Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ছুটি শব্দটাই আজ অর্থহীন, মনের অসুখ ডেকে আনছে লকডাউন, প্রবীণদের সঙ্কট আরও তীব্র
হিমাংশু সিংহ

যে বাঙালি ছুটি পাগল, সেও দু’মাস ঘরে থেকে আজ যে-কোনও মূল্যে কাজে যোগ দিতে মরিয়া। লকডাউন যে কাজের সঙ্গে ছুটির রসায়নটাকেও এভাবে রাতারাতি বদলে দেবে, কারও কল্পনাতেও ছিল না। রবিবারের আলাদা কোনও গুরুত্ব নেই। লোকে বার ভুলে সবদিনকেই আজ শুধু লকডাউন বলে চিহ্নিত করছে। চার দেওয়ালের শৃঙ্খল আর ভালো লাগছে না কারও। কিন্তু লকডাউন উঠলেও লোক গিজগিজ সেই অফিস বোধহয় আর দেখা যাবে না। দেখা যাবে না কাউন্টারে হুড়োহুড়ি, পাবলিক বাসে গাদাগাদি, খেলার মাঠে লক্ষাধিক মানুষের উচ্ছ্বল ছবি, ঠাকুর দেখতে পাঁচ মাইল লম্বা লাইন। ওসব বোধহয় স্মৃতি হয়েই থেকে যাবে করোনার আগের পৃথিবীর মিউজিয়ামে। একথা ঠিক, সবাই ভাইরাসটাকে ভয় পেয়ে বন্দিদশাটাকে আপাতত সহ্য করছে, কিন্তু সেটা নিতান্ত বাধ্য হয়েই। পাছে সংক্রমণ হলে গোটা পরিবার নিয়ে কোয়ারেন্টাইনের নামে একঘরে হয়ে যেতে হয়, সেই অনিশ্চয়তা বাচ্চা, বুড়ো সবাইকে তাড়া করছে। কিন্তু করোনার ঠিক উল্টো পিঠে আর একটা অসুখও নীরবে মাথাচাড়া দিচ্ছে কাউকে জানান না দিয়েই। তা হচ্ছে মন খারাপের অসুখ। সব হারানোর অসুখ। অনিশ্চয়তা ও একাকীত্ব এই হারে বাড়তে থাকলে করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে হতাশা আর নানাবিধ মানসিক ব্যাধির মহামারীও। যা ইতিমধ্যেই দেখা দিতে শুরু করে দিয়েছে। লকডাউন উঠলে কত শত চাকরি যে হারাবে মানুষ, কত ব্যবসা যে বন্ধ হবে, তার হিসেব কে রাখে? আর তারই অভিঘাতে কত স্বপ্ন, সম্পর্ক যে ভেঙে চুরমার হবে তার কোনও ইয়ত্তা নেই। করোনা চুকলে মানুষের পাওয়া না-পাওয়ার চেনা বাঁকগুলোই কখন কীভাবে বদলে যাবে কেউ জানে না। প্রতি মুহূর্তে করোনার আগের দিনগুলির সঙ্গে করোনা-পরবর্তী বিশ্ব সংসারের তুলনা করবে মানুষ। পুরনো স্মৃতির জটিল আবর্ত থেকেই হতাশা আর বিষাদ গ্রাস করবে মনটাকে।
করোনা মানুষের চাহিদাটাকেও আমূল বদলে দিয়েছে। গত দু’মাস ধরে চাল-গম-আটা-আলু-তেল-সব্জি ছাড়া আর কিছু কেনার জন্য মানুষ কি খুব একটা বাজারে গিয়েছে, মনে হয় না। তাহলে অন্য যেসব সামগ্রীর ব্যবসা করে হাজার হাজার মানুষ পেট ভরায় তাদের কী হবে? রাস্তায় সামান্য কাচের চুড়ি বেচেও সংসার চালায় অনেকে। আইসক্রিমের কাঠের গাড়ি ঠেলে নিয়ে যেতে কাউকে কি দেখা গিয়েছে গত দু’মাসে। কিংবা শেষ বিকেলের সেই শীর্ণ বেলুনওয়ালা, যার অপেক্ষায় জানলায় ঠায় বসে থাকত পাশের বাড়ির ছোট্ট শিশুটি। জানে না আবার কবে জমবে তাদের সেই পসরা। প্রথম সারির এক গাড়ি কোম্পানি বলেছে, এপ্রিল মাসে তাদের একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি। কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর মাসে একটিও গাড়ি বিক্রি না-হওয়ার ঘটনা নাকি এই প্রথম। সব ব্যবসারই এক হাল। আপাতত গ্রাসাচ্ছাদন ছাড়া কেউ কিছু ভাবছে না। বাড়ি, গাড়ি কেনা তো দূর স্বপ্ন! এ জিনিস কতদিন চলবে কেউ জানে না। মানুষের মন থেকে ভয় আর অনিশ্চিয়তা উধাও না হলে যে অন্য কোনও বেচাকেনা শুরুই হবে না, তা বিলক্ষণ জানে ব্যবসায়ীরা।
সবাই দেখছে, এরই মধ্যে টানা তিনদিন ধরে মোদিজির আত্মনির্ভর ভারত গড়ার প্যাকেজ প্রহসন চলছে। কেউ কিচ্ছু পাচ্ছেন না, অথচ নিয়ম করে সাত মণ তেল রোজ বিকেলে পুড়ছে। শুধুই ঋণের দু’শো ফিরিস্তি। প্রথমে ইংরেজিতে বলছেন নির্মলা দেবী। পরক্ষণেই আবার তার হিন্দি অনুবাদ রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের গলায়। কিন্তু চিঁড়ে ভিজছে কি? জনগণের লাভ হচ্ছে কোনও? ব্যবসাই যেখানে নেই, জিডিপি যেখানে শূন্যের দিকে দৌড়চ্ছে সেখানে এত ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা করবে কী? জিএসটি মকুব নিয়ে কোনও কথা নেই। ব্যক্তিগত আয়কর কমানোর কোনও ঘোষণা নেই। পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে নগদ টাকা কোথায়? আর পিএফের কাটা অর্থের পরিমাণ কমিয়ে সাময়িক টেক হোম বাড়লেও আয়করও যে অতিরিক্ত চাপবে, তা কে না জানে? তাহলে এই কঠিন সময়ে ২০ লক্ষ কোটি টাকার এই তিন কিস্তির ফিরিস্তি কেন?
কিন্তু এত সবের মধ্যেও একটা ভাইরাস যে আমাদের মনটাকে গত প্রায় তিন মাসে কেমন অসহায় একাকীত্বে ভরে দিয়েছে, তার খোঁজ কে রাখে? একটা ভয়ঙ্কর নিরাপত্তাহীনতা আজ গ্রাস করেছে ধনী দরিদ্র সব অংশের মানুষকে। আজ লকডাউনের প্রায় দু’মাসের মাথায় একটা জিনিস সবার কাছে খুব পরিষ্কার যে, এই মারণ ভাইরাস সহজে যাওয়ার নয়। ভ্যাকসিন আসতে আসতেও বছর ঘুরে যাবে। তাই ক্রমে ক্রমে আমাদের জীবনযাপনের ধারাটাকেই অনেকটা বদলে ফেলতে হবে। পরিবর্তন করতে হবে। পৃথিবীজুড়ে সেই জীবনধারা বদলেরই প্রক্রিয়া চলছে। হঠাৎ সামনে আসা এই বিপদকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচাই এবার আমাদের সবাইকে শিখতে হবে। কতদিন অদৃশ্য শত্রুর ভয়ে দরজা জানলা বন্ধ করে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে থাকবে। বাইরে তো এবার বেরতেই হবে। কাজকর্ম আর কতদিন শিকেয় তোলা থাকবে? আর বেশিদিন এমন চললে তো এবার সবার পেটেই টান পড়বে। সবকিছু স্তব্ধ হয়ে থাকলে, রোজগার না হলে বেতন হবে কী করে? সরকার বাহাদুরই যেখানে ডিএ দেড় বছরের জন্য ছেঁটে দিয়েছে, সেখানে সাধারণ আর পাঁচটা সংস্থার কথা না বলাই ভালো।
সীমান্তে যে জওয়ান শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় তাকে তার জীবনধারাটাকেই বদলে ফেলতে হয়। ২৪ ঘণ্টা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, পিঠে ভারী মেশিন গান, মাথায় আধুনিক হেলমেট আরও কত কী। এবার করোনাও আমাদের শেখাল, রাস্তায় মানে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হওয়ার আগে মাস্ক, ফেস শিল্ড, ভালো গ্লাভস, বারবার বাইরে হাত ধোয়ার জন্য সাবান, স্যানিটাইজার সব সময় কাছে রাখতে হবে। আর ঘনিষ্ঠ হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে রাস্তায় চলা যাবে না। পার্কেও গোল হয়ে জড়াজড়ি করে এর নিঃশ্বাস ওর গায়ে লাগে, এমন করে আর বসা যাবে না উৎসবের দিনেও। মাস্ক আর গ্লাভসের আড়ালে লিপস্টিক আর নেলপলিশ শিল্পের কী হবে, তা নিয়েও সংশয় বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় না হলেও ওই শিল্পের উপরও তো বহু মানুষের জীবন-জীবিকা দাঁড়িয়ে। তাদের কী হবে? এখন থেকে উৎসবে পার্বণেও রাস্তায় ভিড় না করে দূরে দূরে থাকার ফরমান আসবে। টহল দেবে পুলিস। আমুদে বাঙালির আড্ডাশিল্পও ফলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এককথায় মানুষকে আরও একা হতে হবে। পরিবার, সংসার থেকেও দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। খসে যাবে অনেক শখ আহ্লাদের ঘেরাটোপ। সমাজ বিজ্ঞানীদের অভিযোগ ছিল, মোবাইল, টিভি, ইন্টানেট মানুষকে একা করে দিচ্ছে। এবার এক অদৃশ্য ভাইরাস মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অছিলায়, সংক্রমণের ভয় দেখিয়ে সমাজ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দিল। কে ঠেকাবে এই বিপর্যয়! বাবার মৃতদেহের সঙ্গে ছেলে যেতে পারবে না! মা হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি হলে গোটা পরিবার বিচ্ছিন্ন। গালভরা কোয়ারেন্টাইনে কার্যত নির্বাসিত। পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও যোগ রাখতে পারবে না কেউ। পাশের বাড়ির বিপদেও দু’টো কথা, সমবেদনা জানানো যাবে না। এতবড় সামাজিক সঙ্কট কেউ কোনওদিন দেখেছে? করোনার ছোবল যেমন জীবন কেড়ে নিয়েছে, তেমনি জীবন থেকে গত কয়েক মাসে যাবতীয় রূপ রস গন্ধও কেড়ে নিয়েছে। আবারও বলি, এক ভয়ঙ্কর একাকীত্ব আর হতাশা মনটাকে ভারাক্রান্ত করে দিয়েছে। এই একাকীত্ব আর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া থেকেই যে অ্যালজাইমার, ডিমেনশিয়া, তীব্র হতাশা রোগের জন্ম হয়। কারও পাঁচ টাকা আছে না পাঁচ কোটি, তা দেখে তো হতাশা আসে না। ওখানেও ধনী দরিদ্র সব একাকার। যে পরিযায়ী শ্রমিক দু’হাজার কিলোমিটার পেরিয়ে এসে নিজের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়ে দেখছে সবাইকে দু’মুঠো খাওয়ানোর পয়সা নেই, আর যার অনেক আছে অথচ এই লকডাউনে ব্যবসায় ভয়ঙ্কর ধাক্কা খেয়ে মনটা টালমাটাল, দু’জনের মানসিক অবস্থার মধ্যে ফারাক কিন্তু খুব বেশি নেই। দু’জনেই অসহায়। দু’জনের সামনেই এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতছানি। আর কে না জানে, গরিবের জন্য ত্রাণ আছে। আর ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, কিন্তু মধ্যবিত্ত এই দুয়ের মাঝে পড়ে শেষ। কারণ সহজ শর্তে ঋণ দিতে গিয়ে ফিক্সড ডিপোজিটে সুদ যে ক্রমশ কমছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রবীণরা আরও বেশি করে আতঙ্কিত। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে করোনার বিপদ যেমন তাঁদের বেশি তেমনি এদেশে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য কোনও প্যাকেজ হয় না। বোধহয় দেশকে যতটুকু আত্মনির্ভর বানানোর ছিল সেই দায়িত্ব তারা অনেক আগেই সম্পন্ন করেছেন। আর কিছু পাওয়ার নেই তাঁদের কাছ থেকে। তাই প্যাকেজে প্রবীণদের জন্য কোনও সময়ই বিশেষ কিছু থাকে না। উল্টে, শিল্পে সহজ শর্তে ঋণ দিতে ক্রমাগত সুদ কমানোই আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিরাপদ দাওয়াই। ফলে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীনও এই অবসরপ্রাপ্তরাই। একের পর এক সরকারি ব্যাঙ্ক পাল্লা দিয়ে সুদ কমাচ্ছে, আর এই কঠিন সময়েও তাই মাসে দু’বার আয় কমছে সুদনির্ভর মানুষদের। বৃদ্ধ বয়সে কারও ছেলেমেয়ে ভিনরাজ্যে তো কারও বিদেশে। দেখার কেউ নেই। সামান্য কটা টাকা আর ফিক্সড ডিপোজিটই সম্বল। বুড়োদের জন্য তো আর প্যাকেজ হয় না। কারণ সবাই জানে স্টিমুলাস দিয়েও ওদের আর জাগানো যাবে না। তাই ক্রমশ আয় কমার দুঃখ বুকে নিয়েই প্রবীণদের চোখের দীপ্তি কমে আসে। আর কিছু হোক ছাই না হোক সরকার বাহাদুরের কাছে একটাই আবেদন, ব্যাঙ্কে সুদ কমলেও আগামী এক-দেড় বছর প্রবীণদের সুদ আর কমবে না বলে অবিলম্বে ঘোষণা করা হোক। তা হলেই ভয়ঙ্কর একা হয়ে যাওয়া অসুস্থ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা অন্তত একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন।
17th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

মহামারীর সঙ্গে মহাপ্রলয়,
তবু বাংলা জিতবেই
হিমাংশু সিংহ

ইতিহাসের অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। আমাদের বঙ্গভূমি। দেশভাগ, মন্বন্তর, বন্যা, মহামারী কিছুই আমাদের জীবনীশক্তিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। ভেঙে গিয়েও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। নতুন ভোরের স্বপ্নে শুরু হয়েছে ফের পথ চলা।
বিশদ

24th  May, 2020
আত্মকেন্দ্রিক হোন,
কিন্তু স্বার্থপর নয়
তন্ময় মল্লিক

 করোনাকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে। হু-এর এই ঘোষণার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, ইজরায়েল যাই দাবি করুক না কেন, বাস্তবটা হল, করোনা ভ্যাকসিন নাগালের ধারেকাছে নেই।
বিশদ

23rd  May, 2020
করোনা প্যাকেজের অশ্বডিম্ব!
মৃণালকান্তি দাস

 প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটির বিলাসবহুল বিমানের খবরটাই গিলে খেয়ে নিয়েছে করোনা সঙ্কট! খবরটা কী? এতদিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খুব শীঘ্রই এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭।
বিশদ

22nd  May, 2020
সুযোগের সদ্ব্যবহারে
কতটা প্রস্তুত ভারত
হারাধন চৌধুরী

 জলে কুমির ডাঙায় বাঘের এমন জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্মরণকালের মধ্যে আমরা দেখিনি। শুধু বাংলা বা ভারত নয়, সারা পৃথিবীর জন্যই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সবাই ঘরের নিরাপদ কোণ বেছে নিলাম।
বিশদ

21st  May, 2020
আত্মনির্ভরতার স্টিকার
মারা ‘খুড়োর কল’
সন্দীপন বিশ্বাস

সুকুমার রায়ের ‘খুড়োর কল’ কবিতার সঙ্গে বাঙালির দীর্ঘদিনের পরিচয়। চণ্ডীদাসের খুড়োর সেই আজব কল ছিল একটা ভাঁওতা। ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে তা ছুটিয়ে মারত। মরীচিকার মতো অবাস্তব এবং বিরাট একটা ধাপ্পা ছিল ওই খুড়োর কল।
বিশদ

20th  May, 2020
গালভরা প্যাকেজ,
দেশ বাঁচবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 ঊষা জগদালে। মহারাষ্ট্রের বিদ জেলায় বাড়ি তাঁর। রোজ সকালে যখন পরিবারকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ছেড়ে দরজার বাইরে পা রাখেন, তখনও ঠিকঠাক জানেন না, কোন বিদ্যুতের খুঁটিতে তাঁকে উঠতে হবে। তবে জানেন, কাজের চৌহদ্দির মধ্যে কোথাও সমস্যা হলে তাঁরই ডাক পড়বে।
বিশদ

19th  May, 2020
২০ লক্ষ কোটি টাকার রহস্য কাহিনী
পি চিদম্বরম

চলতি অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১-এর বাজেট পেশ করেছিল। ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজস্বের দিকের ঘাটতি মেটাবে সরকার।
বিশদ

18th  May, 2020
এমনটা তো হওয়ার ছিল না
তন্ময় মল্লিক

 একটু বেশি রোজগারের আশায় ঘর ছেড়েছিলেন মালদহের রাজেশ মাহাত। গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কিন্তু, ঘর তৈরির কাজে হাত দেওয়ার আগেই লকডাউন। রাজেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। বুঝেছিলেন, সেখানে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
বিশদ

16th  May, 2020
জানা অজানার রাষ্ট্র
সমৃদ্ধ দত্ত

রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, প্রত্যেক দেশবাসীকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলে ট্রেনে যাত্রা করতে দেওয়া হবে না। বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় কোন ফোনে? স্মার্ট ফোনে।
বিশদ

15th  May, 2020
পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চাই
দেশজুড়ে নানা ধরনের শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ
হারাধন চৌধুরী

 প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, আগামী দিনে পৃথিবী চিহ্নিত হবে ‘করোনা-পূর্ব’ এবং ‘করোনা-পরবর্তী’ হিসেবে। দেশের প্রেক্ষাপটে তিনি যেটা বলেননি তা হল ‘করোনা-মধ্যবর্তী ভারত’। দেশবাসীর মনে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতটা রয়ে যাবে, সেটাই চিহ্নিত হবে ওই নামে।
বিশদ

14th  May, 2020
হবু-গবুর গোপন মন্ত্রণা
সন্দীপন বিশ্বাস

 মহারাজা হবুচন্দ্রের আচরণে মনটা খারাপই হয়ে গেল মন্ত্রী গবুর। রাজবাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। সকলের জন্য প্রটোকল থাকলেও একমাত্র গবুচন্দ্রেরই তেমন কোনও বালাই ছিল না।
বিশদ

13th  May, 2020
একনজরে
নয়াদিল্লি, ২৪ মে: গৃহবন্দি জীবন একঘেয়েমি হয়ে উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ওপেনার রোহিত শর্মার কাছে। বাইশ গজে ফেরার জন্য ব্যাকুল তিনি। প্রচণ্ড মিস করছেন ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: উম-পুনের দানবীয় তাণ্ডবে বসিরহাট মহকুমায় নদীবাঁধ ভেঙে নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার একর চাষযোগ্য জমি। ওইসব জমিতে ফের কবে চাষ শুরু করা যাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উবেছে বিভিন্ন ব্লকের ভুক্তভোগী কৃষকদের।   ...

সংবাদদাতা, ঘাটাল: ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভারই মেয়াদ চলতি সপ্তাহে শেষ হয়ে যাচ্ছে। করোনা-পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন হয়নি। তাই অন্যান্য জায়গার মতো পুরসভায় দু’জনের একটি করে কমিটি করে নতুন চেয়ারপার্সন নিয়োগ করা হবে। প্রত্যেক পুরসভাতেই এই মর্মে যুগ্ম সচিবের চিঠি চলে এসেছে। ...

নয়াদিল্লি, ২৪ মে (পিটিআই): সরকারের ঘোষণা করা পদক্ষেপের সুবিধা নিয়ে দেশে বিনিয়োগ করুন। এবং ভারতকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তুলুন। দেশের শিল্পপতিদের প্রতি এমনই আর্জি জানালেন অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম
১৯০৬ - বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪ - শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করল
২০১৮ - শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
ইউরো ৯০.৮৮ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া ৫০/৫৪ রাত্রি ১/১৯। মৃগশিরানক্ষত্র ৩/২ প্রাতঃ ৬/১০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/২ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫২ গতে ৪/৩২ মধ্যে । কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।  
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া রাত্রি ১২/০। মৃগশিরানক্ষত্র প্রাতঃ৫/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।  
১ শওয়াল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব থাইরয়েড দিবস১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম১৮৯৯: বিদ্রোহী কবি কাজী ...বিশদ

07:03:20 PM

গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ২,৪৩৬ জন, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২,৬৬৭ 

08:58:05 PM

তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্ত আরও ৮০৫ জন, রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১৭,০৮২ 

06:37:20 PM

বাংলায় করোনায় আক্রান্ত আরও ১৪৯ 
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪৯ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

06:23:35 PM

বাংলার ভয়ঙ্করতম বিপর্যয়ের মোকাবিলায় নিযুক্ত সরকারি কর্মীদের স্যালুট মমতার 
ঘূর্ণিঝড় উম-পুনের তাণ্ডব চিত্র এখনও বর্তমান দক্ষিণবঙ্গে। টানা কাজ করেও ...বিশদ

06:07:08 PM

উম-পুন: মৃতদের পরিবারের হাতে কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম 

05:32:00 PM