজ হারিয়ে ১৮ মে তিনি বাড়ি ফেরেন। স্বাস্থ্য দপ্তর পাঁচজনেরই নমুনা সংগ্রহ করে। তার মধ্যে পাঁচ বছরের শিশু কন্যাটির রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাকে ও তার মাকে করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটির সংস্পর্শে আসা ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান বিএমওএইচ অবিনাশ বেশরা। ডেপুটি সিএমওএইচ কেকা মুখোপাধ্যায় বলেন, সবাইকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে এর রেশ কাটতে না কাটতেই বরাকরের এক হোটেল থেকে যুবকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁকে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনিও সাম্প্রতিক কালে মুম্বই থেকে ফিরেছেন। তাঁর বাড়ি কুলটির রানিতলায়। যদিও পরিবারের কথা চিন্তা করে তিনি একটি হোটেলের রুমে নিজেকে কোয়ারেন্টাইন করে রেখেছিলেন। আসানসোল পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তরের মেয়র পরিষদ সদস্য দিব্যেন্দু ভগৎ বলেন, বরাকরের এক হোটেলে থাকা যুবকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ভিন রাজ্য থেকে এদিনও শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ও বাসিন্দা আসানসোল স্টেশনে নেমেছেন। নজরদারিতে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে তার জন্য করোনা নিয়ে রাজ্য থেকে পাঠানো বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার শঙ্খ সাঁতরা ও আসানসোলের মহকুমা শাসক দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আসানসোল স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন।